অভ্র নীল পর্ব-২২

0
436

#অভ্র_নীল
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_২২
______
পরেরদিন.
নীল এখন আর কালকের মতো মারিয়াকে অপছন্দ করে না সবার মতো মারিয়াকে নীল ও মেনে নিয়েছে ওদের ও খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।

অভ্র- এক রাতের মধ্যে কি এমন হলো এত চেঞ্জ কাল অবধি তো সহ্যই করতে পারতো না আর আজ। অবাক হয়ে।

নীল মারিয়া সময় পেলেই আড্ডা দেয় সাথে তোয়া ও আছে।

এভাবেই চলছে দিন দুইদিনে বেশ আপন হয়েগেছে মারিয়া সবার কাছে।

নীল মারিয়া কে নিয়ে মাঝেমধ্যে বাহিরে যা ঘুরতে শপিং করতে আর কলেজেও নিয়ে যায়। এখন আর নীল মারিয়া কে অভ্রর সাথে কথা বলতে দেখলে jealous ফিল করে না।

পরেরদিন সকালে মিস্টার চৌধুরী কাজের জন্য শহরের বাহিরে সিলেট গেছেন। অভ্রর ও যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু এখানেও হঠাৎ একটা মিটিং এর জন্য অভ্রকে থাকতে হয়। বিদেশি ক্লাইন্টদের সাথে মিটিং। অভ্র আকাশ শুভ তিনজনে মিটিং করবে।

তোয়া স্কুল চলে গেছে,, মিসেস চৌধুরী কিছু জিনিস কিনার জন্য মার্কেট গেছেন। নীল কলেজের জন্য বেরিয়েও শরীর ভালো লাগছিলো না বলে বাড়ি ফিরে এসে সোজা রুমে চলে যায়। নীলকে কেউ আসতে দেখে না।

বাড়িতে শুধু মারিয়া আর সার্ভেন্ট রা আছে।

নীল অনেকক্ষণ রুমে থেকে এখন আর একা একা ভালো লাগছে না।
নীল- যাই গিয়ে মারিয়ার সাথে আড্ডা দেই। ও তো একাই আছে। আমার ফোন টা কোই (একটু খোঁজার পর) এই তো পেয়েগেছি।
নীল সাথে সাথেই রুম থেকে বেরিয়ে পরে…!
মারিয়া ওর রুমে দরজা জানালা খোলা অবস্থাতেই কার সাথে জেনো কথা বলছে। মারিয়ার জানা মতে বাড়িতে কেউ নেই এই সুযোগ।
নীল মারিয়ার রুমের দরজার সামনে এসে কারো কথার শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে যায়।

লেয়লা- যা করতে হবে আমাদের খুব সাবধানে করতে হবে ধরা পরা যাবে না।
মারিয়া- চিন্তা করো না ফুপি কেউ কিচ্ছু টের পাবে না। সবাই আমাকে এখন অনেক বিশ্বাস করে ফেলছে আর এই সুযোগেই আমি সব তছনছ করে দিবো।

লেয়লা- অভ্র খুব চালাক চতুর ছেলে আমাদের খুব সাবধানে থাকতে হবে।
নীল- সার্ভেন্ট লেয়লা মারিয়ার ফুপি কোনো না কোনো গোলমাল ঠিকিই আছে।
আমাকে সবটা শুনতে হবে।

মারিয়া- আমরা এখানে এসেছিলাম নীল এর উপর প্রতিশোধ নিতে কিন্তু এখম অভ্রর কাছাকাছি থাকতে থাকতে আমি যে অভ্রকে ভালোবেসে ফেলছি ফুপি আমার যে অভ্রকে চাই অভ্র যখন আমার আশেপাশে থাকে তখন আমার অন্য রকম একটা অনূভুতি হয়। আর যখন নীল এর কাছে থাকে নীল এর কেয়ার করে তখন ইচ্ছে করে সব কিছু তছনছ করে দিতে অভ্রর মায়াবী চোখ গোলাপী ঠোঁট পাগল করার মতো চুল অভ্রর নেশালো কন্ঠ জেনো পুরো আমাকে পাগল করে দেয়।
জে করেই হোক নীলকে আমাকে অভ্রর লাইফ থেকে সরাতেই হবে এমন কিছু করতে হবে জেনো অভ্র নিজে নীল কে ওর লাইফ থেকে সরিয়ে দেয়। তারপর আমি নীল এর জায়গা নিবো।

লেয়লা- এত সহজ হবে না এটা। তুই ভুলে গেছিস তুই মিথ্যে পরিচয়ে এখানে আছিস।
মারিয়া- ভুলিনি আমি ফুপি দরকার হলে আমি অভ্রর জন্য সারাজীবন এই মিথ্যে পরিচয়েই থাকবো।
নীল বিয়ে বাড়ি ভর্তি মানুষের সামনে আমার বোনকে চড় মেরে ছিলো তার প্রতিশোধ নিতেই তো ছদ্মবেশ মিথ্যে পরিচয় মিথ্যে নাম। অভ্র ছোটো বেলার বান্ধবী কে হঠাৎ ফিরে পেলে যে ওর সম্পর্কে কোনো কিছু খোঁজ নিবে না সেটা আমি জানতাম তাই তো হঠাৎ করেই সামনে চলে আসি আর অভ্রর দূর্বল জায়গা খুঁজে বের করতে তোমাকে এখানে পাঠিয়েছি। কারণ ওই বিয়ে বাড়িতে অভ্রকে দেখে আমার ভালোলেগে যায় আর এখন তো ভালোবাসি অভ্র শুধু আমার হবে।
এমন কিছু একটা করবো যাতে অভ্র নীলকে ঘৃণা করে। এখন সময় এসে গেছে সেইরকম কিছু করার প্লেনকে কাজে লাগানোর। আর ফুপি তুমি যাও যে কেউ চলে আসতে পারে। আর কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হতে পারে।
লেয়লা- কতদিন পর তোকে কাছ থেকে দেখলাম এত মানুষের ভেতরে তো সুযোগই পাই না। আর যা করবি সাবধানে করবি কেউ জেনো টের না পায়। তোয়ার স্কুল থেকে আসার সময় হয়ে গেছে আমি যাই তুই কিছু খাবি।
মারিয়া- নাহহহ।
নীল লেয়লা রুম থেকে বের হওয়ার আগেই দৌঁড় দিয়ে নিজের রুমে চলে আসে আর দরজা বন্ধ করে দেয়।
.
.
.
#চলবে …..?
.
রি-চেইক করা হয়নি ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
ভালো থাকবেন সবাই!
“হ্যাপি রিডিং”………
.
“কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ”……… ❌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here