#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_10
তিতিক্ষার কন্ঠে অবাকের সুর। সে যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে সে রিসোর্টে উঠবে। তিতিক্ষা এখনো নক্ষত্রের মুখ পানে চেয়ে আছে। নক্ষত্র তিতিক্ষা মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মনে মনে বললো,
— “কেবল তো শুরু ডিয়ার হার্টবিট।”
নক্ষত্র মুখে আর কিছু বললো না। বেশ কিছুক্ষণ সিএনজি চলার পর একটা রিসোর্টের সামনে গিয়ে থামলো। নক্ষত্র সিএনজি ড্রাইভারের ভাড়া মিটিয়ে তিতিক্ষাকে নিয়ে রিসোর্টে ঢুকলো। ওদের দেখে ম্যানেজার সামনে এগিয়ে আসলো। নক্ষত্র ম্যানেজারের থেকে রুমের চাবি নিয়ে রুমে চলে গেল। নক্ষত্র একটা রুমে ঢুকে তিতিক্ষার ব্যাগটা রাখলো। তিতিক্ষা দৌড়ে গিয়ে জানালার সামনে দাঁড়ালো। নক্ষত্র তিতিক্ষার পাশে দাঁড়িয়ে বললো,
— “আপাতত ব্যাগ গুলো রাখার জন্য এসেছিলাম। এবার ফ্রেশ হয়ে নাও। তারপর আমরা লোভাছড়া যাবো।”
নক্ষত্র তিতিক্ষাকে কথাটা বলে রুমের বাইরে পা বাড়ালো। তিতিক্ষা বাইরে সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্ত। নক্ষত্রের পায়ের শব্দ শুনে তিতিক্ষা পেছনে ঘুরে তাকালো। নক্ষত্রকে চলে যেতে দেখে তিতিক্ষা সাথে সাথে বললো,
— “আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”
নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে শান্ত সুরে বললো,
— “একরুমে থাকার পারমিশন পায়নি। তাই পাশের রুমে যাচ্ছি।”
নক্ষত্রের কথা শুনে তিতিক্ষা লজ্জা পেলো। নক্ষত্র মুচকি হেসে পাশের রুমে চলে গেল। তিতিক্ষা ফ্রেশ হয়ে নিলো। নক্ষত্র আর তিতিক্ষা হালকা কিছু নাস্তা সেড়ে রিসোর্ট থেকে বের হলো।
লোভা নদী আর লোভাছড়া চা-বাগান যেতে হলে সিলেট শহর থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে। সেক্ষেত্রে গন্তব্য হবে কানাইঘাট। সহজ পথ হচ্ছে দরবস্ত-চতুল হয়ে কানাইঘাট সদর। এ ছাড়া গাজী বোরহানউদ্দিন সড়ক ধরে গাছবাড়ি হয়েও কানাইঘাট সদর পৌঁছানো যায়। সারা বছরই এখানে বেড়ানো যায়। তবু বর্ষায় লোভা নদীর মজাই আলাদা। আর বৃষ্টির দিন হলে তো কথাই নেই। এখানে সবুজ পাহাড় আর লোভা নদীর অসাধারণ স্বচ্ছ পানি। একবার দেখলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা লোভাছড়া চা-বাগানের বহু পুরোনো ঝুলন্ত সেতুর সঙ্গে এখানকার খাসিয়া গ্রাম।
নক্ষত্রদের সিএনজি চলছে আপন গতিতে। তিতিক্ষা আশেপাশে তাকিয়ে চারপাশটা দেখছে। পথের দুধারে ঘন বাঁশের জঙ্গল। সে সব বাঁশগাছের সারি যেন কুর্নিশ করে যেন ওদের স্বাগত জানাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর ওরা পেয়ে যায় ওদের কাঙ্ক্ষিত সেই লোভার মুখ। নক্ষত্র আর তিতিক্ষা কানাইঘাটে এসে পৌঁছোলো। নক্ষত্র তিতিক্ষার হাত ধরে একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ঠিক করলো। নক্ষত্র শুধু ওদের দু’জনের জন্য ভাড়া নিলো নৌকাটি। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে একা একা এই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দিতে চাই। তিতিক্ষার যেন খুশির শেষ নেই। অবাক চোখে সে চোখ বুলাতে ব্যস্ত। তিতিক্ষার খুশিতে আত্মাহারা হয়ে নক্ষত্রকে বলেই ফেললো,
— “প্লিজ আমার হাতটা ধরবেন? আমার শরীর পুরোটা কাঁপছে। আমি স্বশরীরের দাঁড়িয়ে কখনোও এত সুন্দর আকাশ, মেঘালয় পাহাড়, স্বচ্ছ পানি দেখিনি।”
তিতিক্ষার কথা শুনে নক্ষত্র তিতিক্ষার হাতটা শক্ত করে ধরলো। তিতিক্ষা নক্ষত্রের দিকে তাকালো। নক্ষত্রের মুখে সব সময় হাসি বিরাজমান। নক্ষত্র হাতটা ধরার পর তিতিক্ষার এখন স্বাভাবিক লাগছে। নক্ষত্রের হাতের মুঠোয় এখনো তিতিক্ষার হাত। হাতটা নক্ষত্র আলতো করে ধরে আছে। তিতিক্ষার বিশাল আকাশের সৌন্দর্য দেখছে। নক্ষত্র তিতিক্ষার প্রানোচ্ছল মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
— “যদি আমি বেঁচে থাকি, তাহলে এমন আরো অনেক সৌন্দর্যের সাথে আমি তোমার পরিচয় করিয়ে দিবো, ইনশাআল্লাহ।” (শান্ত সুরে)
নক্ষত্রের কথা তিতিক্ষা মুচকি হেসে মাথা নিচু করে বললো,
— “আমিন! আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক।”
তিতিক্ষার এই কথাটাতে নক্ষত্র খুশি হয়েছে। দুজনেই নৌকাতে বসে আছে। দূরের মেঘালয়ের পাহাড় আর লোভাছড়া নদী। ওদের নৌকা ছুটে চলেছে পরিচ্ছন্ন সুরমা নদী দিয়ে। লোভার মুখ হচ্ছে সুরমা ও লোভাছড়া নদীর সঙ্গমস্থল। সুরমা নদী দিয়ে ওদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছুটে চলে লোভাছড়া নদীর অভিমুখে। নদীর বুকে যদিও কোন ভিড় করা নৌকা নেই। এক-দুটো ইঞ্জিনচালিত নৌকা হঠাৎ হঠাৎ ঢেউ খেলিয়ে চলে যাচ্ছে। দূরে পাহাড়ের বুকে সূর্যরশ্মি। সুরমা নদী পেরিয়ে লোভাছড়ার শুরু। নক্ষত্র এই কথা তিতিক্ষাকে বলতেই তিতিক্ষার মাঝে এক চঞ্চলতা প্রকাশ পেল। তিতিক্ষার এমন চঞ্চলতা দেখে নক্ষত্র হাসলো। তিতিক্ষার চোখে মুখে খুশির ঝলক স্পষ্ট। নক্ষত্র বুঝে গেছে তিতিক্ষা প্রকৃতিপ্রেমী। যদিও বা তিতিক্ষার চঞ্চলতা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ চোখের সামনে এমন মনোরম সৌন্দর্য দেখলে সবার মাঝেই চঞ্চলতা আসেই। দ্রুত গতিতে নৌকা ছুটে চলেছে সঙ্গে বেশ জোর বাতাস।
তিতিক্ষার চুলের ঝুঁটি দুলছে অনবরত। কপালের উপরে থাকা চুল গুলো মুখে এসে পড়ছে বার বার।
নদীর পানি ছিটে ছিটে উঠছে নৌকায়; আছড়ে পড়ছে নক্ষত্র আর তিতিক্ষার চোখে-মুখে। আর তখন তিতিক্ষা শব্দ করে হেসে ওঠছে।
নক্ষত্রের আম্মু তিতিক্ষার আম্মুর সাথে কথা বললো। তিতিক্ষার আম্মুকে নক্ষত্রের আম্মু জানালো তিতিক্ষাদের ঘুরতে যাওয়া কথা। উনারা বেশ কিছু সময় গল্প করলো। মিস্টার আবরার জুরুরী কাজের জন্য বাসায় চলে গেছে। রান্নাঘরে বড়মামী কাটাকুটি করছে। নানু চেয়ারে বসে পান চিবুচ্ছে। আর হরেক রকমের গল্প জুরে দিয়েছে। একটু পরে ছোট মামা এসে গাছের টাটকা পেয়ারা সবাইকে দিলো। পাতা আর অদ্রি দুজন মিলে ফোনে লুডু খেলছে। পাতা অদ্রিকে ফিসফিস করে বললো,
— “অদ্রি আপু ভাবিমণির সাথে নক্ষত্র ভাইয়া জোড়া লাগলো কি করে?”
অদ্রি আরামদায়ক ভাবে বসে পেয়ারাতে কামড় দিলো। পাতার একটা গুটি কেটে ঘরে ঢুকিয়ে মিষ্টি হেসে বললো,
— “এতকিছু আমি জানি না। শুধু জানি ভাইয়া ভাবিমণিকে আগে থেকে চিনতো।”
আহান ওয়াশরুমে থেকে চিৎকার করে বিভাকে ডাকছে। আর বিভা কানে ইয়ারফোন গুজে বসে বসে ম্যাথ করছে। এটা বিভার একটা পুরনো অভ্যাস। আহানের চিৎকার যে বিভার কানে যায়নি তা না। বিভা ইচ্ছে করেই উঠছে না। মামনি হাতে খুন্তি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলো। তনুকা ওর ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরলো। মামনি বাজখাঁই গলাতে আহানকে বললো,
— “আহান বাছুরের মত চেচাঁমেচি করবি না। না হলে খুন্তি দিয়ে মেরে তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিবো।”
আহান ওর আম্মুর বাজখাঁই গলা শুনতে পেলো। তখন সে ওয়াশরুমে বসেই করুণ গলায় বললো,
— “আম্মুনি ওয়াশরুমে পানি আসছে না।”
মামনি আহানের কথা শুনে ছাদে গেল। যা ভেবেছিলো তাই। ছাদে আজকেও ছোট বাচ্চারা এসে পানির মেইন লাইন বন্ধ করে দিয়ে গেছে। মামনি ওনার বাজখাঁই গলাতে চেচাঁমেচি করে চুপ হয়ে গেল। তনুকা ড্রেস বদলে এসে খেতে বসলো। আর বিভা তার আপনমনে কানে ইয়ারফোন গুঁজে ম্যাথ করছে।
তিতিক্ষা একমনে নদীর উথালপাথাল ঢেউ দেখছে। দূরে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের গায়ে সূর্যের উঁকিঝুঁকি আর সবুজের ঝিলিক। নক্ষত্র সাথে করে খাবার এনেছিলো। নৌকার মাঝি সহ ওরা একসাথে খেয়েছে। মাঝি যদিও প্রথমে খেতে চাচ্ছিলো না। নক্ষত্রের যুক্তির কাছে হার মেনে খেয়েছে। বেশিকিছু নক্ষত্র মাঝিকে বলেনি। শুধু বলেছে,
— “মাঝি ভাই আপনার জন্য সামান্য কিছু খাবার। ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের লজ্জা দিবেন না। আপনার ভরসাতে আমরা মাঝ নদীতে এসেছি। তাই আপনাকে আমরা অভুক্ত রাখতে পারবো না।” (হাসি হাসি মুখে)
মাঝি আর টু শব্দ করেনি। তবে মন থেকে দোয়া করেছে। খাবার দিয়েছে এজন্য দোয়াটা করেনি। করেছে এমন অমায়িক ব্যবহারের জন্য। কোনো ব্যক্তি এমন মার্জিত ব্যবহার করলে, তার প্রতি আপনাআপনি দোয়া চলে আসে। মাথার উপর বিশাল আকাশ দেখতে দেখতে ওরা খেয়ে নিলো। এত সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ওদের নৌকা সামনে দিকে আরো এগিয়ে চলল। বেশ কিছু ঘুরাঘুরি করে ওরা চলে আসে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে হাত ধরে নৌকা থেকে নামালো। তিতিক্ষাকে দাঁড় করিয়ে নক্ষত্র মাঝিকে জড়িয়ে ধরে মুচকি হেসে বললো,
— “অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমাদের সাবধানে নিয়ে যাওয়া এবং সাবধানে ফিরিয়ে আনার জন্য। ভালো থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।”
মাঝি ছলছল চোখে নক্ষত্রের দিকে তাকালো। মাঝি তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,
— “আমার বুইনের জন্যি নীল চুড়ি কিনছি। ভাই আমি আফামনিরে চুড়ি গুলান দিতে চাই। আপনাগো আমার খু্ব আপনজনের মতো লাগছে।”
তিতিক্ষার মাঝির পাশে এসে দাঁড়ালো। আর মুচকি হেসে হাত বাড়িয়ে বললো,
— “ভাই বোনকে জিনিস দিবো, এখানে পারমিশন নেওয়ার কি আছে? ভাইয়া আমি আপনার ছোট বোনের মতো। আপনি আমাকে চুড়ি গুলান পড়িয়ে দিন।”
মাঝি তিতিক্ষার কথা শুনে ভীতু চোখে নক্ষত্রের দিকে তাকালো। নক্ষত্র চোখের ইশারায় বললো পড়িয়ে দিতে। মাঝি চুড়ি গুলো এনে তিতিক্ষার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
— “আফামনি আমার হাতে মাটি লাইয়া আছে। নৌকা বান্ধার সময় মাটি লাইগা গেছে গা। আপনি পরে পইড়েন।”
তিতিক্ষা কোনো কথা না শুনে মাঝির হাতেই চুড়ি পড়লো। মাঝির মুখে তৃপ্তির হাসি। মাঝি চোখের পানি মুছে এটাও জানালো যে উনার বোন এক সপ্তাহ হলো মারা গেছে। তিতিক্ষার কথা শুনে খুব কষ্ট লাগলো। তিতিক্ষা চুড়িগুলোতে শব্দ করতে করতে বললো,
— “চুড়ি গুলো আমার খুব পছন্দ হয়েছে ভাইয়া। আপনার এই অমূল্য ভালবাসাটুকু আমি স্বযত্নে আগলে রাখবো।”
তারপর দুজনেই মাঝি থেকে বিদায় নিলো। তিতিক্ষা বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলো। ওই মাঝি ভাই আর এই জায়গাটার প্রতি অদ্ভুত এক মায়া জমে গেছে। এখান থেকে যেতে ইচ্ছে করছে না, তবুও যেতে হবে। নক্ষত্র খেয়াল করলো তিতিক্ষা মন খারাপ করে আছে। ওর চোখের কোণে অশ্রুকণা জমা হয়েছে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে দাঁড় করিয়ে বললো,
— “এই রকম আরো মনোরম সৌন্দর্য তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। প্লিজ মন খারাপ করো না।” (আদুরে সুরে)
তিতিক্ষার মাথা নাড়ালো। এরপর ওরা সিএনজি নিয়ে রিসোর্টে চলে আসলো। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে বললো। নক্ষত্র নিজেও ফ্রেশ হয়ে নিলো। সারাদিনের ঘুরা-ঘুরির পর সাওয়ার নেওয়াটাই উচিত। তিতিক্ষা ব্যাগ থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। নক্ষত্র ফোনে কথা বলতে ব্যাগ থেকে ড্রেস বের করলো। কথা বলা শেষ করে ফোনটা চার্জে লাগিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। এখন শীতের দিন, এজন্য দুজনেই হট সাওয়ার নিলো। তিতিক্ষা সাওয়ার নিয়ে বেলকনিতে কাপড় মেলে দিয়ে রুমে আসলো। সাওয়ারের পর এখন খুব ফ্রেশ লাগছে। রুমে এসি চলছে এজন্য আর শীত লাগছে না। সন্ধ্যা হয়ে গেছে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে চারপাশে। তিতিক্ষা চুল থেকে টাওয়াল খুলে চুলে হাত বুলাচ্ছে।
নক্ষত্র দুই মগ কফি নিয়ে তিতিক্ষার রুমে ঢুকে বললো,
— “উহুম! উহুম! ম্যাম আপনার জন্য কফি এনেছি।”
নক্ষত্রের কথা শুনে তিতিক্ষা মুচকি হাসলো। নক্ষত্রকে দেখে বেলকনিতে থেকে তিতিক্ষার রুমে আসলো। সাওয়ারের পর চুল আচঁড়ানো হয়নি। চুলো গুলো অগোছালো হয়ে আছে। তিতিক্ষা নক্ষত্রের থেকে একটু দূরে বসে কফিতে চুমুক দিলো। নক্ষত্র তিতিক্ষার লেয়ার কাট করা চুল গুলো দেখছে। ভেজা চুলে তিতিক্ষাকে দেখতে মন্দ লাগছে না। নক্ষত্র তিতিক্ষার বেডে বালিশে হেলান দিয়ে বসে বললো,
— “বউয়ের এটো করা খাবার খেলে নাকি সম্পর্কটা সুমিষ্ট হয়। ভাবছি সেই পথটাই এখন থেকে অবলম্বন করবো।” (মুচকি হেসে )
To be continue…..!!