হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২) #লেখিকা__ফিহা_আহমেদ #পর্বসংখ্যা_১৯

0
280

#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_১৯
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]

লাবিবা আর জাহিদ ছুটিয়ে প্রেম করছে।ওদের দুজনের পরিবার ওদের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছে।
ঝিনুক আর রওশান সারাক্ষণ ঝগড়া লেগেই থাকে।
ঝিনুক রওশানকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।
ফিহা আর ফাহাদ দুজন দুজনকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলতে পারছেনা।

ফিহাঃ আজকে দেরি করে ফেলেছিস।দৌড়া ফিহা দৌড়া ক্লাসটা কিছুতেই মিস করা যাবেনা।
ফিহা যত দ্রুত সম্ভব দৌড়াচ্ছে। মতিন স্যারের ক্লাস মিস করা যাবেনা।
দৌড়ানো অবস্থায় ফিহার পা হঠাৎ করেই থেমে গেল।
ফিহাঃ আমি কি কিছু দেখলাম।
ফিহা ফাঁকা ক্লাসটার দিকে উঁকি দিতেই ফিহার পুরো পৃথিবী থমকে গেল।
ফিহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরলো।
——- ফাহাদ জেরিনকে লিপ কিস করছে।
আর ফিহার হাত-পা যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে এইসব দেখে। ফাহাদকে সে যা ভেবেছিল আসলে বাস্তবে ফাহাদের অন্য আরেক রুপ ফিহার সামনে প্রকাশ পেয়েছে।
ফিহার পা সামনে এগোচ্ছে না।হাত- পা যেন কেউ বেঁধে রেখেছে।
ফিহা কোনোরকম সেখান থেকে ক্লাসে গেল।
ফিহাঃ স্যার আসতে পারি।
মতিন স্যারঃ তুমি পঁচিশ মিনিট দেরি করেছো।এখন তোমায় শাস্তি পেতে হবে। যাও মাঠের মাঝখানে সূর্যের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো।
ফিহা কিছু না বলে স্যার যেমনটা বললো ও তাই করলো।

অন্যদিন হলে স্যারের কাছে মাপ চেয়ে নিতো।কিন্তু আজকে কোনো কিছুই বললো না ফিহা।
ঝিনুক ভীষণ অবাক হলো।
—- ফিহুর আবার কি হলো মনে হলো ফিহু ভালো নেই।

ফাহাদঃ কই কিছুই তো দেখতে পাচ্ছি না জেরিন।
জেরিনঃ তাহলে কিছু নেই।আমার তো মনে হয়েছিল চোখে কিছু ঢুকেছে।
ফাহাদ বিরক্তি নিয়ে…. যেহেতু কিছু নেই এখন যেতে পারিস।
জেরিনঃ হুম।
বলে চলে গেল।
জেরিন হাঁটতে হাঁটতে…প্ল্যান সাকসেসফুল। এইবার ফিহা তোকে কিছুতেই বিশ্বাস করবে না ফাহাদ। খুব তো মাখামাখি করছিলি।এইবার খেলা শেষ হবে।আর তুইও আমার হয়ে যাবি।

আসল কথা হলো….ফাহাদের ফিহাকে মিস করছিলো। তাড়াতাড়ি ভার্সিটি এসেছিলো ফিহাকে একটু বেশি দেখবে বলে কিন্তু ফিহা আজকে ঘুম থেকে ওঠতে দেরি করে ফেলেছে। এজন্য ফিহা দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছিলো ক্লাসে।
ফাহাদ বন্ধুদের থেকে একা থাকার জন্য ফাঁকা ক্লাস রুমটার জানালার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো।
ফাহাদকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জেরিন তখন ফাহাদের কাছে আসতেই দেখলো ফিহাও আসছে।তাই জেরিন এই সুযোগটা কাজে লাগালো।
— চোখে কিছু ঢুকেছে মিথ্যে অভিনয় করে ফিহাকে ভুল বুঝিয়েছে।

ফিহা সূর্যের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর চোখ দিয়ে জল পরছে।
ফাহাদ ক্লাসের জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাতেই থমকে গেল।
ফাহাদ দ্রুত মাঠের মাঝখানে গিয়ে ফিহাকে ধরতে যাবে।ফিহা ফাহাদকে ধাক্কা মারে।ফাহাদ বুঝলো না কেন ফিহা এমনটা করলো।
ফিহা চারপাশে কেমন অন্ধকার দেখছে।ফিহা ওই অবস্থাতেই মাটিতে পরে গেল। ফিহা অজ্ঞান হয়ে গেছে।

ফাহাদ ফিহার কাছে এসে দেখলো ফিহা জ্ঞান হারিয়েছে। রাগে ফাহাদের মাথার রগ ফুলে গেছে।
ফাহাদঃ আজকে ওই মতিনের বাচ্চার শেষ দিন।মেরেই ফেলবো এই শালারে। আমার ফিহুপাখিকে কষ্ট দিলো।
এরই মধ্যে সব ছাএ ছাএী মাঠে এসে হাজির।
ঝিনুক ক্লাস থেকে দৌড়ে এসে…. ফিহা এই ফিহা চোখ খুল।ভাইয়া ফিহা…..
ফাহাদ হাত দিন মানা করলো কোনো কথা না বলতে।
ফাহাদ হাত মুষ্টি বদ্ধ করে সামনে এগোতে যাবে তখনই রওশান ফাহাদের কাঁধে হাত রেখে…
—- ভাই মতিন স্যার কে পরে দেখিস আমাদের ফিহাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
ফাহাদ রওশানকে কিছু না বলে ফিহাকে কোলে তুলে নিলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।
ঝিনুক, রওশান, জিহাদ, লাবিবা ও ফাহাদের পিছনে পিছনে গেল।

এইদিকে মতিন স্যার ফাহাদের ভয়ে পালিয়েছে।
আজকে ফাহাদের সামনে থাকলে এতক্ষণ হাসপাতালের বেডে থাকতাম।
এইদিকে জেরিন রাগে ফুঁসছে….যতই এদের দুজনকে আলাদা করতে চাই ততই ওরা আরো কাছাকাছি চলে আসে।না অনেক হয়েছে আর নয়।এবার এমন কিছু করতে হবে যেন দুজন দুজনকে ঘৃনা করে। আর যদি তা ও না হয় তাহলে একটাই কাজ….. “””ফিহার মৃত্যু “””
বলে একটা পৈশাচিঁক হাসি দিল।

চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here