হৃদয়ের_মাঝে_তুই #লেখিকা__ফিহা _আহমেদ #পর্বসংখ্যা__০৩

0
599

#হৃদয়ের_মাঝে_তুই
#লেখিকা__ফিহা _আহমেদ
#পর্বসংখ্যা__০৩

ফাহাদ টেবিল থেকে ইংরেজি বইটি হাতে নিয়ে বললো,,ফিহা কাল তোমায় ইংরেজি যে হোমওয়ার্ক গুলো করতে দিয়েছি শেষ করেছ।
ফিহা মাথা নিচু করে বললো,, না।
ফাহাদ কিছু বললো না।
ফাহাদঃ কালকের পড়া গুলো বের করো আমি আবার বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ফিহা অবাক হলো,, ফিহা ভেবেছিলো আজকে অনেক শাস্তি দিবে। কিন্তু কি হলো আজকে।জিন আঁচড় মারেনি তো।
আমি এইটাই বুঝিনা ওনি তো ওনার বাবার অফিসে গিয়ে কাজ করতে পারে। ওনি শিক্ষকতা কেন করেন।আমার জীবনটা তেজপাতা করে দিচ্ছে। আরে ভাই এত প্যারা নিয়ে কি লাভ।

ফাহাদঃ ভাবা শেষ হলে হোমওয়ার্ক গুলো বের করো।

ফিহা হোমওয়ার্ক গুলো বের করে ফাহাদের সামনে রাখলো।
ফাহাদ ইংরেজি পড়াগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে আর ফিহা ফাহাদকে দেখছে। ফাহাদ যে পড়াচ্ছে সেই দিকে ফিহার খেয়াল নেই।সে তো ফাহাদকে দেখেই যাচ্ছে।

ইস,, একদম চকলেট বয়।খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। চকলেট কালার শার্টে একদম চকলেট বয় লাগছে। এত সুন্দর কেন আপনি স্যার মন চায় সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকি( মনে মনে এইসব ভাবছে )।।

ফাহাদ পড়াতে পড়াতে ফিহার দিকে চোখ পরতেই থমকে গেলো।
ফিহার চোখে চোখ পড়লো।
ফাহাদও তাকিয়ে আছে ফিহার দিকে।

ফিহা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচে নামিয়ে ফেলেছে। গাল দুইটা লাল হয়ে গেছে। কান দিয়ে যেন গরম ধোঁয়া বেরোচ্ছে লজ্জায়।

ফাহাদ অপলক দৃষ্টিতে সেই লজ্জামাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। লজ্জা ফেলেও বুঝি কাউকে এত সুন্দর লাগে।

ফাহাদ আর কিছুক্ষণ পড়িয়ে আজকে পড়া না পারার শাস্তি হিসেবে আর বেশি করে ইংরেজি পড়া দিয়ে গেছে।
ফিহা যেন আকাশ থেকে পরলো। ফাহাদ যে এমন কিছু করবে সে এখন ও শকট এ আছে।
রাগে দুঃখে ফিহার নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।ওনি ভালো করেই যানে আমি ইংরেজিতে পুরু কাচাঁ।

শালা বাদরের তিন নম্বর বাচ্চা, হনুমান, নীল টিকটিকির বিশ নম্বর বাচ্চা। আমি তো ভাবলাম আজকে শাস্তি পেতে হবে না। যেইভাবে একটিং করলো।
হাতি একটা তুই বিয়া করলে বাসর রাতে তোর বউ পালাবে হু। তোরে অভিশাপ দিলাম হু।

ফাহাদ ফিহাকে পড়ানো শেষ চলে যাচ্ছিলো।এমন সময়,,,,,,,,,

মিসেস রাজিয়াঃ আরে ফাহাদ পড়া শেষ। আমি খাবার বেড়ে রেখেছি। খেয়ে যাও বাবা।সারাদিন না খেয়ে আছো হয়তো।
ফাহাদঃ না আন্টি আমি এখন খাব না। আমার কিছু কাজ আছে পরে খাব অন্য একদিন।

মিসেস রাজিয়ার জোরাজোরিতে ফাহাদ খাবার খাওয়া শুরু করলো।

ফিহা কলেজ থেকে আসার সময় তার প্রিয় পটেটো চিপস দু প্যাকেট, জুস,চকলেট কিনে এনেছিলো দোকান থেকে। মন খারাপ হলে ওর এই প্রিয় খাবার গুলো খেলে মন অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়।
মা তখন বকা দেওয়ার ফিহা খাবারের প্যাকেট খাবারের টেবিলে রেখে চলে এসেছিলো। এখন প্যাকেট নিতেই নিচে নামছিলো। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখলো ফাহাদ আয়েশ করে খাচ্ছে।

কই আমাকে তো এইভাবে আদর করে খাওয়ায় না। আর এই ছোকরারে কীভাবে আদর-যত্ন করে খাওয়াচ্ছে। মাঝে মাঝে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়।মনে হয় হুট করেই এইখানে চলে এসেছি।

ফিহা ইচ্ছে করেই শব্দ করে হেটে আসছে। কিন্তু ফাহাদ সেইদিকে না তাকিয়ে আগের মতো খেয়ে যাচ্ছে।
ফিহার খুব রাগ হলো। ফাহাদ একবার ও তার দিকে তাকালো না।এমন ভাব করছে যেন কেউ নেই এইখানে।
ফিহা রেগে খাবারের প্যাকেটটা নিয়ে চলে গেল।

ফিহা রুমে গিয়ে ফাহাদকে কিছুক্ষণ বকাবকি করে সাওয়ার নিতে চলে গেলো।
সাওয়ার নিয়ে ফিহা একটা লম্বা ঘুম দিবে।

ফিহা সাওয়ার শেষ করে মোবাইল নিয়ে খাটের ওপর চলে গেল। বালিশে মাথা দিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে তার প্রিয় গানটা শুনতে লাগলো।

Meri raahein
Tere tak hain
Tujhpe hi toh
Mere haq hai
Ishq mere
Tu beshaq hai
Tujhpe hi toh
Mara haq hai
Saath chorugina
Tere picha aaungi
Chheen lungi ya khuda se maang laaungi
Tere naal
Teqdeeran likhwaungi
Main teri
Ban jaungi.. (2)

[বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন]
আমাদের °ফিহুপাখি° ঘুমিয়ে পরলো গান শুনতে শুনতে। চলুন আমরা ও একটু ঘুমিয়ে আসি।

চলবে,,,,,,,,,

[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]

————————————————————–
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]
#ফিহা আহমেদ 🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here