,#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 26…….
তোয়াকে বের হতে দেখে তীব্র একটা মুড নিয়ে পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে বসল। তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে তাতে একটা টান দিয়ে ধোঁয়া গুলো ছাড়ল…. ঠোঁটের কোনে রহস্যময় একটা হাসি ফুটিয়ে তুলে নিজেকেই বলল….
— ” এইজন্য হয়ত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হচ্ছে মানুষ। কারন তাদের কোন কিছু বোঝানোর হলে বুঝে যায়৷ কেউ আদরে বোঝে তো কেউ ধমকিতে। আমার পিচ্চি বউয়ের বড় বোন তো রাজি। এবার দেখা যাক আমার বউটা কি করে। ”
★—————————-★————————–★
তোয়ার বাড়িতে বিয়ের তরজোর চলছে। আনা জায়গা থেকে মেহমান আসছে। এই সপ্তাহে বিয়ে। সবার অনেক ব্যস্ততা। বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশি নানা মানুষের আনাগোনা। কাজিনদের মধ্যে কয়েকজন বাদে সবাই এসে পরেছে। তুর আর ওর কাজিনদের সাথে বিয়ের কথা নিয়ে কথা বলছিল। ওদের পাশে প্রতিবেশি কয়েকজন মহিলা বসে ছিল। হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল….
—– ” হ্যারে এইটা কি সেই মাইয়াটা না যে তোয়ার বিয়ের সময় প্রেমিকের সাথে ভাগছে। যার লাইগা তোয়ার বিয়াটা আটকাই গেছে। ”
ওনার কথার প্রেক্ষিতে বাকি মহিলা গুলোও বিষ নজরে তাকাল। তারপর নিজেদের মধ্যে বলা বলি করতে লাগল….
—— ” সেই মাইয়াই তো। আজকাল কার পোলামাইয়াগো কি লাজ শরমের বালাই আছে রে বইন। কোথায় কি না কি করে বেড়ায়। আর বাবা মা গুলাও সেই রকম কোন খোজ খবর নাই। নাইলে মাইয়া এরকম হয়। ”
_—- ” ঠিক কইছো গো। এগুলারে আবার কিছু বলাও যায় না। ” —- নাক ছিটকে আবার বলল, ” কিন্তু বাব মায়ের ঘাফিলতির জন্য মাইয়া গোল্লায় যায় তখন বদনাম হয় আত্নীয়দের। দেখ না এই মাইয়া মুখ কালি করছে আর বিয়েটা ভাঙছে তোয়া মাইয়াটার। “—– এইটা শুনে পাশের মুটকি আন্টি বলে উঠল …..
-_— ” কি বলবা কিছু বলার নাই। একটা কইলে দুইটা শুনাই ছাড়ে। ”
এসব কথা তুরের কানে ঠিকি আসছে। কিন্তু কিছু বলার নেই। ও এমনিতেই শান্ত স্বভাবের মেয়ে তার উপর নিজেকে প্রমান করার মত সাধ্য ওর নেই। তাই বাধ্য হয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরছে। যা ওর কাজিনরা ঠিকি বুঝতে পারছে। নীমি রেগে গিয়ে তুরকে বলল….
—– ” এই তুই কিছু বলবি না আমি বলব? ”
নীমি কিছু বলতে গেলে তুর ওর হাত চেপে ধরে। নিমীর চোখে চোখ পরতেই দেখে পানিতে টলমল চোখ দুটো থেকে কয়েকফোটা পানি বেইমানি করে বেড়িয়ে পরছে। নিমী কিছু বলতে যাবে তার আগেই ও মাথা নাড়িয়ে না করল। কিন্তু নিমী ওর হাত এক ঝটকায় ছাড়িয়ে ননী কে শুনিয়ে ওনাদের উদ্দেশ্য করে বলল….
—– “এই ননী কার ছেলে মেয়ে কত ভালো? কত দুধের ধোয়া, আর তার মা বাপ কেমন শিক্ষা দেয় না সেই টা আমারে বুঝাইতে আসবি না। সেগুলার খবর আহে আমার কাছে। নেহাত ভদ্র নাইলে সবার নিমের পানিতে ধোয়া পোলাপাইনরা কি করে একটু হুনাই দিতাম। ”
নীমীর কথায় একটা মহিলা রাগে গজ গজ করতে বলে…
“—– ” দেখছেন ভাবি এই মাইয়া গুলান রে। ”
——” হো দেখলাম তো। এইজন্য ভালো কথা বলতে চাইনা।
তখনি ননী রাগ দেখিয়ে বলে,
—— ” এই নীমি আমি কি তোর ভালো কথা হুনতে চাইছিরে। আমি কি একবারো বলছি শারমিন খালার [ মুটকি মহিলা ] পোলা। শালায় রাস্তায় গাঞ্জা খাইয়া পইরা থাকে। আর মাইয়াগোরে দেইখা লাফাঙ্গাগিরি করে। সেদিন তো দেখলাম কি করার জন্য পাবলিকে পেদাই লো। ”
——- ” ওই ছেমরি তোরে এসব ফাও কথা কে বলতে কইছে। আরে কইলে রেশমা আন্টির মেয়ের কথা বলবি, বিএফ নিয়ে ঘুরতে গেছিলো পুলিশে কান ধরাইছে। সেইটা নেটে ভাইরাল হইছে। বললে এসব বলবি।”
এবার সব আন্টিরাই চুপ। যে দুইজন বেশি লাফাইছে তারাই চুপ। তখন একটা মহিলা কিছু বলতে চাইলেই ননী আয়েশা [ কাজিন ] কে উদ্দেশ্য করে বলে…..
——– ” বুঝছি আর কওয়া লাগত না। হেগোরে দেইখাও শিক্ষা হয়নাই তাই না। ঠিক আছে পাতিল উদলা আমিও করতে জানি। ”
বলেই সবাই কুটিকুটি করে হেশে উঠল। ওদিকে সব কয়টা মহিলা রাগে একদম অজগর সাপের মত ফুসলাতে থাকে। এটা নিয়ে ওরা আরো মজা করে…..
—— ” ননীরে ননী কথায় আছে না। পরলে কথা সবার মাঝে যেতির কথা হেতির কানে বাজে। “—- হাসির রোল পরে গেল।
ওনারা আর ওখানে বসলেন না সোজা চলে গেলেন তোয়ার মায়ের কাছে……. এই অবস্থা দেখে তুর বেশ ভয় পেয়েই বলে উঠল…….
——” কি দরকার ছিলো ওনাদের পিছে লাগার? ”
——” ওই সালি চুপ নিজে তো কিছু কইবার পারো না। একদম ননীর পুতুল সাইজা বইয়া থাহো। এর লাইগা তোমারে আর বেশি যাইতা ধরে সবাই। ”
ননীর পুতুল শুনে সেটা ননী গায়ে লাগে।
—— “ওই তুই আমার নামে কি কস? ”
——–” এই হইছে আরেক্ষান আবাল। কইছি আমি ননীর পুতুল আরে বাল মোমের পুতুল। আর এ বুঝল হেতের কথা কইছি” — ননীর মাথায় জোরে গাট্টা মেরে। ননী মাথা ঢলতে ঢলতে বলে……
-_—– ” উহু। আগে কইবি তো। হুড্ডাই মারলি।”
——- ” আবালগুলান। তোমরা শিশু কিচ্ছু জানো না ফিডার খাও। আইনা দিমুনি। ”
——– ” যাহহহ ছেমরি। “—– রাগ দেখিয়ে।
,
,
,
,
,
,★—————————-★————————★
,
,
ওদিকে মহিলা গুলা তোয়ার মায়ের কাছে যায়। পাশে। তুরের মা ছিল। আর সামনে তোয়ার বাবা বসে পেপার পরছিলেন। ওই মোটা মহিলা বলে উঠল…….
——- ” কিগো আফা আমাদের কি অপমান করার জন্য নিয়া আসছো? ”
বেশ অবাক হয়েই তোয়ার চাচি জবাব দেয়।
—— ” কেন আপা? এই কথা কেন? ”
–_—- ” তোমাদের বাড়িতে যে মাইয়াটা আসছে কি জানি নাম? হো তুর। সেই মাইয়া কোন পোলার লগে গেছিলো গা। এইটা নিয়া কথা বলাতে ওই মাইয়াটার কি না কি জানি কইলো সেইটা শুনে লগের মাইয়া গুলা আমাগোরে যা না তাই শুনাইছি। এটা শুনে তুরের মায়ের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ওনি বেশ রেগেই বলে,
——– ” আপনাদের সমস্যাটা কি? কে কি করে সেটা আপনাদের দেখতে বলেছে? ”
ওনার কথা তারা যেন আরো রেগে যায়।
—– ” নিজের মাইয়ারে তো ঠিক রাস্তায় নিতে পারোনাই। আর আমরা কইলেই দোশ। মানে চুরি করতে সমস্যা নাই, বললে দোষ।”
—– ” ভাবি এদের সাথে কথা বলতে জান কেন? মেয়ে দেখলে তো বুঝা যায় মা কেমন হবে? ”
তুরের মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওর চাচি বাধা দেয়, তারপর মহিলাদের উদ্দেশ্য বলে…
——-” ভাবি আপনারা কিছু মনে করবেন না। আপনারা বিয়েতে এসেছেন প্লিজ ওদের কথায় কান দেবেন না। ওরা ছোট কি বলতে কি বলে ফেলেছে? ”
——- ” ওরা নাহয় ছোট কি তোমার জাল তো ছোট না তাই না।”__ নাকে মুখে ডাইনিদের মত রিয়েকশন তুলে…
__— ” ওর হয়ে সরি বলছি। আপনারা বসুন। ”
—— ” নাগো আজকে আর বসব না। পরে আসব ক্ষন। এই চল গো। ”
ওনারা নাক ফুলিয়ে চলে যেতেই তুরের মা বলে উঠল,
_—– ” ওনারা আমার মেয়েকে যা নয় তাই বলে গেল আর আপনি আমাকে কিছু বলতে দিলেন না। ”
এইটা শুনে বেশ রেগেই তোয়ার চাচি বলে উঠল…….
——– ” সেই মুখ কি তোমার মেয়ে রেখেছে। আগে তো একবার আমার মেয়ের বিয়েটা ভেঙেছে আর আবার ওর জন্য……. ”
-__— ” ভাবি এইটা তুমি বলতে পারলা? ”
তখনি তুরের চাচা বলে..
—— ” খারাপ তো বলেনি। সত্যিটা মানুষের মুখে মুখে তো থাকবেই। ”
ওদের চেচামেচিতে তুরের বাবা আসতেই ওনাকে উদ্দেশ্য করে বলে……
——- ” দেখ বড় ভাই হিসেবে আমি কিছু বলেনি। কিন্তু আজকের টা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এবার যদি তোয়ার বিয়ে ভাঙে তাহলে…..। ”
—— ” বিয়ে কেন ভাঙতে যাবে? আর কি হয়েছে? ”
তুরের মা সবটা বলে। ওনি কিছু বলতে যাবে তার আগেই দেখে তুর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাদছে। ওনি তুর বলে সামনে এগোতেই তুর ওখান থেকে দৌড়ে বাড়ির বাইরে চলে যায়। কিন্তু কোথায় গেছে বুঝতে পারে না। তুরকে খুজতে বের হওয়ার জন্য বের হতে চাইলে তোয়া আসে…. কাকুর মুখে চিন্তার চাপ দেখে কারন জানতে চাইলে ওনি সবটা বলে। সবটা শুনে তোয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। ওর বাবা খুজতে বের হতে চাইলে তোয়া বাধা দেয়। কারন স্বরুপ শুধু এই টুকুই বলে…..
——- ” চিন্তা করো না কাকাই আমি জানি তুর কোথায় গেছে? তুমি চিন্তা করো না ও খুব শ্রীঘ্র আসবে। ”
★—————————-★————————–★
তীব্র নিজের রুমে বসে কিছু ফাইল দেখছিল। অনেক দিন ধরে বিজনেসের অনেক কাজ জমে ছিল। তখনি বাইরে চেনা কোন গলার আওয়াজ পায়। তীব্র দ্রুত কাগজপত্র রেখে বাইরে যায়। দেখে তুর অনেকটা পাগলের মত করে চিতকার করে তীব্র তীব্র করছে। তুরকে এমন অবস্থায় দেখে হতবাক ও। ও দ্রুত নিচে নেমে আসতেই তুর ওকে দেখে এগিয়ে আসে। খেয়াল না করার কারনে টেবিলে বেধে পরে যেতে নেয়। কিন্তু পরার আগেই তুরকে জড়িয়ে ধরে তীব্র।
তুর ও চুপ তীব্র ও তাই….. তুরকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় তীব্র শুধু এতটুকুই বুঝতে পারছে তুর হাপাচ্ছে। অনেক জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। অনেক কষ্টে এখানে এসে পৌঁছেছে বুঝতে বাকি নেই। তীব্র এভাবে ওকে জড়িয়ে একহাত দিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে তুরকে শান্ত হতে বলে….. কিছুক্ষন তীব্রের বুকে নিজের ক্লান্তির অবসান ঘটিয়ে নিশ্বাসের গতি বেগ স্বাভাবিক হয়ে আসে।
হঠাৎ করেই তীব্র একটা ধাক্কা অনুভব করে। আচমকা এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না তীব্র। তুরের আকস্মিক এমন ব্যবহারে অপ্রস্তুত ভাবে কিছুটা দুরে ছিটকে পরে। ও আবার তুরের কাছে যেতে চাইলে তুর নিজের হাত সামনে এনে ওকে আটকায়…… নিচে নামানো চোখ গুলোকে আস্তে আস্তে তীব্রের চোখের দিকে ভিরিয়ে শান্ত কন্ঠে বলে…..
——— ” একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না। আর না আমাকে ছোয়ার। তাহলে কিন্তু এবার খুব খারাপ হবে। ”
বিস্ময়ের শেষ প্রান্তে গিয়ে তীব্র জিজ্ঞেসেনু চোখে জানতে চায়……
——– ” কি হয়েছে তোমার তুর?”
তুর চুপ..….তাই একটু সামনে পা বাড়িয়ে দুর থেকে আবার জিজ্ঞেস করে…..
——– ” কি হয়েছে? ”
দুজনের দৃষ্টি দুজনের দিকে। একজনের দৃষ্টিতে তার প্রিয়র মনে থাকে অজানা কিছু প্রশ্ন জানার ইচ্ছে আরেকজনের চোখে ব্যাতিত হৃদয়ের যন্ত্রনা জানানোর জন্য টলোমোলো নোনা পানি। পানিটা আটকে রাখার চেষ্টায় তুরের চোখমুখ গোলাটে হয়ে এসে ঠোঁট জোরা অনবরত কাপছে। কিছু একটা বলতে চাইছে কাপা ঠোঁট জোরা। কিন্তু বুকের ভিতর জমে থাকা পাথরটা যেন শব্দগুলোকে ফুসফুসের মধ্যে আটকে রেখে দিয়েছে যা কন্ঠনালী দিয়ে বের হবার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় ছটফট করলেও পারছে না। তুরের এই অবস্থা দেখে তীব্র অজানা এক ঘোরের কন্ঠে বলে…..
——– ” এভাবে নোনা সিক্ত চোখে নিজের অপরাধ বোধটাকে বাড়িয়ে দিও না তুর। তোমার অবাধ্য চোখের পানি আমার ভিতর রক্তক্ষরনের জন্য দায়ী হবে।”
তীব্রের এমন কথায় তুরের কন্ঠনালী ভেদ করে শব্দগুলো বের হতে না পারলেও চোখের পানি গুলো গড়িয়ে ঠিকি পরল। সেই সাথে তীব্রের দিকে এগিয়ে গেল ওর পা গুলো। তীব্রের অনেকটা কাছে গিয়ে দুহাতে ওর শার্টের কলার ধরে পা উচু করে নিল। তুরের এমন বিহেভে বেশ অবাক হয় ও। তুরের চোখ গুলোয় অদ্ভুত এক নেশা দেখতে পাচ্ছে তবে সেটা ভিতরের রাগটাকে নিঃসরণ করার নেশা। আর সেটা যে ওর উপর হতে চলেছে তা ভালভাবেই বুঝতে পারল তীব্র।
তুর নিজের চোখ মুখ শক্ত করে তীব্রের শার্টটা আরো মুষ্টিবদ্ধ করতে চায়। কিন্তু সেটা না পেরে খামচে ধরে। তুর এমন একটা পরিস্তিতিতে আছে যে তীব্র চাইলেও কিছু বলতে পারছে না। একদম তীব্রের মুখের কাছে গিয়ে বলে…..
_—— ” সত্যি কি ভালোবাসেন আমাকে? বিয়ে করে নিজের স্ত্রীর সন্মান দিতে চান? ”
হঠাৎ তুরের এমন কথায় অবাক হয় তীব্র। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে….
——- ” তোমার কি মনে হয় তুর?” — ঘোর কন্ঠে।
——- ” জানিনা আমি। তাই তো জানতে চাইছি।”
——-” বিয়ে করতে না চাইলে তোমার বাড়িতে প্রস্তাব কেন পাঠাতাম? ”
——-“জানিনা আমি।”
——-” তাহলে কি জান?”
——-” কিছু জানিনা আমি? তাইত জানতে চাইছি? ”
—— ” কি জানতে চাইছ বিয়ে করব কিনা?”
—— ” হুমম। ”
—— ” যদি তুমি চাও এই মুহুর্তে, তবে তাই হবে। ”
—— ” আমার ভালোবাসার উপহার হিসেবে আমি সবটা দিয়েছি। তাহলে আপনার ভালোবাসার উপহার হিসেবে আমাকে কি দেবেন? ”
তুরের কথার মানে টা বুঝতে পারল না তীব্র। ও একটু শংশয় নিয়ে জিজ্ঞেস করল…
——– ” উপহার? ”
——– ” হ্যা। ”
——– ” বেশ যা চাইবে তাই দিব। বল কি চাই? ”
——– ” প্রমিস করুন যা চাইব তাই দিবেন। একবার ও প্রশ্ন করতে পারবেন না। ”
তুর হাতটা বাড়িয়ে দেয় তীব্রের প্রতিজ্ঞা করার হাতের আশায়। তীব্র জানে না তুর কি চায়? কিন্তু ও যা চাইবে ওর ভালোবাসার উপহার স্বরুপ তাই দেবে ও। সেটা যাই হোক। তীব্র নিজের হাতটা তুরের হাতের উপর রেখে বলে…..
———- ” প্রমিস করছি তুর তোমার ভালোবাসার উপহার স্বরুপ তুমি যা চাইবে আমি তাই দেব তোমাকে। শুধু তোমার থেকে দুরে যাওয়া ছাড়া। ”
______ ” তাহলে চলুন আমার সাথে। ”
তারপর তীব্রের হাত ধরে বেড়িয়ে আসে তুর।
,
,
★—————————-★————————–★
কয়েকঘন্টা পর……⏰⏰⏰
তোয়ার বাবা বেশ গম্ভীর হয়ে সোফায় বসে আছে। ওনার স্ত্রী ওনার পাশে সোফা ধরে দাড়িয়ে আছে। তুরের মা ওর চাচির পাশে। আর ওর বাবা পাশের সোফায় বসা। কাজিনরা মিলে নিজেদের মধ্যে কিসব বলাবলি করছে। এটা দেখে তোয়া উঠে ওদের ভিতরে যেতে বলে। ওরা কারন জানতে চাইলে জোর করে ওদের উপরে দিয়ে আসে। আর যেন নিচে না নামে সেই কথাই বলে আসে।
তায়ান অবুঝের মত বসে আসে। কি হয়েছে তোয়াকে জিজ্ঞেস করতে ও কিছু বলল না।
নিরবতা ভেঙে তুরের চাচা রাগান্বিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠল,
——- ” এভাবে কি বলার জন্য বসিয়ে রাখা হয়েছে কেউ একটু বলবে? ” ওনার ধমকিতে কেপে উঠল সবাই। তখন তুরের বাবা শান্ত গলায় তুরকে জিজ্ঞেস, ” করে কি হয়েছে? তুই ডক্টর রায়হানকে বাড়িতে এনে কি বলার জন্য আমাদের এভাবে বসিয়ে রেখেছিস?
হ্যা তীব্র তুরের বাড়িতে তুরের পাশে দাড়িয়ে আছে। বাবার এমন কথায় ও তীব্রের দিকে তাকায়। ওর চোখে ভয় দেখতে পাচ্ছে তীব্র। যেখানে ভয়টা তীব্রের পাওয়ার কথা। তীব্র ঘড়ি দেখে নিল। হঠাৎ করেই হাপাতে হাপাতে একজন এলো যাকে দেখে সবাই অবাক। কারন ব্যাক্তিটি অন্য কেউ নয় সানি….. সানি এসে এক রকম হাপাতে হাপাতে তুরের সামনে এসে বলে….
——- ” এত তাড়াহুড়োও কেন ডেকে পাঠালি? সব ঠিক আছে তো? ”
তুর কিছু বলল না। তখনি সানির খেয়াল যায় তুরের পাশে থাকা তীব্রের দিকে। এখানে কি হতে চলেছে কেউ জানেনা। সবাই জানে ওরা সবাইকে কিছু বলতে চায় যার জন্য সবাই এখানে।
——- ” কিরে কিছু বলবি তো নাকি? ” —– বেশ বিরক্তি নিয়েই বলল তুরের চাচা।
এবার তীব্র তুরের দিকে একবার তাকাল। তারপর তুরের পাশ থেকে সরে সামনে গিয়ে বলল….
——- ” তুর না। আজ যা বলার আমি বলব। ”
——- ” তা কি বলবে তুমি? ” [ ব্যাঙ্গ করে ]
তীব্র একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে। তারপর বলে……
——– ” আপনারা সানিকে তুরের বয়ফ্রেন্ড হিসেবে জানেন সেটা সত্যি নয়। ”
কথাটা শুনেই সবার মাথায় বাজ পরে। সবাই জিজ্ঞেসার চোখে ওর দিকে তাকায়। তীব্র সবার নজর উপেক্ষা করে বলা শুরু করে…….
——- ” ভাগ্যের এক অদ্ভুত খেলায় তুরের সাথে আমার দেখা হয় ৬ মাস আগে তোয়ার বিয়ের দিন রাত্রে। ও অসুস্থ ছিল তাই আমি ওকে নিজের সাথে নিয়ে যাই। তখন আমি জানতাম না ও কে? আদো তোয়ার সাথে ওর কোন সম্পর্ক আছে কিনা। ”
তীব্র পুরোপুরি সত্যি টা বলে না। তুর যতটা জানে এর চেয়ে বেশি ও তুরকে জানাতে চায় না। কারন এতে তোয়ার আর তায়ানের সম্পর্ক টানাপোড়ন সৃষ্টি হবে। আর তুরের জানা সব সত্যিটুকু যদি বলে তবে সেটা খুব খারাপ ইফেক্ট করবে তুরের লাইফে যে ওকে বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই তুরের সাথে ঘটা বাজে ঘটনাগুলো এড়িয়ে গেল। ]
তীব্রের এমন কথায় বেশ অবাক হয় সবাই। ওর বাবা বলে উঠে…….
——– ” মানে। তাহলে….. । ”
——– ” বলছি আংকেল। তুর এক্সিডেন্টলি আমার কাছে এসে পৌছায়। আর ও তখন পুরোপুরি সুস্থ ছিল না। আর না আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। সো আমি ওকে একজন পেসেন্ট হিসেবে নিজের কাছে নিয়ে যাই। ওর সুস্থ হতে বেশ টাইম লাগে। কিন্তু ততদিনে ওর প্রতি নিজের মনে একটা বাজে চাওয়া ফুটে উঠে। ওকে আমার ভালো লাগতে শুরু করে। ততদিনে ও সুস্থ হয়ে নিজের ফ্যামিলির কাছে যেতে চায়। কিন্তু আমি কেন জানিনা সেটা মেনে নিতে পারিনি। তাই জোর করেই আমি ওকে আমার কাছে আটকে রাখি। ”
কথাটা বলেই তীব্র চুপ হয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। কথাগুলো তীব্র বলছে তা যেন তায়ানের বিশ্বাস হচ্ছে না। ও কিনা একটা মেয়েকে আটকে রেখেছে। তুরের বাবার সাথে সবাই স্তব্ধ। ওনারা কিছু বলবে তার আগে তীব্র আবার বলা শুরু করে.……
_—— ” ৩ মাস পর যখন তায়ানের সুস্থ্য হয়ে উঠে। তখন তোয়ার সাথে আমার দেখা। আর তারপর তোয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তুর নিজের বিএফ এর জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তখন আমার ভয়টা আরো বেড়ে যায় যে আমি যদি তুরকে ফিরিয়ে দেই তাহলে ও আমার সাথে থাকবে না। আর সেই ব্যাপার থেকে আমি তুরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নি। কিন্তু তুর রাজি না হলে আমি বাধ্য করাই বিয়েতে রাজি হতে। আর বিয়ের দিন ও আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর সানির সাথে ওর দেখা হয়। তারপরের ঘটনা আপনাদের জানা। ”
কথাগুলো শুনে তুরের বাবা সর্বশক্তি দিয়ে তীব্রের গালে চড় মারে। তারপর ওর কলার ধরে ধরে……
——- ” তোমার জন্য আমরা আমাদের মেয়েকে ভুল বুঝেছি। তোমার জন্য কত কথা শুনতে হয়েছে জানো তুমি? আর তুমি কিনা………. । ”
তীব্র মাথা নিচু করেই জবাব দিল…
——- ” আমি জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য পাপ করেছি। আর সেই পাপ মোচনের জন্য আপনারা যে শাস্তি দেবেন তাই মাথা পেতে নেব। ” —- তুরের দিকে তাকায়….. সানি গিয়ে তুরের পাশে দাড়ায়।
—– ” তুই কি চাস চুকলি?”
তুর চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। তখনি ওর চাচা বলে, “এখন আর কি বিয়ে দিয়ে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেও। ” এটা শুনে তুরের বাবা প্রচন্ড ক্ষেপে যায়,
—— ” আপনি ভাবলেন কিভাবে আমি আমার মেয়েকে এর কম একটা ক্রিমিনালের হাতে তুলে দিব। আমার মেয়ে আমার জন্য বোঝা নয়। যদি বিয়ে দিতে নাও পারি তবে সারাজিবন নিজের কাধে বসিয়ে খাওয়ানোর ক্ষমতা ওর বাবা রাখে।”
এটা শুনে তীব্র বলে উঠে,
——– ” আমি জানি আমি অন্যায় করেছি আর নিজেকে বাচানোর জন্য আমি তুরকে বিয়ে করতে চাইছি না। তুর নিজেও তাই চায়। জিজ্ঞেস করুন তুরকে? ”
এতক্ষন তুর মাথা নিচু করে কাদছিল। ওর বাবা ওর মাথায় হাত দিয়ে ওর কাছে জিজ্ঞেস করে,
——- ” তুই কি চাস? ”
——- ” শাস্তি। পাপ করলে তার মোচন ওনাকে করতে হবে। ”
তুরের এই কথায় তীব্র শান্ত ভাবে বলে,
_—- ” আপনারা আমাকে শাস্তি দিন। আমি যে অন্যায় করেছি তার শাস্তি আমাকে পেতে হবে। ”
—— ” শাস্তি তো আপনী পাবেনি ড. রায়হান তবে সেটা ওনারা না আইন আপনাকে দেবে। ”
কথাটা শুনে তীব্র পিছনে তাকাতেই দেখে ইন্সপেক্টর শাওন। ও ভ্রু কুচকে বিস্মিত চোখে তোয়ার দিকে তাকাতেই তোয়া মাথা নাড়িয়ে জানায় ও জানে না।
——– ” আপনি?”
——– ” বলেছিলাম না ড. রায়হান যদি হাতে প্রমান আসে আপনি অপরাধী তাহলে আপনার কি হাল করব তা আপনি ভাবতেও পারবেন না। আর আজ আমার কাছে প্রমান ও আছে আর স্বাক্ষী ও।
ওর সামনে একটা ভিডিও অন করা। তারমানে ওর মুখের শিকারুক্তির জন্য এসব কিছু ছিল। ও অবাক চোখে তুরের দিকে তাকায়। এটা দেখে তুর মুখ ফিরিয়ে চোখের পানি মুছে উপরে চলে যায়। তীব্রের আর বোঝার কিছু থাকে না। তখনকার কথা মনে করে তুর বলেছিল…..
——- ” তীব্র আমার বিয়ের উপহার হিসেবে আপনাকে নিজের দোষ স্বীকার করতে হবে আমার বাড়ির সকলের সামনে। আর তার জন্য যে শাস্তি পাবেন তা মাথা পেতে নিতে হবে। ”
তুরের বলা তখনকার কথা এবার তীব্রের মাথায় ঢোকে। ও ভেবেছিল তুর ওর ফ্যামিলির সামনে সব সত্যিটা বের করতে চায়। কিন্তু এতটা দুর তুর ভাববে সেটা জানা ছিল না। কিন্তু তোয়া এটা করবে না ও বুঝেছে। তার এটা তুরের একার প্লান হবে না তাহলে.. ও সানির দিকে তাকায়। সানি তখন বলে……
——– ” চুকলিকে ফ্রেন্ড বানিয়েছি তা ত নেভাবোই। ”
——– ” তা মি. রায়হান সরি এরপর ডক্টর খেতাব থাকবে বলে মনে হয় না। সো আপনি থানায় যাবেন নাকি টেনে হিচড়ে নিয়ে যাব। ” —- বেশ ইগোষ্টিক ভাবে চোখ মুখ শক্ত করে বলল। কথাটা শুনেই তীব্র ওর দিকে রাগী চোখে তাকায়। কিন্তু সেই মুহুর্তে ওর তায়ানের কথা মনে পরে। ও তায়ানের দিকে তাকাতেই দেখে তায়ান মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। ও গিয়ে তায়ানের সামনে দাড়ায়। তায়ানের চোখে পানির রেখা স্পষ্ট। তীব্র ওর হাতটা ধরে বলল…..
——- ” সরি ”
—— ” যাকে নিয়ে আমার গর্ব হত তার জন্য ঘৃনা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তুই…. ”
আর কিছু বলতে পারল না।ও হাত ছাড়িয়ে চলে গেল। আর শাওন এসে ওর হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে নিয়ে থানায় গেল। থানায় যেতেই দেখে রিদ্ধ এসে দাড়িয়ে আছে। তীব্রকে দেখেই ছুটে আসে……বেশ উদগ্রীব হয়ে বলে…..
——- ” স্যার আমি ১ ঘন্টার মধ্যে…. ”
——- ” তুমি এমন কিছু করবে না রিদ্ধ। যা হচ্ছে হতে দেও। ”
_—– ” স্যার এখন পর্যন্ত খবরটা বাইরে লিক হয়নি। সবাই যখন জানবে কি হবে ভাবতে পারছেন বিজন্যাস, হসপিটাল এমনকি আপনার ডক্টরের লাইন্সেস ক্যান্সেল হয়ে যাবে। ”
——- ” আমি জানি। ”
——- ” তাহলে। ”
_—– ” ওয়াদা করেছিলাম পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব। কিন্তু সেটা এভাবে তা ভাবিনি। কিন্তু ওয়াদা যখন করেছি তখন তা আমি রাখব। সেটা যেকোন মুল্যে। [ কিন্তু তার বদলে তুরকে আমার চাই। ]”
রিদ্ধর সাথে আর কোন কথা বলল না। রিদ্ধ চাইলেও কিছু করতে পারবেনা যদি তীব্র না চায়।
তীব্রকে জেলে রাখা হয়। আর শাওন গিয়ে ওর সামনে দাড়ায়।
——- অনেক চেষ্টার পরও আপনাকে মারার কোন ফন্দি পাইনি। শেষ পর্যন্ত এমন কেউ আমাকে প্রমান জোগাড় করার উপায় বলবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। সে কে জানতে চাইবেন না?
এইটা শুনে তীব্র জেলের দেয়াল গেশে বসে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে উপরে তাকায়। তারপর গানের দুটো লাইন কবিতার আকারে বলে…
# দ্বিধা ও দ্বন্ধ ভাঙছে ছন্দ বুকেতে অজানা ভয়,
জানি যেকোন শর্তে লুকিয়ে আছে আমার পরাজয়….
——– ” আমিও খুব ভালো করে জানি আর তুমিও খুব ভালো করেই বুঝে গেছে যে, আমি যাই করি আমার পরাজয় তোমার কাছে। আর তাই তোমাকেও আমার কাছেই হার মানতে হবে তুর। ” —- কথাটা বলে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে।
এতক্ষন তুর বাইরে থাকলেও এবার ভিতরে আসে। ওর সাথে সানিও আছে। তুর বেশ রেগে বলে….
___- ” আপনার কি মনে হয় আপনি আমাকে যা বলবেন আমাকে তাই বিশ্বাস করতে হবে। আমি কি কোন বাচ্চা। আমি আপনাকে ভালোবাসি আর নাই বাসি আপনি যে আমার প্রতি দুর্বল তা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি। আর যেকোনো মুল্যে আপনি আমাকে চাইবেন তাও জানি।আর তাই জন্য আপনি এখানে। এখানে যা ছিল সবটাই আমি করেছি। মাইন্ড গেম শুধু আপনি খেলতে পারেন না। আপু তো বোকা ছিল এটা বুঝতেই পারেনি খালি হাতে আপনার কিছু করা যাবে না। ”
এটা শুনে তীব্র একই ভঙ্গিতে হাসল। তারপর বলল……
——- ” এই জন্য বলেছিলাম আর যাই করো এই বুকের বাম পাশে আঘাত করো না। ক্ষত সারলেও ব্যাথা কমে না। যাও ছাড় কি করার? শাস্তি দিতে চাও দেও কোন সমস্যা নেই। ওই হিন্দি গানটা আছে না……
কাতেল আগার কারনা হে তো কারনা ধীরে ছে….
উফফফ ভি নেহি নিকলে গি মেরে হোটোছে….
”
“” যতই যন্ত্রনা দেও না কেন কিছু বলব না….
প্রমিস যখন করেছি রাখব।কিন্তু তোমাকে ছাড়ার প্রমিস করিনি কিন্তু সো….. আমার শাস্তি শেষ হওয়া মানে তুমি আমার বুকে থাকবে তুর । remember it…. ”
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]🤣🤣
তা কেমন লাগল আমার সিনেমা জানাতে ভুলবেন না। আশা করি আরো ভাল কিছু থাকবে।
আমার কিছু পাঠক রা আমার মত গল্প নিয়ে ২ভাবে কনফিউশানে থাকে গল্প দেওয়া নিয়ে….
১. আমি তারাতাড়ি গল্প দিলে ভাবে। এইটা নতুন পর্ব😱😱😱 চেক কইরা তারপর পরে।না ঠিক আছে।
আর ২. মেহের আপু তাড়াতাড়ি দিছে মানে আজকে আরো একটা পার্ট দিব😡😡😡 আজব
যাই হোক.…..
[ বিঃদ্রঃ নাইস, নেক্স না লিখে গল্পের ভালো খারাপ দিক গুলো তুলে ধরুন। গল্পের কাহিনী, লেখা, ত্রুটি বা অসামঞ্জস্যতা, বাক্য বুঝতে বা লেখায় ভুল হলে এড়িয়ে না গিয়ে দয়া করে বলুন। এতে আশা করি আমার লেখার মান ভালো হবে & আপনাদের জন্য আরো ভাল কিছু রাখতে পারব।
★————————-★————————–★
Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr