হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২) #লেখিকা__ফিহা_আহমেদ #পর্বসংখ্যা_১৪

0
365

#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১৪
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]

ফিহা থ্রাড ইয়ারের ক্লাসে গেল।
ক্লাসে একদল ছেলে মেয়ে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
ফিহা পিছন থেকে….. আপনাদের মাঝে রওশান ভাইয়া আছে কি?
সবাই পিছনে ফিরে দেখলো।।
রওশানঃ হ্যাঁ। এইতো আমি।কিছু বলবে। ধানিলংকাকে দেখছিনা যে।
ফিহা ব্রু কুঁচকে….. ধানিলংকা মানে।।
রওশানঃ আরে আমি তোমার বান্ধবীর কথা বলছি।

ফিহাঃ ভাইয়া মজা করার সময় নেই। ঝিনুক হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে।
ও বাড়িতে ও যায়নি।আর ওর ফোনটা বন্ধ দেখাচ্ছে।

রওশান এর বুকটা ধক করে ওঠলো।
রওশানঃ কি বলছো ফিহা ও তোমার সাথে ছিলনা।
ফিহাঃ ছিল।
ফিহা আড় চোখে ফাহাদের দিকে তাকিয়ে…. আসলে আমি লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম ওকে রেখে।এর মধ্যেই ওকে আর খুঁজে পাচ্ছি না।
ফাহাদঃ রওশান সময় নষ্ট না করে আমরা সবাই মিলে ঝিনুককে খুঁজে বের করি।।
রওশানঃ হুম।। চল।।

জাহিদঃ রওশান আগে ভার্সিটির চারপাশে খুঁজে দেখি।তারপর অন্য জায়গায় দেখবো।

লাবিবাঃ জাহিদ ঠিক বলেছে রওশান। চল আমরা সবাই মিলে খুঁজে দেখি।
সবাই তন্নতন্ন করে পুরো ভার্সিটি খুঁজলো কিন্তু কোথাও ঝিনুককে ফেলো না।
রওশান তো ভেঙে পরেছে।
রওশান হাঁটু গেড়ে বসে কান্না শুরু করলো।

ফাহাদঃ প্লিজ রওশান এখন কান্নার সময় না।ঝিনুককে কিভাবে বাহির করবো সেইটা ভাবা উচিত।
তখনি ভার্সিটির গেইটের বাহির থেকে ফিহার চিৎকার ভেসে আসলো।
ফাহাদের কলিজা কেঁপে উঠল।
——- ফিহার কিছু হয়নি তো।
সবাই একসাথে ছুটলো গেইটের দিকে……..

ফাহাদঃফিহা কি হয়েছে এইভাবে চিৎকার দিলে কেন।
তখন ফিহা ফাহাদেকে কয়েক টুকরো ভাঙা কাঁচের চুরি দেখালো।
ফাহাদঃ মনে হয় ও কিডন্যাপ হয়েছে । এই ভাঙা কাঁচের চুরি গুলো ও আমাদের ওকে বাহির করার জন্য বুদ্ধি করে ফেলে গিয়েছে।
রওশানঃ তাহলে তাড়াতাড়ি এই রাস্তা দিয়ে চল।
সবাই ফাহাদের গাড়িতে ওঠে বসলো।

ফাহাদ গাড়ি ড্রাইভ করছে।
ফিহা মনে মনে…… সব আমার জন্য হয়েছে।ঝিনুককে একা রেখে যাওয়া উচিত হয়নি।
ওর কিছু হলে আমি নিজেকে কোনোদিন ক্ষমা
করতে পারবো না।
ফিহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরলো।

লাবিবাঃ ফাহাদ গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দে।হতে পারে আমরা ঝিনুককে পেয়ে ও যেতে পারি।
ফাহাদ গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দিলো।

তখনই সামনে একটা কালো রঙের গাড়ি দেখতে পেলো।
জাহিদঃ একটা জিনিস লক্ষ্য করেছিস ফাহাদ আমাদের গাড়ির গতি যত বাড়ছে সামনের কালো রঙের গাড়িটার গতি ও তত বাড়ছে।
ফাহাদঃ আমি ও অনেকক্ষণ যাবত খেয়াল করছি।
রওশানঃ আমার কেমন জানি মন বলছে ঝিনুক এই গাড়িতে আবার…..
ফাহাদঃ তুই ঠিক বলেছিস।তোরা একজন আরেকজনকে শক্ত করে ধর।আমি গাড়িটা ধরার চেষ্টা করছি।।

ফাহাদ গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিল।

বস মেয়েটাকে কি করবো।নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
বসঃ মেয়েটির অবস্থা খারাপ মনে হচ্ছে। কি করি এখন।মেয়েটার মুখ থেকে কাপড়টা সরিয়ে দে।
………ঠিক আছে বস।

মেয়েটির মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে দিতেই……. কেউ আছো….. আমাকে সাহায্য করো।
বসঃ এই তাড়াতাড়ি মেয়েটির মুখ চেপে ধর।ধরা পরলে সব শেষ। তাড়াতাড়ি গাড়ি চালা।

……বস মেয়েটির মনে হয় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে কি করবো এখন।
বসঃ মেডাম কে ফোন দিয়ে দেখি।
লোকটার বস ফোন দিয়ে…
…………..হ্যালো মেডাম মেয়েটার অবস্থা ভালো না।

মেডামঃ কেন আমার আগেই তোমরা……
বসঃ আসলে মেডাম মেয়েটার মুখে কাপড় বেধে দেওয়া হয়েছে। খুব জোরে কাপড়টা বাধায় মেয়েটির নাক দিয়ে রক্ত পরছে। আর নিশ্বাস ও বন্ধ হয়ে আসছে।

মেডামঃ ভেবেছিলাম ওকে নিজের হাতে মারবো। এখন দেখছি তার আগেই মৃত্যুর ডাক চলে আসল। চলতি গাড়ি থেকে ফেলে দাও।বলেই……..
ফোন কেটে দিল।

ফিহাঃ তোমরা কারোর চিৎকার শুনলে।
লাবিবাঃ মনে হচ্ছে ওই গাড়িটা থেকে চিৎকার আসছে।

রওশানঃ এই এই সামনে দেখ মেয়েটাকে চলতি গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে। আমার ঝিনুক নয়তো।
ফিহাঃ ঝিনুক যেন না হয়।
জাহিদঃ গাড়ি থামা ফাহাদ।
সাথে সাথে মেয়েটার সামনে গাড়ি থামালো ফাহাদ।
সবাই গাড়ি থেকে নেমে মেয়েটার কাছে যেতেই সবার মাথায় বাজ পরলো।……..

চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here