#যে_গল্পের_নাম_ছিলনা পর্ব ২৪

1
616

#যে_গল্পের_নাম_ছিলনা পর্ব ২৪
-Farhina Jannat

২৩.
পরদিন দুপুরে আবার কলিংবেল বাজলো দরজায়। আগেরবারের মতই ছুটে গেল সিদ্রা, তবে নিশ্চিন্তে, ওকে আটকাবার কেউ নেই এখন, লোকটা চলে গেছে। কিন্তু, ছিটকিনিটা লাগানো নেই কেন? হ্যান্ডেল ধরে মোচড় দিতেই উত্তর পেয়ে গেল সিদ্রা, দরজা খুললনা। তার মানে চাবি দিয়ে লক করা হয়েছে আর শুধু চাবি দিয়েই খোলা যাবে এ দরজা। দরজায় এবার জোরে জোরে ধাক্কা পড়ল। আইহোলে চোখ রাখতেই আত্মা শুকিয়ে গেল ওর, লোকটা দাঁড়িয়ে আছে দরজায়। কাঁপা পায়ে পেছনে হটল ও, কপালে আজ দুঃখ আছে, বুঝে গেছে। দরজা খুলল খালা।

সিদ্রা কি করবে ঠিক করে বুঝে উঠার আগেই ওর সামনে যমদূতের মত হাজির হয়ে গেল লোকটা, দুচোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে। লোকটা এক পা আগায় আর ও এক পা পেছায়, এমন করতে করতে দেয়ালে গিয়ে ঠেকল সিদ্রা। লোকটা তার দুই হাত ওর দুই পাশে রেখে ঝুঁকল ওর দিকে, হাত দিয়ে যেন লক করে দিল ওকে।

“তোকে আমি কালকে নিষেধ করেছিলাম?” চিবিয়ে চিবিয়ে বলল লোকটা। ভয়ে ঢোক গিলল সিদ্রা।

“উত্তর দিচ্ছিসনা কেন? করেছিলাম?” এতো জোরে চিৎকার করল লোকটা, কেঁপে উঠলো সিদ্রা। কোনরকমে মাথা ওপর নিচ করলো ও।

“তাহলে শুনলিনা কেন আমার কথা?” একই স্বরে বলল লোকটা। সিদ্রা আতঙ্কে চোখ বুজে ফেলল, দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষা করতে লাগল লোকটার পরবর্তী অত্যাচারের জন্য। কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে কোন আঘাত আসলনা। আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখল হাত ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়েছে লোকটা, একটু স্বস্তি পেল ও।

“তোকে জঙ্গল থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি বলে কি তুই সাপের পাঁচ পা দেখেছিস?” হালকা পায়চারি করে বলল কথাটা, “ভুলেও ভাবিসনা, এতে তোর পালানোর পথ সুগম হয়েছে”

আবার কাছে এগিয়ে এল লোকটা। “তুই তোর বোনকে অনেক ভালবাসিস তাইনা? কি যেন নাম মেয়েটার। হ্যাঁ, সিরাজাম মুনিরা। কি, ঠিক বলেছি তো?” কালকের মত বাঁকা হাসি লোকটার ঠোঁটে।

সিদ্রা বুঝতে পারছেনা লোকটার কথা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে। কালকের আতঙ্ক আবার ফিরে এল, ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেল ওর।

“এটা নিশ্চয় এতদিনে বুঝেছিস, আমি চাইলে কি কি করতে পারি। এখন, তুই যদি আমার কথা না শুনে কোন উল্টাপাল্টা কাজ করিস, তার খেসারত কিন্তু তোর বোনকে দিতে হবে! তখন কিন্তু আমাকে দায়ী করিসনা”

মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল সিদ্রার, “এসব কি বলছেন আপনি? মাথা ঠিক আছে আপনার? এতদিন ধরে আমাকে তো কষ্ট দিচ্ছেন, তাতেও আপনার শান্তি হচ্ছেনা? এখন এর মধ্যে আবার আমার বোনকে ঢুকাচ্ছেন!” রাগ আর আতঙ্ক স্পষ্ট ফুটে উঠলো ওর গলার স্বরে।

“আমি ঢুকালাম কখন! তোর হাতেই তো ছেড়ে দিলাম। তুই তোর বোনকে ঢুকাবি কি না, সেটা তো তোর মর্জির ওপর! শুধু শুধু আমাকে দুষছিস কেন? তুই আমার কথামত চললেই তো তোর বোন এসবের মধ্যে ঢুকবেনা, সিম্পল!”

“আপনি…..আপনি আসলেই একটা অমানুষ!” রাগে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে গেল সিদ্রার, “আমার আপনার জন্য একটু মায়া হয়েছিল, আপনার ভাইয়ের কথা শোনার পর। কিন্তু আজ আপনি প্রমাণ করে দিলেন, এসব আপনি কষ্ট থেকে করছেননা, মজা পাচ্ছেন আপনি এসব করে। মানুষের জীবন আর ইমোশন নিয়ে খেলে আপনি মজা পান। আপনি খারাপ! খুব খারাপ!” কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেল সিদ্রা।

***
আজ এক সপ্তাহ হল সিদ্রার বাংলোতে আসা। সেদিনের পর সিদ্রা হয়ে গেছে আরো মনমরা, যদিও এখানে এসে বন্দীজীবন কিছুটা আরামদায়ক(!) হয়েছে ওর। দামী ফার্নিচারে মোড়া ঘর (যদিও সেগুলো ওর কোন কাজেই লাগেনা), বিশাল গদির বিছানা, ঘরের ভেতর আধুনিক বাথরুম, পেছনে বিশাল বারান্দা দিয়ে অসাধারণ চা বাগানের দৃশ্য। কোথাও ঘুরতে গিয়ে এমন একটা রুম পেলে হয়তো খুশিতে লাফাতো ও। কিন্তু বন্দীজীবনে হাজার আরামের ব্যবস্থা থাকলেও কি তাতে কোন সুখ থাকে!

কাজও অনেক কমে গেছে এখন, অন্তত বালতি বালতি পানি তো আর বইতে হয়না। তবে ঝর্ণাটা অনেক মিস করে ও। মাটির চুলাতে রান্নার কষ্টও নেই। বাড়তি কাজ এখন ঘর ঝাড়ু দেয়া আর মোছা। এতবড় ডুপ্লেক্স বাংলো, ওর জান বের হয়ে যায় মুছতে গিয়ে। তাও কপাল ভাল, অনেকগুলো ঘরই বন্ধ, সেগুলো ওকে মুছতে হয়না।

লোকটার ব্ল্যাকমেইলে সব আশা ভরসা হারিয়ে গেছে সিদ্রার। কোনকিছুর বিনিময়েই ও মুনিরার কোন ক্ষতি হতে দিতে পারবেনা। আমার সাথে তো যা হবার হয়েছেই, এখন মুনিরারও কিছু হলে আব্বু-আম্মু শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য আমার খোঁজ না পেয়েই যে কি অবস্থা, সেটাই তো জানিনা, ভেবেছে ও। সেজন্য পালানোর চিন্তা পুরোপুরি ত্যাগ করেছে সিদ্রা। শুধু একটা আশার আলো ধিকিধিকি জ্বলছে ওর মনে, “সত্য”। আসল সত্যিটা জানতে হবে, যার কারণে ও ঢুকে গেছে এই চক্রব্যূহে। শুধুমাত্র তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। ও নিশ্চিত, লোকটার ঘরেই পাওয়া যাবে সব প্রশ্নের উত্তর, কারণ ওই ঘরে ঢুকা ওর একদম নিষেধ।

প্রতি মোনাজাতে এখন শুধু একটাই প্রার্থনা করে ও, আল্লাহ্‌ আমাকে সত্যের সন্ধান দাও। অবশেষে আল্লাহ্‌ ওর দোয়া কবুল করলেন।

***
মাগরিবের নামাজ পড়ে ঘর থেকে বের হতে যাবে, লোকটার গলার আওয়াজ পেল সিদ্রা, কার সাথে যেন কথা বলছে। উঁকি মারল সিদ্রা, দেখল লোকটা চাবি দিয়ে নিজের ঘরের দরজা লক করছে। পরনে নীল রঙের একটা পাঞ্জাবি, এই প্রথম লোকটাকে পাঞ্জাবি পরতে দেখল ও। বেশ ভাল দেখাচ্ছে তো, মনে মনে বলল সিদ্রা। বাম কানে ফোন ধরা লোকটার, কাকে যেন বলছে, “এইতো রেডি হয়ে গেছি, দশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাব, চিন্তা করিসনা”।

কথা বলতে বলতেই চাবিটা পাঞ্জাবির পকেটে ঢুকাল লোকটা। কিন্তু বিস্ময়ে হা হয়ে দেখল সিদ্রা, চাবিটা পকেটে না ঢুকে নিচে পড়ে গেছে। ডোরম্যাটের উপর পড়েছে বলে শব্দও হয়নি। লোকটাও খেয়াল না করে গটগট করে নেমে গেল সিঁড়ি বেয়ে। লোকটা চোখের আড়াল হতেই ল্যান্ডিংএ ছুটে এল সিদ্রা। নিঃশ্বাস বন্ধ করে নিচের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করল বাইরের গেইট বন্ধ হওয়ার শব্দ শোনা পর্যন্ত।

উত্তেজ্জনায় হাত কাঁপছিল সিদ্রার, দরজা খুলতে প্রয়োজনের থেকে বেশি সময় নিয়ে ফেলল। ঘরে ঢুকেই লাগিয়ে দিল দরজাটা, বাইরে থেকে যেন কেউ বুঝতে না পারে। আন্দাজে হাতড়ে লাইট জ্বালাল সিদ্রা আর হা হয়ে গেল একদম। ও যেই ঘরে থাকছে, তার থেকে দ্বিগুণ বড় ঘরটা আর আরো অসাধারণ আর দামী সব ফার্নিচারে মোড়া। টিভিতে যেমন বড়লোকদের বেডরুমগুলো দেখা যায়, ঠিক তেমন।

বিশাল একটা বিছানা, দুপাশে সাইড টেবিল, এক দেয়ালের প্রায় পুরোটা জুড়ে আলমারি, ডানসাইডে জানালার পাশে একটা কাউচ, তার পাশেই সোফাসেট সাজানো, বামদিকে ড্রেসার, স্টাডি টেবিল, কি নেই ঘরে। আর সবকিছু একদম ছবির মত পরিপাটি করে সাজানো, যেন ধরলেই নষ্ট হয়ে যাবে। বিছানার মাথার কাছের দেয়ালে একটা বিশাল ছবি, হাসিমুখে তাকিয়ে আছে দুইটা ছেলে, একজন তো এই লোকটা, আরেকজন নিশ্চয় উনার ভাই। কি সুন্দর মিল দুই ভাইয়ের চেহারায়। ভাবতেই কষ্ট লাগছে ছেলেটা আর এ পৃথিবীতে নেই, আর তার জন্যই আমি আজ এখানে!

এসব করতেই সিদ্রা নষ্ট করে ফেলল মূল্যবান কিছু মুহূর্ত। দেখা শেষ হতেই ভাবতে লাগলো, কোথা থেকে খোঁজা শুরু করবে। বিশাল স্টাডি টেবিলটাই বেস্ট চয়েস, এগোল সিদ্রা। টেবিলের ওপর রাখা টেলিফোনটা দেখে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত অবস্থা হল ওর। কিন্তু রিসিভারটা তুলতেই লোকটার হুমকির কথা মনে পড়ে গেলো, কোনকিছু করলে তার দাম মুনিরাকে চুকাতে হবে। কিন্তু ফোন করলে লোকটা তো আর জানতে পারবেনা। নাহ! পারবে, কল হিস্ট্রি চেক করলেই বুঝে যাবে। ফোন করবে নাকি না, এ চিন্তাতেও চলে গেল আরো কিছু সময়। শেষ পর্যন্ত বুকে পাথর চেপে রিসিভারটা রেখে দিল ও।

জোর করে মনযোগ আনলো সিদ্রা, যেজন্য ঘরে ঢুকেছে তার প্রতি। কাগজপত্র আর ফাইল দিয়ে ভরা পুরো টেবিল। এত গোছানো মানুষের টেবিল এত অগোছালো কেন বুঝে আসলনা ওর। সবার উপরে লাল কালিতে লেখা “PROJECT X” নামক ফাইলটা ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করল। ফাইলটা খুলতেই দুচোখ বিস্ফোরিত হল সিদ্রার। এগুলো কি দেখছি আমি! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা ও। সারা শরীর অবশ হয়ে গেল ওর, পড়ে গেল ফাইলটা হাত থেকে।

পাগলের মত পড়ে যাওয়া ছবিগুলো দেখতে লাগলো সিদ্রা। এটা কিভাবে সম্ভব! ছবির ভেতর থেকে হাসিমুখে তাকিয়ে আছে ও। হ্যাঁ, অন্য কেউ হয়তো সেটাই ভাববে, কিন্তু সিদ্রা নিজে খুব ভাল করেই জানে, এগুলো ওর ছবি না, এগুলো ওর জমজ বোন মুনিরার ছবি!

এখানকার কতগুলো ছবি ও নিজেই তুলে দিয়েছে মুনিরার জোরাজুরিতে। এইতো সেদিন বলেছিল, আয় আমরা দুজনে শাড়ি পরি। তারপর ছবি তোলার জন্য কত রিকোয়েস্ট! তবে কি এই ছেলেকে দেয়ার জন্যই ছবিগুলো তুলেছিলি তুই!!
তুই মুনিরা, তুই! তুই দায়ী এই ছেলেটার এই মর্মান্তিক পরিণতির জন্য!! ফারহানের ছবির দিকে তাকিয়ে চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো সিদ্রার। তোর এত অধঃপতন হয়েছে, আমি তোর বোন হয়ে বুঝতেও পারিনি, চোখ মুছল সিদ্রা। দেখি, আর কি কি আছে এখানে, ছবিগুলো সরাতেই পেয়ে গেল কনভারসেশন এর প্রিন্টগুলো। সবার উপরে যেটা ছিল, পড়তে শুরু করল সিদ্রা।

:ফ্রেন্ড কে নাম বলবানা, এটা কেমন কথা

:নাম দিয়ে কি হবে, ফ্রেন্ড হয়েছি এটাই কি বড় না?

:ও আচ্ছা বিলিভ করতে পারছোনা!
যদি বিলিভই না করো, তাইলে কিসের ফ্রেন্ডশিপ!
ঠিক আছে, যাও
এমন ফ্রেন্ড লাগবেনা আমার
আর জ্বালাবোনা তোমাকে
ভাল থেকো 🙂

:এই পাগল, রাগ করছো কেন?
এই
মেসেজ সিন করে উত্তর দিচ্ছোনা কেন?
😡
আচ্ছা বাবা বলছি, আর রাগ করতে হবেনা
আমার নাম সিদ্রাতুল মুনতাহা
এবার হ্যাপি?

নিচে আরো কিছু মেসেজ ছিল, কিন্তু দেখতে পেলনা সিদ্রা। চোখের জলে ঝাপসা হয়ে গেছে সবকিছু। গোটা দুনিয়া যেন টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে। এসব কি দেখছে ও? ওকে এই চক্রব্যূহে ঢুকিয়েছে ওরই বোন, বিশ্বাস করতে যে বুক ফেটে যাচ্ছে। আর কি দেখবে? কি আছে দেখার? সব প্রশ্নের এমন জবাব পেয়েছে, যা না পেলেই ভাল ছিল। এমন জবাব তো আমি চাইনি আল্লাহ্‌! কান্না উথলে আসল ওর।

তবু চোখ মুছে পরের পেজে গেল সিদ্রা। আগের কথার সাথে ধারাবাহিকতা নেই। এখানে ও কোথায় পড়ে এর জবাবে মুনিরা বলেছে সিদ্রার মাদ্রাসার নাম। তার পরের পেজে মুনিরার মোবাইল নাম্বার আছে। মনে পড়ল সিদ্রার, প্রায় দুমাস আগে মুনিরা ওর এই নাম্বারটা অনেক ছেলেরা ডিস্টার্ব করে বলে বন্ধ করে দিয়েছে। ইম্পরট্যান্ট ইনফরমেশন ওয়ালা পাতাগুলো উপরে রেখেছে লোকটা, বুঝল ও। পাতা উল্টাল আবার। এবার ছিল শেষ মেসেজের পাতাটা। লোকটার কথায় কথায় কিউরিওসিটি মেটানোর উল্লেখ করার কারণ এবার বুঝতে পারল সিদ্রা।

এত মোটা একটা ফাইল, কতদিন ধরে করেছিস এসব তুই মুনিরা! এটা পুরোটা পড়া সম্ভব না এখন, আর নিয়ে গেলে আবার রাখতে আসার সুযোগ পাওয়া যাবেনা হয়তো, ধরা পড়ে যাবে ও। যা জানার, তাতো জেনেই গেলাম, আর পড়ে কি হবে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফাইলটা গুছিয়ে আবার আগের মত করে রেখে দিল সিদ্রা। চাবিটা ডোরম্যাটের ওপর রেখে কোনমতে পা টেনে টেনে ফিরে গেল নিজের ঘরে। বিছানার সামনে গিয়ে শরীরটা ছেড়ে দিল।

চোখের সামনে ভেসে উঠলো বিগত কয়েক মাসের টুকরো টুকরো স্মৃতি! মুনিরার সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকা, মাঝে মাঝে ও আসলেই ফোনের কথা থমকে যাওয়া, দুই মাস আগে ওর একটু অস্বাভাবিক আচরণ, মন খারাপ করে থাকা, সব খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে এখন। সবগুলো মেসেজ পড়তে পারলে আরো ভালভাবে বুঝতে পারতো, মুনিরার দোষ আসলে কতখানি ছিল। কিন্তু, পাপ তো করলি করলি, মিথ্যে নাম যখন বললিই, তখন আর কোন নাম পেলিনা! আমার নাম দিয়ে কেন আমার জীবনটাকে নষ্ট করলি তুই? অথচ আমি তোকে বাঁচানোর জন্য পালানোর চিন্তা বাদ দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছি। আর সামলাতে পারলোনা সিদ্রা, এতক্ষণ ধরে চেপে রাখা কষ্টের যেন বাঁধ ভেঙে গেল, জোরে জোরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল ও।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here