এলোকেশী কন্যা’- [৪২]

0
747

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৪২]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

– ‘আহা, কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’-

মেঘ আহ্লাদে আটখানা হয়ে গানটা বার বার গাইছে। কারণ, বউমনি আজ স্কুলে যেতে নিষেধ করেছে। রোজ স্কুল না গেলে কতই না ভালো হতো। ইস! জীবন পুরো লেমন কালার হয়ে যেতো। লেমন কালার মেঘের খুব পছন্দ। রোদের কালো আর আলোর সবুজ! তিনজনের পছন্দ ভিন্ন ধরণের। তবে ওদের মায়া, টান, আস্থা, ভালোবাসা, স্নেহ/শ্রদ্ধাবোধ অন্তঃকরণ থেকে। এজন্য হয়তো বন্ধনটা এত মজবুত। মেঘ একহাতে ডোরাকেক খাচ্ছে আর অন্যহাতে বউমনির ওড়না ধরে পিছু ঘুরছে। আম্মুর আঁচল ধরেও সে এভাবে ঘুরত। অকারণে
এভাবে ঘুরতে ওর ভালো লাগে। সাথে বকবক তো আছেই। রোদ নাস্তা সেরে তাড়াতাড়ি ফিরবে বলে অফিসে গেছে। আলো হাতের কাজ সেরে মেঘের রুমে গেল। মেঘের সব কাপড়-চোপড় অগোছালো হয়ে এদিক-ওদিক পড়ে আছে।বই খাতার পৃষ্ঠা ফ্যানের বাতাসে উঠে ফড়ফড় শব্দ করছে। রিমোট কনট্রোল প্লেন, গাড়িসহ হরেক রকমের খেলা মেঝেতে ছড়িয়ে আছে। কালার পেন দিয়ে টেবিলে আঁকিবুঁকি করা। এমনকি ওর পরিহিত টি-শার্টেও। গতকাল রাতে বেডেশীটে কলমের কালি ফেলে সে চিপায় লুকিয়ে রেখেছে। যাতে কেউ বকতে না পারে। কিন্তু এখন ওটা আলোকে বের করতে দেখে, মেঘ জিহ্বায় কামড় দিয়ে দাঁত বের করে হাসল।আলো হেসে বলল,
“কলমটা দুষ্টু ছিল, মেঘবাবু?”
“হুম, এমনি এমনিই এমন হয়েছে। আমি কিছু করি নি বউমনি।”

আলো মুখ টিপে হেসে রুম গুছানো শুরু করল।
আর মেঘ গাড়ির উপর বসে রুমে জুড়ে চালাতে শুরু করল। বাচ্চাদের বসে চালানো গাড়িগুলো যেমন হয়, তেমনই। নীল রংয়ের গাড়িটা দেখতে খুব সুন্দর! রোদ ভাইয়ের কোনো আবদার’ই অপূর্ন রাখে না। সাধ্যের মধ্যে যখন যা চায় তাই এনে হাজির করে। আর মেঘের আবদারের শেষ থাকে না। আলো রুম গুছাতে গুছাতে সূরা ইয়াসিনের কিছু আয়াত তেলাওয়াত করতে লাগল। মেঘও আলোর সাথে সাথে বলতে থাকল। তবে আলো পিছু ফিরে তাকাল না। নয়তো মেঘ লজ্জা পেয়ে বলা থামিয়ে দিবে। আলো এই কাজটা রোজ করে। সূরা ইয়াসিনের প্রথম পাঁচটা আয়াত মেঘ না দেখে বলতে পারে। ওর বুলিতে শুনতেও বেশ লাগে! আলো এখন গান গাইলে, মেঘও তাই করত। কিন্তু সে অবসর সময়টাকে এভাবে কাজে লাগায়। মেঘ প্রথম প্রথম খুব লজ্জা পেতো, বলতে চাইত না। কিন্তু ধীরে ধীরে লজ্জা ভেঙ্গে আলোর সঙ্গে তাল মিলায়। মেঘ রোদকে সালাম দিতে লজ্জা পেতো। কিন্তু এখন বিনয়ী ভাবে রোদসহ আলোকেও সালাম দেয়। আলো ওকে বুঝিয়েছে; সন্মান করলে, তবেই সন্মান পাওয়া যায়। সবাই ভালোও বলে।

যদিও এটা প্রায় অনেক ছেলে/মেয়েদের সমস্যা। নিজের বাবা-মাকে সালাম দিতেও লজ্জা পায়।পরিবারে সালাম প্রচলিত থাকলে সমস্যাটা হয় না। ব্যাপারটা সহজ হয়ে যায়। অনেকে জেনে বুঝে শুধরায় না, কারণ লজ্জা। ছেলেরা গলা ছেড়ে প্রেমের গান গাইতে লজ্জা পায় না৷ অথচ শব্দ করে দু’টো আয়াত বলতে লজ্জা পায়। যুগ হিসেবে এটা স্বাভাবিক। কারণ ছোট থেকে তারা নিজেকে এভাবে তৈরী করেছে। গাছ যেমন ফল তেমন! একথা তিতা হলেও সত্যি! এসব ব্যাপারে
মেয়েরা আরো এক ধাপ এগিয়ে। খোলা চুলে একপাশে ওড়না নিয়ে মেকাব করে ঘুরবে।রং ঢং করে ছাদে ছবি তুলে ন্যাকামিও করবে। অথচ বাবা-মা সালাম দিতে গেলে, লজ্জায় মরি মরি। এনার্জি শেষ! অনেকে বড় হয়ে বাবা-মাকে কবে সালাম দিয়েছে, তাও ভুলে গেছে। একজন
সন্তানের জন্য, এটা গর্বের কথা নয়! তবে লজ্জা কাটিয়ে বাবা-মাকে বিনয়ীভাবে সালাম দিলে, উনারা হয়তো কিছুক্ষণ থম মেরে তারপর সুন্দর করে উত্তর দিবে। মূলত থম মারার কারণ, অবাক, খুশি, গর্বের সংমিশ্রণ অনুভূতি। এমন মুহূর্তে হয়তো উনাদের চোখে আনন্দের অশ্রু জমতে পারে। আর এটা হবে, সন্তানদের প্রাপ্তি। হয়তো বড় ভাবী/বোন /ভাই/ চাচী দেখে হেসে বলেও ফেলবে,
“কি রে পাম দিচ্ছিস, কিছু লাগবে? অতি ভক্তি কিন্তু চোরের লক্ষণ।”
উনাদের এমন কথায় থেমে গেলে চেষ্টা বৃথা।
আজ হাসবে কালকে ঠিকই বলবে,ছেলে/মেয়ে’টা ভদ্র। আর ভালো কিছু করতে গেলে, হাসাহাসি, কটু কথা, উপহাস, পেরিয়ে সফলতা। প্রচেষ্টা এখানে মুখ্য বিষয়! তাছাড়া ‘যার যোগ্যতা যত কম সে উপহাস করে তত বেশি।’ কারণ নিজে পারে না অন্যকে পারতে উৎসাহ দেয় না। এটা মস্তিষ্কে গেঁথে রাখা উচিত। আর সন্মান এমনি আসে না, এটা অর্জন করে নিতে হয়। হোক কর্মে বা ব্যবহারে!
(বিঃদ্রঃ- অন্য ধর্মেরও আপু/ভাইয়াও আমার গল্প পড়েন। এটা আমার সৌভাগ্য। তাই বলছি, আপনারা নিজেদের অভিবাদনবিশেষ বাক্যটি একইভাবে কাজে লাগাতে পারেন। কে বলছে, মূখ্য কথা নয়। শিক্ষা নিতে চাইলে, পিঁপড়ার থেকেও নেওয়া যায়। ভুল বললে অনুগ্রহপূর্বক মাফ করবেন; ক্ষুদ্র জ্ঞানের এই মানবীকে। আর দুঃখিত গল্পের মাঝে বিরক্ত করার জন্য।)
________________________

এখন বাজে বারোটা চার! সূর্যটা রেগে প্রখরভাবে তাপ বাড়াচ্ছে। বাতাস নেই! গাছপালা থম মেরে নিজেকে পুড়িয়ে অন্যকে ছায়া দিচ্ছে। ভ্যাপসা গরম! ক্লান্ত পথিকরা গাছের ছায়ায় বসে জিরিয়ে নিচ্ছে। উফ! এতে যেন শরীর ও মন শীতল হয়ে যাচ্ছে। গাছের ডালে দু’টো কাক বসে রক্ষে কন্ঠে কা কা শব্দে ডাকছে। ওরা অভিযোগ জানাচ্ছে, আজকের আবহাওয়ার জন্য। কালো কুকুরটা বসে জিহ্বা বের করে ধুঁকছে। গরমে সেও অতিষ্ঠ।
সে তো রোগ, শোক, কষ্টের কথা বলতেও পারে না।
তৃষ্ণার্ত পথিকরা ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভিড় জমিয়েছে। লেবু, পানি, চিনি আর বরফের তৈরী শবরত! তাদের স্বাস্থ্যকর /অস্বাস্থ্যকরের ব্যাপারে খেয়াল নেই। কড়া রোদে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। একটু ঠান্ডা পানি পেলেই যেন প্রাণটা বাঁচবে, মাত্র এক গ্লাসই তো! এতে আর কী হবে? কেউ বা ডাবের দোকানে দরদামে ব্যস্ত। বিক্রেয়া দিচ্ছে না, ক্রেতাও ছাড়ছে না। দু’পক্ষই
নাছোড়বান্দা! বড় একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে, কলেজ/ ভার্সিটির স্টুডেন্টরা হাতে ঠান্ডা পানীয় নিয়ে হইহল্লায় মগ্ন!
আজকের আবহাওয়াতে জন জীবন অতিষ্ঠ। কী আর করার প্রকৃতি যে বড্ড রুষ্ট!

আলো কাজ সেরে মেঘকে গোসল করিয়ে সেও করে নিলো। একটুপরে, রোদ বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলো। আলো তখন মেঘকে হালকা কিছু খাবার খাওয়াচ্ছিল। একটুপরে, ওরা রোহানদের বাসায় যাবে। ওখানে কখন খাবে, না খাবে ঠিক নেই। এজন্য বুদ্ধি করে কিছু খাইয়ে দিলো কারণ মেঘ ক্ষুধা সহ্য করতে পারে না। রোদ আলোকে দ্রুত রেডি হতে বলে ফোনে কথা বলতে লাগল।
রোহান আটবার ফোন দিয়েছে। কখন আসবে?
দেরী হচ্ছে কেন? সমস্যা কী? এসব বলে পাগল করে দিচ্ছে। আলো মেঘকে রেডি করিয়ে, সবুজ আর কালোর সংমিশ্রণের থ্রি-পিস পরে নিলো।
চুলে সাধারণ খোঁপা করে মাথায় ওড়না টেনে দিলো। ছোট একজোড়া দুল, গলায় চেইন, হাতে স্বর্ণের ব্যাচলেট আর একটা অাংটি। রোদের পরিয়ে দেওয়া একজোড়া কালো পাথরের নুপূর।
ঠোঁটে লিপবাম আর চোখে কাজল। স্বর্ণের গয়নাগুলো সে পরেই থাকে, বাড়তি হচ্ছে ওর কাজল আর লিপবাম। সচরাচর মেয়েরা বাসায় যতটুকু গয়না পরিহিত থাকে, তেমন। রোদ উঠে আলোকে বামে-ডানে, এদিক-ওদিক, ঘুরিয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিলো। সব ঠিকঠাক দেখে সাদা শার্ট’টা পরতে পরতে খোঁচা মেরে বলল,
“কম খাবে, দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছো।”
“ধন্যবাদ।”
রোদের উদ্দেশ্যে আলো বুঝতে পেরে কথা না বাড়িয়ে চলে গেল। সে উত্তর দিলে, রোদ ওকে আরো খোঁচাতে থাকত, কী দরকার? রোদ মুচকি হাসল! না মেয়েটা দিন দিন চালাক হয়ে যাচ্ছে।
তারপর তিনজনে বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে এসে বসল। রোদ ড্রাইভ করতে করতে একবার আলোর দিকে তাকাল। আলোর মধ্যে এখন
অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় এসে আলোর মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। নির্মল বায়ুতে ছেড়ে, ঢাকার দূষিত বায়ুর অচেনা শহর বলে হয়তো।পানিতে চুল ঝরে যাচ্ছিল দেখে খুব কেঁদেছিল। শ্যাম্পুর ব্যবহার আর এখানকার পানির জন্য সমস্যাটা হচ্ছিল। চোখে নিচে কালি জমে সিগ্ধ মুখটা চুপসে থাকত। কম ঝালের খাবার খেতে পারত না। কাঁচা মরিচ অথবা শুকনো মরিচ পুড়িয়ে ভাত খেতো। আর রোদের থেকে পালাতে পারলে যেন জানে বাঁচত! কিন্তু এখন ধীরে ধীরে এই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। কামিজ পরতে আলোর সমস্যা হতো, সেও বুঝত। কিন্তু কিছু করার ছিল না। এখানে থামি চলবে না। ওকে কামিজে অভ্যস্ত হতে হতো। এখন চুলও আর ঝরে না। চুপসানো মুখে এখন স্নিগ্ধতার আভা স্পষ্ট। চোখ দু’টো যেন মায়াগহ্বর।একবার আটকে গেলে মুক্তি পথ নেই! আগের তুলনায় স্বাস্থ্যের উন্নতি হওয়াতে, দেখতেও বেশ লাগে।
সময় আর নিজের চেষ্টায় আলো নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। রিমিও খুব সাহায্য করেছে। মেঘের ডাকে রোদ ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে তাকাল। ওরা দু’জনে ফিসফিস করে আলোচনা করে কিছু বলার আগে রোদ বলল,
“হবে না।”
“কী হবে না দাভাই?”
“আইসক্রিম।”
রোদের কথা শুনে দু’জনের মুখটা চুপসে গেল। পুরো কথা না বলতেই বুঝে গেল। রোদ গাড়ির
স্পিড বাড়িয়ে দিলে, পনেরো মিনিটেই রোহানের বাসায় পৌঁছাল। তিনজনে বাসায় প্রবেশ করে দেখে ওদের আগেই সবাই এসে গেছে। রোহানের বাসায় আজ সবার দাওয়াত। রোদ হাতের ফল মিষ্টি রেখে কুশল বিনিময় করে সোফায় বসল। রোহানের বাবা-মা এসে ওদের সঙ্গে কথা বলল। রোহানের মা হেসে আলোর থুতনী ধরে আদুরে সুরে বললেন,
“তুমি আসলেই পাহাড়ি ফুল।”

আলো উনার প্রত্যুত্তরে মুচকি হাসল। এই কথার জবাবে কিছু বলা যায়? সে তো খুঁজে পেলো না। উনি সবাইকে বসতে বলে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন। রোহান উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“তোরা বস, আমি আসছি।”
“আচ্ছা।”
রোহান ওর আম্মুকে কাজে সাহায্য করতে গেল।
কাজের মেয়েটার জ্বর। এজন্য সব কাজ উনাকে করতে হচ্ছে। সোফাতে বসে রান্নাঘর দেখা যায়,
আলো রোহানের কাজ দেখে উঠে সেদিকে গেল।
রোহানকে জোর করে পাঠিয়ে দিয়ে, নিজে হাতে হাতে কাজ করতে লাগল। সে জানে, রোহানের আম্মুর চারমাস আগে অপারেশন হয়েছে। উনি এখনো অসুস্থ! উনাকে সাহায্য করার জন্য রোদ আগে বলেছিল। তাছাড়া ওরা বসে থাকবে,আর অসুস্থ মানুষটা কাজ করবে, এটা দৃষ্টিকটু।
রোহানের আম্মু আলোর ব্যবহারে খুশি হয়ে রোদের দিকে তাকালেন। রোহান ঠিকই বলেছে, মেয়েটা রোদের জন্যই পারফেক্ট। তখন নিতু শোভনের দিকে তাকিয়ে মুখটা বিকৃত করে বলল,
“বলেছিলাম না, মেয়েটা ভালো সাজতে এসব করে। গোঁয়ো মেয়ে। যেখানে যায়, কাজের লোক হয়ে যায়।”
নিতুর হয়তো খেয়াল করে নি শোভনের পাশের রোদ আছে। ওর কথা রোদ স্পষ্ট শুনেছে। তবে জবাব দিলো না কারণ এটা সঠিক সময় নয়। শোভন মুখ কাঁচুমাচু করে নিতুকে চোখ রাঙাল। রিমি কিছু বলতে গেলে রোদ থামিয়ে দিলো। বাকিরা গল্পের তালে থাকায় খেয়াল করে নি।
আলো তখন তরকারি নিয়ে ডায়নিং টেবিলে রাখতে যাচ্ছিল। হঠাৎ কেউ দ্রুত গতিতে দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরল। সে তাল সামলাতে না পেরে, হাতের কাঁচের বাটিটা মেঝেতে উচ্চশব্দে আছড়ে পড়ল। আর গরম তরকারি গিয়ে পড়ল ওর পায়ে। এমন শব্দ শুনে সবাই ছুটে আসল।
সবাই ভেবেছিল, রোহানের আম্মু পড়ে গেছে।
রোদ দ্রুত আলোকে চেয়ারে বসিয়ে, দৌড়ে পানি এনে ওর পা চুবিয়ে দিলো। রোহান বরফ এনে আলোর পায়ে ঘষতে লাগল। ইস! ফর্সা পায়ে ফোসকা পরে গেছে। রোদ রোহানের থেকে বরফ নিয়ে ফুঁ দিচ্ছে আর আলতো করে বরফ ঘষসে। যেন ব্যথা সে পাচ্ছে।
তাছাড়া সে থাকতে বন্ধুকে বউয়ের পায়ে হাত দিতে দেওয়া যায় না। বেমানান দেখায়! আর রোহানের বাবা-মাও এখানে উপস্থিত আছেন। উনারাই বা কী ভাববেন? যদিও উনারা খোলা দিলের অমায়িক মানুষ। তবুও পরিস্থিতি যেমনই হোক, বুঝে কাজ করা বুদ্ধিমানের কাজ।

এতকিছুর পরেও আলোর এদিকে হুশ নেই, তার দৃষ্টি ভয়ে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পূর্ণির দিকে।

To be continue……….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here