#অনুভূতির_শীর্ষবিন্দু 🍁🍁
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_12
–“তুমি নামক আমার মনোপ্যাথির কিছু হলে আমার মৃত্যু অনিবার্য।”
নক্ষত্র তিতিক্ষাকে স্বাভাবিক করে সামনের দিকে এগোলো। তিতিক্ষার মুখটা ভয়ে চুপসে গেছে। তিতিক্ষা এখনো নক্ষত্রের হাতটা শক্ত করে ধরে আছে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে নিয়ে সিএনজিতে উঠে বসলো। ওরা এখন যাচ্ছে ওদের রিসোর্টের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে, এজন্য আপাতত রিসোর্টে ফিরে যাওয়াই ভালো।
সিএনজিতে বসে নক্ষত্র তিতিক্ষাকে এটা ওটা দেখাচ্ছে, কিন্তু তিতিক্ষা চুপ করে বসে আছে। আসলে ভয়টা এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে ঢুকে গেলে সহজে বের হতে চায় না। বারবার সে ভয়টাই কেন জানি মনের মধ্যে হানা দিতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পর ওরা রিসোর্টে পৌঁছালো। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে ওর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বললো। নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে শান্ত সুরে বললো,
–“প্লিজ! মন খারাপ করে থেকো না। তোমার বিষন্ন চেহারাটা আমার ভাল থাকার সবটুকু এনার্জি কেড়ে নেয়।”
তিতিক্ষা কথাটা শুনে নক্ষত্রের দিকে তাকালো। নক্ষত্রের মুখটাও শুকিয়ে গেছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে কোনো কিছু হারানোর ভয় ওকে আঁকড়ে ধরেছে। তিতিক্ষা মৃদু হেঁসে ধীরকন্ঠে নক্ষত্রকে বললো,
–“আমি এখন ঠিক আছি। আপনি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।”
নক্ষত্র মুচকি হাসলো তিতিক্ষার কথা শুনে। তিতিক্ষাও আর বসে না থেকে নক্ষত্রের কথামতো ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো। নক্ষত্র তিতিক্ষার রুমের দরজা বাইরে থেকে লক করে, ওর রুমে চলে গেল।
বিভা বসে বসে গান শুনছে। আহান বসে গ্রামীণ দৃশ্য ড্রয়িং করছে। তনুকা কিছু পেপারস নিয়ে একটা নোট তৈরি করছে। আর ওদের ঠিক সামনে মামনি মাথাতে আইসব্যাগ ধরে বসে আছে। এই শীতের মধ্যে আইসব্যাগ নিয়ে বসে থাকার প্রধান কারণ হলো একটা শাড়ি। আজকে শপিংমলে গিয়ে মামনি একটা শাড়ি পছন্দ করেছিল। কিন্তু শাড়িটার যে মূল্য সেই টাকা মামনির কাছে ছিল না। এজন্য উনি বাসাতে এসেছিলো টাকা নিয়ে গিয়ে শাড়িটা কিনবে বলে। কিন্তু গিয়ে দেখে শাড়ীটা নেই। কেউ একজন শাড়িটা নিয়ে চলে গেছে। এই কারণে মামনি প্রচন্ড রেগে যে শাড়িটা কিনেছে তাকে উড়াধুড়া গালি দিচ্ছে। তবে আহান, বিভা, তনুকা কেউ মামনির কথা শুনছে না। মামনি একা একা নিজের মত করে বিলাপ করছে।
অদ্রি আর পাতা বসে টিভিতে একটা তামিল মুভি দেখছে। ওদের সামনে আছে মুড়ি মাখানো; সাথে কফি। পলক এসে দুজনের মাথাতে ঠুয়া মেরে এক মুঠো মুড়ি মুখে পুরে সোফাতে বসলো। মাথাতে ঠুয়া মারার পরেও ওদের কারো চেঁচামেচি শোনা গেল না। অন্য সময় হলে এতোক্ষন দুজনে পলককে মেরে, চুল টেনে একাকার করে ফেলতো। কিন্তু এখন তারা দু’জনেই চুপ করে বসে আছে। দু’জনেই টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। তবে ওদের মুখের এক্সপ্রেশন টা দেখে মনে হচ্ছে, দু’জনেই এক্ষুনি কেঁদে দিবে। পলক এদের মতিগতি বুঝতে না পেরে টিভির দিকে তাকালো। আর টিভি দিকে তাকিয়ে বুঝলো, যে মুভির হিরো পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছে। খুব ব্লিডিং হচ্ছে আর হিরোইন পাশে বসে খুব কাঁদছে। এত উঁচু থেকে হিরো পরলো, মনে হয় পটল তুলবে থুক্কু মারা যাবে। হিরোইন কে বাঁচাতে গিয়ে হিরো পড়ে মারা যাচ্ছে। এই কারণে এরা দুজন বসে সেই শোক পালন করছে। হঠাৎ পলক চিৎকার করে বললো,
–“ওরে আল্লাহ রে নায়ককে মাইরালাইছে রে! ওরে কেউ হসপিটালে নিয়ে যাও রে!”
পলকের চিৎকার শুনে এবার অদ্রি আর পাতা দুজনেই ভ্রু কুঁচকে রাগী চোখে তাকালো। মনে হয় এখনই পলককে দু’জন মিলে চোখ দিয়েই গিলে খাবে। এমন ভাবে চিৎকার শুনে মামী, বড় মামা, ছোট মামা দৌড়ে আসলো। উনারা এসে পলকের কাছে এদের কাহিনী শুনে উনারাও হাসিতে ফেটে পড়লো। নক্ষত্রের আম্মু চিৎকার শুনে দ্রুত পায়ে এসে পুরো কাহিনী শুনলো। সাথে অদ্রি আর পাতাকে বললো,
–“দুটোই হয়েছে মেন্টাল টাইপের। ইমোশনাল কিছু দেখলেই কেঁদে ভাসায়। আল্লাহ জানে, এদের দুটোর বিয়ের বিদায়ের সময় কি হবে? না জানি চোখের পানিতে আমাদেরকেই ভাসিয়ে দিয়ে যায়।”
পরেরদিন সকালে….
নক্ষত্র একটা প্রাইভেট কার রিজার্ভ করেছে। আজকে এই গাড়ি নিয়েই তিতিক্ষাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবে। সিলেট জেলার কোথায় কি আছে; খুঁটিনাটি সবকিছু তিতিক্ষাকে দেখাবে। যদিও ঘুম থেকে উঠে বের হতে সকাল দশটা বেজে গেছে। এখন থেকেই শুরু হোক ওদের আজকের ভ্রমণ। তিতিক্ষার মনটাও এখন ভালো। দুজনে আজকেও ম্যাচিং করে ড্রেস পড়েছে। ওদের দেখে মনে হচ্ছে পারফেক্ট কাপল। নক্ষত্র তিতিক্ষার চোখে কাজল দেখে মুচকি হাসলো। নক্ষত্র একাই বিড়বিড় করে বললো,
–“আমাকে ঘায়েল করার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।”
তিতিক্ষা চুপটি করে বসে আছে আর নক্ষত্র ড্রাইভ করছে। নক্ষত্র মাঝে মাঝে তিতিক্ষাকে ডেকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে এটা-ওটা দেখাচ্ছে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে হযরত শাহাজালাল রহমত উল্লাহ-এর মাজারে নিয়ে গেল। গাড়ি এক সাইডে পার্ক করে নক্ষত্র তিতিক্ষাকে নিয়ে মাজারের ভিতরে ঢুকলো। মাজারে কোথায় কি আছে; নক্ষত্র তিতিক্ষাকে খুঁটিনাটি সব দেখালো। সালমান শাহ-এর কবরটাও দূর থেকে দেখালো। আসলে মাজার ঘুরাঘুরি নক্ষত্রের কোনো কালেই পছন্দ ছিল না। কিন্তু দর্শনীয় একটি স্থান হিসেবে নক্ষত্র তিতিক্ষাকে দেখালো। মাজারের পশ্চিম দিকে একটা ঝর্ণা দেখা যায়। সেই ঝর্ণার পানি বোতলে ভরে বিক্রিও করা হয়। এখানে অনেক মানুষের সমাগম। তবে এতো কিছুর মধ্যে এখানকার কবুতর গুলো তিতিক্ষার খুব পছন্দ হয়েছে। নক্ষত্র ওখান থেকে দ্রুত বের হয়ে আলী আমজাদের ঘড়ি দেখালো। এটা বিশাল আকৃতির একটা ঘড়ি। যখন ঘড়ির অবাধ প্রচলন ছিলো না। তখন সুরমা নদীর তীরে এই ঘড়িটি স্থাপন করা হয়েছিলো। এরপর নক্ষত্র শাহ পরাণের মাজার, স্টেডিয়াম, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল সবটাই ঘুরে ফিরে দেখালো। এতক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আমার প্রচুর ক্ষুধা পেয়েছে। অলরেডি দুইটা বেজে গেছে। চলো আমরা আগে লাঞ্চটা সেরে ফেলি।”
তিতিক্ষা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো। যদিও ঘুরাঘুরির মাঝে ওরা টুকটাক খাওয়া-দাওয়াও করেছে। নক্ষত্র পানসী নামক একটা রেস্টুরেন্টে গেল। গাড়ি পার্ক করে নক্ষত্র তিতিক্ষাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। দুজনেই ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলো। একজন ওয়েটার আসলো খাবারের অর্ডার নেওয়ার জন্য। তিতিক্ষা তো জানে না এখানে এখানে কি পাওয়া যায়। এজন্য নক্ষত্র মেনু কার্ড ছাড়াই অর্ডার দিল। নক্ষত্রের অর্ডার দেওয়া দেখে তিতিক্ষার চোখ কপালে উঠে গেল। তিতিক্ষা অবাক হয়ে নক্ষত্রকে বললো,
—“এত গুলো খাবার কে খাবে?”
নক্ষত্র মুচকি হেঁসে কাধের শার্ট দেখালো। তিতিক্ষা কিছু বলার আগেই ওয়েটার এসে খাবারের প্লেট দিয়ে টেবিল ভর্তি করে ফেললো। নক্ষত্র আর কথা না বাড়িয়ে খেতে আরম্ভ করলো। তিতিক্ষা বুঝতে পারছে না কোনটা দিয়ে শুরু করবে। এখানে ৩০ পদের ভর্তা পাওয়া যায়। নক্ষত্র ভর্তাই অর্ডার করেছে ২০ পদের। টাকি, টমেটো, বেগুন, ডাল, কলা, পটল, শাক, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, তিল, ডিম, ঢেঁড়স, ধনেপাতা, মগজ, কলার মোচা, মিক্সড, চিংড়ি, সিম ও শুটকি ভর্তা।
এর সাথে কাটারী ভোগ A+ গ্রেডের চালের ভাত, মাছের ডিম, পামফ্রেট ফ্রাই, রুই মাছ ভুনা, পাবদা মাছ, বেগুন ভাজা, মুরগীর মাংস, টিকিয়া, সাতকড়া দিয়ে গরুর মাংস আর কোয়েল পাখি ভুনা। সর্বশেষ, এখানকার বিখ্যাত মালাই চা।
নক্ষত্র খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। তিতিক্ষাও আর বসে না থেকে এক এক করে খাওয়া শুরু করলো। এক একটা খাবারের টেস্ট অসাধারণ । নক্ষত্র খেতে খেতে তিতিক্ষার দিকে তাকালো। তিতিক্ষা খেতে খেতে বলেই ফেললো,
–“প্রতিটা আইটেমের টেস্ট অসাধারণ। উম! এক কথায় দারুন, দারুন।”
নক্ষত্র হাসলো। তিতিক্ষা আর কথা না বাড়িয়ে ওর খাওয়াতে মন দিলো। এখন কথা বলে সময় নষ্ট করতে চায় না সে। নক্ষত্র তিতিক্ষাকে গরুর মাংসটা খেতে বললো। তিতিক্ষা একপিস নিয়ে মুখে দিতেই অবাক হলো। তিতিক্ষার এক্সপ্রেশন টা দেখে নক্ষত্র হেঁসে ফেললো। দুজনেই একটা একটা করে আইটেম শেষ করছে। নক্ষত্র এবার ইশারাতে তিতিক্ষাকে কোয়েল পাখির ভুনাটা খেতে বললো। তিতিক্ষা জানে নক্ষত্র ওকে বেস্ট টাই খেতে বলবে। এজন্য তিতিক্ষা প্লেটে তুলে খাওয়া শুরু করলো। এটার টেস্টটাও অসাধারন। তিতিক্ষা ভুলে গিয়েছিলো কবে এতো খাবার একসাথে খেয়েছে। আর খাওয়াটাও বেশি হয়ে গেছে। সত্যি বলতে খাবারের টেস্ট ভালো হলে ক্ষুধাটা বেড়ে যাওয়াটাও স্বাভাবিক। ওদের খাওয়া শেষ হলে ওয়েটার এসে সব নিয়ে গেল। নক্ষত্র আর তিতিক্ষা উঠে হাত ধুয়ে এসে বসলো। এবার আরেকজন ওয়েটা এসে মালাই চা দিয়ে গেল। এত খাবার খেয়ে তিতিক্ষার চা টা খেতে চাচ্ছিলো না। নক্ষত্র বললো,
–“শুধু একটাবার মুখে দাও ভালো না লাগলে খেও না।”
তিতিক্ষার নক্ষত্রের কথা শুনে চায়ে চুমুক দিলো। গাঢ় দুধ আর কড়া লিকারের সংমিশ্রণে মালাই চা। চা টাও দারুন খেতে, যা বলে প্রকাশ যাবে না। চা শেষ করে নক্ষত্র বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলো। গাড়িতে উঠে বসতেই তিতিক্ষা বললো,
–“আমার খাওয়া বেশি হয়ে গেছে। এভাবে খেলে আমি দুই দিনেই গলুমলু হয়ে মিনি হাতিতে পরিণত হবো।”
নক্ষত্র তিতিক্ষার কথার প্রতি উত্তরে দুষ্টু হেসে বললো,
–“গার্লফ্রেন্ড স্লিমে মানানসই। আর বউ গলুমলুতে।”
তিতিক্ষা নক্ষত্রের কথাটা ঠিক ধরতে পারিনি। একটু পরে কথাটা বুঝে লজ্জা পেলো। তিতিক্ষাকে লজ্জা পেতে দেখে নক্ষত্র হাসলো। তিতিক্ষা আর কথা বাড়ালো না, সিটের সাথে মাথা হেলান দিয়ে বাইরে তাকালো। একটুপর তিতিক্ষা নক্ষত্রকে বললো,
–“আপনাকে দেখে মনে হয় না আপনি এতো ভোজনরসিক। আচ্ছা, আপনি ভোজনরসিক হয়েও স্লিম থাকেন কিভাবে?”
তিতিক্ষা এই কথাটা শুনে, নক্ষত্র ওর নিজের ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকালো। নক্ষত্রকে হাসতে দেখে তিতিক্ষার ভ্রু কুঁচকে গেল। সাধারণ একটা কথাই তো জানতে চেয়েছে। তাহলে এভাবে হাসার কারন তিতিক্ষা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। নক্ষত্র এক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে, আর আরেক হাত দিয়ে ওর চুলে হাত বুলাচ্ছে। তিতিক্ষা আর কথা বাড়ালো না চুপ করে বসে থাকলো। নক্ষত্র তিতিক্ষার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
–“আমার পেট টান টান না হলে আমার বউ আমাকে বিয়ে করবে না। এজন্য নিজেকে সব সময় স্লিম রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করি।”
নক্ষত্র কথাটা বলেই হো হো করে হেসে দিলো।
ইস! কি লজ্জা, কি লজ্জা। নক্ষত্র এই গোপন তথ্য কিভাবে জানলো তিতিক্ষার জানা নেই। নক্ষত্রের মুখে এই কথাটা শোনার সাথে সাথে তিতিক্ষা লজ্জা পেয়ে দুই হাত দিয়ে মুখটা ঢেকে নিলো। নক্ষত্র তিতিক্ষার এমন কান্ড দেখে আবারও শব্দ করে হেসে উঠলো।
রাত ১০টা…
নূরজাহান গ্র্যান্ড হোটেলে …
নক্ষত্র একটু দূরে কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। ওর কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছে সিরিয়াস কিছু। তিতিক্ষা হোটেলের রিসিশনের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আপাতত সে ওর নিজের চিন্তায় মশগুল।
একজন ভদ্রলোক এসে তিতিক্ষাকে বললো,
–“ম্যম নাহিয়ান স্যার আপনার কে হয়?”
তিতিক্ষার লোকটির দিকে এক নজর তাকিয়ে মৃদু সুরে বললো,
–“হাজবেন্ড।”
ভদ্র লোকটি এই কথা শুনে যেন খুব খুশি হলেন। উনি তিতিক্ষাকে আবার বললো,
–“স্যারের বিয়ে হলো অথচ আমরা জানি না। এজন্যই আমরা আপনাকে চিনতে পারিনি ম্যম। তাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করলাম। প্লিজ! কিছু মনে করবেন না। আচ্ছা ম্যম কত দিন হচ্ছে আপনাদের বিয়ের?”
তিতিক্ষার এবারও মৃদু স্বরে ছোট্ট করে বললো,
–“ঠিক ১৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ড আগে।”
To be continue…..!!