লাবণ্য_আলোয়(৪)

0
192

#লাবণ্য_আলোয়(৪)
************************

লাবণ্য’র বাবা যখন বাবার মোবাইলে ফোন দিলেন, তখন আমরা সবাই ফ্যামিলি লিভিং এ বসে আড্ডা দিচ্ছি। ছোটো খালা আর খালুও আছে আড্ডায় । বাসায় সবাই ঠিকঠাক আছে, শুধু মা এখনও আমার সাথে কথা বলছেন না । বাবা প্রথমে আংকেলকে চিনতে পারছিলেন না । বারবার বলছিলেন, ফাইরুজ হাসান, আমি ঠিক চিনতে পারছি না ভাই। লাবণ্য কে?

আমি তাড়াতাড়ি উঠে এসে, ইশারায় বাবাকে লাবণ্যর কথা বলতেই, বাবা বললেন, ওহ, আচ্ছা লাবণ্য, জি চিনতে পেরেছি । আপনি ভালো আছেন? বাবাকে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে দেখে মনটা শান্ত হল। ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম, বাবা যদি আংকেলকে অপমান করেন, তাহলে সবকিছু ঠিক হওয়ার বদলে আরও গুবলেট হয়ে যাবে।

আংকেল ফোন করেছেন, এটা বুঝতে পেরে, বেরিয়ে গেলেন রুম থেকে। খালার দিকে তাকালাম আমি। খালা হাতের ইশারায় আমাকে থামতে বলে মা’র রুমের দিকে চলে গেল । আমিও পায়ে পায়ে গিয়ে দাঁড়ালাম মা’র দরজার পাশে। খালা ঢুকেই মাকে জিজ্ঞেস করল, কী হল আপা, তুমি হঠাৎ উঠে চলে এলে যে?

এমনি, ভালো লাগছে না ।

আপা, সবাই মোটামুটি মেনে নিয়েছে । এবার তো একটু নরমাল হও । ছেলেটার কথাও ভাবো একবার । তোমার পিছে পিছে ঘুরছে অথচ তুমি ফিরেও তাকাচ্ছ না । বুঝলাম তোমার অনেক রাগ হয়েছে; কিন্তু সব রাগই তো এক সময় কমে আসে নাকি? তুমি বলছও না, কোথায় তোমার সমস্যা? মেয়ে ভালো, মেয়ের ফ্যামিলি ভালো….

মা বললেন, আমার কারও ওপরে কোনো রাগ নেই ।

লাবণ্য’র বাবা ফোন করেছে । চলো ঐ রুমে যাই।

মা বিরক্ত হয়ে বললেন, তুই আমাকে এই বিষয়টা নিয়ে বিরক্ত করিস না তো দীপ্তি। ঐ মেয়েকে আমি কখনোই মেনে নেব না । তুই আমাকে যতই বুঝাতে চাস না কেন, লাভ হবে না ।

আপা একটা কথার উত্তর দাও, তারপর আমি চলে যাব । তোমাকে আর বিরক্ত করব না । লাবণ্যকে নিয়ে তোমার সমস্যাটা কোথায়? ওরা বিয়ে করে ফেলেছে। এটা এখন অস্বীকার করার বা পালটে ফেলার উপায় নেই । আমি তো মেয়েটাকে দেখেছি, এমনও ফেলনা কিছুও না মেয়েটা, যেমনটা তুমি মনে করছ ।

ওকে আমার পছন্দ না ।

কেন?

বলতে পারব না ।

বলতে তোমাকে হবে । উত্তর দাও, তোমার উত্তর শুনে আমি চলে যাচ্ছি ।

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মা হঠাৎ বললেন, মেয়ের কোনও দোষ নেই । সব দোষ ওর বাপের ।

কার বাপের?

লাবণ্য’র।

আপা, তুমি চেনো ওর বাবাকে!

হুম, ও হচ্ছে হারামজাদা ফাইরুজের মেয়ে।

কোন হারামজাদা? আরে কী সব গালাগালি করছ, আর কী বলো তুমি, বুঝি না তো । ফাইরুজ কে?

ভুলে গেছিস!

আমিও বাইরে থেকে চমকে উঠলাম । মা আমার শ্বশুরকে চেনেন! কীভাবে সম্ভব ? মা’র সাথে ওনার কখনও দেখা হয়েছিল? কোনও অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছিল তখন? কিছু যদি না-ই ঘটে, মা ওনাকে শুধু শুধু গালি দেবেন কেন? মা’র সাথে ওনার সম্পর্কটাই বা কী?

ছোটো খালা বলল, আমার তো এই নামের কারও কথা মাথায় আসছে না আপা। আমি কখনও দেখেছি তাঁকে? কীভাবে তুমি ওনাকে চেনো, বলো তো । কে এই ফাইরুজ?

সত্যি তোর মনে নেই! বিয়ের কার্ড বিলি হওয়ার পরও ওবাড়ি থেকে বিয়েটা ভেঙে দিয়েছিল ।

ছোটো খালার আতঁকে ওঠা বুঝতে পারলাম। খালা বলল, আপা, বলো কী! এই লোক কোত্থেকে এল? তার নাম তো ছোটন ছিল । হায় আল্লাহ্, এই লোক লাবণ্য’র বাবা! তুমি নিশ্চিত, আপা?

ছোটন তো বদমাশটার ডাক নাম। আমি তো মেয়ের চেহারা দেখেই বুঝে গেছি । সেই চেহারা আর নামটাও রেখেছে…. শয়তান কোথাকার! বাদ দে । কথাটা কাউকে বলতে পারছিলাম না দেখে ভীষণ অস্থির লাগছিল । আমি যে কী মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি, তোকে বলে বুঝাতে পারব না ।

এটা কী হলো আপা? এমনটা তো ভাবিনি । দুলাভাইকে বলেছ কথাটা?

আমি কাউকে কিছু বলিনি । বিশ্বাস কর, মেয়েটার ওপর আমার আলাদা করে কোনও রাগ নেই ; কিন্তু ওর চেহারাটা দেখলেই আমার ঐ লোকটাকে মনে পড়ে যায় বারবার ।

মা’র দরজার পাশে দঁড়িয়ে, ভয়ে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। কী করব বুঝতে পারছি না । পরিস্থিতি যে এমন মোড় নেবে, কে জানত? এমন কিছু শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কার বিয়ে, কীভাবে বিয়ে ভাঙল, কিছুই বুঝতে পারছি না । শুধু মনে হচ্ছে, নিশ্চয়ই কোনও প্যাঁচ লাগবে সামনে। এই প্যাঁচ ছোটানোর সাধ্য আমার অন্তত নেই । মা’র রুমের সামনে থেকে সরে এলাম । খালাকেও আর কিছু জিজ্ঞেস করতে সাহস পেলাম না। জিজ্ঞেস করলে যদি এমন কোনও কথা জানতে পারি, যেটা আমি সহ্য করতে পারব না। শেষ পর্যন্ত কী লাবণ্য’র সাথে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে? উহঃ কী ভীষণ জটিল হয়ে যাচ্ছে সবকিছু । জীবনটা আমরা যত সহজ মনে করি, জীবন আসলে সবসময় তত সহজ হয় না । মাঝে মাঝে জীবনের সরল অংকগুলো খুব কঠিন হয়ে যায়, হিসেব মেলে না ।

**************

“আমি আর লাবণ্য, হাত ধরাধরি করে সাগরের পাড় ধরে হাঁটছি, সূর্যাস্ত দেখছি । অনেকদিনের স্বপ্ন লাবণ্য’র হাত ধরে সূর্যাস্ত দেখার । লাবণ্য’র কানে গোঁজা একটা কাঠ গোলাপ । সোনালি আলোয় ওকে দেখতে কেমন রহস্য মানবীর মতো লাগছে । আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখছি বারবার । লাবণ্য’র বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও আমি পানির দিকে ছুটে যাচ্ছি। লাবণ্য আমার হাতটা ধরে থাকার কারণে, সেও আমার সাথে চলে আসছে পানির কাছাকাছি । হঠাৎ বড় একটা ঢেউ এসে আছড়ে পড়তেই লাবণ্য’র হাতটা ছুটে গেল! আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি ফিরে আসতে; কিন্তু কিছুতেই আসতে পারছি না । আমার চুলগুলো কিসের সাথে যেন আটকে গেল । যতই টানাটানি করছি, ছাড়াতে পারছি না । সাগরের ধারে কিসের সাথে চুল আটকাবে ঠিক বুঝতে পারছি না । আমিও বাঁচার জন্য আরও শক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করতেই মনে হল, মাথাটাই বুঝি ছিঁড়ে যাবে । ব্যথায় চিৎকার করতেই চোখ খুলে গেল। একটু ভালোভাবে তাকাতেই খেয়াল করলাম, লাবণ্য আমার সামনে ঝুঁকে আছে আর ওর মুঠোর ভেতর আমার চুল।”

আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে আসলাম কীভাবে?

কে ? তুমি না আমি? ব্যাপারটা কী? কোথায় যাচ্ছ স্বপ্নের ভেতর দিয়ে? উলটো সাঁতার শিখলে কবে! আমি তো ধরে রাখতে পারছিলাম না।

আমি স্বপ্ন দেখছিলাম এতক্ষণ! স্বপ্নের ভেতর সবকিছু এত বেশি বাস্তব মনে হচ্ছিল কী করে!

লাবণ্য বলল, তোমার সাথে আমার কী কথা ছিল, মনে আছে?

আমার অফিস নয়টায় । বাসা থেকে অফিস যেতে সময় লাগে দশ মিনিট । তাই আমি সোয়া আটটা পর্যন্ত আরামে ঘুমাতে পারি। তারপর উঠে আধ ঘন্টায় তৈরি হয়ে, নাস্তা খেয়ে অফিস যাই। আড়মোড়া ভেঙে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সকাল সাতটা বাজে। এরপরই মনে পড়ল, লাবণ্য তো আমার বেডরুমে! ও এখানে এল কখন আর কী করে? খুব অবাক হয়ে বললাম, তুমি এত সকালে এখানে কী করো?

আমি তোমাকে সময় বেঁধে দিয়েছিলাম । চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যদি আন্টিকে রাজি করাতে না পারো আমার বাবা-মা’র সাথে কথা বলার জন্য, তাহলে আমি চলে আসব । কথাটা বলেই লাবণ্য ইশারায় সাথে আনা লাগেজটা দেখাল ।

ঘুম-টুম সব নিমিষেই দৌড়ে পালাল। তড়াক করে উঠে বসে লাবণ্যর হাত ধরে বললাম, দরজা খুলল কে? মা দেখেছে তোমাকে?

না দেখেননি । আর দেখলেও কোনও সমস্যা নেই । তোমার মতো ভিতুর ডিম হয়ে থাকলে আমার আর ইহজীবনে এই বাড়িতে আসা হবে না ।

হায় হায়, সবকিছু গুছিয়ে আনছিলাম আমি আর ছোটো খালা মিলে আর আংকেলের সাথে তো বাবা’র নিয়মিত কথা হচ্ছেই । তুমি তো দিলে আবার সব ভজঘট করে ।

একটাও কথা বলবে না, একদম চুপ । আজ সাতদিন ধরে আমার বাবা তোমাদের বাড়িতে আসার জন্য সময় চাচ্ছেন আর আংকেল বারবার একই কথা বলছেন, “ভাই আপনাকে দশ মিনিটে জানাচ্ছি।” সাতদিনে কত দশ মিনিট হয় খবর আছে তোমার? তোমার আর খবর রাখার দরকার নাই । ওঠো, উঠে অফিস যাও ।

আর তুমি?

আপাতত আমিও ক্লাসে যাব, তারপর ফিরে এসে দেখা যাক কী করা যায় ।

এখন বুঝতে পারছি ঢেউয়ে ভেসে যাওয়ার স্বপ্ন কেন দেখছিলাম । চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি , লাবণ্য ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে । তবে শেষ পর্যন্ত কোন লাবণ্য জিতবে আর কে হারবে এটা ভাবতেই মনে হল, শরীরে কেমন জ্বর জ্বর একটা অনুভূতি হচ্ছে ।

ডাইনিং টেবিলে যখন পৌঁছালাম, ততক্ষণে সবাই চলে এসেছে নাস্তা করতে । আমার পিছে লাবণ্যকে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেল! ছোঁয়ার মুখে কিছু আটকায় না। সে হুট করে বলে ফেলল, এই আপু, তুমি ভাইয়ার রুম থেকে আসলে কীভাবে ! রাতে এসে লুকিয়ে ছিলে নাকি?

মা-বাবাকে সালাম দিয়ে লাবণ্য আমার পাশের চেয়ারটা টেনে বসল। বাবা সালামের উত্তর দিয়ে টুকটাক কথা বলল ওর সাথে; কিন্তু মা ফিরেও তাকালেন না লাবণ্যর দিকে । পরিবেশটা হালকা করার জন্য মা’কে বললাম, মা আরেকটা ডিম ভাজতে হবে । শিউলিকে বলো আরেকটা ডিম ভেজে দিতে । এরপর আমার সামনে রাখা ভাজা ডিমটা লাবণ্য’র দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম, তুমি এটা খাও, শিউলি ডিম ভাজা আনছে ।

লাবণ্য’র সামনে আমাকে চরম লজ্জায় ফেলে মা হুংকার দিলেন, তোরটা তুই খা, বাসায় আর ডিম নাই ।

‘বাসায় আর ডিম নাই’ এমন ডাহা মিথ্যা কথাটা মা বললেন কী করে? কাল অফিস থেকে ফেরার সময় আমি এক খাঁচা ডিম এনেছি সামনের দোকান থেকে। এক রাতের মধ্যে ত্রিশটা ডিম কে খেয়ে ফেলল!

সাথে সাথেই লাবণ্য, ডিমটা দু’ভাগ করে একটা নিজে রেখে বাকিটা আমার পাতে দিয়ে বলল, কোনও সমস্যা নেই, আন্টি। আমি আর শুভ্র ভাগ করে খেয়ে নিচ্ছি। এরপর সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এই তাড়াতাড়ি খাও । তোমার অফিসে লেট হয়ে যাবে তো ।

সম্ভাব্য ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে খাবার গুঁজে, তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম লাবণ্যকে সাথে নিয়ে। ওকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিতে গেলে আমার অফিসে লেট হয়ে যাবে, তাই সিএনজি অটোরিকশা ডেকে ওকে তুলে দিয়ে, আমি অফিসে চলে এলাম। এখন তো পালিয়ে বাঁচা গেল; কিন্তু রাতে ফিরে গিয়ে কিসের মধ্যে পড়ব, আল্লাহই জানেন। মাথার ভেতর অসংখ্য প্রশ্ন ঠোকাঠুকি করছে। মা’র বিষয়টা যে আসলে কী ঘটেছে, আমার শ্বশুরের সাথে ওনার কী সম্পর্ক, মা যে বিয়েটা ভাঙার কথা বললেন, সেটা কী মা’র বিয়ে ছিল? বিয়েটা কী লাবণ্যর বাবার সাথে, নাকি অন্য কেউ? বিয়েটা কেন ভাঙল? উহ, এই প্রশ্নগুলো আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এই বিষয়টা নিয়ে এই পর্যন্ত লাবণ্য’র সাথেও একটা কথাও বলিনি আমি। সে নিশ্চয়ই এসবের কিছুই জানে না। শুধু শুধু সে-ও একটা টেনশনে পড়ে যাবে।

গত দু’তিন দিন অনেক কষ্টে পার করলেও আজ অস্থিরতা চরমে উঠল। কোনও কাজে মন বসাতে পারছি না। কী করব বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ছোটো খালাকে ফোন দিলাম । ছোটো খালা সবসময়ই আমার শেষ ভরসা। খালাকে জিজ্ঞেস করতেই খালা বলল, ‘এই শুভ্র, তুই কী করে জানলি এসব? কে বলেছে তোকে, লাবণ্য?’

না, না লাবণ্য জানবে কী করে? সেদিন যখন তুমি মা’র সাথে কথা বলছিলে তখন আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম । তখনই শুনেছি । সরি খালা, কথাগুলো শোনা একদম ঠিক হয়নি; কিন্তু তোমাদের মাঝে কী কথা হচ্ছে, সেটা শোনার লোভ সংবরণ করতে পারিনি।

লুকিয়ে অন্যের কথা শোনা ভীষণ অন্যায়।

সরি খালা।

শোন, এক কাজ কর, তুই অফিস শেষে বাসায় চলে আয় ।

কিন্তু লাবণ্য তো বাসায় চলে এসেছে । মা যদি ওকে কিছু…..

আমি জানি সেটা । তোর মা’র সাথে কথা হয়েছে আমার । খুব ভালো করে নিষেধ করেছি যাতে ওর সাথে একদম খারাপ ব্যবহার না করে । এত টেনশন করিস না, চলে আয় তো।

থ্যাংকস খালা। তুমি না সবসময় আমার জীবনে একদম ফেরেশতার মতো হাজির হও।

হুম হয়েছে। আর বলতে হবে না। সব কথার শেষে মনে রাখিস, একা একা এভাবে বিয়ে করাটা ভীষণ অন্যায় হয়েছে তোদের।

জি খালা।

সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে তাহলে।

হুম, আমি অফিস শেষে চলে আসব।

ফোনটা রেখে দিলাম। খালার সাথে কথা বলে মনটা হালকা হল । তারপরও একটা ভয় কাজ করছে , খালার কাছে কী শুনব, কেমন হবে সেই ঘটনা, আমি সহ্য করতে পারব তো?………………………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here