#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_২১
______
নীল বেডে গিয়ে শুয়ে পরে অভ্র সোফাতে…!
নীল কিছুক্ষণ অভ্রর দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু একটা ভেবে…!
নীল- আপনি চাইলে বেড এসে শুতে পারেন। আমার সমস্যা নেই!
অভ্র- কি বেডে তোমার সাথে। না থাক আমি এখানেই ঠিক আছি।
নীল রাগে কটমট করছে। দাঁতে দাঁত চেপে।
নীল- আগে মনে হয় ছিলেন না কাজলের বিয়ের হলুদের রাতেই তো ছিলেন আর আমাদের মাঝ খানে কোলবালিশ থাকবে!
অভ্র- এই কোলবালিশ কে তো আমি ফাঁসিতে চড়িয়ে দেবো। (বিড়বিড় করে বলে)
নীল- কি কিছু বললেন?
অভ্র- নাহহহ আমি এখানেই ঠিক আছি থাকো তুমি তোমার কোলবালিশ নিয়ে!
নীল- আমার বলার ইচ্ছা হলো বললাম এখন ন আসলে আমার কিছুই করার নেই…!
বলে কোলবালিশ মাঝখানে রেখে শুয়ে পরে চোখ নাটক করে চোখ বন্ধ করে রাখে…..!
অভ্র সোফা থেকে উঠে বসে থুতনিতে হাত দিয়ে।
অভ্র- কি হলো ব্যাপার টা! জীবনে তো বলেই না যা আজকে বললো তাও আবার একবার বললে আরেকবার মুছলোও না আরেকবার বললেই তো যেতাম কেন যে একটু ভাব ধরতে গেলাম। কি করবো যাবো কি যাবো। অত ভেবে কাজ না মা বলতো নাই মামার থেকে কানা মামাই ভালো। একেবারেই না বলার চেয়ে একবার বলছে এটাই অনেক অভ্র মাই বয় এই সুযোগে বেডে নিজের জায়গা টা দখল করে নাও। পরে আর সুযোগ নাও পেতে পারো।
বলেই সোফা থেকে উঠে অভ্র বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো….! বেডে শুয়ে…
অভ্র– উফফ কি শান্তি আজ বিয়ের পর নিজের বেডে শুলাম বলতে বলতেই ডান পাশে ঘুরতেই দেখতে পেলো ঘুমন্ত নীলকে…!
পুরো একটা ঘুমন্ত পরীর মতো লাগছে অভ্র নেশালো চোখে নীলকে দেখছে নীল জেনো অভ্রকে ওর কাছে টানছে অভ্রর নীল এর ফেসের উপর দেখে চোখ সরে নীল এর টকটকে গোলাপী ঠোঁটের উপর চোখ পরতেই অভ্র নিজের সমস্ত আহা হারিয়ে ফেলে নিজের অজান্তেই নীল এর কাছে চলে যায় নীলকে কিস করতে যাবে ঠিক তখনই নীলকে বলা কথা অভ্রর মনে পরে যায়,, কথা- নীল না চাইলে অভ্র নীলকে টাচ করবে না। মনে পরতেই অভ্র নীল এর কাছ থেকে সরে গেলো।
অভ্র নিজেকে সামলে নিয়ে নীল এর ঘুমন্ত চেহারার দিকে এক নজরে তাকিয়ে রইল।
অভ্র- আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম তুমি যতদিন না চাইবে ততদিন আমি তোমাকে টাচ করবো না। তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি আমি চাই তুমি যে কোনো মূল্যে তুমি শুধু হ্যাপি থাকো। তুমি আমার এত কাছে আছও তবুও তোমাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে আদোও এমন কি দিন আসবে সেদিন আমাদের মাঝে কোলবালিশ থাকবে না তুমি সম্পূর্ণ ভাবে আমার হবে। তোমাকে হারানোর ভয় আমার মধ্যে সারাক্ষণ কাজ করে তুমি কি কখনো আমাকে ভালোবাসবে না নীল কখনো কি অভ্র নীল এর বুকে জায়গা পাবে না।
আমার যে তোমাকে বুকের সাথে জরিয়ে ঘুমাতে ইচ্ছে করে আমার বুকে তুমি মাথা রেখে ঘুমাবে আমাকে একটুও কি ভালোবাসো না। আমি জানি তুমি ভাবছো আমি মারিয়া কে পেয়ে তোমাকে ভুলে গেছি এটা কখনোই সম্ভব নয়। নীল তুমি যে আমার আত্মার ও আত্মীয় নীল তুমি ছাড়া যায় না বাঁচা একটা দিন। কত কষ্ট হয়েছে এই ১৫ টা দিন খুব কষ্ট হয়েছে প্রতিদিন হাতে ফোন নিয়ে ওয়েট করতাম এই বুঝি তুমি কল দিবে কিন্তু তুমি দাওনি প্রতি দিন কাঁচ ভেঙে যাওয়ার মতো আমার মনটাও ভেঙে গেছে।
তুমি মারিয়াকে সহ্য করছো না আমি বুঝতে পারছি কিন্তু ওও শুধু আমার ছোটোবেলার ফ্রেন্ড আর তুমি আমার জীবন তোমার স্থান কেউ নিতে পারবে না আর না আমি কাউকে নিতে দিবো।
তুমি চাইলেও আমার আর না চাইলেও আমার আমি সারাজীবন ওয়েট করবো তোমার জন্য শুধু তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না অভ্র নীল কে ছাড়া বাঁচবে না নীল ছাড়া অভ্র শূণ্য….. আমার Priority একমাত্র তুমি মারিয়া না। ভয় পেয়ো না আমি শুধুই তোমার। (এত কিছু বলতে বলতে অভ্রর চোখে পানি চলে আসে পানি মুছে অন্য সাইডে ঘুরে অভ্র শুয়ে পরে।)
নীল অভ্র ঘুরতেই চোখ মেলে তাকায়! নীল এতক্ষণ নাটক করছিলো ঘুমের চোখ বন্ধ করে মন দিয়ে শুনছে অভ্রর কথা।
নীল চোখ খুলে অভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে চোখে টলমল করছে পানি।
নীল- না চাইতেও আমার মনের সবটা জুড়ে তুমি আছো আমিও যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। নিজের অজান্তেই আমার মনে জায়গা করে নিয়েছো তোমাকে হারানোর ভয় হয় মারিয়া আসার পর থেকে আম শুধুই তোমার অভ্র আমি চেয়েছিলাম আজকে তোমাকে আমার মনের কথা বলতে কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না কিন্তু আমি খুব তারাতাড়ি বলবো তোমাকে অনেক বেশি ভালো বাসি তোমাকে তোমার দূরত্ব আমাকে একটু একটু করে বুঝিয়ে ূি
দিয়েছে আমার লাইফের সব টুকু জুড়ে শুধুই তুমি আমার জন্য ও সহজ ছিলো না তোমাকে ছাড়া থাকতে এই কয়েকটা দিন বছরের মতো কেটেছে প্রতি মিনিটে প্রতি সেকেন্ডে তোমাকে মিস করেছি অনেক ভালোবাসি তোমাকে আমার অভ্র তুমি নীল এর অভ্র আমরা মিলে হবো অভ্র নীল।
(মনে মনে বলে চোখের পানি মুছে নিয়ে ঘুমিয়ে পরে)
.
.
#চলবে …..?
.
রি-চেইক করা হয়নি ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
ভালো থাকবেন সবাই!
“হ্যাপি রিডিং”………
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌