হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২) #লেখিকা__ফিহা_আহমেদ #পর্বসংখ্যা_০৯

0
321

#হৃদয়ের_মাঝে_তুই(সিজন – ০২)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_০৯
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌]

ঝিনুক পিছনে তাকিয়ে রওশানকে দেখে ভীষন বিরক্ত হলো।
ঝিনুকঃ সমস্যা কি আমার চকলেট নিলেন কেন। দিন বলছি।
রওশানঃ না দিলে কি করবে।
ঝিনুকঃ কি করবো সেটা করলেই বুঝতে পারবেন।
এখন আমার চকলেট দিন।

রওশান ঝিনুকের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে,,,, ইস কি কিউট মেয়েটা।মেয়েটার মুখটা কেমন মায়াবী লাগছে। নীল-কালো শাড়িতে একদম অস্পরীর মতো লাগছে। তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করছে।
মন চাইয়ে পুতুলের মতো বসিয়ে রেখে সারাদিন বসে বসে দেখি।

ঝিনুকঃ আরে এইভাবে কি দেখছেন। জীবনে মেয়ে মানুষ দেখেন নাই নাকি।আমার চকলেট দিন।

রওশান ঝিনুকের একদম কাছাকাছি গিয়ে,,,,,,, কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে……… মেয়ে দেখেছি কিন্তু তোমার মত সুন্দরী মেয়ে কম দেখেছি।

ঝিনুকের তো অবস্থা খারাপ পুরো শরীরে যেন বৈদ্যুতিক শক লেগেছে রওশান এত কাছে আসাতে।
রওশান হাত বাড়িয়ে….. চকলেট নিবে নাও।

ঝিনুক চকলেট নিয়ে কেন্টিন থেকে দিলো দৌড়।

রওশান ঝিনুককে এইভাবে দৌড়াতে দেখে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।

ঝিনুক দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে মাঠের মাঝখানে এসে দাড়ালো।

ঝিনুকঃ আগেই এই ছেলেটাকে আমার তেমন সুবিধার মনে হয়নি।যা ভাবলাম শালা এক নম্বরের লুচু।আমার এত কাছে আসাতে আমার দম আটকে যাচ্ছিল।আর একটু হলে ঘুরে পরে যেতাম।এর থেকে দূরে দূরে থাকতে হবে।বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না।

এইদিকে আড়ালে দাড়িয়ে লারা সব দেখছিলো।
লারা প্রচন্ড রেগে গেল……কিসের এত মাখামাখি রওশান ওই মেয়ের সাথে। আমি ওই মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো।
ঝিনুকঃ এই ফাজিল মেয়েটা আবার কই গেলো।

ফিহার শাড়ির কুঁচি কিছুটা খুলে গেছে। ফিহা শাড়ি পরে হাটতে পারছে না।অভ্যাস নেই শাড়ি পরে হাটার। শাড়ির কুঁচি ধরে হাঁটছে আর ফাঁকা ক্লাস রুম খুঁজতাছে।
ফিহাঃ একটাও ফাঁকা ক্লাস রুম পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে শাড়ি খুলে পরে যাবে।আজকে মান সম্মান সব শেষ।

তখনই কেউ পিছন থেকে ফিহাকে মুখ চেপে ধরে ফাঁকা অন্ধকার একটা ক্লাসে নিয়ে আসল।
ফিহা ফাহাদকে দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আর উম….উম…করছে।
ফাহাদঃ সরি মনে ছিলনা হাতটা যে তোমার মুখে।

ফিহা বড় করে নিশ্বাস ছেড়ে…….. আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসলেন।

ফাহাদঃ মনে হয় তুমি শাড়ি নিয়ে খুব বিপদে আছো।তাই তোমাকে সাহায্য করার জন্য……..
ফিহাঃ আমি নিজেই নিজের শাড়ি ঠিক করতে পারবো।আপনার সাহায্যের কোনো প্রয়োজন নেই।এখান থেকে যান প্লিজ। কেউ দেখলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে।

ফাহাদ ফিহাকে আর কোনো কথা বলতে দিল না। ফাহাদ নিজে হাঁটু গেড়ে বসে ফিহার শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দিচ্ছে।
আর ফিহা এক দৃষ্টিতে ফাহাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফিহার কেমন জানি ভালো লাগা কাজ করছে।

ফাহাদ শাড়ির কুঁচি ঠিক করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।
অসম্ভব সুন্দর সেই হাসির দিকে ফিহা তাকিয়ে আছে।
ফিহা মনে মনে,,,,,,,, সত্যিই পেত্নীর জামাইয়ের হাসিটা খুব সুন্দর। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে সেই হাসির দিকে।
ফাহাদ কুঁচি ঠিক করে পিন লাগিয়ে দিলো যেন শাড়ির কুঁচি না খুলে।

ফাহাদঃ এইবার ঠিক আছে। যেতে পারো।
ফিহা ক্লাস থেকে বের হতে যাবে ফাহাদ ফিহার ডান হাত ধরে একটানে নিজের কাছে নিয়ে এসে ফিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে,,,,, আজকে তোমায় পেত্নীর মতো লাগছে।
ফাহাদকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফাহাদ ফিহার কপালে অধর চুইয়ে দিয়ে ক্লাস থেকে চলে গেল।
আর ফিহা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।কি হয়েছে তা বুঝার চেষ্টা করছে।

চলবে………
[ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here