#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_04
____________
অভ্র শুয়ে শুয়ে শুধু নীলের কথাই ভাবছে,,
আর বলছে অনেক ভালোবেসে
ফেলেছি আমি তোমাকে নীল,,,
নিজের থেকেও বেশি কিন্তু কেনো নীল কেনো তুমি বুঝো না কেনো বুঝো না আমার ভালোবাসা… ( অভ্র কান্না করে দেয়)
কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পরে অভ্র …
সকালে…
নীল প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে
নাস্তা করে কলেজে চলে যায়…
আর অভ্র নাস্তা করে তার বাবার সাথে অভিসে চলে যায়…
কলেজে যাওয়া পর প্রতিদিনের মতো চার জনে আড্ডা দিতে লাগলে,,,
তানজুম, তানিয়া আর কাজল বললো আজ কলেজ শেষের পর আমরা সবাই পার্ক যাবো আর নীল তোকেও যেতে হবে কোনো না শুনবো না আমরা,,,
নীলও যাবে বলে,,,
এবার সবাই চল ক্লাসে যাই,,,
ওই দিকে আকাশ আর শুভ মিলে অভ্র কে পার্কে আসতে বলে,,,
অভ্র শুরুতে না বলে,,, পরে ওদের জোড়াজুড়ি তে রাজি হয় আসবে…!
কলেজে শেষে আজ আর কেউ নেই,,,
নীলকে একনজর দেখার জন্য…
সবাই মিলে পার্ক গেলো,,, ইতিমধ্যে অভ্র ও চলে এলো…
কাজল তানজুম তানিয়া,,, নীলকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলে চলে আস একটা বাহানা দিয়ে..
নীল– আশপাশ টা কত সুন্দর
আকাশ আর শুভর কাছে গেলো অভ্র…
কিরে কেনো আসতে বললি এখানে আমি কলেজেও যেতে পারলাম আজ এক নজর নীলকে দেখতেও পাবো না
দূর থেকে,,, অভ্র কে দেখে
তানজুম — দেখ তোরা ছেলেটার কি অবস্থা হয়েছে এই কয়দিনে,,,
তানিয়া — হ্যা রে কি অবস্থা করেছে নিজের।
কাজল– যেদিন প্রথম দিন দেখেছিলাম তখন কত্তো কিউট ছিলো আর এখন,, ওর এই অবস্থার জন্য নীল দায়ী.
আকাশ — অভ্র ওই সামনের দিক দিয়ে সোজা হেঁটে যাবি আর সামনেই নীল দাঁড়িয়ে থাকবে তুই আজ মন খুলে সব বলে দে,,,
এটা আমাদের প্ল্যান ছিলো,,,,
অভ্র– আমাদের বলতে,,,
আমাদের বলতে আমাদের ৫জনের বলে উঠলে তানজুম পিছন থেকে…
যাও ভাইয়া ওকে বুঝাও আর সব বলে দাও
অভ্রর চোখ বেয়ে জল চলে আসে আর বলে তোমাদের উপকার আমি কখনো ভুলবে না,,,
ধন্যবাদ তোমাদের আর তোদেরও
তারপর অভ্র দৌঁড়াতে লাগলো আর কিছুদূর যেতেই দেখলো একটা মেয়ে একটা বসে আছে,,,
অভ্র — নীলের কাছে গেলো আর ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করতে চাইলো কিন্তু নীল
নীল- আমার আপনার সাথে কোনো কথা নাই চলে যান এখান থেকে,,
অভ্র অনেক ভাবে নীলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে
কিন্তু নীল কোনো কিচ্ছু শুনতে চাচ্ছে না আর অভ্রর দিকে তাকাচ্ছেও না
অভ্র রেগে গিয়ে নীলের সামনে দাঁড়িয়ে নীলের দুই বাহু শক্ত করে চেপে ধরে
নীল– ছাড়ুন আমার ব্যাথা লাগছে ( এই প্রথম নীল আজ অভ্রর দিকে তাকালো আর কিছু বলল)
অভ্র — তোমার থেকে অধিক দ্বিগুণ বেশি ব্যাথা আমার বুকের মধ্যে করছে নীল ( শক্ত করে হাত চেপে ধরে)
নীল তুমি কেনো বুঝো না আমি তোমাকে ভলোবাসি অনেক ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি আর পারছিও না তোমাকে ছাড়া থাকতে..
” কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ”
নীল– আমি আপনাকে ভালোবাসি না,,, আপনি আমাকে ভুলে যান।
অভ্র — আমার ভালোবাসা কি তোমার সস্তা মনে হয়,, যে তোমাকে ভুলে যেতে বলছো।
অভ্র– আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে আমার হতেই হবে…
নীল– আমি আপনাকে ভালোবাসি না,, আমাকে বিরক্ত করবেন না আর আমার কলেজের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না বলে দিলাম
অভ্র— কেনো কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে তুমি কি করবে হুমম শুনি ( অভ্র নীলের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলছে)
নীল– আমি আপনার নামে আমি আপনার নামে
অভ্র– হুম হুম আমার নামে কি (সোনা)
নীল— কি বললেন??
এই ধারাবাহিকের পরের পর্ব আপনারা
আগামীকাল ঠিক এই সময়ে পেয়ে যাবেন
ততক্ষণ নিজের খেয়াল রাখুন
.
.
.
.
.
চলবে….???😉
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”! ❌