#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_০৭
____________
অভ্র— নীলললল (এক দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে)
(গত পর্ব)
সকালে অভ্র অফিস চলে যায়,, নীল ফ্রেশ হয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়
কলেজের মাঠে বসে আছে তানজুম তানিয়া কাজল
তানজুম– ওই আফ্রিকার বান্দর-টার আর কোনো খবরই নাই
তানিয়া– কিরে তুই কাকে বলেছিস আফ্রিকার বান্দর?
কাজল– কার আবার নিশ্চয়ই আকাশ ভাইয়ার কথাই বলছে..
তানজুম– একদম ঠিক আফ্রিকান বান্দর
তানিয়া– এইভাবে কেনো বলছিস হুহহ বেচারা ভাইয়া টা কে?
কাজল– সে আবার তোরে কি করছে বকছিস কেন
তানজুম– কি করছে মানে ওইদিন তোদের সামনেই তো করলো
আর বকবো না তো কি করবো হুহহ চুম্মা দিবো শয়তান টাকে
তানিয়া কাজল একসাথে বলে উঠল– ওইদিন তো ঠিকই দিয়ে ছিলি..
তানিয়া– কিরে কিস তিতা না মিঠা রে টেস্ট কেমন
তানজুম– তানিয়া….
কাজল– এত ভাব যে নিচ্ছিস ভুলে গেছস নাকি বাবু
শুভ ভাইয়া তোমার দিকে কি রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে ছিলো,,
মনে হচ্ছিল তখনই তোকে খেয়ে ফেলবে
তানিয়া– কাজল…
তানজুম আর কাজল ফিক ফিক করে হেসে দিলো.( হাহাহা)
তানিয়া— তবে যাই বলিস শুভ কিন্তু দেখতে মাশাআল্লাহ Handsome
তানজুম– তো আকাশ কোন দিক দিয়া খারাপ আকাশ ও তো কত Handsome
কাজল– ওই থাপ তোরা আকাশ আর শুভ ভাইয়া দুজনেই Handsome চুপ কর এখন
কেউই কাউকে ভালো বাসোস না কিন্তু এখন ঠিকই Handsome নিয়া ঝগড়া করতাছোস
তানিয়া– তোর টার কি খবর রে
তানজুম– একদম ঠিক বলছিস তোর তন্ময় এর কি খবর রে
কাজল– আর বলিস না,, বাদর টায় খালি ঝগড়া করে কিন্তু আমাকে অনেক ভালোবাসে আর কেয়ারও করে
তানজুম, তানিয়া — হায়,, তুই অনেক Lucky..
কাজল– নীল আজ এখনো আসছে না কেনো?
তানিয়া– হ্যা কিছুক্ষণ পরে তো ক্লাসে যেতে হবে
তানজুম– নীল যা করলো,, অভ্র ভাইয়ার সাথে..
কাজল– অভ্র ভাইয়া কিন্তু অনেক Handsome Cute অভ্র ভাইয়া চলে গেলো আর তো এলো না ২দিন হয়ে গেলো দেখা নাই যে কি-না কলেজের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতো নীলকে দেখার জন্য…
তানিয়া — নীল যা ব্যবহার করছে কিভাবে আসবে..
তানজুম– অভ্র চলে গেছে সাথে সাথে আকাশও চলে গেছে ২দিন হয়ে গেলো কোনো খবর নাই
তানিয়া– ঠিক বলেছিস শুভ টাও তো আর কল দিলো না
কাজল– বাবা পানি এতদূর চলে গেছে,,
তানজুল– কিসের পানি?
কাজল– তোরা দুজনে ওদের দু’জন কে মিস করছিস ভালোবেসে ফেলেছিস!
তানজুম– কুত্তী তোকে তো…(আর বলতে পারলো না তার আগেই তানিয়া বললো)
তানিয়া– ওই তো নীল চলে এসেছে??
কাজল– নীললললললল,,, আমরা এখানে বসে আছি এদিকে আয়..( চিৎকার দিয়ে বললো)
তামিয়া– ইসসস কানের পর্দা ফাটাই দিলি তো আসতে ডাক দিতে পারলি না
কাজল– আসতে ডাক দিলে তো ও শুনতো না!
তানজুম– নীলের মুখটা কেমন জেনো শুকনো শুকনো লাগছে না,,
ওর কি কিছু হয়েছে নাকি মুড অফ?
তানিয়া– হ্যা ঠিক বলেছিস,, হয়তো অভ্র ভাইয়ার জন্য মুড অফ..
কাজল– ও আসুক তারপর জানতে পারবো
তানজুম– না তানিয়া অভ্র ভাইয়ার জন্য না অন্য কোনো কারণে..
নীল– কি রে কেমন আছিস সবাই কখন আসছিস তোরা?
আমরা তো অনেকক্ষণ আগে আসছি প্রায় ঘন্টা খানিক হবে..
নীল– ওও,, আমার আসতে একটু লেট হয়ে গেছে
কাজল– নীল শোন রীতিমত তানজুম আর তানিয়া আকাশ আর শুভ ভাইয়ার প্রেমে পরে গেছে আর তাদের কোনো খবর নাই সেজন্য দুজনে খুব আপসেট
নীল– কিহ সত্যি তোরা আর প্রেম?
তানজুম তানিয়া লজ্জা পেয়ে যায়
নীল আর কাজল– ওদের লজ্জা পাওয়া দেখে হেসে ফেলে
নীল– তার মানে সত্যি হুহহ
তানজুম– তোর কি কিছু হয়েছে? তোকে অনেক অন্য মনস্ক দেখাচ্ছে তোর কি কোনো কিছু নিয়ে মুড অফ?
তানিয়া– তোকে দেখে তো মনে হচ্ছে তুই সারারাত ঘুমাস নাই কান্নাও করেছিস চোখ মুখ দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে …
কাজল– নীল বল কি হয়েছে তোর আমরা তোর বেস্ট ফ্রেন্ড বল…
নীল– আব্বু আমার জন্য ছেলে দেখেছে আর ছেলে পক্ষ
আমাকে কাল বাড়িতে দেখতে আসবে আর পছন্দ হলে আংটি পরিয়ে যাবে!
তানজুম তানিয়া কাজল– কিহ
নীল– তোরা জানিসই তো আমি বিয়ে করতে চাই না
আব্বু জোর করছে আর বাড়িতে কেউ কিছু বলতেও পারছে না
কাজল– তোর অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়ে গেলে অভ্র ভাইয়া কি হবে..?
নীল– এখানে অভ্র কোথা থেকে এলো?
তানিয়া– কোথা থেকে এলো মানে?
তানজুম– তুই জানিস না অভ্র তোকে কত ভালোবাসে আর তুই অন্য কাউকে বিয়ে করবি আর বলছিস অভ্র কোথা থেকে এলো? কি বলছিস নীল
নীল— বাই,, আমি ক্লাসে যাচ্ছি তোরা চাইলে যেতে পারিস
(সম্পূর্ণ ক্লাস শেষ হলো কেউ একটা কথাও বলেনি)
কলেজ ছুটি,,,
আচ্ছা তোর তো মুড অফ চল আমরা ফুচকা খেয়ে আসি.
আমি যাবো না তোরাই যা,,
নীল চল
ওকে
ফুচকা খেতে বসলো,, ৪প্লেট ফুচকা দিও তো মামা ঝাল দিয়া
ফুচকা খেতে খেতে নীলের চোখ গেলো দুইটা ছেলের উপর
ওই ছেলে দুইটা কে রে দেখ কিভাবে তাকাই আছে
ইচ্ছা করতাছে ছেলে দুইটারে থাপড়াইতে
কাজল– কোন ছেলে গুলা
নীল– ওই যে ছেলে দুইটা গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
কাজল– কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থেকে,, ছেলে গুলা তানজুম আর তানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে রে মনে হয় তোদের প্রেমে পরে গেছে
তানজুম– কি বললি
নীল– বিশ্বাস না হলে দেখ তোরা
দু’জনেই তাকিয়ে হা হয়ে গেলো
তানিয়া– শুভ
তানজুম– আকাশ….
ওরা দু’জন এখানে,, কি করছে এখানে
কাজল– নিশ্চয়ই কোনো মেয়ের সাথে ফুচকা খেতে আসছে– (হাসতে হাসতে বললো)
নীল– ওরাই তাহলে আকাশ আর শুভ,,?
কাজল– আর অভ্র ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড
নীল– তুই কথায় কথায় অভ্রকে কেনো টানিস কথার মধ্যে?
কাজল– কারণ তুই টানছিস না তাই বাধ্য হয়ে আমাকে টানতে হচ্ছে..
তানজুম– ওরা দু’জন তো এদিকেই আসছে,,,
তানিয়া– চল আমরা চলে যাই
কাজল– কেনো যাবি কত না মিস করছিলি সকালে তো এখন কোথাও যাবি না!
নীল– চুপচাপ বসে বসে খাচ্ছে,, ফুচকা খাচ্ছে
আকাশ– হাই গার্লস.!
শুভ– কেমন আছো পিচ্চি মেয়ে!
তানিয়া– এই যে হ্যালো,,, আমি কোনো পিচ্চি মেয়ে নই,, আর পিচ্চি বললেন কেন?
আমি পিচ্চি নই (মুখ ভেংচি দিয়ে বলল)
কাজল– হ্যালো! আকাশ!
শুভ– হাহাহা,, আমি কি কারো নাম ধরে বলেছি নাকি?
(তানিয়া কটমট করছে রাগে)
আকাশ — কেমন আছো নীল?
নীল– আপনি আমার নাম কিভাবে জানেন?
শুভ– ভাবি আমরা আপনার সম্পর্কে সব জানি শুধু আপনিই জানেন না আমাদের সম্পর্কে (হাসতে হাসতে বললো)
নীল– কে ভাবি.
কাজল– আপনারা এখানে কি করছেন?
আকাশ– এই পাকা মেয়ে বেশি কথা বলবে না,, ওইদিন কি বলেছিলাম পুকুরে ফেলে দিবো,, আজকে কিন্তু সত্যিই ফেলে দিবো
নীল– আচ্ছা থাক তোরা গল্প কর আমাকে বাড়ি যেতে হবে,,, বাই
তানজুম তানিয়া কাজল — ওকে সাবধানে যাস টাটা..
শুভ– সাবধানে যাবেন কিন্তু ভাবি
নীল– আবার ভাবি ( আর কিছু না বলে নীল গাড়িতে উঠে চলে গেলো)
তানজুম– নীলকে যে ভাবি বলছো,,,, তো তোমাদের ভাইটা কোথায়?
তানিয়া– নীলকে তো কাল ছেলের বাড়ি থেকে দেখতে আসবে,,
কাজল– বিয়ে হয়ে গেলে কি হবে যে করেই হোক আটকাতে হবে,,,
আকাশ– বিয়ে তো হবেই,, অভ্রর সাথেই হবে আর কাল ছেলের বাড়ি থেকে দেখতেও যাবে!!
তানজুম– মানে??
আকাশ আর শুভ,, ওদের তিনজনকে সব খুলে বলে,,
অভ্রর বাবা রাজ চৌধুরীর প্ল্যান এর কথা অভ্র আর নীল ছাড়া আমরা সবাই জানি যে অভ্র নীলকে দেখতে যাবে আর আংটি পরানো হবে,,
তোমরা কেউ কিন্তু নীলকে কিচ্ছু বলবে না।
অভ্র ও কিচ্ছু জানে না,, কাল দু’জন সামনা সামনি হলে হব্বে মজা
সবাই এক সাথে— ওকে আমরা নীলকে বলবো না,, কাল তাহলে আমরা নীলকে সাজাতে যাবো কেমন
তানিয়া কাজল — Okay Done
পর্ব → ১০
____________
নীল বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয় আর অনেক ক্লান্ত থাকার জন্য না খেয়েই দুপুরে ঘুমিয়ে পরে!
আকাশ– তানজু আমার তোমাকে কিছু বলার আছে.!
তানজুম– জি বলেন!
শুভ– তানিয়া আমারও তোমাকে কিছু বলার আছে.!
তানিয়া– কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলেন..
আকাশ আর শুভ দু’জনে এক সাথে বললো— এখানে বলা যাবে না চলো আমার সাথে ( বলে হাত ধরে টেনে দু’জন দু’জন কে দুই দিকে নিয়ে চলে গেলো..
কাজল– কি হলো এটা
আমি কি এখানে আছি নাকি নাই,, দেখেও না দেখার বান করে কোথায় নিলে গেলো আমার বান্ধবী গুলারে বান্দর দুইডায়
আমি এখানে কতক্ষণ একা একা দাঁড়িয়ে থাকবো
ধুররর ওরা না আসা আগ পর্যন্ত আরও দুই প্লেট ফুচকা খাইয়া লই
কাজল– মামাহ সুন্দর কইরা ২প্লেট ফুচকা দাও তো!
ফুচকাওয়ালা– বসেন আফা এহুনি দিতাছি!
ওই দিকে—–
আকাশ তানজুম কে নিয়ে একটা ঝিলের পাশে যায়!
তারপর—-
তানজুম– আপনি আমাকে এখানে নিয়ে আসলেন কেন? ওরা কি ভাবছে? ( হাঁপাতে হাঁপাতে বললো)
আকাশ– কেনো নিয়ে আসছি বুঝো না? ভুলো গেছো ওই দিনের কথা হুমম? ( একটা ফাজিলের মতো হাসি দিয়ে)
তানজু– মানে?
আকাশ– মানে হচ্ছে! এক মিনিট দাঁড়াও আমি আসছি!
বলে কোথায় জেনো চলে গেলো!
কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে আকাশের এক হাত পিছনে লুকিয়ে রাখা মনে হয় কিছু একটা আছে ওর হাতে!
তানজু– কোথায় গিয়েছিলেন?
আকাশ তানজুমের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে ডাইরেক্ট তানজুমের সামনে হাঠু গেঁড়ে বসে পরে!
তানজুম– আল্লাহ আকাশ আমাকে এখন প্রপোস করবে আমি কি বলবো আমার তো এখনি হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! (মনে মনে)
আকাশ মুখে হাসি নিয়ে
আকাশ– তানজু আমি তোমাকে
তানজু– তারপর বলো! (মনে মনে)
আকাশ– তানজুম আমি তোমাকে এইভাবে নিয়ে আসার জন্য সরি তুমি হাঁপাচ্ছো এই নেও পানি খাও!
(পিছনের হাত থেকে পানির বোতল তানজুমের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
তানজুম– হা হয়ে গেলো
এটা কি হলো,, ও এটা কি বললো ভাবছিলাম প্রপোস করবে পিছনে হাতে ফুল নিয়ে আসছে ভাবছিলাম আর কি করলো শেষ মেষ পানির বোতল!
ভাবা যায় এগলা
পানির বোতলটা হাতে নিয়ে– ইচ্ছে করতেছে এই বোতলের সবটা পানি ওর মাথায় ঢেলে দেই! ইইইইই( মনে মনে বললো)
তানজুম অন্য দিকে ঘুরে পানি খেলো তারপর আকাশের দিকে ঘুরলো আকাশ এখনো বসে আছে-
তানজুম– আপনি এখনো বসে আছেন কেনো উঠুন বলছি!
আকাশ– কিছু না বলে তানজুমের দিকে তাকিয়ে আছে কি মায়াবী চেহারা ইচ্ছে করে সারাজীবন এই ভাবেই তাকিয়ে থাকি!
আকাশ বললো– আমি ওইদিনের পর তোমার খোঁজ নেইনি বলে তুমি এটা কিভাবে ভাবতে পারলে আমি তোমাকে ভুলপ গেছি! আমি তোমাকে কখনো ভুলবো না আর ভুলতে চাই না! তানজুম আমি সিরিয়াস যা বললা ভেবে চিন্তা করে বলবা!
তানজুম– কি বলার কথা বলছে ওনি! (বিরবির করে বললো)
ওকে!
আকাশ সাদা শার্ট পড়ে আছে তারপর শার্টের ২টা গোতাম খুলতেই..
তানজুম– আপনি গোতাম খুলছেন কেন এটা পাবলিক প্লেস আর আপনি!
আকাশ– চুপ করে আছে– পরে
শার্টের ভেতর থেকে একটা লাল টকটকে গোলাপ ফুল বের করলো!
তানজুম তো অবাক!
আকাশ– গোলাপ ফুলটা তানজুমের দিকে ধরে বললো–
বিয়ে করবে আমাকে! যদি রাজি থাকো?
তাহলে অভ্র আর নীলের বিয়ের সাথে আমরাও বিয়ে করে নেবো,, তোমার ফ্যামিলিকে রাজি আমি করাবো!
তানজু তোমাকে আমি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে ছাড়া থাকতে অনেক কষ্ট হয় এই দুই অনেক কষ্ট হইছে শুধু অভ্র আর নীলের বিয়ের জন্য এই দুইদিন তোমার সাথে কনটেক্ট করতে পারিনি!
যা বলবে ভেবে বলো!
তোমার সময় লাগলে সময় নাও আমার তাড়া নেই!
তানজুম– নিশ্চুপ!
আকাশ– বুঝেছি! তুমি আমাকে ভালোবাসো না! ইট’স ওকে সরি ওইদিনের জন্য আর আজকের জন্য ও আসি!
(এই বলে আকাশ চলে যেতে লাগলো কিছুটা দূর চলে গেছে)
তানজুম– আকাশশশশশশশশশ.! (আকাশ বলে চিৎকার দেয় আশেপাশের মানুষ সহ আকাশ ও পিছনে তাকায় সবাই এখন তানজুমের দিকে তাকিয়ে আছে)
তানজুম চিৎকার করেই বলছে–
তানজুম– আকাশ আমিও তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি!
I Love You আকাশ! ( এত জোরে চিৎকার করে বলছে যে মাইক ফেইল)
আকাশ খুশি হয়ে তানজুমের দিকে দৌঁড় দেয় আর তানজুমও দিলো দৌঁড়…
এখন দুজন দুজনকে সবার সামনেই জড়িয়ে ধরে আছে!
আকাশ– বিয়ে করবে আমাকে? বলো হুমম!
তানজুম– হ্যাঁ ( দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেয়)
আকাশ– আরে আমার বউটা লজ্জা পাইছে! যাই বলো লজ্জা পেলে তোমাকে দারুণ লাগে!
তানজুম– যাহ দুষ্ট
(দু’জন এখন ঝিলের পাশে ঘাসের উপর বসে একজন আরেক জনের কাধে মাথা রেখে গল্প করছে)
অন্য দিকে—
তানিয়া– ওই হাত ছাড়েন আমার,, যেইভাবে নিয়া আসছেন মনে হচ্ছে আমি আপনার বিয়ে করা বউ
শুভ– বউ-ই তো….
তানিয়া– কি বললেন কোন জন্মের বউ আমি আপনার! এক রাশ রাগ নিয়ে।
শুভ সাত পাঁচ না ভেবেই তানিয়া কে প্রপোস করে!
তানিয়া রাজি হয় না তবে নাও বলে নাই
মানে কুছ কুছ হোতা হে!
শুভ চোখ বন্ধ করে — তানিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি!
চোখ খুলে দেখে তানিয়া নাই! চারদিকে খুঁজতেছে কোথাও নাই!
শুভ– তানিয়া তুমি কোই তুমি নাই আমি তোমাকে চাই বার-বার শত বার আমি তোমাকে চাই
(গান গাইছে আর তানিয়াকে খুঁজছে )
হঠাৎ কেরে পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরছিস!
তানিয়া– আমিও তোমাকে ভালোবাসি শুভ!
শুভ — তানিয়া সত্যি বলছো? ( তানিয়াকে পিছন থেকে সামনে নিয়ে আসে তানিয়া সামনে থেকে আবার জড়িয়ে ধরে বলে হ্যা সত্যি বলছি পরে শুভও তানিয়া কে জড়িয়ে ধরে!
(হাহাহা এটা স্বাভাবিক চলেন এখন আপনাদের ফুচকার দোকানে নিয়া যাই)
ফুচকাওয়ালা– এই যে নেন আফা আপনার ২প্লেট ফুচকা!
কাজল– ধন্যবাদ! এই যে নিন টাকা!
কাজল এক প্লেট ফুচকা খাচ্ছে আরেক প্লেট ফুচকা সাইডে রাখছে! একটা শেষ হলে আরেকটা!
কাজল– শেষ এক প্লেট এবার আরেকটা
ওমা আমার ফুচকার প্লেট খালি কেনো কে খাইছে আমার এখান থেকে ফুচকা কোন হালার হালার পোলায় খাইছে?
পিছন থেকে তন্ময়– কি বললা হুমম? ( ভ্রু কুচকে তাকিয়ে)
কাজল– পেছনে তাকিয়ে শকট! তন্ময় তুমি (হেবি খুশি কাজল) উঠে গিয়ে তন্ময়কে জড়িয়ে ধরলো।
তন্ময় কাজলকে ছাড়িয়ে বললো– কি বললা তুমি কাজল! তুমি আমাকে হালার পো বললা আমার বাবাকে তুমি হালা বললা তোমাকে কতবার বলছি তুমি এইসব আর বলবা না যদি একটা কথা শুনো!
কাজল– আমি ভাবছি অন্য কেউ আর তুমি আসবা বলো নাই কেনো? আর কতদিন পর আসছো তারপরেও বকতাছো (বাচ্চা বাচ্চা ফেস নিয়ে বললো)
তন্ময়– ওরে আমার বাবুর আম্মু রে (জড়াই ধরে কপালে একটা চুমু দেয়)
কাজল — হইছে হইছে মানুষ দেখতেছে!
তন্ময়– দেখুক তাতে আমার কি আমি তো আমার বাবুর আম্মুকে জড়াই ধরছি তাতে কার কি হুহহহ?
কাজল– আমার বুঝি লজ্জা করে না
তন্ময়– ওরে বাবা গো তোমার আবার লজ্জা
কাজল– কি বললা!
তন্ময়– কোই কিছু না তো! চলো তোমাকে নিজের হাতে ফুচকা খাওয়াই দেই
কাজল — ওকে চল!
(তন্ময় সরকারি জব করে Transfer হয়েছে অন্য শহরে এর থেকা বেশি আর কিছু বলতে পারতাম না)
১ঘন্টা পর বাকি দুই লাভ বার্ডস চলে আসে ফুচকার দোকানে সবাই সবার সাথে পরিচয় হয়! তারপর সবাই কিছুক্ষণ গল্প করে সন্ধ্যা হয়ে যায় তাই তিন জন তিন জনের পাখি গুলাকে বাড়িডে ড্রপ করতে চলে যায়!
তন্ময় আকাশ শুভ ওদের তিনজনকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যার যার বাড়ি চলে যায়!
.
.
.
.
.
.
.
চলবে….???
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ” ❌