-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৪৪]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
বেশ কয়েকদিন পর,
সেদিন সন্ধ্যায় ওরা ডাক্তার দেখিয়ে রাতে বাসায় ফিরেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ আর মলম ব্যবহারে আলোর পা অনেকটাই সেরে গেছে। তবে রাতে বেডশীটে ঘষা লেগে ফোসকা গলে গিয়েছিল। জ্বালাপোড়ার চোটে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে গিয়ে রোদের কাছে ধরাও পড়েছিল। পরে রোদ জ্বালা কমাতে বরফ, মলম আর ফুঁ দিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করেছিল। এছাড়া বা কী করবে? বেশ কিছুক্ষণ পর, জ্বালা কমলে আলো রোদের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। রোদ ওকে স্বযত্নে বুকে আগলে খেয়াল রেখেছিল, পুনরায় যাতে ঘষা না লাগে। পরেরদিন সকালে,পাপোসে বেঁধেও ফোসা গলেছিল। সাবধানে থাকলেও ওর সেখানেই গিয়ে লাগছে। আলো কষ্টও পাচ্ছিল।ওষুধ আর মলম ব্যবহারে ক্ষতটা প্রায় শুকিয়ে গেছে, হাঁটলে তেমন ব্যথা লাগে না। তবে দাগ রয়ে গেছে! একয়েকদিনে আলোর চারটা পরীক্ষা হয়েছে; ভালোই হয়েছে। দেখা যাক, বাকিগুলো কেমন হয়!
আলো পরীক্ষা দিয়ে সারার সঙ্গে গেটের বাইরে আসল। সবাই হুড়োহুড়ি করে বের হচ্ছে। যেন আর এক মিনিট দেরী হলে ওখানেই মারা যাবে।
সাফি পরবর্তী পরিক্ষা নিয়ে কথা বলছে। আজ নোট কালেক্ট করে রাতে সবাইকে পাঠিয়ে দিবে। তাও বন্ধুরা যেন এক নাম্বার কম না পায়।আলো
হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়িয়ে ডানে তাকিয়ে হাসল।অদূরে মেঘ গোলাপি আর সাদা হাওয়াই মিঠাই হাতে দাঁড়িয়ে আছে। রবিও আছে! দুষ্টটাকেই সে খুঁজছিল! বউমনিকে তাকাতে দেখে মেঘ মিষ্টি করে হাসল। দাভাই অফিসে! তাই স্কুলে থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে বউমনিকে নিতে এসেছে। রোজ আসে, বারণ শুনে না। কেন শুনবে? ওর দায়িত্ব আছে না! মেঘ দৌড়ে গিয়ে ওদের উদ্দেশ্যে করে বলল,
“পরীক্ষা ভালো হয়েছে? তোমরা সব লিখেছো তো?”
ওরা একে অপরের মুখ তাকাতাকি করে নিঃশব্দে হাসল। দুষ্টুটার এত পাকা পাকা কথা। তখন সারা উত্তর দিলো,
” হ্যাঁ জান! আর শোনো, চলো আমি আর তুমি বিয়ে করে ফেলি?”
সারার শুনে মেঘ ভ্রু কুঁচকে নিলো। মেয়েটা খুব পঁচা দেখা হলেই, জান বলে। লজ্জা নেই! আর বউমনির সামনে এসব বলে? পঁচা মেয়ে! সে তো পুতুলের মতো একটা মেয়েকে বিয়ে করবে। যাতে বউকে খুব মারতে পারে। বউ কথা শুনলেও মারবে আর না শুনলেও। মেরে আবার আদরও করবে, হুম। বউ কাঁদলে তাকে চকলেট দিয়ে বলবে,
”ইস,কাঁদে না! কাঁদে না বউ, নাও চকলেট খাও। এবার কাঁদলে, তোমাকে ডাস্টবিনে ফেলে আসব।”
কিন্তু বউ বড় হলে উল্টে ওকেই মারবে! কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়েও রাখবে। না, দরকার নেই বাবা। বিয়ে’ই করবে না, তবুও বড় বউ লাগবে না। মেঘ আর কিছু বলতে না দিয়ে আলোকে টেনে গাড়িতে বসাল। রবি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে নিদির্ষ্ট পথে চলতে শুরু করল। মেঘ তখন মিষ্টি হেসে একটা ডাব এগিয়ে দিয়ে বলল,
“খাও।”
আলো মুচকি হেসে অর্ধেক খেয়ে মেঘকে দিলো। তারপর দু’জনে কতশত গল্প জুড়ে দিলো। প্রায় দশ মিনিট পর, আলো খেয়াল করল বাসার রাস্তায় যাচ্ছে না। তাহলে? সে কিছু বলার আগে গাড়িটা একটা বড় গেট দিয়ে ঢুকে থেমে গেল। আলো কৌতূহলবশত বাইরে তাকালে ওর চোখে পড়ল, বড় বড় অক্ষরে লিখা -‘মেহবুব গ্রুপ এ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ’-
বাসায় না গিয়ে অফিসে? আলো মেঘের দিকে তাকালে, মেঘ দাঁত বের করে হাসল। অর্থাৎ এসব ওর বুদ্ধি! রোজ তো বাসাতেই যায় আজ অফিসে সময় কাটাবে। মেঘ লাফ দিয়ে নেমে আলোকে টেনে ভেতরে নিয়ে গেল। কিছু বলার সুযোগও দিলো না। মেঘকে যে দেখছে সেই হেসে কথা বলেছে। কিন্তু ওকে কেউ চেনে না! তাছাড়া কলেজ ড্রেস পরিহিত। সবাই ওকে কী ভাবছে, কে জানে? রোদ ওকে দেখে রেগে গেলে? বকবে নাকি মারবে? এমনিতেই মানুষটার যা রাগ। না, এখানে আসা মোটেও ঠিক হয় নি। আলো চুপ করে এসব ভাবছিল। তখন রোদ আর আকাশ মিটিংরুমে থেকে বের হচ্ছিল। ওদের মিটিং কেবল শেষ হলো। হঠাৎ আকাশ চেঁচিয়ে বলে উঠল,
“আরে ম্যাম, আসুন, আসুন! আসতে কষ্ট হয় নি তো?”
আলো চোখ বড় বড় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাম? আলো ওর পেছনে ঘুরে দেখে; না কেউ নেই! তাহলে? আকাশ ওকে ম্যাম ডাকছে? এবার রোদের সাথে আলোর দৃষ্টি বিনিময় হলো। তখন রোদ মুচকি হেসে বলল,
“ম্যাম, প্লিজ ভিতরে আসুন!”
আকাশ খুব রশিক মানুষ। সবাই ভেবেছে, মজা করছে। কিন্তু রোদকে বলতে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিলো। আলো হতভম্ব! ভেবেছিল কী, আর হচ্ছে কী! তারপর সে নিজেকে সামলে মৃদু স্বরে সালামের উত্তর দিলো। লজ্জা আর অস্বস্তি যেন জাপটে ধরেছে। তখন মেঘ চেঁচিয়ে বলল,
“দেখো! সবাই দেখো, এটা আমার বউমনি।অল্প করে সবাই দেখো।”
“বেশি দেখলে কী হবে?” (আকাশ)
“না, দেখছো না? বউমনি লজ্জায় লাল টুকটুক হয়ে গেছে।”
মেঘের কথা শুনে রোদ মুচকি হাসল। সবার দৃষ্টি তখন কলেজ ড্রেস পড়ুয়া মেয়েটার দিকে। অল্প বয়স! তবে মেয়েটা দেখতে পুতুলের মতো, খুব আদুরে! রোদ আলোকে পরিচয় করিয়ে কেবিনে নিয়ে গেল। তারপর ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল,
“ম্যাম, কেমন আছেন?”
“ঢং।”
আলোর কথা শুনে রোদ শব্দ করে হেসে উঠল।
আলোকে দেখে রোদ খুব খুশি হয়েছে। এতদিন সে ইচ্ছে করে আলোকে অফিসে আনে নি। কেন আনবে? আলো নিজে আসবে না কেন? মেঘের মতো ওর’ও অধিকার আছে, তাহলে? সবকিছু মুখে বলে বোঝাতে হবে? রোদ ওর চেয়ারে বসে আলোর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। মেঘ আকাশের সাথে কোথায় যেন গেছে। রোদ কিছু বলছে না দেখে, আলো উঠে পুরো কেবিনে চোখ বুলিয়ে নিলো। পরিপাটি করে সাজানো কেবিন।
রোদের আবার সবকিছুই পরিপাটি হওয়া চায়। বাসায় অথবা অফিসে। আলো কথা খুঁজে না পেয়ে আমতা আমতা করে বলল,
“ক্ষুধা লেগেছে।”
“খাবার কেনার টাকা নেই, আমাকে খাও।”
একথা শুনে আলো থম মেরে গেল। এটা কেমন কথা? কাউকে খাওয়া যায়? টাকা নেই, তাও ওর কাছে? পাগল নাকি মানুষটা? নয়তো প্রলাপ বকছে কেন? তখন রোদ উঠে আলোর খুব কাছে গিয়ে আদুরে স্বরে বলল,
“আগে আমার ক্ষুধা মেটাও তারপর তোমারটা মেটাবো।”
”আমার কাছে খাবার নেই।”
“খাবারেই শুধু ক্ষুধা মিটে কে বলল, হুম?”
“তাহলে, আর কিসে মিটে?”
”আদরে!”
“আদরও নেই।”
“আছে তো! এই যে, তোমার কপালে, গালে, গোলাপি ঠোঁটে, থুতনীতে, গলার ভাঁজে। যতটুকু আদর লুকায়িত রেখেছো, এতটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট এলোকেশী।”
আলো লজ্জায় মাথা নিচু করে লাজুক হাসল।
এই মানুষটার নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
ইস! কী বলছে এসব? লজ্জার ছিঁটেফোঁটাও কী নেই! রোদ মিটিমিটি হেসে ওর নাকের ঘাম মুছে দিলো। লজ্জায় রাঙা হয়ে আলো এসি রুমেও ঘামছে। আলোকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে তখন মেঘের আগমন ঘটল। বউমনি! বউমনি! বলে ডাকতে ডাকতে কেবিনে প্রবেশ করল। ততক্ষণে রোদও দূরে সরে দাঁড়িয়েছে।মেঘ আর আকাশের হাত ভর্তি প্যাকেট। রোদ একটা প্যাকেট নিয়ে আলোকে ফ্রেশ হতে বলল। এখানে ড্রেস আছে! কতক্ষণ কলেজ ড্রেসে থাকবে? ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, খুব ক্লান্ত! এজন্য রোদ’ই রিমিকে মেসেজ করে বলেছে, আকাশের হাতে ড্রেস পাঠাতে।রিমির শোরুম এখান থেকে ছয় মিনিটের পথ।
আলো ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতে আকাশ আর রোদ খাবার সাজিয়ে ফেলল। তারপর চারজন খেতে বসে রিমিকে ভিডিও কল দিলো। রিমি ওদের খাবার দেখে বলল,
”আমাকে ছাড়া খাচ্ছিস? দেখিস, কোষ্ঠকাঠিন্য হবে।”
তখন আকাশ মুখটা বিকৃতি করে প্রায় চেঁচিয়েই বলল।
“টাকায় আমাকে কিড়িমিড়ি করছে? যা ভাগ, ফহিন্নি।”
রিমি প্রত্যুত্তর করার আগে ওর স্টার্ফ খাবার দিয়ে গেল। খাবারগুলো দেখে সে ভ্রু কুঁচকে ফেলল। এসব খাবার অর্ডার করে নি, তাহলে? স্টার্ফ ওর তাকানের মানে বুঝে উত্তর দিলো,
“আকাশ স্যার দিয়ে গেছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
রিমি কিছুক্ষণ বিনাবাক্যে রোদ আর আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল। সর্বদা এরা এভাবেই ওর খেয়াল রাখে। বন্ধুদের কাজ দেখেই, বন্ধুদের জন্য জান দিতে মন চায়। রোদ ওকে তাকাতে দেখে খাবার মুখে দিতে দিতে বলল,
“লোভ দিবি জেনেই দিয়েছে। এবার তুই’ও খা, আমাদেরও খেতে দে।”
তারপর গল্পের ছলে সবাই খাওয়া শেষ করল। রিমির কাস্টমার এসেছে তাই বিদায় নিয়ে কল কাটল। আর রোদের কথায় আকাশ আজকে
তাড়াতাড়ি অফিস ছুটির ঘোষণা দিলো। সবাই খুব খুশি! স্টার্ফরা চলে গেলে আকাশও বিদায় নিলো। রোদ আলোকে পুরো অফিসটা ঘুরিয়ে ছাদের নিয়ে এলো।
বিকেলের সূর্য তখন পশ্চিমা দিগন্তে অবতরণ করছে। তার রাজত্ব শেষ! কাল সকালে পুনরায় তেজ দেখিয়ে উদয় হবে। আর কাজেও বুঝিয়ে দিবে, সেই সেরা! ছাদে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত নগরী দেখা যাচ্ছে। রাস্তা, গাড়ি, দোকান, আর কত্ত মানুষের কোলাহল! সবাই কর্মচঞ্চল! ছাদটা খুব সুন্দর।
ফুরেফুরে বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আলোর লাল ওড়না উন্মুক্ত বাতাসে অবাধ্য হয়ে উড়ছে।
সে সিঁদুরে লাল রংয়ের ড্রেস পরে আছে। খোঁপা করে মাথায় সুন্দর করে ওড়না দেওয়া। কিন্তু দুষ্টু বাতাস ওড়না রাখতে’ই দিচ্ছে না। আলো হাল ছেড়ে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
“ছাদটা খুব সুন্দর।”
“আমার বাবাও খুব পছন্দ করতেন। আমি আর বাবা এখানে অনেক সময় কাটিয়েছি।”
“মনে পড়ছে, বাবার কথা?”
“সব সময়ই পড়ে।”
” উনাদের মৃত্যুটা স্বাভাবিক নাকি..?”
”স্বাভাবিক। আম্মু জানত না, সিলিন্ডার লিক করেছিল। আব্বু- আম্মু দু’জনেই কথার ছলে চা বানাতে রান্নাঘরে গিয়েছিল। চুলা অন করতেই বিষ্ফোরণটা ঘটেছিল। তারপর….!”
আলো আর কিছু বলার সাহস করল না। মূখ্য কথা, বাড়তি কিছু বলে রোদের কষ্ট বাড়াতে চাচ্ছে না। থাক না, কিছু অজানা। মেঘ চুপ করে বসে রোদের ফোনে গেম খেলছে। মাঝে মাঝে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে ফেলছে। হয়তো বার বার চেষ্টা করেও হেরে যাচ্ছে। রোদ রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে সামনে দৃষ্টি রেখে বলল,
“তোমার বাবা-মাকে খুঁজতে ইচ্ছে করে না?”
“উহুম, না।”
“কেন?
“সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না। আমি আপনাদের নিয়ে বেশ আছি! তাছাড়া জীবনে অনেক ধাক্কা খেয়েছি। এখন বাবা-মাকে খুঁজতে গিয়ে আবার ধাক্কা খেলে হয়তো আমিই আর বাঁচব না।”
“নিরপেক্ষ কিছু ভাবো।”
আলো কিছুক্ষণ চুপ থেকে ছলছল চোখেও হাসি ফুটিয়ে বলল,
“যাকে আমি দাদীমা বলে জানতাম, উনি আমার রক্তের কেউ নন। আমার বাবা-মা কে? তাও জানিনা! হয়তো মেয়ে বলে বাবা-মা ফেলে গিয়েছিল। নয়তো দাদীমা কারো থেকে ছিনিয়ে এনেছে। নতুবা দাদীমাকে স্ব-ইচ্ছায় কেউ দিয়ে গেছেন। এমন কিছুই হবে। আমি বাবা-মাকে ছাড়া এতদিন বেঁচে ছিলাম; এখনোও আছি।
নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি তাই ভবিষ্যতেও সমস্যা হবে না। তাছাড়া পুরনো ক্ষতকে জাগ্রত করার, ইচ্ছে, ধৈর্য, সাহস, কোনোটাই আমার নেই।আমি সৃষ্টিকর্তার হুকুমে জন্ম নিয়েছি, ভাগ্যের জোরে দাদীমার কাছে, তারপর অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনায় এখন আপনার কাছে। আপনিও কী…?”
রোদ পকেটে হাত গুঁজে ওর কথাগুলো শুনছিল। ভীতু মেয়েটা গুছিয়ে কথা বলতেও শিখে গেছে।
কঠিন কঠিন কথা কত্ত সহজে বলে দিলো। তবে
শেষ প্রশ্নের জবাবটা রোদ ওর দিকে না তাকিয়ে বলল,
“উত্তরটা তোমার অজানা নয়। শুধু মস্তিষ্ক এবং মনে স্পষ্টভাবে গেঁথে নাও; তুমি মেঘের বউমনি আর আমার কেউ! নিতান্তই কেউ! তাই তুমি এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবে না। আর আমি বেঁচে থাকতে তো নয়’ই!”
রোদের কথা শুনে আলো মনে মনে বেশ ক’বার আওড়াল; কেউ ! এই কেউ’টা কী? ওর প্রণয়ী, অর্ধাঙ্গিনী, ভরসাস্থল, নাকি হৃদমোহিনী? যদিও উত্তরটা সে , জানে, বুঝে, মানে এবং বিশ্বাসও করে। অস্পষ্টভাবে রোদ না বলা কথাটা জানিয়ে দিলো। যেখানে ওর চোখ গাঢ় অনুভূতির কথা জানান দেয়; সেখানে মুখে বলাটা বিলাসিতা!
বুদ্ধিমান মানুষরা একথায় কাজ সারে। হোক সেটা, পেঁচিয়ে বা স্পষ্টভাবে! রোদের মনোভাব বুঝে আলো মুচকি হেসে মনে মনে বলল,
‘-এটাই বুঝি এলোকেশীর প্রণয়ের পূর্ণতা। বেলাশেষে, তুমি নামক প্রাপ্তিটা আমি পেয়েই গেলাম, প্রিয়!-‘
To be continue…..!!