অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁 #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #Part_21

0
512

#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_21

–“কারণ তুমি কাঁদলে, আমি নিজেকে অপরাধী ফিল করবো। আমার বার বার এটাই মনে হবে যে, আমি সবার থেকে তোমাকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

নক্ষত্র তিতিক্ষাকে অনেক কিছু বোঝালো, এরপর তিতিক্ষা ওর কান্না থামালো। তনুকাকে বিদায় দিয়ে সবার মধ্যে খারাপ লাগা বিরাজ করছে। যতই ঝগড়াঝাটি, মারামারি, হাজারো খুনসুটি করে থাকুক, ভাই বোনের ভালোবাসাটা একটু অন্যরকম। দিনের শুরুতে মারামারি আর রাতের শেষে ভাই-বোনদের ভালোবাসার জয়। ভাই বোন কেউ কাউকে দেখতে পারে না। আবার অর্ধবেলা বাসায় না থাকলে তার কথায় বার বার জিজ্ঞাসা করা। তনুকা যাওয়ার সময় আহানও খুব কেঁদেছে। নবিন তো কান্নার জন্য কথা বলতে পারেনি। বিভা, তিতিক্ষা ওরা চোখের পানি আটকাতে পারছিলো না। একটা মেয়ে হলো বাসার প্রাণ। একটা মেয়ে ছাড়া কোনো বাসায় পরিপূর্ণ সৌন্দর্য আসে না। মেয়ে ছাড়া বাসাটা কেমন শূন্যতায় গ্রাস করে। তার একমাত্র উদাহরণ আমাদের মা, বোন। মা আর বোন তো মেয়ে। তারা একটা ঘন্টা বাসায় না থাকলেই বোঝা যায়। মেয়ে হলো আল্লাহর রহমতের একটা বিশেষ উপহার। এজন্য একটা মেয়েকে দিয়ে আল্লাহ তার রহমতের মাধ্যমে একটা বাসাকে পরিপূর্ণ সুখ, শান্তি, দান করেন।

তনুকার আব্বু আম্মুও সব গোছানো শুরু করলো। উনারা এখন বাসায় ফিরবে। গেস্ট অনেক আগে চলে গেছে। তনুকা চলে যাওয়াতে সবার মনটা খুব খারাপ। সবকিছু গুছানোর পর তিতিক্ষার মামনিরা নক্ষত্রের আম্মুর থেকে বিদায় নিলো। মিঃ আবরার তিতিক্ষার আব্বুর সাথে কোলাকুলি করলো। আর উনাদের সাবধানে যেতে বললো। তিতিক্ষার আব্বুরা গাড়িতে উঠে বসলো। তিতিক্ষার আব্বু, আম্মু, মামনি নক্ষত্রের সাথে কথা বললো। বাসাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বললো। নক্ষত্র মুচকি হেসে কথা বলে উনাদের থেকে বিদায় নিলো। তিতিক্ষারা যাবে অন্য গাড়িতে। এজন্য তিতিক্ষাদের সাবধানে আসতে বলে, উনারা গাড়ি চলে গেলো।

নক্ষত্রের আব্বু, আম্মু, তিতিক্ষার সাথে কথা বলে সবার থেকে বিদায় নিলো। উনারাও চলে গেল। এবার শুধু নক্ষত্ররা আর তিতিক্ষারা বাকি আছে। নবিন ওর বন্ধুদের সামনে এগোতে বললো। নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে একটা মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নক্ষত্রের চোখের ভাষা তিতিক্ষার কাছে আজকে অচেনা নয়। রুহান আর আফান বুঝতে পেরে ওদের কথা বলার সুযোগ করে দিলো। আর নবিনকে কথার মাঝে ব্যস্ত রাখলো।

তিতিক্ষা চুপ করে আছে দাঁড়িয়ে আছে। নক্ষত্র ওকে নিরিবিলি একটা স্থানে নিয়ে এসেছে। ওর বুকের ভেতর কেমন জানি করছে। কিছুতেই নক্ষত্রের সঙ্গ ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। তিতিক্ষার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো। অসহ্য এত কষ্ট এসে বুকে ভিড় করেছে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে ওর দিকে ঘুরিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো। সাথে সাথে আবার আরেক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। নক্ষত্র তিতিক্ষার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে মৃদু স্বরে বললো,

–“তুমি কাঁদলে আমার কি হবে, হুম? তোমার চোখে অশ্রু দেখে গেলে আমি যে একমুহূর্তও স্থির থাকতে পারবো না।”

তিতিক্ষা আর পারলো না; ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। সব লাজ লজ্জা ভুলে,্ সে নক্ষত্রের সামনে কেঁদে দিলো। এই নিষ্ঠুর অনুভূতি ওকে বেহায়া হতে বাধ্য করেছে। নক্ষত্র নামক অনুভূতির শীর্ষে সে পৌঁছে গেছে। এই ছেলেটাই ওকে নিষ্ঠুর অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়েছে। কই আগে তো সে এরকম ছিল না? আগে তো কারো জন্য মনটা কাঁদেনি। কারো অনুপুস্থিতিতে এত কষ্ট লাগে নি। এই পঁচা, নিষ্ঠুর মানুষটাই ওকে এই কষ্টের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সে হয়তো ওর অনুভূতির কথা মুখে বলেনি, তাই বলে কি সে এভাবে কষ্ট দিবে? সে কি বুঝে না তার বিরহটা তিতিক্ষার কাছে মারাত্মক কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নক্ষত্র এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিতিক্ষার কান্না দেখছিলো। সে তো অনেক আগেই তিতিক্ষার মায়াতে জড়িয়ে গেছে। কিন্তু তিতিক্ষাও যে নক্ষত্রের মায়াতে মারাত্মক ভাবে জড়িয়ে গেছে। এটা তিতিক্ষার কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট বোঝা যায়। এই পাগলীটা যে নক্ষত্রকে এখন প্রচন্ড ভালোবাসে, সেটা নক্ষত্রের বুঝতে বাকি নেই। তিতিক্ষা এখনো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। নক্ষত্র মুচকি হেসে তিতিক্ষার চোখে পানি মুছে দিলো। তিতিক্ষার নাক লাল হয়ে গেছে, চোখের পাপড়ি গুলো ভেজা ভেজা, কান্নারত অবস্থায় কম্পিত ঠোঁটটা বার বার কেঁপে উঠছে। নক্ষত্র তিতিক্ষার দুই গালে হাত রেখে ওর মুখটা উঁচু করে ধরে আদুরে কন্ঠে বললো,

–“আপনি কি জানেন? আপনি মারাত্মক বরপাগল একটা মেয়ে।”

তিতিক্ষা চুপ করে আছে। কারণ এই উপাধি সে অনেক আগেই পেয়েছে। তিতিক্ষার আজকে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে ইচ্ছে করছে,

–“হ্যা আমি প্রচন্ড বর পাগল। আপনি নামক দুষ্টু ছেলেটা, আমার সব অনুভূতির শীর্ষবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন বরপাগলী উপাধিটা সাদরে গ্রহন করতে।”

তিতিক্ষা কান্নাভেজা চোখে নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে আছে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে যত যাই বলুক। তিতিক্ষার কান্না দেখে ওর কেমন লাগছে, সেটাই ও নিজেই জানে। নক্ষত্রের মনে হয়, সব নিয়ম কানুন অমান্য করে তিতিক্ষাকে ওর কাছে রেখে দিক। এত নিয়ম কানুনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকতে ওর ইচ্ছে করে না। তিতিক্ষা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ভুলেও আর একটা বার সে চোখ তুলে নক্ষত্রের দিকে তাকায়নি, তাকালেই আবার অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়বে। নক্ষত্র আলতো ভাবে তিতিক্ষাকে ওর বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো। নক্ষত্রের শার্টে উপর থেকে দুই বোতামের ঠিক মাঝখানে, তিতিক্ষা ওর মাথা ঠেকিয়ে কাঁদছে। আজকে ওর এত কান্না পাচ্ছে কেন, এটা সেও বুঝতে পারছে না। শুধু মনে হচ্ছে, নক্ষত্র ওর খুব কাছে থাকুক, পাশে থাকুক। নক্ষত্র তিতিক্ষার মুখ তুলে চোখ মুছে দিয়ে বললো,

–“উহুম! আর কাঁদে না মিষ্টি বউটা। ফোনে তো আমাদের কথা হবেই। আমি আপনার আছি, আপনারই থাকবো। আপনি সাবধানে থাকবেন আর অবশ্যই নিজের খেয়াল রাখবেন।”

তিতিক্ষা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বোঝালো। ওড়না দিয়ে চোখ মুখ মুছে নিলো। ওরা এসে গাড়ির কাছে দাঁড়ালো। নক্ষত্র একটু পর বড় একটা পার্সেল গাড়িতে তুলে দিয়ে তিতিক্ষাকে বললো,

–“এখানে খাবার পার্সেল করা আছে । মামনিকে বলবে বাসায় ফিরে রান্নার প্রয়োজন নেই। এটাই তোমাদের সবার জন্য যথেষ্ট।”

অদ্রি ওর আব্বু আম্মুর সাথে চলে গেছে। তিতিক্ষারা চলে গেলে নক্ষত্ররা যাবে। বিভা, আহান, নবিন, তিতিক্ষা এক গাড়িতে উঠে বসলো। নক্ষত্রের সব বন্ধুরা এসে তিতিক্ষার সাথে কথা বললো। নবিন সবাইকে জড়িয়ে ধরে হেসে হেসে কথা বলে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো। তিতিক্ষা নক্ষত্রের মুখপানে চেয়ে আছে। তিতিক্ষা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে নক্ষত্রের চোখ ছলছল করছে। তবুও সে হেসে হেসে সবার সাথে কথা বলছে। তিতিক্ষাদের গাড়ি যত দূর দেখা যায়, নক্ষত্র সে দিকেই তাকিয়ে আছে।

নক্ষত্র, আফান, রুহান, সাফওয়ান রিসোর্টের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে গাড়িতে উঠে বসলো।
তাঁরাও চললো তাদের বাসার উদ্দেশ্যে। রুহান ড্রাইভ করছে। নক্ষত্র চুপ করে বসে আছে। এখন হয়তো ওর খুব কষ্ট লাগছে। দুইদিন গেলে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তারপর এতটা খারাপ হয়তো কারোরই থাকবে না।

নবিন গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিলো। বিভা আর আহান বকবক করছে, তিতিক্ষা শুধু ছোট্ট করে উত্তর দিচ্ছে। এরপর ওরা বাসায় পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে নিলো। বিভা, আহান আর তিতিক্ষা একসাথে ঘুমাবে। বিভা আর আহানের সাথে থেকে ওদের কথা শুনে না চাইলেও হাসতে হয়। এটা ওটা বলে ওরা তিতিক্ষাকে হাসিয়ে তবেই ছাড়বে।

নক্ষত্রও বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে নিলো। সার্ভেন্টকে এক মগ ব্ল্যাক কফি দিতে বললো। কফির মগ হাতে নিয়ে ডিভানে বসে নক্ষত্র তিতিক্ষার সাথে ফোনে কথা বললো। দু’জন দু’জনকে খুব মিস করছে। তবুও কেউ কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না।

প্রায় দুই সপ্তাহ পর….!!

তিতিক্ষার ইউনিভার্সিটি আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত খুব সময় যাচ্ছে। তিতিক্ষার নিজের একটা বুটিক ঘর আছে। সেখানে ১৫ জন মেয়ে কাজ করে। সেখানে ওই মেয়ে গুলো অর্ডারী কাজ করে। তিতিক্ষা তাদেরকে কাপড়, সুতা সহ যাবতীয় জিনিস এনে দেয়। তখন উনারা মনের মাধুরী মিশিয়ে কাপড়ে নকশা ফুটিয়ে তোলে। এসব বিক্রি করার তিতিক্ষার বাইরে ঘুরা লাগে না। দোকানদাররা এসে নিয়ে যায়। আর উনাদের পছন্দমত অর্ডার দিয়ে যায়। এটাতে তিতিক্ষারও কিছু আয় হচ্ছে, আবার এই মেয়ে গুলোরও নিজের হাত খরচ নিজেরাই বহন করতে পারছে। এটা তিতিক্ষার শখের কাজের একটি। তিতিক্ষার ওর জমানো টাকা দিয়ে চার জন মহিলাকে দিয়ে এই কাজটা শুরু করেছিলো। আল্লাহর রহমতে সদস্য সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজে অংশগ্রহন করতে চাইলে তিতিক্ষা তাকে কখনোই ফেরায় না। তিতিক্ষা নিজে হাতে বিভা, তনুকার জামা করেছে। সে নিজেও অনেক সেলাই পারে। তিতিক্ষা ওর আব্বু, খালু, আহান আর নবিনকে পাঞ্জাবী বানিয়ে, সেটাতে রুচিসম্মত নকশাও করে দিয়েছে।

সকালে নক্ষত্রের মেসেজ, ফোনে কথা, ভিডিও কলে দেখা, ভাইবোনের সাথে দুষ্টুমি, এসবের সাথে তিতিক্ষার ভালোই সময় কাটছে। তনুকা এসে দুইবার বেড়িয়ে গেছে। রায়হান আর তনুকা দুজনেই ডাক্তার। ওরা একই হসপিটালে জয়েন করেছে। প্রতিদিন তনুকার সাথে ওদের কথা হয়। নক্ষত্রের আব্বু আম্মুর সাথেও কথা বলে। অদ্রি তো ফোন করে নক্ষত্রের বিচার গুলো দেয়। নক্ষত্র তিন দিন হলো লন্ডনে গেছে ওর কাজের জন্য।

আজকে সকালে নক্ষত্র তিতিক্ষার সাথে ভিডিও কলে কথা বললো। নক্ষত্রের অর্ডার তিতিক্ষা ঘুম থেকে উঠেই, যেন তাকে ভিডিও কল দেয়। সে তিতিক্ষার মিষ্টি মুখটা দেখে তার সকাল শুরু করতে চাই। নক্ষত্র ঘুমঘুম চোখে তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“শুভ সকাল, মনোপ্যাথি।”
–“শুভ সকাল। আপনি কখন উঠবেন, শুনি?”
–“এখনই উঠবো। তোমাকে মায়াবতীর মত লাগছে দেখতে।” (মুচকি হেসে)
–“আর আপনাকে মায়াবতার মত লাগছে।”
–“তাই নাকি? আজকে ইউনিভার্সিটি যাবে?”
–“হুম!”
–“ওকে! সাবধানে যাবে আর সাবধানে ফিরবে। তুমি কিন্তু আর তোমার নেই। তুমি এখন পুরোটাই আমার। বুঝলে?”
–“হুম, আমার বয়েই গেছে কারো হতে।”
–“কারো হতে হবে না। আপনি শুধু আমারই থাকবেন, বুঝলেন? মিসেস নাহিয়ান আবরার।” (মিটিমিটি হেসে)

দুই জন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলো। ওদের মাঝে একটু একটু জড়তা কাটছে। তিতিক্ষা এখন নক্ষত্রের সাথে ভালোই কথা বলে। মন্দ যাচ্ছে না ওদের দু’জনের সময়, দিন, কাল আর মুহূর্ত ।

দুপুরে তিতিক্ষা ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে শাওয়ার নিলো। আহান ডিমপোচ খাবে। এজন্য মামনির কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করছে। মামনি অনেক গুলো কাপড় ধুয়ে, ছাদে মেলে দিয়ে কেবল আসলো। এজন্য বলছে, একটু পর করে দিচ্ছে। কিন্তু আহান কিছুতেই শুনছে না। আহান রেগে একা একাই রান্নাঘরে চলে গেলো। ডিম ফাটিয়ে একটা বাটিতে নিলো, একটু লবণ, একটু হলুদ, একটু মরিচ, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, কাবাব মশলা দিলো। ওখানে যা ছিলো সবগুলোই দিয়েছে। আহান আজকে আনকমন রেসিপি দিয়ে ডিম ভেজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিবে। ডিমের সাথে ময়লা গুলো একটা চামচ দিয়ে গুলে নিলো। কাঁচা পেয়াজ কাটতে পারে না। তাই পেঁয়াজ দিলো না। চুলার উপর
প্যান বসিয়ে, তেল দিয়ে, গ্যাস অন করলো।

মামনি রাগে গজগজ করছে। আহান আজকাল একটু বেশি অত্যাচার করে। তাই আহানকে বকছে। হঠাৎ সেল ফোনটা বেজে উঠলো। উনি কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে গেলো। তনুকা ফোন দিয়েছে মামনি তনুকার সাথেই কথা বলছে। কিছুক্ষণ পরে অনেক জোরে কিছু একটা ব্লাস্ট হওয়ার শব্দ হলো। মনে হলো ওনাদের বাসাতে বোম পড়েছে। আচানক এমন শব্দে মামনিও চমকে উঠলো। হাতের ফোনটাও ফ্লোরে ছিটকে পড়লো। এটা কিসের শব্দ?
আহান তো রান্নাঘরে। এই কথা ভাবতেই মামনির কলিজা কেঁপে উঠলো। উনি দ্রুত পায়ে ছুটলো রান্নাঘরের দিকে। আর ওখানে গিয়ে যা দেখলো তাতে মামনির অন্তত আত্মা কেঁপে উঠলো।

To be continue……!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here