#অদ্ভুত_প্রেমবিলাস
#লেখিকাঃ সারজীন ইসলাম
|পর্ব-৫৩|
ধারা ইহিতা কে কোলে নিয়ে ইভান দের অফিসে আসে। ইভান আজ খুব সকাল সকাল অফিসে চলে এসেছে। ধারা ইহিতা কে স্কুলের দিয়ে ধারা ওর মেডিকেল কলেজে গেছিল কিছু কাজের জন্য, সেখান থেকে ফেরার পথে ইহিতা কে সঙ্গে নিয়ে ফিরেছে সে। ইহিতা ধারার গলা জড়িয়ে ধরে এটা ওটা জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে। আর ধারা হাসি মুখে সব ইহিতার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। অফিসে ঢুকতে না ঢুকতে ইহিতা মৃদু চিৎকার করে বলল,
‘ মাম্মা রোজা আন্টি!’
লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে অফিসের কয়েক জন স্টাফ মিল রোজার সঙ্গে কয়েকটা ফাইল হাতে কিছু নিয়ে কথা বলছে। রোজা ইহিতার ডাক শুনে তাদের সঙ্গে কথা দ্রুত শেষ করে ধারার দিকে আসে। হাত বাড়িয়ে ইহিতা কে কোলে নিয়ে বলল,
‘ এইতো বেবি তোমার রোজা আন্টি চলে এসেছে তোমার কাছে। কালকে তোমার বার্থডে পার্টি কেমন ইনজয় করেছো বেবি?’
ইহিতা এক গাল হেসে বলল,
‘ খুব খুব খুব ইনজয় করেছি।’
রোজা ইহিতার গালে চুমু দিয়ে ধারার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ সকালে ইভানের কাছে শুনলাম তোমরা নাকি কয়েক দিনের জন্য বিডিতে যাচ্ছো? ইভান তো বিডিতে যাবে বলে পুরো দমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।’
ধারা মৃদু হেসে বলল,
‘ হ্যাঁ আপু ইহিতার বড় বাবা চাইছে আমরা কয়েকদিন বিডিতে গিয়ে ঘুরে আসি। এই সুযোগে মেয়েটাও ওর দাদার বাড়ি দেখতে পাবে। ইহিতা জন্মাবার পরে আমরা তো একবারও দেশে যায়নি। তার উপরে তোমার এই বেবি, দিনদিন ইংরেজির বাচ্চা তৈরি হচ্ছে। সারাদিন ওর পাপার সঙ্গে ইংরেজিতে পটর পটর করবে। দেশে গেলে এই সুযোগে ও কিছু বাংলা ও শিখতে পারবে।’
রোজা ধীর গলায় বলল,
‘ বিডিতে যাচ্ছ। আমি মানা করবো না, যাও। কিন্তু বেশিদিন থাকা যাবে না। আমি আমার বেবিকে ছাড়া বেশিদিন থাকতে পারবো না।’
ধারা উত্তরে কিছু না বলে মৃদু হাসে। রোজা আবারো বলল,
‘ তুমি এখন ইভানের কাছে যাবে? তাহলে যাও। ইহিতা আমার কাছে থাক।’
ধারা আরে কিছু না বলে একনজর মেয়েকে দেখে, পা বাড়ায় লিফটের দিকে।
ইভান মিটিং শেষ করার পরে ওর ক্লাইন্ট ওকে সিগারেট অফার করে। ইভান সৌজন্যের জন্য সিগারেট টা নেয়। সিগারেটটা যে মুখে নিতে যাবে অমনি কেবিনের দরজা ঠেলে কেউ ভিতরে ঢুকেছে। ইভান চোখ বড় বড় করে সে দিকে তাকায়। ধারা দাঁড়িয়ে আছে রাগি মুখে। বড় বড় পা ফেলে ইভানের দিকে গিয়ে যায়। ধারা হাতে থাকা ব্যাগটা টেবিলের উপর রেখে ইভানের মুখ থেকে সিগারেট ফেলে দিয়ে ইভান কান ধরে বলল,
‘ অফিসে এসে তুমি এইসব করো? আমি তোমাকে নিষেধ করিনি এসব খেতে?’
ইভান একনজর টেবিলের সামনে ক্লায়েন্টের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে মুচকি হেসে বলল,
‘ সরি, সরি আর কখনো এমন করব না। এবারের মত ক্ষমা করে দাও।’
ধারা টেবিলের সামনে ক্লায়েন্টের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ এই যে আপনাদের বলছি শুনুন, বিজনেস ডিল করতে এসেছেন বিজনেস ডিলিট করবেন। ওকে এসব বাজে জিনিস অফার করছেন কেন? নিজেরা ওইসব খেয়ে নিজেদের ক্ষতি করছেন, এখন আবার আমার কাছের মানুষটার ক্ষতি করতে চাচ্ছেন। আর কখনো ওকে এসব খারাপ জিনিস অফার করবেন না। যদি কখনো করেছেন তাহলে আমার থেকে খারাপ কিন্তু আর কেউ হবে না।’
টেবিলের সামনে থেকে একজন ক্লায়েন্ট হাসি মুখে বলল,
‘ মিস্টার ইভান, ইউ টেক কেয়ার অফ ইওর ওয়াইফ। ইউ আর টকিং এবাউট এভরিথিং, ওয়ে ওয়ুল্ড রাডার কাম টুডে।’
ইভান মাথা নেড়ে হাসি মুখে সম্মতি জানায়। একে একে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলে ইভান হ্যাচকা টান দিয়ে ধারা কে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়। ধারার দুই গালে হাত দিয়ে ইভান ধীর গলায় বলল,
‘ সরি বললাম তো তারপরও রেগে থাকবে? প্রমিস করছি তুমি যেসব জিনিস আমাকে খেতে নিষেধ করেছে সেসব জিনিস আমি আর কখনো খাব না। কোন বিজনেস ক্লায়েন্ট কিংবা ফ্যামিলি মেম্বাররা অফার করলো না।’
ধারা আহ্লাদী গলায় বলল,
‘ সত্যি?’
ইভান ধারার নাকে একটা টোকা দিয়ে হেসে বলল,
‘ একদম সত্যি। তুমি একা কেন? আমাদের মেয়ে কোথায়?’
ধারা মৃদু স্বরে বলল,
‘ রোজা আপুর কাছে। রোজা আপু ওকে তার কেবিনে নিয়ে গেছে।’
ইভান শয়তানি হেসে বলল,
‘ তারমানে আমি এখন নিশ্চিন্তে তোমার সঙ্গে প্রেম করতে পারব।’
ধারা চোখ বড় বড় করে বলল,
‘ একদম না।’
ইভান বাঁকা সুরে বলল,
‘ আমি কখনো এই বিষয়ে তোমার কোন কথা শুনেছি? যে আজ শুনবো?’
ধারা করুন গলায় বলল,
‘ সোনা এমন করে না।’
ইভান ধারার কথা কানে না দিয়ে ধারা কে নিজের সঙ্গে জাপটে জড়িয়ে ধরে। ধারা ইভানের আড়ালে মুচকি হেসে ইভানের বুকে মুখ গুঁজে।
আজ শুক্রবার। শুক্রবার দিন ছাড়া জোনাকি হাতে সময় পায় না। বর্তমানে ওদের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা পদে চাকরি করছে জোনাকি। লেখাপড়া শেষ করে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পায় জোনাকি। চাকরির বিষয়ে সম্রাট অনেক সাহায্য করেছে জোনাকি কে। ওদের চার বছরের একটা ছেলে আছে। জোনাকির বাবা নাম রেখেছে ওদের ছেলের শাওন। হাবিবের বিয়ে হয়েছে দুই বছর। হাবিবের বিয়েতে ধারার আব্বাজান আর চাচা জান বড় করে অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল, কিন্তু হাবিব তাদের স্পষ্ট ভাবে নিষেধ করে দিয়েছে। ধারা চলে যাওয়ার পর থেকে তিন ভাই মন খুলে আনন্দ করে না। কাবিনের পরে হাবিব আর আট-নয় জন মুরুব্বী গিয়ে হাবিবের বউ স্বর্ণাকে এ বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বর্ণা সবার সঙ্গে বাড়িতেই থাকে। হাবিব এক-দুই মাস পর পর এসে সবাইকে দেখে যায়। ধারা চলে যাওয়ার পর থেকে সম্রাট ওর আব্বাজানের সঙ্গে কথা বলে না। অভি আর আগের মতো বাড়িতে আসে না নিজের চাকরি নিয়ে শহরে পড়ে থাকে। যেন বাড়িতে কি হল না হল তাতে তার কিছুই যায় আসে না। ধারা চলে যাওয়ার পরে সম্রাট ধারার ঘরে তালা দিয়ে চাবি নিজের কাছে রেখেছে। এখন অবশ্য ওদের দোতলা বিল্ডিং ঘর তৈরি করেছে। সম্রাট নিজ দায়িত্বে ধারার জন্য সেখানে এক বিশাল রুম তৈরি করেছে। সম্রাটের মুখের উপর কথা বলার সাহস এখন এই বাড়িতে কারো নেই। আগের শান্ত সম্রাট আর এখনকার সম্রাট এর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। এখন সম্রাট কথায় কথায় রেগে যায়। রেগে গেলে তাকে সামলানো খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু ওর আব্বাজানের কসম এর কথা চিন্তা করে ধারার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। এসব কথা চিন্তা করে সম্রাটের রাগ যেন প্রতি মুহূর্তে আরো হাজার গুণ বেড়ে যায়। ধারার দাদি আম্মা এখন বেশিরভাগ সময় অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে। বয়স হয়েছে তার ওপরে হাজার চিন্তা করে নিজের শরীর খারাপ করে ফেলে। ধারার আম্মা আর চাচি জান প্রায় ধারার জন্য কেঁদে বুক ভাসায়। ধারার আব্বাজান আগের থেকে অনেক শান্ত হয়ে গেছে। এখন আর খুব বেশি কথা বলে না পরিবারের লোকজনের সাথে।
বিকেল বেলা জোনাকি আর স্বর্ণ বসার ঘরের সোফায় বসে ফোনে কিছু একটা দেখছিল। হঠাৎ বাইরের ওখান থেকে জোনাকির ছেলে শাওনের তীব্র চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। জোনাকি ফোনটা সোফার উপর রেখে হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। জোনাকির পিছন পিছন স্বর্ণা ও বেরিয়ে যায়। শাওন ওর দাদী কোলে বসে ছাগলের বাচ্চা দেখছে আর খুশিতে চিৎকার দিচ্ছে। ছেলের এমন কাণ্ড দেখে জোনাকি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে হেসে দেয়। জোনাকি ওর শাশুড়িকে ঘরে আসতে বলে স্বর্ণা কে নিয়ে ঘরের ভিতর চলে যায়।
ধারার আব্বাজান ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে বসার ঘরে আসে দোকানে যাবে বলে। শুক্রবারের দিন দুপুর বারোটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ওদের দোকান বন্ধ থাকে। বসার ঘরে এসে সোফার উপর কারো ফোন বাজতে দেখে ধারার আব্বাজান একটু উঁচু গলায় বলল,
‘ কার ফোন বাজছে এখানে?’
আশেপাশের চোখ বুলিয়ে কাউকে না দেখে ধারার আব্বাজান গিয়ে ফোন টা হাতে নেয়। বয়সের জন্য এখন চশমা ছাড়া চোখেও ঠিকমত দেখে না সে। পাঞ্জাবির পকেট থেকে চশমা বের করে পড়ে ফোনের স্ক্রিনে তাকায় ধারার আব্বাজান। কিছুক্ষণ ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ ছল ছল করে ওঠে তার। চোখে ভর্তি পানি নিয়ে একদৃষ্টিতে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে ধারার আব্বাজান। একটা মেয়ে ছোট একটা বাচ্চার হাত ধরে সিড়ি দিয়ে নেমে আসছে। দুজনের পরনের সেম ড্রেস। গোলাপি রঙের গাউন পরা। সিঁড়ি দিয়ে নেমে মেয়েটা বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিয়ে হেঁটে গিয়ে কেকের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মন জুড়ানো হাসি দেয় দুজনে। হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে ধারার আব্বাজান মাথা তুলে তাকায়। জোনাকি আর স্বর্না ভয়ে ভয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। জোনাকি ভীত গলায় বলল,
‘ আব্বাজান এই ফোন টা আমার।’
ধারার আব্বাজান জোনাকির দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ বৌমা ফোনের মেয়েটা কে?’
জোনাকি ভয়ে কিছু না বললে ধারার আব্বাজান হালকা ধমকের সুরে বলল,
‘ কী হলো উত্তর দিচ্ছো না কেন?’
এরমধ্যে ধারার আম্মা এসে ধারার আব্বাজান কে বলল,
‘ কী হয়েছে আপনার? আপনি বৌমাকে ধমকাচ্ছেন কেন?’
ধারার আব্বাজান হাতের ইশারায় ধারার আম্মা কে চুপ থাকতে বলে। জোনাকি মাথা নিচু করে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
‘ ধারা।’
ধারার আম্মা চমকে উঠে বলল,
‘ ধারা!’
ধারার আব্বাজান আবার কিছুক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
‘ ওর পাশে ছোট মেয়েটা কে?’
জোনাকি মাথা তুলে ধারার আব্বাজানের দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলল,
‘ ইভান আর ধারার একমাত্র মেয়ে।’
কথাটা শোনা মাত্র চোখ বড় বড় হয়ে যায় ধারার আব্বাজান আর আম্মার। চমকে উঠে দুজনে। কী বলল জোনাকি এইমাত্র। অবিশ্বাস্য চোখে ধারার আম্মা জোনাকির দিকে তাকায়। তার আদরের ছোট মেয়েটা মা হয়ে গেছে! ধারার আম্মা আনন্দিত কন্ঠে বলল,
‘ বৌমা তুমি সত্যি বলছো? আমাদের ধারার মেয়ে?’
জোনাকি মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। ধারার আম্মা খুশিতে চোখের পানি ফেলে দেয়। ধারার আব্বাজান গম্ভীর মুখে বলল,
‘ আমি নিষেধ করা সত্ত্বেও তোমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছো?’
জোনাকি ধারার আব্বাজানের দিকে তাকিয়ে কঠোর গলায় বলল,
‘ আব্বাজান আমি এত বড় বেয়াদব না যে আপনি নিষেধ করা সত্ত্বেও ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। আমি বা আপনার ছেলে কেউ ধারার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। যদি জিজ্ঞেস করেন আমি এসব কোথা থেকে পেয়েছি, তাহলে বলি ইভান আর ধারা ওদের খুশির ছোট ছোট মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। আমি সেখান থেকে সব খবর পেয়েছি। শুধু আজকে নয় বিগত পাঁচ বছর যাবত আমি ওখান থেকে ওদের খবর পাই। এই কথা আপনার ছেলে অব্দি জানেনা। আমি ওদের থেকে দূরে থেকেও ওদের মেয়ের বড় হয়ে ওঠা আমার চোখের সামনে দেখেছি। ধারার মেয়ে হয়েছে তা আমি বাড়ির অন্য সবাইকে জানাতে চাইলে জানাতে পারতাম। কিন্তু আমি জানতে চাইনি। জিজ্ঞেস করবেন না কেন? ধারার ওই ভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে না পেরে তিন ভাই আজ ছন্নছাড়া। আপনার বড় ছেলের কথা কি বলব আপনি তো নিজের চোখের সামনে সব দেখছেন। হাবিব বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত করেনি একমাত্র ধারা এখানে নেই বলে। অভি তো বাড়ি আসার পথে ভুলে গেছে। আম্মা, চাচি জান, বা দাদি আম্মা এমনিতেই ধারার কথা চিন্তা করে সারাদিন কেঁদে বুক ভাসায়, তার উপরে যদি শোনেন ধারার পরীর মত একটা মেয়ে হয়েছে। তাহলে তাদের অবস্থা কী হবে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন আব্বাজান।’
জোনাকির কথা শুনে কারো মুখে কথা নেই। ধারার আম্মা জোনাকির ছেলে কে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে দেয়। জোনাকি আবার বলল,
‘ গতকাল ওদের মেয়ের জন্মদিন ছিল। ইভান ভিডিওটা করে ওর অ্যাকাউন্টে আপলোড করে। ভিডিওতে ধারার হাসিমুখের ঝলক দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ধারা ভীষণ সুখে আছে। ইভান ওর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছে ধারা কে।’
ধারার আব্বাজান উত্তরে কিছু না বলে হাতে থাকা ফোনটা আবার সোফার উপর রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে। জোনাকি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
চলবে…
ইনশাল্লাহ দুই ঘন্টা পরে আর এক পর্ব গল্প পোস্ট করা হবে।