-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩৬]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
আলোকে ডুকরে কাঁদতে দেখে রোদ চঞ্চল পায়ে এগিয়ে গেল। সে মজা করছিল অথচ পাগলিটা সত্যি ভেবেছে। যাকে এত ভালোবাসে তাকে কী মারা যায়? তাও আবার ঝাড়ু দিয়ে। আসলে সে দেখতে চেয়েছিল ;আলো কী করে? কিছুই বলল না বরং কাঁদতে লাগল। আলোকে কাঁদতে দেখে
রোদ মুচকি হেসে বলল,
“আমি মজা করছিলাম গাধী। ইস! এভাবে কেউ কাঁদে? এখানে লাগে তো!”
রোদ ওর বুকের বাঁ পাশে হাত বুলিয়ে বলল।এই পাগলিটা আদৌও কিছু বুঝবে নাকি কে জানে!
আলো নাক টেনে কান্নাভেজা চোখে মুখ তুলল।
এই লোকটা নিশ্চয়ই পাগল হয়ে গেছে, নয়তো এসব কী বলছে? কাঁদিয়ে আবার ঢং করে বলাও হচ্ছে, ‘ইস! এভাবে কেউ কাঁদে?’ আহা! প্রাণ জুড়ানো আদুরে কথাবার্তা। না, এভাবে কেউ কাঁদে না, মানুষ তো ডিজে গানের তালে তালে কাঁদে। রোদ আলতো করে চোখের পানি মুছিয়ে কপালে একটা আদর দিয়ে বলল,
” কাঁদানোর জন্য সরি। আদর দিয়ে শোধ করে দিলাম।”
আলো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রোদের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করছে। আজ সকাল থেকে রোদ ওকে অনেক কাঁদিয়েছে। দিনশেষে এখন আবার বলছে, ‘আদর দিয়ে শোধ করে দিলো।’ কান্না শোধ করা যায়? এটা কেমন কথাবার্তা? খুশির ঠেলায় ভুলভাল বকছে নাকি? পাষাণ মানুষটা বুদ্ধি খাঁটিয়ে ওকে বিয়ের চাপে ফেলেছে। একথা সে ঠান্ডা মাথায় ভেবে বুঝতেও পেরেছে। যদিও এতে ওর অাফসোস নেই।সে মন থেকে সব মেনে নিয়েছে। শুধু মেঘ নয়, এই ফাজিল মানুষটারও দায়িত্ব নিয়েছে। রোদ ওকে কাঁদাক, রাগ দেখাক, বকা দিক, তবুও সে ওর। মূখ্য কথা, প্রণয় নামক অনুভূতির সঙ্গে সে একটু একটু করে পরিচিত’ও হচ্ছে। আর ওর অনুভূতির রাজ্যের রাজা,’রোদ মেহবুব।’ উহুম, একথা সে কাউকে বলবে না! কারণ কিছু কিছু অনুভূতির কথা জানাতে নেই।তাছাড়া বৈধভাবে পেয়েও মুখে কেন বলতে হবে?
তাকে বুঝে নিতে হবে! আর রোদকে সে পুরোপুরি না বুঝলেও কিছুটা বুঝতে শিখেছে।এই মানুষটা ভিন্ন জাতের, একে বুঝতে একটু সময় লাগবে।
আলোকে চুপ থাকতে দেখে রোদ ওকে নিচে দাঁড় করালো। তারপর ড্রয়ার থেকে একটা বক্স এনে আলোর সামনে বসল। আলো চুপ করে তাকিয়ে দেখছে। রোদ একজোড়া নীল পাথরের নুপূর বের করে আলোকে পরিয়ে দিলো। ফর্সা পায়ে নীল পাথর দারুণ মানিয়েছে। নুপূরে ঝুনঝুনি নেই বিধায় শব্দ হবে না! আলো চোখ বড় বড় হলো যখন দেখল; বক্সভর্তি নুপূর তাও বিভিন্ন ডিজাইনের। ডিজাইনগুলো বেশ নজরকাড়া!
রোদ উঠে আলোকে বক্সভর্তি নুপূর দিয়ে মুচকি হেসে বলল,
“এখানে আটষট্টি জোড়া নুপূর আছে। আর ওই ওয়ার্ডড্রোপের প্রতিটা ড্রয়ারে শাড়ি,গয়না, এবং অনান্য ড্রেস আছে।”
“এসব কী দরকার?”
“দরকার আছে! আর এবার থেকে হালকা গয়না পরবে। তোমার পছন্দমতো’ই নাহয় পরিও। আর ভালো লাগুক বা না লাগুক এই রুমেই থাকবে। এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে চুল শুকিয়ে নাও, আমি মেঘকে দেখে আসছি।”
কথাটা বলে রোদ দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। না আলোকে কিছু বলার সুযোগ দিল; না শুনল। যেভাবে ঝাড়ু তুললো মনে হচ্ছিল, মেরে আজ আধমরা করে দিবে। ভয় দেখিয়ে কাঁদিয়ে আবার নিজেই চুপ করাবে। অদ্ভুত মানুষ! আর এতকিছু কবে কিনেছে? এই লোক আস্ত একটা পাগল। ভালোবাসে ঠিকই; না বুঝতে দেয় আর না প্রকাশ করে। তবে পছন্দ আছে বলতে হবে।
এসব ভেবে আলো নুপূরজোড়ার দিকে একবার তাকিয়ে হেসে চুল শুকানোর কাজে লেগে গেল।
এই চুল কখন শুকাবে, কে জানে! রাতও অনেক হয়েছে, ঘুমে চোখ দু’টো বুঝে আসছে। আলো আগে শাড়িটা বদলে ফ্রেশ হয়ে আসল। এভাবে আর কতক্ষণ বসে থাকবে। আগে তো সে থামি পরত, তারপর থ্রি-পিস, এখন আবার শাড়ি।
যদিও সে শাড়িতে অভ্যস্ত না, তবুও মন্দ লাগছে না। বউ বউ একটা ব্যাপার আসছে, কার বউ? রোদের বউ! ইস! কি লজ্জা, কি লজ্জা। এসব ভেবে আলো লজ্জায় দুই হাত দিয়ে মুখটা ঢেকে নিলো।তবে এখন বউ হয়েছে, মাঝে মাঝে শাড়ি পরলে মন্দ হয় না। এমন কতশত ভবনায় ডুবে
আলো ওভাবে বসেই ঘুমিয়ে গেল। আজ কান্নার পরিমান বেশি হওয়াতে শরীরও বেশ ক্লান্ত। আর ক্লান্ত শরীরে কতক্ষণ বসে থাকা যায়। চুলও তো শুকানো হলো না। রোদ মেঘকে দেখে রুমে এসে বিরবির করে বলল,
“ভেজা চুলে ঘুমাবে আর জ্বর আসলে কুইকুই করবে, ফাজিল একটা।”
একথা বলে সে ড্রায়ার দিয়ে ধীরে ধীরে আলোর চুল শুকাতে লাগল। আর এমনভাবে দাঁড়াল, যাতে আলো ঘুমের ঘোরে পড়ে না যায়। চুলের দায়িত্ব সে অনেক আগেই পেয়েছিল। তবে এর পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হবে আজকে থেকে। এখন না থাকবে বাঁধা আর না দ্বিধাবোধ! এই এলোকেশ এবং এলোকেশী দু’টোই একান্ত ওর।
ওদের বিয়েটা মূলত এভাবেই হয়েছে। তবে ওদের সম্পর্কটা আরো একধাপ এগোতে না রোদের তাড়া আছে, না আলোর। সঠিক সময়’ই নাহয়
ওদেরকে আরো কাছাকাছি এনে দিবে। তাছাড়া
সব কাজে তাড়াহুড়ো করতে নেই, হিতে বিপরীত হয়। দিনও যাচ্ছে, সময়ও কাটছে, একে অপরের আরো কাছাকাছিও আসছে। সম্পর্কটাও আগের তুলনায় সহজ হচ্ছে, তাহলে তাড়া কিসের? সব জায়গায জোর কাজ করে না। কারণ জোর করে কার্যসিদ্ধি কাপুরুষের কাজ। আর সেটা নিজের বউয়ের ক্ষেত্রেও। আর বুদ্ধিমান পুরুষরা এটা কখনোই করবে না।
বর্তমানে,
রোদ ওর ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসল। কফি শেষ! আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বাতাসের জোরও ধীরে ধীরে বাড়ছে। হয়তো বৃষ্টি আসবে।
রোদ আশেপাশে চোখ বুলিয়ে পুনরায় অন্য এক
ভাবনায় ডুব দিলো। ওদের বিয়ের দুইদিন আগে ঘটনা। সেদিন হুট করে রোহান রোদের অফিসে এসেছিল। সচরাচর সে খুব একটা অফিসে যায় না। খুব দরকার হলে সরাসরি বাসায় যায়।রোদ মিটিং সেরে কেবিনে এসে দেখে রোহান কফি খাচ্ছে আর গেম খেলছে। রোদ চেয়ারে শরীর এলিয়ে বসল। তখন রোহান বলল,
“একটা জিনিস চাইব ভাই, দিতে হবে কিন্তু।”
রোদ পানি খেয়ে অকপটে উত্তর দিলো,
“অবশ্যই দিবো, শুধু আমার ভাইয়ের হাসিটা চাস না। এটা আমার সাধ্যের বাইরে! জানিসই তো; মেঘের হাসি এখন আলোতে সীমাবদ্ধ।”
রোহান হাসল! সে জানত, এমনকিছু হবে। তাই
ব্যাপারটা ভালোলাগাতেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল।
রোদ খুব চতুর। তাকে মুখে বলে কিছু বোঝাতে হয় না। সেদিন রোহানের দৃষ্টিতেই সে বাকিটুকু বুঝেছিল।একটা ছেলের চোখের ভাষা আরেকটা ছেলে খুব সহজে বুঝে। সে যদি বন্ধু হয়; তাহলে তো কথায় নেই! তাছাড়া মেঘ শুধু রোদের ভাই তা নয়। ছোট্ট মেঘ ওদের সবাই কলিজা। ধরা খেয়ে রোহান হেসে রোদের কাঁধে হাত রেখে বলল,
“আর তুই?”
“জানিস’ই তো।”
“রোদ এই ব্যাপারটা এখানেই শেষ করি। কারণ আমারটা ভালোলাগা, যেটা ক্ষণিকের। আমার অনুভূতি এতটাও গাঢ় নয়, একপ্রকার মোহ বলা যায়। কিন্তু তোরটা সম্পূর্ণ ভিন্ন, যে অনুভূতির গভীরতা আমার থেকে তুই ভালো জানিস। মন থেকে সত্যি বলছি ভাই, তোর ফুলকে বোনের আসনে বসিয়েছি। আমি জানতাম ওই ফুলটা তোর বাসাতেই শোভা পাবে, অন্য কোথাও নয়।
এবার ফুলটাকে বৈধভাবে তোর ঝুলিতেই তুলে নে।”
রোদ রোহানের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাল।তবে ওর দৃষ্টিতে না আছে কষ্ট আর না অনুশোচনা।
চোখে হচ্ছে মনের আয়না, চোখের ভাষা কখনো মিথ্যা হতে পারে না। সত্যিই রোহানের আলোর প্রতি অনুভূতিটা ভালোলাগাতে সীমাবদ্ধ ছিল।
সুন্দর ফুলে সবাই হাত বাড়ায় সেও বাড়িয়েছিল।তবে না পেলে কষ্ট জর্জরিত হবে এমনটাও না।
মেঘের ভালোবাসা আর রোদের দায়িত্ববোধের সাথে অন্যকিছু তার চোখে পড়েছে।এজন্য সে
মনকে সামলে নিয়েছে। দুই বন্ধুর মাঝেই এসব মিটমাট হয়েগিয়েছিল। কিন্তু সাফির মা রোদের পিছু ছাড় ছিলেন না। সাফির বড় ভাইয়ের জন্য আলোকে উনি চাচ্ছেন। আলোকে উনার খুব পছন্দ হয়েছে আর সাফির ভাই সাব্বিরের সঙ্গেই নাকি বেশ মানাবে। রোদ পড়েছিল মহাবিপদে।
এজন্য রোদ ওর পাখিকে যথাশীঘ্রই শেকল’টা পরিয়ে দিলো। যাতে কেউ চাইলে জোর গলায় বলতে পারে, ‘এটা আমার সুখপাখি।’
এসব ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে রোদ হাসল।
তারপর উঠে আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে
নিচে চলে গেল। রোদ আলো আর মেঘকে ঠিক ভাবে শুইয়ে নিজেও শুয়ে পড়ল। কাল সকাল
সকাল ওদের বেরিয়ে পড়তে হবে।গ্রামের বাড়িতে আকাশের বড় চাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়েছে। ওরা কালকে সেখানে যাবে। আর
আকাশ বার বার বলেছে, ওদের সবাইকে যেতে’ই হবে। রাত পেরিয়ে সকাল হলো। সূর্য্যিমামা তার আলো ছড়িয়ে আঁধারকে বিতাড়িত করল।রিমি, রোহানসহ সব বন্ধু’রা একসাথে যাবে।যাতে ওরা মজা করতে করতে যেতে পারে। সকাল আট’টার দিকে একে একে সবাই রোদের বাসায় উপস্থিত হচ্ছে। রিমি, শোভনের বউ নিতু আর আলো গল্প জুড়ে দিয়েছে। মেয়েদের যা কাজ! একটুপরে রোহান ঘুমে ঢুলুঢুলু হয়ে হেলেদুলে উপস্থিত হলো। ওর জন্য’ই সবাই অপেক্ষা করছিল। ওকে দেখে শোভন বলল,
“চল যাওয়া যাক, অনেকদূরের রাস্তা।”
”হুম।”
রোদ তখন রোহানের দিকে তাকিয়ে বেশ বিরক্ত হয়ে বলল,
“তুই বাসায় পরা স্যান্ডেল পরে যাবি?”
রোদের কথা শুনে সবার দৃষ্টি তখন রোহানের পায়ের দিকে। রোহানও দেখে করুণ দৃষ্টিতে তাকাল। বেচারা গতরাতে তিন’টা পঞ্চাশে
বাসায় ফিরেছে। ফ্রেশ হয়ে খেতে খেতে চার’টা পনেরোতে ঘুমাতে গেছে। সাংবাদিক মানুষ খুব চাপ যাচ্ছে বিধায় হুশ নেই। রোদের একজোড়া কেডস্ পায়ে ঢুকিয়ে সে হাঁটা ধরল। রাকা গিয়ে
সবার খাবার গাড়িতে রেখে আসল। রোদ ওকে গতরাতে বলে রেখেছিল। তারপর সবাই বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসল। বড় হাইসের জন্য একটা গাড়িতে সবাইকে ধরে গেল। শামীম তখন হেসে ড্রাইভ করতে করতে বলল,
“যে যার বউয়ের পাশে বস আর বউকে সামলা,
গ্রামের রাস্তা’টা খুব খারাপ। বারি বুরি গেলে বউ চ্যাকা-ব্যাকা হয়ে গেলে ড্রাইভারের দোষ দিস না।
ওর কথা শুনে সবাই হাসল। অনেক মজা করে অনেকটা পথ পাড়ি দিলো। আর কিছুক্ষণ পরে ওরা গ্রামে ঢুকবে। গল্প যেন শেষ হচ্ছে না, চলছে তো চলছেই! রোহান বসে থাকতে থাকতে রিমির কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। অনেকক্ষণ বসে থাকাতে রিমির একটু কষ্ট হচ্ছিল, তাই রোদ ওর কাঁধে রোহানের মাথাটা রাখল।আর এমন ভাবে রাখল যেন রোহানের ঘুম না ভাঙ্গে। বন্ধু যাদের স্থান কলিজায়। তাদের খেয়াল রাখাটা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এই দৃশ্যটা দেখে সবাই মৃদু হাসল।
রোদ বরাবরই এভাবে সবার খেয়াল রাখে। কেন জানি সব ত্রুটি ওর চোখেই ধরা পড়ে। তখন সে যথাসাধ্য ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করে। মেঘ বসে
চিপস খাচ্ছে আর গেম খেলছে। এখনো চুপচাপ আছে। গ্রামের রাস্তা ভাঙা হওয়াতে রোহান বারি খেতে গেলে রোদ ধরে নিলো।এই ধাক্কায় ঘুমটাও ওর ভেঙে গেল। রোহান নিজেকে রোদের কাঁধে দেখে হাসল, এটা নতুন নয়। এই ঘটনা অনেক বার ঘটেছে। রোহান ঠিক হয়ে বসে চোখে মুখে পানি দিয়ে খাবারখেয়ে নিলো। সে বাদে সবাই খেয়েছে। প্রতিটা বন্ধুমহলে একটা প্রতিবন্ধী বন্ধু থাকেই। এখানেও আছে, তার নাম তানিম। সে প্রেমিকার সাথে কথা বলতে ব্যস্ত। সারারাস্তা সে তাই’ই করেছে। রাস্তা এত খারাপ যে কেউ কারো জায়গায় স্থির নেই। তার মধ্যে তানিমের গদগদ মার্কা প্রেমালাপ,
“আল্লাহ, আমাল বাবুটা কত্ত কিউত করে হাঁচি দিচ্ছে। আবার প্রেমে পড়ে গেলাম আমার টিয়া পাখিটার।”
এমন কথা শুনে রিমি মনে মনে গালি ছুঁড়লেও, আলো রোদের বাহুতে মুখ লুকিয়ে নিঃশব্দে হেসেই যাচ্ছে। নিতু মুখে ওড়না গুঁজে ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। তানিমের কথার ঢং দেখে না হেসে থাকাও যাচ্ছে না। বাকিরা শুনে শুনে অভ্যস্ত।
এমনিতে ভাঙা রাস্তা তারমধ্যে এসব কথা শুনে রোহান রেগে বলল,
“এটাকে কেউ থামাবি, নাকি দামদুম করে মেরে দিবো?”
এরমধ্যে মেঘ মুখ কাঁচুমাচু করে বলল,
“দাভাই, আমার তো ইয়ে ব্যথা হয়ে গেছে। রাস্তা এমন কেন?”
শোভনও বলে উঠল,
“আমারও বা*।”
তখন শামীম হাসতে হাসতে বলল,
“ওখানে গিয়ে যে যার ইয়ে’তে ব্যথানাশক স্প্রে মেরে নিস। নয়তো আসার সময় অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে।”
To be continue……!!