ভূতূড়ে_জমি
#_৩য়_পর্ব_শেষ_পার্ট
Misk_Al_Maruf
.
ভোরের সূর্য যখন পূর্বাকাশে কিছুটা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে ঠিক তখনি সাদেক আমাকে ফোন দিয়ে বলে,
“মারুফ ভাই! চাচারেতো পশ্চিম পাড়ার খালে কাঁদার মধ্যে গাড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। আপনি তাড়াতাড়ি চলে আসেন।”
সাদেকের কথা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই ঠিক তখনি আমার গতকালকের সেই কালু কবিরাজের কথা মনে পরে যায়। সে বলেছিল আমাদের বংশের সকলকে নাকি জ্বীন ধ্বংস করবে। তাহলে কি এটা সেই অভিশপ্ত জমির দোষ নাকি আমাদের বংশের মধ্যেই জ্বীনের কোনো কুনজর পরেছে?
এতসব ভাবনা মনের মধ্যে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার পরক্ষণেই আমি রওনা দিলাম পশ্চিম পাড়ার খালের দিকে।
আমাদের গ্রামের পশ্চিম দিকের অংশটুকুকেই মূলত গ্রামবাসী সহজ ভাষায় পশ্চিম পাড়া হিসেবে আখ্যায়িত করে। পশ্চিম দিকের ঐ অংশটায় তেমন কারো আবাসস্থল না থাকলেও জায়গাটি বেশ পরিচ্ছন্ন আর তার পাশ ঘেঁষেই চলে গেছে একটি ছোটখাটো খাল। ছোটবেলায় কত যে এই খালে সমবয়সী ছেলেপেলেদের সাথে গোসল করেছি তার কোনো হিসেব নেই। গ্রামের বাজারে যেতে হলে আমাদের ঐ খালের পাশের রাস্তা দিয়েই হেঁটে যেতে হয়। আমার যতটুকু মনে হচ্ছে সবরুল চাচা সন্ধ্যার দিকে বাজার থেকে আসার পথেই ওনার সাথে এই অঘটন ঘটেছে।
পশ্চিম পাড়ার রাস্তা দিয়ে যখন তাড়াহুড়ো করে হেঁটে কাঙ্ক্ষিত স্থানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি ঠিক তখনি খেয়াল করলাম সবুজ ও সাদেক সহ আরো কিছু লোক কাঁদামাখা অবস্থায় সবরুল চাচাকে রাস্তায় উঠিয়েছে। আমিও আর একমুহূর্ত দেরি না করে দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য মূর্ছা যাওয়া সবরুল চাচাকে একহাত দিয়ে ধরলাম। হাঁসফাঁস স্বরে সবুজকে জিজ্ঞেস করলাম,
“কিরে চাচাকে কি অবস্থায় পেলি। ওনার শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিকঠাক মতো চলছেতো?”
আমার কথা শুনে সবুজ উৎকণ্ঠিত স্বরে উত্তর দিলো,
“শ্বাস প্রশ্বাসতো আছে! আর খালের কিনারায় চাচারে জ্বীনেরা অর্ধেক কাঁদার মধ্যে গাইড়া রাখছিল। করিম চাচার ছোটপোলায় সবার প্রথমে চাচারে দেখছে।”
আমি চিন্তিত স্বরে বললাম,
“হুম বুঝছি! এখন চাচারে যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তুই দেখ কোনো ভ্যান ঠিক করা যায় কিনা।”
“আচ্ছা আমি দেখতেছি। আপনারা ওনারে নিয়া আসেন।”
এই বলেই সবুজ হন্তদন্ত হয়ে চলে গেলো।
কামরুল চাচা এখন কিছুটা সুস্থ হলেও সবরুল চাচাকে বেশ অর্ধ মুমূর্ষু অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বলেছেন,
“উনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনারা ওনাকে নিয়ে যেতে পারেন।”
ডাক্তারের কথা মতো আমরাও চিন্তা করলাম ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার থেকে উত্তম আর কিছু হতে পারে না।
বহুবছর পর আব্বা তার সৎ ভাইদের বাড়িতে এসেছেন। তিনি হয়তো অনুধাবন করতে পারছেন যে বিপদ যেহেতু সব ভাইদের একত্রে এসেছে তাই এই মুহূর্তে অযথা পারিবারিক কলহকে পুঁজি করে ভাই ভাইয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিৎ হবেনা। আমার আপন ছোট চাচা সগীর চাচাও এসেছেন কামরুল চাচার বাড়িতে। সব ভাইদের একত্রে দেখে অজান্তেই আমার মনটা খুশিতে আন্দোলিত হলো।
বাবা অনেকটা ইগোর বশেই নিজে থেকে কামরুল চাচার সাথে আগবাড়িয়ে কথা বলছেন না। তার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম দেখলাম না। নীরবতা ঠেলে সকলের উদ্দেশ্যে আমি বললাম,
“এখন ভাই ভাইয়ের প্রতি কোনো রাগ পুষে না রেখে আমি মনে করি সকলের এক হওয়া উচিৎ এবং এসব ঘটনার পিছনে কে কলকাঠি নাড়ছে সেটাও বের করা উচিৎ।”
আমার কথা শেষ হতেই পাশ থেকে আমার চাচাতো বোন তিথি বললো,
“হ্যাঁ! মারুফ ভাই ঠিক কইছে। আপনারা তো অনেক জায়গা জমি নিয়া কেস মামলা শালিশ করছেন এমনকি এক ভাই আরেক ভাইকে মারতেও চাইছেন। এখন এই বিপদের মুহূর্তেও কি আপনারা একজনের প্রতি আরেকজন রাগ কইরা থাকবেন?”
এক এক করে আমার মা চাচিরা এমনকি ছোট চাচাও তাদেরকে সবকিছু ভুলে এক হতে বললো।
সকলের কথা শুনে ঘরের মধ্যে এক শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে, আমার আব্বা কিংবা কামরুল চাচা কেউই কোনো কথা বলছেন না। আচমকাই নীরবতা ঠেলে কামরুল চাচা অন্য দিকে তাকিয়ে বললেন,
“সেটা নাহয় আমরা মিললা গেলাম, কিন্তু এই জ্বীন ভূতের কাজরে তোরা কিভাবে থামাবি? এমনকি সেদিন নাকি কালু কবিরাজরে অপমান কইরা বাইর কইরা দেওয়ার সময় নাকি সে কইছিলো আমাগো বংশের সবাইরে জ্বীন ভূত ধ্বংস করবো। আমার মনে হয় সেদিন তোগো ওরে তাড়াইয়া দেওয়া ঠিক হয়নাই।”
কামরুল চাচার কথা শুনে আমি বললাম,
“এটা জ্বীন ভূতের কাজ নাকি মানুষের কাজ সেটা সময়মতোই টের পাবেন। বাকিটা আমার উপর ছেড়ে দেন। তাছাড়া জ্বীন ভূতেরতো আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই যে সে সামনে না এসে পেছন থেকে মানুষের মুখ চাপ দিয়ে মাটির মধ্যে গেড়ে রাখবে। জ্বীন ভূতে কি মানুষের সামনে আসতে ভয় পায় নাকি?”
আমার কথা শুনে সবাই আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। তখনি আমার বাবা বললো,
“হুম এইটাতো ঠিক কইছোস। কিন্তু আমাগো সাথে কার এমন শত্রুতা যে যেইখানে সেইখানে আমাগো অজ্ঞান কইরা কাঁদার মধ্যে গাইড়া রাখে?”
আমি নির্লিপ্ত স্বরে বললাম,
“যেহেতু টানা তিন রাতে আপনাদের তিন ভাইয়ের উপর হামলা হয়েছে সেহেতু আজকে রাতেও হামলা হবে আর সেটা সগীর চাচার উপরে।”
আমার কথা শুনে সবাই হকচকিয়ে উঠলো। তখনি তিথি কৌতূহল দৃষ্টিতে আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
“তাহলে এখন কি করার?”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
“সব প্ল্যান ঠিকঠাক করা আছে। সবকিছু এখন বলা যাবেনা। সময় মতোই টের পাবি।”
রাত ১০টা…
সগীর চাচা গঞ্জের বাজার থেকে বেশ কিছু বাজার করে পশ্চিম পাড়ার রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন। তার মনের মধ্যে এক অজানা ভয় বাসা বেঁধেছে কারণ গত তিন রাতে তার তিন ভাইকে জ্বীনেরা অজ্ঞান করে কাঁদার মধ্যে গেড়ে রেখেছিল। মনে মনে বলছেন,
“আজকে আসতে যে এতো রাত হবে সেটা জানলে কখনোই বাজারে যেতাম না।”
এরকমই বিড়বিড় করে রাস্তা দিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎই তার পিছনে শুকনো পাতার কড়মড় শব্দ শুনে থমকে দাঁড়ান পাশাপাশি তার বুকের গহীনেও ভয়ের মাত্রায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পিছনে ঘুরতেই খেয়াল করেন কেউ নেই। মনের ভুল ভেবে যখনই পুনরায় হাঁটা ধরেন তখনই পেছনে পুনরায় পাতার কড়মড় শব্দ আরো তীক্ষ্ণ হতে থাকে। হঠাৎ করে পেছনে তাকেতেই খেয়াল করেন এই পূর্ণিমার আলোতে দুটো আবছায়া পাশের এক গাছের ওপাশে নিজেদের আড়াল করে ফেলেছে। কাঁপা কণ্ঠে তিনি জিজ্ঞেস করেন,
“কেরে ঐখানে?”
কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। তিনি মনের মধ্যে যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করে সেই আবছায়ার অস্তিত্ব খোঁজার জন্য সেদিকে পা বাড়ান। যখনই গাছের কাছাকাছি চলে আসেন ঠিক তখনি একটি আবছায়া দ্রুত গতিতে তার দিকে ধেঁয়ে এসে তার মুখে কিছু পেঁচিয়ে ধরার চেষ্টা করে কিন্তু তার আগেই তিনি নিজেকে যথেষ্ট নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছায়া মানব দুটো তার এমন প্রচেষ্টা দেখে তারাও থেমে থাকেনি বরং তারা পুনরায় তার দিকে ধেঁয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই রাস্তার দুইপাশ থেকে বেশ কিছু লোক লাঠি-সোঁটা নিয়ে ছায়া মানব দুটোকে ঘিরে ফেলে। আচমকাই এমন কান্ড দেখে ছায়া মানব দুটো হতভম্ব হয়ে যায় এবং পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
আমি হাতে থাকা টর্চলাইটটি নিয়ে দুইজনের সামনে চলে আসি। এতক্ষণে আগত সবাই বুঝতে পেরেছে এই কদিনে আমার বাপ চাচাদের সাথে যা কিছু ঘটেছে তা কোনো জ্বীনের কাজ নয় বরং জ্বীন রূপী মানুষের কাজ।
ওদের মুখ থেকে পেঁচানো গামছা দুটো সরাতেই আশেপাশের সকলেই অবাক চিত্তে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ কিভাবে সম্ভব? শেষ পর্যন্ত কিনা…
সকাল ৮টা…
সেই জ্বীনরূপী মানুষ দুটোকে কামরুল চাচার উঠোনের মোটা দুটি খুঁটির সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমস্ত গ্রামে জ্বীন ধরার তথ্য ছড়িয়ে পরেছে। তাই এদেরকে দেখার জন্য গ্রামের শিশু থেকে বুড়ো অবধি কেউ বাদ থাকছে না। উঠোনে মানুষের আনাগোনা দেখে যে কেউই বলবে এ যেন এক বড় কোনো সমাবেশ।
পাশ থেকে গ্রামের এক মুরব্বি বললেন,
“ছি ছি ওগোরে মানুষ কত বিশ্বাস করতো আর ওরা কিনা এই আকাম করলো? কালুর কাছ থেকে গত পাঁচদিন আগেও বাত ব্যথার একটা তাবিজ নিছি। এই তাবিজ এখন কেমনে হাতে রাখি তোরাই ক।”
এই বলেই তিনি তার হাতে থাকা তাবিজটি ছিড়ে ফেলে দিলেন।
আগত সবাই আমার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নীরবতা ঠেলে আমি সকলের উদ্দেশ্যে বললাম,
“আপনাদের মনে নিশ্চই প্রশ্ন জাগছে যে কালু কবিরাজের সাথে আমাদের কি শত্রুতা আর ওর সাথেরজনই বা কালু কবিরাজের সাথে কি করছে? ওর দিকে আপনারা একটু ভালো ভাবে তাকানতো! দেখেন চিনতে পারেন কিনা?”
হুট করে কামরুল চাচা বলে উঠলেন,
“আরে এইটাতে সেই ভুয়া কবিরাজ যারে গতবার আমরা চার ভাই মিললা দুই নাম্বারি করার জন্য গ্রাম থেকে পিটাইয়া তাড়াইয়া দিছিলাম।”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
“হুম চাচা ঠিক ধরছেন। আর ঐ হারামজাদাই হলো কালু কবিরাজের ভাই। মূলত ওর অপমানের প্রতিশোধ নিতেই কালু কবিরাজও ভুয়া কবিরাজগিরি করার জন্য এই গ্রামে আসে। আর আমাদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আপনাদেরকে প্রতিরাতেই ক্লোরোফরম দিয়ে অজ্ঞান করে কাঁদার মধ্যে গেড়ে রাখে। যাতে আমরা বিশ্বাস করি এটা জ্বীন ভূতের কাজ আর সেই উসীলায় কালু কবিরাজ আমাদের থেকে টাকা মারার ধান্ধা করতে পারে। মূলত কালু ওর ভাইয়ের মতো বোকা না হওয়ায় এবং ধূর্ত প্রকৃতির হওয়ায় ওর দুই নাম্বারি গ্রামের সহজ সরল মানুষজন ধরতে পারেনি।”
আমার কথা শুনে ইতোমধ্যে আগত সকল মানুষদের মাঝে কথোপকথন শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলছে ওদেরকে এখানে বেঁধে রাখতে, আবার কেউ বলছে হাত পা ভেঙ্গে দিতে আর কেউবা বলছে জরিমানা এবং মার দিয়ে ওদেরকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু আমি গ্রামবাসীর এই মতের সাথে একমত নই তাই তৎক্ষনাৎ পুলিশকে ফোন দিয়ে এদেরকে থানায় নিয়ে যেতে বলি। কারণ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে যদি নিজেরাই আবার কোনো অঘটন করে ফেলি তখন হতে পারে অন্য বিপদ।
উক্ত ঘটনার দুইদিন পর…
কামরুল চাচার বাড়িতে আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। কারণ তিনি ভাইদের মিলনমেলা উপলক্ষে একটি খাসি জবাই দিয়ে আমাদের সকলকে দাওয়াত করেছেন। খাওয়াদাওয়া শেষে যখন একসাথে বসে সবাই রেষ্ট নিচ্ছি তখনই তিথি ভিতরের ঘরে থেকে পানের থালা নিয়ে বসার ঘরে প্রবেশ করে। সেসময় কামরুল চাচা আমার বাবার উদ্দেশ্য শান্ত স্বরে বললেন,
“তোর কাছে আমি একটা প্রস্তাব দিতে চাই যদি তুই কিছু মনে না করোস।”
বাবা কৌতূহল দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলেন,
“কিসের প্রস্তাব?”
“আমি ঘুরাইয়া ফিরাইয়া কিছু বলিনা সেটা তুই জানোস এইখানে যেহেতু সবাই আছে তাই কইতাছি, আমি চাইছিলাম আমার মাইয়ার লাগে তোর পোলার বিয়া দিতে যদি তোর মতামত থাকে।”
চাচার কথা শুনে সকলেই বেশ অবাক হয়ে যায়। বাবা শান্ত স্বরে বললেন,
“আমার মতামত নিয়া কি হইবো? আমার পোলা যদি রাজি থাকে তাইলে আমার কোনো দ্বিমত নাই।”
তখনি সকলে আমার দিকে তাকায় এমনকি তিথিও তাকিয়ে আছে অনেকটা মায়ামাখা দৃষ্টিতে। হয়তো মেয়েটি আমার মুখে হ্যাঁ শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম,
“আমার কোনো আপত্তি নাই।”
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই তিথি লজ্জায় দৌড়ে বসার রুম ছেড়ে চলে গেলো। তখনই আমার মনে হলো, হায় হায় এই মুরব্বিদের সামনে এতোটা তাড়াতাড়ি আমি কিভাবে সম্মতি দিয়ে ফেললাম? সবাইতো ভাববে আমি তিথিকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে আছি।
“ধুর!” এটাকি ঠিক হলো? বলুনতো!
(সমাপ্ত)
[ভুলত্রুটি মার্জনীয়]