অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁 #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #Part_09

0
549

#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_09

নক্ষত্রের কথা বুঝতে তিতিক্ষার একটুও সময় লাগেনি। তিতিক্ষা নক্ষত্রের কথা শুনে দুই হাত মুখ ঢেকে নিলো। আর নক্ষত্র হো হো করে হেসে দিলো। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে লজ্জাতে ফেলে আবারও ওর লজ্জা মাখা মুখশ্রীটা দর্শন করে নিলো। নক্ষত্রের ইচ্ছে করে ওকে বারবার লজ্জাতে ফেলতে চাচ্ছে। এটা তিতিক্ষারও বুঝতে আর বাকি নেই। তিতিক্ষার লজ্জামাখা মুখশ্রীটকে দেখার জন্য নক্ষত্র তিতিক্ষাকে বারবার লজ্জায় ফেলতেও দ্বিধা করছে না। লজ্জা পেয়ে গাল দুটো লাল বর্ণ হয়ে, তিতিক্ষার দ্রুত ওর চোখ সরিয়ে নেওয়াটা নক্ষত্রের কেন জানি খুব ভালো লাগে। তিতিক্ষা নক্ষত্রের চোখের দিকে সরাসরি কখনোই তাকায় না; এ ব্যাপারটা নক্ষত্র খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করেছে। প্রতিবারই ভুল করে চোখাচোখি হলেও তিতিক্ষা সাথে সাথে চোখ নামিয়ে ফেলে। যেন নক্ষত্রের চোখের দিকে তাকালে, সে অনুভূতির অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবে। অজানা অনুভূতিরা এসে ওকে যেন পরিপূর্ণভাবে গ্রাস করে নিবে। ভুল করেও যখন ওদের চোখাচোখি হয়ে যায়। তখন একবার তাকানোতেই তিতিক্ষা বুঝতে পারে; নক্ষত্রের চোখে অজানা এক মাদকতায় ছড়াছড়ি। যে মাদকতা থেকে নিজেকে নিস্তার করার সাহসীকতা তিতিক্ষার কোনদিন হয়ে উঠবে কিনা জানা নেই।

তিতিক্ষা বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। রাতের ঘুরে বেড়ানো ব্যাপারটা তিতিক্ষার আগে থেকেই খুব পছন্দের। কেন জানি রাতটাকে বেড়ানোর জন্য ওর মোক্ষম সময় বলে মনে হয়। রাতের বেলায় মানুষের আনাগোনা কম থাকে। সৌন্দর্যটাকেও ভাল করে উপভোগ করা যায়। মৃদু বাতাস, বুনো ফুলের গন্ধ,
রাতের লাইটের ঝলকানি, কয়েকজন মানুষের আনাগোনা, মাথার ওপরে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের মেলা, ঠিক তার বিপরীত পাশে ইয়া বড় একটা চাঁদ। এত এত নক্ষত্রের ভিড়ে চাঁদ ওর সর্বোচ্চ আলোটুকু দিয়ে অন্ধকার নিরাময় করার চেষ্টা করবে। লক্ষ লক্ষ নক্ষত্ররা তাদের এক চিমটি আলো দিয়ে জানান দিবে রাতের অন্ধকারে তার উপস্থিতি। এর সাথে পাশে যদি প্রিয় মানুষটা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। পরম যত্নে আঙ্গুলে আঙ্গুল রেখে। মৃদু পায়ে হেঁটে দুজন দুজনার অনুভূতিকে ভালবাসা চাদরে মুড়িয়ে একসাথে সামনের পথে অগ্রসর হবে । আবার কখনোও প্রিয়জনের সঙ্গে একই রিক্সায় একই চাদরের আড়ালে উষ্ণতা ভাগাভাগি করে নিবে। এমন টুকরো টুকরো অনুভুতি গুলোই তো ধীরে ধীরে অনুভুতির শীর্ষবিন্দুতে রুপান্তিত হবে।

তিতিক্ষা চুপ করে আছে। কিন্তু ওর ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসির রেখা স্পষ্ট। তিতিক্ষাকে হাসতে দেখে নক্ষত্রের মনটা আরো ভালো হয়ে গেল। নক্ষত্র চেয়েছিল তিতিক্ষা ওর সাথে একটু সময় কাটাক। দু’জনকে কাছে থেকে অনুভব করুক। খুব কাছে থেকে চিনে নিন একে অপরের ভাল লাগা মন্দ লাগা গুলোকে। এই প্রথম নক্ষত্র তিতিক্ষার সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। এজন্য সে এই সময়টুকু কাজে লাগাচ্ছে। নক্ষত্র ওর ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসির রেখা টেনে আবারও বললো,
— “অই ফুরি আমি তোমার কিতা? তুমি আমারে দেকিয়া অতো শরম ফাও খেনে।”

নক্ষত্রের কথা শুনে তিতিক্ষা হাসলো। গাড়ির স্পিডটা কমিয়ে দিয়ে নক্ষত্র ধীর কন্ঠে বললো,
— “ওহ ফুতুল বউ আমার ফক্ষে আফনারে দুরই রাখা সম্ভব অর না। অনুভূতিরা আমারে আইয়া আইঞ্জা খরি দরছে। যতো আউজ্ঞান ফারি তুমারে আমার বউ বানাইলাইমু।”

তিতিক্ষা মুখে হাত দিয়ে হাসছে। নক্ষত্রের কথা শুনে তিতিক্ষার গাল দুটো গাল হয়ে গেছে। নক্ষত্র আড়চোখে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে ড্রাইভে মন দিলো।
তিতিক্ষার শীতের রাতের সৌন্দর্যটাকে দেখতে থাকলো। নক্ষত্র সিলেটে আরো বেশ কিছু জিনিস তিতিক্ষাকে দেখালো। কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে রাতের ডিনার সেরে একেবারে ওরা বাসায় ফিরলো। নক্ষত্র বাসার সামনে গাড়ি থামালো। তিতিক্ষা গাড়ি থেকে নামতে গেলো, তখনই নক্ষত্র তিতিক্ষার হাত ধরে আটকে দিলো। তিতিক্ষার ঘাড় ঘুরিয়ে নক্ষত্রের দিকে তাকালো। এই প্রথম নক্ষত্র তিতিক্ষার হাতটা স্পর্শ করলো। তিতিক্ষার নক্ষত্রের থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। তিতিক্ষার হৃদস্পন্দনটা দ্রুত গতিতে লাফানো শুরু করেছে। নক্ষত্র মুচকি হেসে হাতটা ছেড়ে দিয়ে বললো,
— “শীতের রাত। সাবধানে থাকবে। আর হ্যা, ঠান্ডা যেন না লাগে।”

তিতিক্ষা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো। গাড়িতে থেকে নেমে বাসায় ঢুকে গেল। নক্ষত্র গাড়ি পার্ক করে ওর রুমে চলে গেল। বাসার সবাই ঘুমিয়ে গেছে।
তিতিক্ষা পা টিপে টিপে রুমে ঢুকে দেখে অদ্রি ঘুমিয়ে গেছে। অদ্রি না ঘুমালে তিতিক্ষাকে যে এখন জেরা করা শুরু করতো এটা তিতিক্ষার অজানা নয়। রুমের দরজা আটকে তিতিক্ষা শব্দহীনভাবে ড্রেস বদলে ফ্রেশ হয়ে নিজেও শুয়ে পড়লো।

বিভা আর তনুকা পাশাপাশি শুয়ে আছে। বিভা তনুকাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
— “আপু আজকে নক্ষত্র ভাইয়া আমাকে ফোন দিয়েছিলো।
তনুকা হেসে বললো,
— “হুম দিতেই পারে।”
বিভা ওর মাথার নিচের বালিশটা ঠিকঠাক করে নিলো। এরপর তনুকার দিকে ফিরে বললো,
— “ভাইয়া ফোন দিয়ে সবার খোঁজ খবর নিলো। আর তিতু আপুর কি পছন্দ অপছন্দ সবটা জেনে নিলো। যাতে আপুর ওখানে কোন সমস্যা না হয়। আপু আর ভাইয়া একসাথে আছে। উফফ! ওরা এখন চুটিয়ে প্রেম করবে। ধুর! আমি যে কি ভাবছি। তিতু আপু যে লজ্জাবতী। দেখা যাচ্ছে, সে লজ্জায় ভাইয়ার থেকে বিশ হাত দুরে দুরে থাকবে। তবে নক্ষত্র ভাইয়ার আপুর প্রতি এতটা কেয়ার দেখে আমার খুব ভালো লাগে। রায়হান ভাইয়াও তো তোমাকে চোখে হারায়।
তিতু আপুও তোমার মত খুব লাকি তাই না রে আপু?”

তনুকা মুচকি হাসলো বিভার কথা শুনে। এরপর বললো,
— “হুম নক্ষত্র খুব ঠান্ডা স্বভাবের ছেলে। আর মেইন কথা হলো, আমাদের তিতুর জন্য নক্ষত্র একদম পার্ফেক্ট।”

নক্ষত্র রুমে আসতেই ওর ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো। রুহান ফোন দিয়েছে। নক্ষত্র জানালো সে সিলেটে এসেছে। আপাতত কিছুদিন সে সিলেটে থাকবে। রুহান যখন শুনলো তিতিক্ষা এখানে আছে। তখন নক্ষত্রকে একটু খোঁচা মারলো। বন্ধুরা যেমন মজা করে তেমন আর কি। নক্ষত্র কিছু বললো না, শুধু হাসলো।

তিতিক্ষার আব্বু তিতিক্ষার আম্মুকে তিতিক্ষার কথা জিজ্ঞাসা করলো। আজকে তিতিক্ষার সাথে কথা হয়নি ওর আম্মুর। তিতিক্ষা ফোন দিয়েছিলো কিন্তু তখন উনি ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তখন কথা বলতে পারেনি। যদিও জানে নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষার সর্বোচ্চ খেয়াল রাখবে। তবুও একটু টেনশন হচ্ছে এই আর কি! মামনী ফোন দিয়েও ওদের খোঁজ খবর নিয়েছে। তিতিক্ষার আম্মুর তিতিক্ষার সাথে কথা না হলেও নক্ষত্রের সাথে হয়েছে। নক্ষত্রের এখন সিলেটে আছে; এ কথাশুনে তিতিক্ষার আম্মু আরো নিশ্চিন্ত হয়েছেন। তিতিক্ষা শুয়ে থেকে মুচকি মুচকি হাসছে। নক্ষত্র যে ওর প্রতি কতটা কেয়ারিং এটা খুব ভাল করেই তিতিক্ষা বুঝতে পারছে। এই প্রথম নক্ষত্রের সাথে কাটানো মুহূর্তটুকু তিতিক্ষার।কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিতিক্ষা কিছু একটা ভেবে বালিশের পাশে থেকে ওর ফোনটা তুলে নক্ষত্রকে মেসেজ করলো,
— “নাহিয়ান আবরার আপনাকে ধন্যবাদ। ”

মেসেজ টা সেন্ড করে তিতিক্ষা নিজেই লজ্জা পেলো। নক্ষত্রের হাতেই তখন ফোনটা ছিলো। মেসেজ টোন বেজে উঠতেই তিতিক্ষার মেসেজটা দেখে নক্ষত্র সাথে রিপ্লাই দিলো,
— “শুধু ধন্যবাদে কাজ হবে না। অন্যকিছু চাই।”
তিতিক্ষা মেসেজটা পড়ে। নক্ষত্রকে মেসেজ লিখলো,
— “কি চাই?”
তিতিক্ষা মেসেজটা লিখে সেন্ড করার আগেই নক্ষত্র মেসেজ আসলো। তিতিক্ষা মেসেজটা পড়ে হাসলো,
— “যেদিন চাইবো; সেদিন আমাকে ফিরাতে পারবে না। যখন আমার প্রয়োজন হবে ঠিক তখনই আমি তোমার থেকে চেয়ে নিবো।”

তিতিক্ষা আর কথা বাড়ালো না। ফোনটা পাশে রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। নক্ষত্র শব্দ করে হাসার কথাটা মনে পড়তেই তিতিক্ষা নিজেও হেসে দিলো। নক্ষত্র ফ্রেশ হয়ে এসে নিজেও শুয়ে পড়ল। যদিও দুজনের চোখেই ঘুম নেই। আজকে মনে হয় ওদের চোখে আর ঘুম আসবে না। কারণ দুজনেই তো একে অপরকে নিয়ে ভাবতে বিভোর। প্রিয় মানুষটাকে হাজারো স্বপ্ন বুনছে ওদের অনুভুতিরা।

পরেরদিন সকালে নক্ষত্র ফ্রেশ হয়ে মামাদের বাসায় আসলো। তিতিক্ষা, পাতা আর অদ্রি তিনজনে মিলে হাঁটতে বের হয়েছিল। ওর নানু বাসার পাশেই ওদের সবজি ক্ষেত। এটা নক্ষত্রের ছোট মামা করেছে টাটকা সবজি খাওয়া জন্য। পাতা একটি ডালা হাতে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই ক্ষেত থেকেই টমেটো, ধনেপাতা, লালশাক আর বেগুন তুলে আনলো। একদম টাটকা হওয়ার জন্যে দেখতেও সুন্দর দেখাচ্ছে। তিতিক্ষা এই প্রথম ক্ষেতে ঢুকে নিজে হাতে শাক তুলেছে। আর অদ্রি সে তো সেলফি তুলতে ব্যস্ত। হালকা হালকা কুয়াশা জমে আছে শাকগুলোর পাতার উপর। পাশের ঘাসগুলো কুয়াশাতে ভিজে একাকার হয়ে আছে। একটু দুরে শিউলি গাছের নিচে অনেকগুলো শিউলি ফুল পড়ে আছে। তিতিক্ষার একমুঠো ফুল তুলে নিলো। এরপর তিনজনেই বাসায় ঢুকলো।

নক্ষত্রের আম্মু তিনজনকেই বকা দিয়ে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আসতে বললেন। বকা খেয়ে তিন জনেই হাসতে হাসতে রুমে চলে গেল। তিতিক্ষা রুমের দিকে এগোতেই নক্ষত্রের সাথে চোখাচোখি হল। নক্ষত্র কফির মগ হাতে নিয়ে বসে ছিল। মিস্টার আবরার ফোনে কথা বলতে বলতে এসে নক্ষত্রের পাশে বসলো। নক্ষত্র ইশারায় তিতিক্ষাকে বললো,
— “মাথাতে কুয়াশা পড়েছে, দ্রুত মাথা মুছে নাও।”

বড় মামি নক্ষত্রের আম্মু আরো কয়েকজন মিলে রান্না ঘরে নাস্তা রেডি করছে। তিতিক্ষা ফ্রেশ হয়ে আসতেই সবাই একসাথে খেতে বসলো। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলো। নক্ষত্র পানির গ্লাস হাতে নিয়ে তিতিক্ষাকে বলল,
— “তিতিক্ষার রেডি হয়ে নাও। আমাদের বের হতে হবে।”
তিতিক্ষা নক্ষত্রের আম্মুর দিকে তাকালো। নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষাকে রুমে নিয়ে গেল। উনি নিজে হাতে জিন্স আর লাল কামিজ বের করে দিলেন। তিতিক্ষার চেঞ্জ করে এসে দাঁড়ালো। নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষার চুলগুলো রিবণ দিয়ে উঁচু করে ঝুঁটি করে দিলো। আর কামিজের উপরে কালো লেডিস জ্যাকেট পড়িয়ে দিলেন যাতে বাইরের বাতাসে শীত না লাগে। লাল সিফনের ওড়নাটা পড়িয়ে দিলে নেক র‍্যাপ স্টাইলে। এই ধরণের স্টাইলে ওড়না কে ঘাড়ের দুদিক দিয়ে পেছিয়ে স্টোলের মত নেওয়া হয়ে থাকে। যা দেখতে ভীষণ স্মার্ট লাগে।

নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষাকে উনার মন মত করে রেডি করিয়ে দিলো। নক্ষত্রের আম্মু যথেষ্ট স্টাইলিশ। এজন্য ছেলে বউকেও উনি স্টাইলিশ ভাবে সাজিয়ে দিলো। তিতিক্ষা রুমে গিয়ে রেডি হয়ে এসে দাঁড়াতেই নক্ষত্র তখন চলে আসলো। অদ্ভুত ভাবে নক্ষত্র কালো আর লাল মিলিয়ে পড়েছে। নক্ষত্রের লাল আর কালোর সংমিশ্রণের টির্শার্ট। আর টি-শার্টের উপরে কালো জ্যাকেট যদিও জ্যাকেটটা বেশ স্টাইলিশ সাথে কালো জিন্স। ওদের দুজনকে দেখে নানু বললো,
— “দুইও গুরে যে বালা লাগের। জলদি বিয়া খরিয়া নাত্তি নসার মুক দেখা।”

নানুর কথা শুনে তিতিক্ষা লজ্জা পেলো। এরপর সবাই ওদের সাবধানে যেতে বললো। নক্ষত্র তার তিতিক্ষা সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো।

দুজনের পাশাপাশি হাঁটছে। সামনের দিকে এগোতে নক্ষত্র একটা সিএনজি দেখতে পেল। সিএনজি ড্রাইভার আর নক্ষত্র কি কি বলাবলি করল। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে সিএনজিতে বসতে বললো। দুজনেই পাশাপাশি সিএনজিতে বসলো। তিতিক্ষা আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে নিলো। সিএনজি চলছে তার আপন গতিতে। তিতিক্ষা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আমতা আমতা করে নক্ষত্রকে উদ্দেশ্য করে বলল, “আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি?”

নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকালো। তিতিক্ষা মুখে খুশির আভা স্পষ্ট । ওর স্নিগ্ধ মুখশ্রীটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে খুব খুশি। বন্দী পাখি খাঁচা থেকে ছাড়া পেলে যেমন মনের সুখে উঠতে থাকে। তেমনি তিতিক্ষাকেও দেখে মনে হচ্ছে সেও আপন মনে উড়তে চাচ্ছে। সেও যেন এতদিন বন্দী থেকে আজকে অনেকদিন পর ছাড়া পেয়েছে। নক্ষত্র তিতিক্ষা কে বললো,
— “আপাতত আমরা একটা রিসোর্টে উঠবো এখন। তারপরে ওখান থেকে বেরিয়ে পড়বো লোভাছড়া দেখার উদ্দেশ্যে।”
— “রিসোর্ট?”

তিতিক্ষার কন্ঠে অবাকের সুর। সে যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে সে রিসোর্টে উঠবে। তিতিক্ষা এখনো নক্ষত্রের মুখ পানে চেয়ে আছে। নক্ষত্র তিতিক্ষা মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। আর মনে মনে বললো,
— “কেবল তো শুরু ডিয়ার হার্টবিট।”

To be continue……!!

(তোমরা যেমন ইচ্ছা হলে রেসপন্স করো, আর না হলে সাইলেন্ট থাকো। তেমনি আমিও এবার থেকে ইচ্ছে হলে গল্প দিবো, আর না হলে সাইলেন্ট থাকবো। এবার হিসাব বরাবর।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here