বন্ধ দরজায় তুমি🖤পর্ব-১৩

0
1262

#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 13…….

তীব্র এতক্ষন গাড়িতে বসে বসে পুরানো কথাগুলো ভাবছিল। আসলেই মেয়েটা আসার পর ওর লাইফের অন্যরকম একটা লক্ষ্য হয়ে গেছে। আগে বাচার কারন না থাকলেও এখন ওই মেয়েটাকে বাচিয়ে রাখার জন্য বাচতে ইচ্ছে করে। নিজের সমস্ত কাজ শেষ করার পর দু একদিন অবসর পেলেই হাজার মাইল পারি দিয়ে ওর কাছে আসতে ইচ্ছে করে। এখন আর কোনো সময় এমনি কাটে না সবটাই ব্যস্ততায় কাটে। হয়তো ওকে দেখার ব্যস্তটা নয়তো ওর কাছে আসার ব্যস্ততা…….

কিন্তু না চাওয়া সত্ত্বেও ওকে দেশে ফিরতে হবে। কিন্তু তীব্রের মন পরে রইল এখানেই…..

,,

,
,

,

,
ওদিকে তুর না একা একা বসে ভাবছে আবার কবে লোকটা আসবে। ততটাও খারাপ লাগে না লোকটাকে। এমনিতে ঠিক ঠাক আছে। এখানে থাকলে তবুও নিজেকে মানুষ মনে হয়। লোকটার সাথে কথা বলতে পারে না তো কি হয়েছে। কোনো মানুষের কথা তো শুনতে পায়। তবে এবার লোকটারকে খারাপ লাগেনি, আর না ততটা ভয় লেগেছে। বেশ শান্তই তো ছিল লোকটা।

তখনি তুর কারো গলা শুনতে পায়….

— হে তুর কি ভাবছ….

তুর হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে অবাক হয়ে যায়। ও এদিক ওদিক খুজতে থাকে। কিন্তু কাউকে দেখতে পায় না।

— আরে বোকা উপরে দেখ।

তুর উপরে তাকাতেই একটা বিড়াল দেখতে পায়… তবে সেটা রোবট বিড়াল….

— হায়…

— তুমি কি?

— আমি…. হা..হা.. হা… আমি তো রোবট। তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমাকে সেট করা হয়েছে। আমি সারাদিন তোমার সাথে কথা বলব। তোমার সব প্রশ্নের উওর দিব….

— তুমি পারবে মানুষের মত উত্তর দিতে?

— কেন পারব না? তোমার সব প্রশ্নের উওর আমি ইন্টারনেট থেকে সার্চ করে দিব।

— তাই… তাহলে আমি তোমার সাথে কথা বলব। [ বেশ খুশি হয়ে ] আচ্ছা তুমি এতসুন্দর বাংলায় কথা বল কিভাবে?

— হা হা হা.।। আমার ভিতর পৃথিবীর সমস্ত ল্যাংগুয়েজ সেট করা… যেমনঃ ইংলিশ, বাংলা, স্প্যানিশ, হিন্দি,উর্দু….. আরো অনেক নাম বলল….

— এই থাম থাম…. আর লাগবে না। বাংলায় বললেই হবে😝😝

— ওকে ওকে…

তবে তুরের একটা ড্রা্উট হলো….

— আচ্ছা দেখি তো তুমি কতটা কি মানুষের মত বলতে পারো। আমি জানতে চাই… কিস খাওয়ার ফিলিংস কেমন?

— তুমি কোন কিসের কথা বলছ… লিপ কিস, ফ্লায়িং কিস, হ্যান্ড কিস, লাইফ সেভিং কিস…..

— এই থাম থাম… এত কিছ আছে সেটা আমার জানা ছিল না। যাই হোক আমি… ওই.. আমি ওই.. [ একটু লজ্জা পায় ] আমি টাইটানিক মুভির সেই কিসে…..

— সার্চ টাইটানিক মুভি….. টাইটানিক মুভিতে অনেক কিস ছিল তুমি কোন কিসের কথা জানতে চাইছ…

— সালার মালিক যেমন রোবটাও তেমন। কি শুনতে চাই কি বলে…..

— সালা… U mean… husband of sis… But i can’t married… তাহলে সালা কিভাবে….. [ চোখ গুলো বন্ধ করে খুলল ]

— উফফ… আচ্ছা বলছি.. লিপ কিস… তার অনুভূতি কেমন? জানার অনেক ইচ্ছে ছিল….. আমার তো সেই কপাল নেই না। ভেবেছিলাম বিয়ের পর জানতে পারব😍 কিন্তু সেইটাই হবে বলে মনে হচ্ছে না।

তীব্র এতক্ষন তুরকে ক্যামেরায় দেখছিল। ও রোবট টাকে ফিক্স করেছে যাতে তুর একা একা কথা বলতে না হয়। কিন্তু ও রোবট টাকে এমন প্রশ্ন করবে কে জানত…

— আজব প্রশ্ন… এখন আমি ওখানে থাকলে তোমাকে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতাম তুর….

ওদিকে….

— সার্চ লিপ কিস…. রসায়নের ভাষায় লিপ কিস হলো লবন পানীর আদান-প্রদান যা করার মাধ্যমে ডোপামিন নামের এক পদার্থের নিঃসরন হয় মতিষ্ক থেকে যা থেকে একপ্রকার অনুভুতি হয়৷

— ওকে ওকে… এইটুকুই যথেষ্ট…. 😤😤

— any others information….

— no thanks ….. আচ্ছা তোকে একটা নাম দেই। কি নামে ডাকব…. 🤔 টুরটুক… তোমায় আজ থেকে টুরটুক নামে ডাকব।

— টুরটুক… ওকে সেইভ….
,
,
,
,
,

,
,

,
,তারপর ওদের কথা শুনে তীব্র হাসতে হাসতে শেষ। তুর যে এমন কথা বলতে পারে তার কোন ধারনা তীব্রের ছিল না। এতদিনে একবারো মনে হয়নি তুর এসব কিছু ভাবতে পারে। নিতান্তই বাচ্চা মেয়ে।

— আমিও কি বলি জানতে ইচ্ছে হতেই পারে😏

,
,
,
,
,
,

,
২ দিন পর…….

SR মেডিকেল কলেজ & হসপিটাল। বাংলাদেশের সুনামধন্য এই হাসপাতালে সবসময় ব্যস্ত সময় পাড় করে সবাই। কিন্তু এখানের একজন মানুষ আছে যার কাছে এটা হসপিটাল নয় বরং কোনো ফ্যান্টাসি কিংডম বলে মনে হয়। তার পরিচয় হলো সে এখানের সিনিয়র ডক্তরদের মধ্যে সবচেয়ে বেষ্ট ডক্তর। কিন্তু তার সাথে কথা বলে কেউ বুঝবে না সে আদো ডক্টর কিনা।

বরাবরের মত সে আজও রোগী ভিজিট করতে যাচ্ছে। তখনি একটা মেয়ে তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়….

— ড. রায়হান কোথায় পালাচ্ছেন আপনি?

এটা শুনে ড. রায়হানের পা থেমে যায়। কে ডাকল সেটা দেখার জন্য পিছনে তাকাতেই একটা বাকা হাসি ফুটিয়ে তোলে….. তারপর মেয়েটির গাল টেনে একটা চুমো দেয় গালে তারপর বলে…..

— ড. রায়হান কখনো কোনো কিছুতে ভয় পায় না ঠিক আছে। আর তার গার্লফ্রেন্ডের ব্যাপারে তো একটু না।

— প্লিজ পাবলিক প্লেসে এমন কোরো না লোকে দেখলে কি বলবে?

— সেটা জেনে আমি কি করব?

— হে মি. বয়ফ্রেন্ড। এতোদিন পর আমার কাছে এসেছ অথচ খালি হাতে? hate u… 😤

— Doctor SR. তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে খালি হাতে দেখা করতে আসবে নট ফেয়ার।

তারপর ওর হাতে একটা চকলেট বক্স দেয়। মেয়েটি চকলেট টা পেয়ে খুশিতে লাফাতে থাকে। ঠিক তখনি সেখানে ইনচার্জ শিপলা আসে… এসেই ওকে জড়িয়ে ধরে….

— এই কি করছ? ছাড় আমাকে….

— আরে SR. কি বলব বলত? তুমি এমন যে তোমাকে দেখলে বিড়ালের বাচ্চার মত লেপ্টে থাকতে ইচ্ছে হয়। তা এতদিন পর।

— এতদিন কোথায় মাত্র ৪ দিন….

— O come on sR তোমাকে ছাড়া একদিন বছরের মত মনে হয়। by the way you looking so handsome…. 😘

— Oo come on শিপলা। সেটা আমি জানি। তবে তুমি কি জান তোমাকেও আজ খুব…. …

— excuse me ড. রায়হান😡😡 you are my bf 😡so Don’t flirting with others girls…. 😡😡

এটা শুনে শিপলা পাশে তাকায়… একটা ১১ বছরের একটা মেয়ে ওকে কথা শুনাচ্ছে….

— তুমি এখানে কি করছ তুইনা। তোমার এখন বেডে থাকার কথা 😡

— তুমি আমার বিএফের সাথে ফ্লাটিং করবে আর আমি চুপচাপ দেখব। never.. 😠 Mr. Bf give me a kiss….

তুইনার কথা শুনে ড. রায়হান ওর গাল কিস করে।

— এই কিসটা তুমি শিপলা আন্টির গালে করতে পারবে।

রায়হান ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বলে।

— দেখলে মিস শিপলা আন্টি। ওনি তোমায় কিস করবে না। আর তুমিও তোমার বিএফ এর কাছে যাও। যাকে সেদিন তুমি কিস করেছ। সো আমার বিএফ থেকে দুরে থাক। mr. Bf come with me…. [ তারপর কি মনে করে নিজেই রায়হানের হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল ]

— কিহল গার্লফ্রেন্ড… ওর সাথে আমার কাজ আছে…😕

— কি কাজ আছে তা আমি জানি😡 আর তুমি জানো না নিজের বিএফকে কোন চুরেলের সাথে ছাড়তে নেই।

রায়হানের বেশ মজা লাগছে। আর শিপলার গা জলে যাচ্ছে এই পিচ্চি মেয়েটা এতটা পাকনামী করে যে শিপলাকে রায়হানের কাছে আসতে দেয় না।

ওদিকে রায়হান আর তাইনা হাসতে হাসতে শেষ।

— ধন্যবাদ জিএফ আমাকে বাচানোর জন্য।

— ওয়েলকাম আমাকে চকলেট দেওয়ার জন্য। কিন্তু তুমি কেন ওই চুরেলের সাথে ফ্লাটিং করো। একটা মিষ্টি মেয়েকে দেখে প্রেম করতে পারো না। আর কত বাচাব আমি তোমাকে…. ওই চুরেলের হাত থেকে।

— মিষ্টি মেয়ে…[ হাল্কা হেশে ] দেখছি তো গার্লফ্রেন্ড। খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। এখন কার সাথে ফ্লাটিং করব।

— আমার সাথে করবে। তুমি তাড়াতাড়ি কাউকে খুজে নেও। নাহলে আমি বড় হয়ে তোমাকে বিয়ে করে নেব।

— 😂😂 আমি রাজি….

— আমিও রাজি কিন্তু বাবাই বলল তোমার সাথে নাকি আম্মুকে ভালো মানাবে….

এইটা শুনে রায়হান…. 🤣🤣🤣

— আচ্ছা যাও তুমি… আমার কাজ আছে।

তারপর রায়হান চলে গেল আর তুইনাও।
,
,
,
,

,
,
রায়হান একটা পেসেন্টের কেবিনে ঢুকল। সেখানে অলরেডি একজন ডক্টর ছিল। রায়হানকে দেখে বলে উঠল…..

— আরে আপনি এখানে? এখানে এখন বাইরের লোক এলাও না।

— ড. অরুন আপনি ভুলে যাচ্ছেন আমি একজন ডক্টর।

— ও সরি। আপনি এই কেবিনে এসেছেন আমি ভাবলাম ডক্টর না হয়তো পেসেন্টের গার্জিয়ান এসেছে।

— অরুন সব সময় কেন মজা করিস?

— করি কি আর স্বাদে? তোর মত একজন মানুষ শুধু শুধু কেন পরে আছিস এই সামান্য ডক্টর হয়ে। আমি না হয় পেশা হিসেবে করছি।

— আর আমি আমার পেশনের জন্য। because i like this Profession… আর এটাই আমার hobby…

তোর জায়গায় আমি হলে…

— সেটা জেনে আমার লাভ নেই। কেমন আছে ও…..

— জানিনা নিজেই দেখে নে….

তখনি রুমে তুষা প্রবেশ করে।

— আরে তুই কখন এলি…

— এই এলো আরেকজন। [ বিরক্তি নিয়ে বলল ]

— সমস্যা কি তোমার অরুন….?😡

অরুন আর কিছু না বলে বেড়িয়ে যায়। সেটা দেখে তুষা বলল….

— জানিনা হয় কি ওর…😤

— নিজের উডি তার সামনে যদি অন্য ছেলের প্রসংশা করে এটাই স্বাভাবিক।

— তুই ও😡😡 না।

— সত্যি বলছি। তুই ওর উপর অন্যায় করছিস। ও কিন্তু এই ছেলের সাজে মেয়ের জন্য পাগল।

— আচ্ছা আচ্ছা পরে অনেকটা আদর করে দেব হইছে😤😤

— হুমম…

— আচ্ছা তুই কবে ফিরলি….

— গতকাল রাতে…..

— তুই ইদানীং বেশি কোথাও যাচ্ছিস না? এর আগে তো কখনো কোথাও যাসনি।

— কাজ ছিল। বিজনেসের কাজে গিয়েছিলাম।

— কিন্তু….

— বললাম তো কাজ ছিল। 😡

তুষা আর কিছু বলতে পারে না। রায়হান গিয়ে বেডে থাকা ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল….

— কেমন আছে তায়ান….

য়ুষা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে….

— ঠিক আগের মতন। তায়ানের তেমন কোনো রেসপন্স নেই। আচ্ছা তায়ান কি কখনো সুস্থ হবে না।

— তায়ানকে সুস্থ হতেই হবে। ওর খুব বড় একটা জিনিস আমার কাছে আমানত হিসেবে আছে। যা আমি ওকে ফিরিয়ে দিতে চাই। এতদিন সেই আমানত রক্ষা করলেও জানিনা আর কতদিন পারব।

— তায়ানের জিনিস তোর কাছে।

— হুমম। ওকে আমি সুস্থ করেই ছাড়ব।

তারপর তায়ানের রিপোর্ট নিয়ে বেড়িয়ে যায়। কিন্তু ওর কথায় কেমন জানি ঠেকল তুষারের। কিন্তু কিছু বুঝল না।

,
,
,
,
,
,
,
,
,
,

রায়হান হাসপাতালে সবার সাথে দেখা করে। নিজের কাজ শেষ করে নিজের কেবিনে যায়। ঠিক তখনি ওর ফোনে কল আসে…..

— ড. SR আপনি তো ডাক্তারিতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন কিন্তু এখন এসব কাজ কে আমি একা কিভাবে করব স্যার…. 😭

ফোন নিতেই বুঝে এ আর কেউ নয় তার একান্তে জোকার পিএ রিদ্ধ…

— আমাকে যদি সব করতে হয় তাহলে তুমি আছো কেন?

— স্যার আমি সব কিছু রেডি করে রেখেছি কিন্তু আপনাকে ওখানে উপস্থিত থেকে সাইন করতে হবে।

— কিন্তু….

— প্লিজ স্যার আপনি মি. আলমের সুন্দরী পিএ চিত্রাকে চেনেন না। দেখতে যেমন হট তেমনি….

— রিদ্ধ… 😡

— না মানে… ওর সামনে গেলে আমার হাটু কাপে আর মেয়েটাও তেমন গায়ে পরা। আমাকে দেখলে গিলে খায় সেটা যদি আমার জিএফ জানতে পারে তাহলেই ব্রেক-আপ… 😭😭 প্লিজ স্যার….

— রিদ্ধ😡 কবে জানি তোমাকে চাকরি থেকে ব্রেক-আপ করে দি.. 😡

— ওকে কিন্তু এখন আসুন😭😭

তারপর তীব্র ফোনটা কেটে দেয়। হ্যা ওই হলো ডক্টর রায়হান। ডক্টর তীব্র রায়হান। কিন্তু সেটা কেউ জানে সবাই ওকে ড. রায়হান হিসেবে জানে….

তীব্রের সবকিছু আলাদা আলাদা। ওর একটা দুনিয়া আরেকটা দুনিয়া থেকে আলাদা। আর ওর সবচেয়ে ভয়ংকর দুনিয়ায় বাস তুরের। তুর হলো একমাত্র মানুষ যে তীব্রের আসল রুপটা দেখেছে। আর সবাই ওর দেখানো রুপেই বিশ্বাসী………….
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,ঘুমিয়ে আছে তুর। ঘুমের মাঝেই তুর নিজের উপর কাউকে ফিল করল। তুর চোখ খুলে তাকাতেই দেখে চারদিক অন্ধকার হয়ে রয়েছে। তুর চারদিক দেখে উঠে বসতে ধরলে কেউ ওর দুহাত বিছানায় চেপে ধরে। বুকটা ধক করে উঠে তুরের। ও কিছু বলতে যাবে তখনি কেউ ওর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। ভয়ে ভয়ে তুর বলে উঠল….

— কে– ক– ক কে?

লোকটা তুরের আরো কাছে যায়। লোকটার নিশ্বাস তুরের উপর পরছে। তুর নিজেই কেপে উঠছে….

— কে আপনি?

-_ কে হতে পারে? কাকে আশা করছ তুমি?

— তীব্র… তীব্র আপনি…..??

এটা শুনে লোকটি তুরের বুকের উপর মাথা দিয়ে তুরের হার্টবিট শোনে তারপর গভীর একটা নিশ্বাস নিয়ে বলে উঠে……

-_ তীব্র ছাড়া তার #বন্ধ_দরজার_বন্দীনীর কাছে কে আসবে? কার এত সাহস তুরকে ছোয়ার অধিকার শুধু তার তীব্রের।

— কিন্তু……

তুর কিছু বলতে যায়। কিন্তু তীবে আবারো বাধা দেয় তুরকে।

— কেন? করছেন এমন…?

— যদি বলি ভালোবাসি তোমাকে।

কথাটা শুনে তুরের বুকে একটা মোচর মারে।

— আপনি ভালোবাসেন আমাকে… সত্যি…

— কেন বিশ্বাস হয় না…..

মাথা নাড়ায় তুর….

তখনি তুর তুরকে কাছে টেনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দেও। তুরের সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। তুরের কানে শুধু তীব্রের বলা ভালোবাসি কথাটা বাজছে। সত্যি কি তীব্র ওকে ভালোবাসে। সত্যি কি তীব্র তুরকে তার #বন্দী_দরজার_বন্দীনী না #বন্দী_দরজার_তুমি🖤 করতে চায়।

তখনি তুর……

,
,
,
,

,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন। ]

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr
#Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here