দমকা_হাওয়া,পর্ব- ৮

0
296

#দমকা_হাওয়া,পর্ব- ৮
#ঝিনুক_চৌধুরী

হালকা কামলা রঙের সিল্ক শাড়ি, কপালে ছোট্ট কমলা গোল টিপ, চুলগুলো ঢিলা খোঁপা করা, চোখের কাজল লম্বা করে টেনে দেয়া পিউকে দেখতে আশি দশকের নায়িকা মনে হচ্ছে। স্নিগ্ধ, নির্মল, মিষ্টি চেহারা।
হাতে বিয়ের দিনের লাল রেশমি চুড়ি। জেসমিন আরার চুড়িগুলো পিউর চিকন হাতে বেশ বড় ছিল।
স্বচ্ছ কী পরে বের হবে সেদিকে কারো নজর ছিল না। সে নিজে থেকেই শখ করে পছন্দের টিশার্ট পরেছে । পিউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে এই প্রথম, নিজ স্ত্রীকে নিয়ে। ঠোঁটের কোণে স্মিত হাসি একমুহূর্তের জন্য সরছে না।
ওপরপাশ থেকে আসা রিকশা, গাড়ি, পথচারী সবাই একবার চেয়ে আবার ফিরে তাকাচ্ছে পিউর দিকে। স্বচ্ছর খুব আনন্দ হচ্ছে।
আচ্ছা, ঘোড়ার গাড়িতে চড়লে কি আরো মানুষ দেখতে পাবে?ছোটবেলায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়া মানুষকে দেখে মনে হতো কত সৌভাগ্যবান তারা। এখন অবশ্য কেউ আর খেয়াল করে না। বাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে তাকায় তবে যাত্রীকে দেখার জন্য নয়, ঘোড়ার গাড়ি ও তার ঝনঝন শব্দ শুনে তাকায়।
ইচ্ছে হচ্ছে রাস্তায় চলাচল করা প্রতিটা মানুষকে ডেকে বলতে দেখো আমাদের, এই জুটিটাকে মুগ্ধ হয়ে দেখো, হিংসের চোখে দেখো। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জুটি, শ্রেষ্ঠ জুটি আমরা!
ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করে পেয়েছে স্বচ্ছ। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে আমি পেয়েছি তাহারে পেয়েছি…

রিকশায় পাশাপাশি বসে স্বচ্ছ কিছুক্ষণ পর পর পিউকে দেখছে। কেন দেখবে না? নিজের বউকে দেখবে না তো আর অন্যের বউকে দেখবে? বন্ধুরা জানলে প্রথমেই একচোট মার খাবে স্বচ্ছ। অনার্স এখনো শেষ হয় নি, সবাই মুখ গুঁজে পড়ছে, সেখানে প্রেমটেম কিছুই না করে একবারে বিয়ে করে বসেছে স্বচ্ছ। তাও সবার পরিচিত পিউকে। স্বচ্ছ যে মনে মনে পিউকে ভালোবাসতো তা-তো কাক পক্ষীও জানতো না। যখন জানবে বন্ধুদের কাছ থেকে পিঠ বাঁচানো মুশকিল হবে। নিজের মনেই হেসে ওঠে স্বচ্ছ ।
পিউর দিকে আবার তাকালে কানের নীচের লাল তিলের দিকে চোখ যায়। হঠাৎই ভিন্ন অনুভূতি জেগে ওঠে মনে। মুখ লাল হয়ে ওঠে, মন পুলকিত হয়। রিকশার দোলায় ক্ষণে ক্ষণে পিউর কাঁধে কাঁধ ছোঁয়ায় বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি যেন নেচে বেড়াচ্ছে চারপাশে। আচ্ছা, পিউর মনেও কি একই অনুভূতি হচ্ছে?
-পিউ!
-হুম!
-তোমার হাত ধরতে পারি?
-না।
স্বচ্ছ পুরোই দমে যায়। এভাবে মুখের উপর পিউ মানা করে দিল?
কিছুক্ষণ উসখুস করে নিজ থেকেই পিউর হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে আসে।
কিছু বলে না পিউ। চুপ করে রয়।
মনে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় স্বচ্ছ। প্রচলিত কথাটি তাহলে সত্যি, মেয়েদের না তে হ্যাঁ লুকিয়ে থাকে।
-পিউ, তোমাকে কিছু গিফট করতে চাই। আমার কার্ডে বেশি টাকা নেই। আটাশ হাজার আছে হয়তো। এই টাকায় ডায়মন্ডের আংটি হবে?
–আমার জানা নেই?
–তোমার তো জানার কথা। এর আগে কিনো নি বুঝি?
–কিনেছি। আমি পছন্দ হলেই কিনে নেই। দাম জিজ্ঞেস করি না।
–ওহো, চুপসে যায় স্বচ্ছ।
পছন্দ হওয়া মাত্রই কেনা মানুষ বাজেটে চলা কি করে বুঝবে? কেন আগ বাড়িয়ে হীরের আংটি বলতে গেল? স্বর্ণের আংটি হবে কিনা তাই তো জানে না।
– আমার কাছে তো বেশি টাকা নেই। এ টাকায় যদি তোমার পছন্দের কিছু না হয়?
–আমাকে ডায়মন্ডের আংটি দিতে হবে কেন? আমার বাপ অনেক বড়লোক বলে?
স্বচ্ছ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। মেয়েটা বরাবর বেফাঁস কথা বলে। সুন্দর মুডটা পুরোই নষ্ট করে দিলো। যদিও ভুল বলে নি পিউ, ওকে ডায়মন্ডের আংটি কেন দিতে হবে? অজান্তেই ভালোবাসাকে টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করছে না তো?
–আমার বাবা বড়লোক বলে কি আমি সারাক্ষণ নিজেকে মনি মুক্তায় মুড়িয়ে রাখি? আমি কি আপনাদের সাথে টং দোকানে বসে চা খাইনি, পহেলা বৈশাখে ফুটপাত থেকে চুড়ি টিপ কিনি নি?
স্বচ্ছ হেসে ফেলে। পিউর কথায় পরিবেশটা আবার ঝরঝরে হয়ে গেল।
–সরি! বাই দ্য ওয়ে বৈশাখে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছিল। চাশমা ছাড়া এসেছিলে সেদিন।
–হুম, এরজন্যে ব্যাগে চিরকুট পেয়েছিলাম।
–না না, ওটা আমি লিখি নি।
–আমি তো বলিনি আপনি লিখেছেন। ওটা হয়তো অন্য কেউ লিখেছে। হয়তো মাহিন ভাই।
স্বচ্ছ গাল ফুলিয়ে বলে, ওটা আমিই লিখেছিলাম। মাহিন না।
পিউ মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসে।
–আচ্ছা, তোমার যার সাথে বিয়ে ঠিক ছিল তার নাম কি?
–নয়ন।
–ও তোমার বন্ধু ছিল?
–এখনও ভালো বন্ধু।
–তোমার রাগ হয় না সে তোমাকে বোকা বানিয়ে বিয়ের দিন পালালো।
–না। ও তো আরেকজনকে ভালোবাসে।
–তাহলে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হলো কেন?.
নিশ্চুপ।
–তুমি কি ওকে ভালোবাসতে?
-হুম!
স্বচ্ছর বুকে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে।
–একটা স্বার্থপর ছেলেকে তুমি ভালোবাসতে?
–এখনো বাসি।
–এখনো? চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে। অভিমানী কণ্ঠে স্বচ্ছ বলে, তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন?
–আপনার হিসাব আলাদা।
–আমার হিসাব? আমি তোমার হিসাবের মধ্যে পড়ি?
পিউ ভ্রু কুঁচকে হাত সরিয়ে নিতে চায়। স্বচ্ছ ছাড়ে না।
-পিউ , তুমি সত্যিই নয়নকে ভালোবাসো ?
–হ্যাঁ বাসি। ও আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। এ ব্যাপারে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।
–তুমি অন্য একজনকে ভালোবাসবে। বিয়ে করবে আমাকে। আমি এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবো না?
–না করবেন না। কারণ ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। ও অনেক কেয়ারিং একটা ছেলে।
–আমি কেয়ারিং নই? তুমি যখন থেকে আমাদের আড্ডায় আসতে আমি সবসময় তোমার পাশে বসতাম, তোমার খেয়াল রাখতাম তুমি কি তা একবারও টের পাও নি?
– আপনি একটা হিংসুটে ছেলে।
–আমার বউ অন্যকে ভালোবাসবে আর আমি হিংসা করবো না?
পিউ ফিক করে হেসে ওঠে।
–হাসছো কেন?
–আপনি নয়নকে চেনেন না। যখন চিনবেন তখন খুশিতে জড়িয়ে ধরবেন।
–জীবনেও না, মরে গেলেও না, কখনোই না। গাল ফুলিয়ে স্বচ্ছ অন্যপাশে মুখ ঘুরায়।
–আচ্ছা, নয়ন পালিয়েছে বলেই তো আমি আপনার বউ হয়েছি নাকি নয়ন ফিরে আসলে আপনি খুশি হবেন?
স্বচ্ছ সন্দেহ চোখে তাকায়। এই মেয়ের মাথায় কি ঘুরছে? নয়ন ফিরে আসবে কেন? পিউর হাত আরো শক্ত করে ধরে স্বচ্ছ।
পিউ হেসে উঠে। স্বচ্ছর নিজেকে বোকা মনে হয়।
পিউর হাসি, পাশাপাশি বসে চলা, খানিক ছোঁয়া সবকিছু স্বচ্ছকে নেশাচ্ছন্ন করে রাখছে। এ মায়াবী মোহ থেকে বের হতে ইচ্ছে করছে না একদম কিন্তু পিউর মনে কার বাস তা জানতেও মন মরিয়া হয়ে আছে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে পিউ বলে, তুমি আমাকে গিফট করবে না।
স্বচ্ছর মনে বরফ জমা হিংসায় মুহূর্তে সূর্যের কিরণ ছড়ায়। ‘তুমি’ ডাকটা কি মিষ্টি!
আরেকটু কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরা যেত যদি এই মেয়েটাকে!
উৎফুল্ল মনে বলে, চলো, কোনো শপিং মলে যাই।
-না, আমাকে ডাব খাওয়াও।
-ডাব খাবে?
-হুম।
রিকশা থামিয়ে দুজন ডাব খায়। পানি এতো মিষ্টি ছিল যে ওরা আরো দুটো খায়। স্বচ্ছর মুড পুরো চনমনে হয়ে যায়। রিকশায় উঠে আবার পিউর হাত নিজের হাতে আনে।

প্রেমের গল্প করতে ইচ্ছে করছে। কি গল্প করবে? তোমাকে সুন্দর লাগছে খুব সেকেলে কথা। আধুনিক কথা কী তবে?
বাজারে এমন বই কি আছে যেখানে থাকবে হাজারটি আধুনিক প্রেমের কথামালা? দারুন হতো তবে!
একটু আগে বলল বৈশাখে তোমাকে সুন্দর লেগেছে সাথে সাথে কি উত্তর এলো, এরজন্যই চিরকুট লিখেছিলেন।
এই মেয়ে জানে, একটা চিরকুট লিখতে সাত দিন লেগেছে? বুকে সাহস সঞ্চয় করে ব্যাগে পাচার করতে দুমাস লেগেছে অথচ এক মুহূর্তে কেমন রসকষ হীনভাবে বলে ফেললো! আবেগ এতো কম কেন মেয়েটার?
–পিউ, আমি যে সবসময় তোমার পাশে বসতাম তুমি খেয়াল করতে?
–প্রথমে করিনি। পরে যখন বোকা কথার জন্য মৃদুলয়ে প্রায়ই ধমকে খেতাম তখন খেয়াল করেছি।
-আমি কি শুধু ধমক দিতাম নাকি? অন্যপাশে মুখ ফিরিয়ে স্বচ্ছ বলল, খালি ধমকই দেখলে ভালোবাসা দেখনি।
–ধমক তো খারাপ কিছু না। একটা অপরিচিত মানুষ সবসময় পাশে বসে ভুলভাল কথার জন্য ধমকালে সেখানে তো ভালোবাসাই মেশানো থাকে। তাই না?
স্বচ্ছ মুখ উজ্জ্বল করে তাকায়।
–তুমি তো অনেক সুন্দর করে বললে। এতটাও বোকা মেয়ে তুমি নয়।
–আমি বোকা নই। চালাক হওয়ার আমার প্রয়োজন পড়ে নি। কারণ আমার আশেপাশে সবাই অনেক ভালো মানুষ। তুমিও ভালো মানুষ।
–কে?
–তুমি।
–নাম বলো।
–স্বচ্ছ।
–এতো রুক্ষভাবে বলছো কেন? মিষ্টি করে লাজুক হেসে বলো।
–রওনক হোসেন স্বচ্ছ।
— ধ্যাত! তুমি সত্যিই একটা আনরোমান্টিক মেয়ে!
রিকশাওয়ালা মামা খিকখিক করে হেসে ওঠেন।
উনার হাসি শুনে স্বচ্ছ পিউ দুজনেই হেসে ওঠে।

পিউর আঙ্গুলগুলো বাচ্চাদের মতো টেনে দিতে দিতে স্বচ্ছ বলে, সেদিন আমাকেই তুমি কেন কল করেছিলে?
–কারণ তোমার নাম সবার উপরে লিখেছিলাম।
–এটাই কি কারণ? আমি লিস্টের প্রথম নাম ছাড়া আর কিছু না?
পিউ উত্তর দেয় না। মনোযোগ দিয়ে ফুটপাতের দেয়ালের লেখা পড়ে।
–পিউ, কি এতো মনযোগ দিয়ে দেখছো?
–তেলাপোকা মারার ঔষধ পাওয়া যায়।
-আমি তোমাকে কি বলছি, আর তুমি কি করছো?
-কি করবো? তুমি তো বিটিভির খবর হয়ে গেছো। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই সংবাদ পাঠ করে যাচ্ছো। আর কোনো কথা খুঁজে পাও না?
–তুমি কেন একবারও বল না আমাকেও তুমি পছন্দ করতে? আমাকেও তুমি চাইতে। আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো আমাকে ভালোবাসো…
পিউ মুখ শক্ত করে বলে, নিজেকে আগে জিজ্ঞেস কর, তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা?
–হ্যাঁ বাসি। অবশ্যই বাসি।
–না বাসো না। আমার বিয়ে হচ্ছিল অথচ তুমি জানতেই না।
–না জানালে কিভাবে জানবো?
–ভালোবাসলে সব খবরই রাখতে হয়।
স্বচ্ছ চুপ হয়ে যায়।
পিউ নিজের হাত আবার ছাড়ানোর চেষ্টা করে।
স্বচ্ছ বিরক্ত চোখে চেয়ে বলে, বার বার হাত টানাটানি করছো কেন? আমি ছাড়বো না বুঝতেই তো পারছো।

-মামা রিকশা ঘুরান। বাসায় যাবো।
স্বচ্ছ গলার স্বর নরম করে বলে,আচ্ছা সরি! আর এ প্রসঙ্গ তুলবো না। রিকশা ঘুরানোর দরকার নেই।
–আছে। আমি বাসায় যাবো।
–বললাম তো সরি।
–না, আমাকে ওয়াসরুমে যেতেই হবে। ডাবের পানি খেয়ে এখন… চেপেছে। বাসায় চলো।
রিকশার একেকটা ঝাঁকিতে স্বচ্ছরও খবর হয়ে যাচ্ছে। কেন যে ডাব খেতে গেল? তাও দুটো করে!
মামা ঘুরান তো রিকশা।
———
জেসমিন আরা ছোট্ট নাতাশার জামাগুলো নেড়েচড়ে দেখছেন। সাত দিন, এক মাস, ছয় মাস, এক বছর, দুবছর…. চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে। শেষ কদিনের জামাগুলো ….. জামা নেড়ে বিরবিড় করেন, আমার পরী সোনা…..আমার জান পাখী।
কলিং বেল বাজতেই চমকে ওঠেন তিনি। স্বচ্ছর বাবা এলো নাতো। জামাগুলো দেখলে অনেক রাগ করবে। ঝটপট ব্যাগটা আগের জায়গায় রেখে দরজা খুলতে ছুটেন।
দরজায় পিউ ও স্বচ্ছকে দেখে হা হয়ে যান। এক ঘণ্টাও হয়নি, দুজন ফেরত চলে এসেছে।
দুজনের চোখ মুখ কুচকে আছে। কি হলো এদের?
-আম্মু সরো জলদি। অনেকটা ধাক্কা দিয়ে স্বচ্ছ কমন বাথরুমে ছুটে। পিউ নিজ রুমের দিকে ছুটে।
জেসমিন আরা থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
–এই স্বচ্ছ কি হয়েছে তোদের? পেট খারাপ হয়েছে? রাস্তায় কি খেয়েছিস?
বাথরুম থেকেই স্বচ্ছ বলে, ডাব।
–ডাব! ডাব খেতে গেলি কেন? ঘর থেকে পানি খেয়ে বের হোস নি। ছাগল! আহাম্মক! বউ নিয়ে ঘুরতে বের হলি পঞ্চাশ মিনিটে ফেরত এলি। এদিকে তোর দায়িত্বশীল বাপ ভাবে আমি তোদের আলাদা করে রাখি। তোর বাপকে বলিস তুই নিজে একটা মহিষ। বউকে ঘুরাতে নিয়ে ডাব খেয়ে বাপ বাপ করে ঘরে ফিরেছিস। কোথায় ঘুরে ফিরে খেয়ে দেয়ে রাতে আসবি তা না। খবরদার সন্ধ্যার চা-নাস্তা আশা করবি তো। হাড্ডি গুড়ো করে কবুতরকে খাইয়ে দিবো।

চলবে।।

বউ শাশুড়ীর সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই চমৎকার সব মন্তব্য করেছেন। অনেকে জেসমিন আরার মতো শাশুড়ী হবে, অনেকে পিউর মতো বউ চায়, অনেকের শাশুড়ী শ্রেষ্ঠ শাশুড়ী ছিল বা আছে। কি যে মন ভালো করা মন্তব্যগুলো!
কেউ কেউ গল্পে আসন্ন বিপদও আঁচ করতে পেরেছেন। স্যাড এন্ডিং যেন কোনোভাবে না হয় লিখেছেন।
দমকা হাওয়া নামকরণটাই হয়তো ঠিক হয় নি। কারণ একটা দমকা হাওয়া আসবে শেষ পর্বে। ভয়ংকর হাওয়া। সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে তাতে। শেষ পর্বটি আমি এখনো লিখিনি, সাজাতে পারছি না বহুদিন ধরে।
জানি না কি লিখবো।
একবার ভাবছি নিষ্ঠুর অংশটি লেখা উচিত , সেটাই বাস্তবতা। আবার ভাবছি নাহ, অতি সাদামাটা হাস্যোজ্জ্বল ভাবে গল্পটা শেষ করি।
উল্টো পাল্টা লিখে পাঠকের দৌড়ানি না খাই আবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here