‘সুদর্শন শঙ্খচিল’
[২৬]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
তুয়ার শর্ত শুনে প্রত্যয় অকপটে বলে দিল,” বাচ্চার চিন্তা বাদ আগে তোমার কেরিয়ার ঠিক করো।”
তুয়া ভেবেছিল প্রত্যয় দ্বিমত জানিয়ে বকবে, বারণ করবে। কিন্তু তুয়াকে অবাক করে দিয়ে প্রত্যয় রাজি হয়ে গেল। প্রত্যয় শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান একটা ছেলে। সে পড়াশোনার গুরুত্ব বুঝে বলেই তুয়াকে অশিক্ষিত রাখতে চায়না। এই খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে তুয়াকে অবশ্যই শক্ত হতে হবে, নিজের পা দাঁড়াতে হবে। নিজেকে শক্তপোক্ত অবস্থানে নিতে যেতে হবে, যাতে ওর দিকে কেউ আঙুল তোলা আগে দশ বার ভাবে। প্রত্যয় তুয়ার জেদকে এখন প্রশ্রয় দিচ্ছে না, আর পরবর্তীতে দিবেও না। কিন্তু প্রত্যয়ের কথা শুনে তুয়ার মনে জেদের সৃষ্টি হয়। সে প্রত্যয়ের কথার প্রত্যুত্তরে বলল,
“ভেবে বলছেন?”
“হুম, কোন দেশে যেতে চাও? ”
“জানিনা, তবে যথা শীঘ্রই যেতে চাই।”
কথাটা বলে তুয়া অন্যদিকে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। প্রত্যয় কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিজেও শুয়ে পড়ল। একটুপরে, প্রত্যয় তুয়াকে কিছু বলার জন্য আলতো স্পর্শ করে ডাকল। কিন্তু তুয়া প্রত্যয়ের কথা না শুনে ঝাটকা মেরে ওর হাতটা সরিয়ে দিল। প্রত্যয় মূলত ঠান্ডা মাথায় তুয়াকে বুঝানোর জন্যই ডাকছিল। তুয়ার এমন ব্যবহারে প্রত্যয় কষ্ট পেয়েও শান্ত কন্ঠে বলল,”দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্ম কেউ বুঝেনা। তেমনি তুমিও বুঝছ না তবে সঠিক সময় ঠিকই বুঝবে।” কথাটা বলে প্রত্যয় চোখের উপর হাত রেখে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ল। প্রিয় মানুষটার যত্নে দেওয়া আঘাতটা সরাসরি বুকে গিয়ে বিঁধে। না চাইলেও কষ্টটা বুকের ভেতরটাতে জ্বলজ্বল করে জ্বলে অদৃশ্য এক ক্ষতের সৃষ্টি করে। আর দূর্ভাগ্যবশত কষ্টের উপলব্ধি দাতা হিসেব নিজেকেই এই কষ্টের অনলে পুড়িয়ে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে হয়।
তুয়া নিরবে চোখের অশ্রু ঝরিয়ে অভিযোগের পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে? কেন প্রত্যয় ওকে বাঁধা দিল না? কেন জোর দিয়ে বলল না, তুয়া তোমার যেতে হবে না? পড়াশোনা করতেই হবে? বাচ্চা নিয়ে মন দিয়ে সংসার করলে কি হবে? মানুষ কি পড়াশোনা ছাড়া সংসার করেনা? প্রত্যয় জানে তাকে ছাড়া থাকতে তুয়ার কষ্ট হয়, তবুও কেন সে মেনে নিচ্ছে? প্রত্যয়কে পরীক্ষা করার জন্য তুয়া কথাটা বলেছে, তাই বলে রাজি হতে হবে? এই তার ভালবাসা? মেয়ে মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত। যেমন তুয়া নিজেই প্রত্যয়কে দু’টো অপশন দিয়েছে। এখন নিজেই প্রত্যয়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ছে দিচ্ছে।
পরেরদিন সূর্য তার সমস্ত আলো ছড়িয়ে নতুন দিনের সূচনা করল। আজকে পবিত্র জুম্মাবার। কালকে রাত থেকে চাঁদের সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। কারন কালকে রাতে প্রিয়ম চাঁদকে পুনরায় থাপ্পড় উপহার দিয়েছে। চাঁদ ঘুমের ঘোরে খাবার ভেবে প্রিয়মের কানে কামড় বসিয়েছে। কামড় খেয়ে প্রিয়ম কানে হাত দিয়ে ধড়পড় করে উঠে চাঁদের গালে থাপ্পড় দেয়। আচানক থাপ্পড় খেয়ে সময় নিয়ে ব্যাপারটা বুঝে চাঁদ দাঁত বের করে হেসে বলল,”একটা কামড়ই তো।” প্রিয়মও একই সুর টেনে বলল,”একটা থাপ্পড়ই তো।” চাঁদ কথা না বাড়িয়ে বাকি রাতটুকু দুরত্ব বজায় রেখে শুয়েছে। প্রিয়মের পুরুষালি শক্ত হাতের থাপ্পড়ের খুব ব্যাথা লাগে। আর এক প্রহরে ডাবল থাপ্পড় খাওয়ার ইচ্ছেও ওর নেই।
সকালে প্রত্যয়রা সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছে। প্রত্যয়ের আম্মু থমথমে মুখ নিয়ে বললেন, “প্রত্যয় প্রিয়ম তোমাদের নামে অভিযোগ এসেছে। এটা তোমাদের থেকে আমি মোটেও আশা করিনি।” প্রত্যয় প্রিয়ম কথাটা শুনে খাওয়া থামিয়ে ওদের আম্মুর দিকে তাকাল। চাঁদ অতি উৎসাহের সাথে জানতে চাইল, সেই সাহসী মানুষটার নাম। প্রত্যয়ের আম্মু আঙ্গুল দিয়ে ইশারায় মানুষটাকে দেখিয়ে দিলেন। সবাই ঘাড় ঘুরিয়ে ড্রয়িংরুমের সোফার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল।
ইচ্ছে সোফায় বসে পা দুলিয়ে একমনে চানাচুর খাচ্ছে। সে সকালবেলা উপস্থিত হয়ে প্রত্যয় প্রিয়মের নামে অভিযোগ জানিয়েছে এবং ওদের মারার আবদারও করেছে। ইচ্ছেকে দেখে প্রত্যয় প্রিয়ম মুচকি হাসল। প্রিয়ম তো ইচ্ছেকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল,”আম্মু, এই প্যারা আমাদের বাসায় কেন? আর আমার ভাগের চানাচুর ভুলেও ওকে দিবা না।” ইচ্ছে কটমট করে বলল,”তুমি প্যালা, আমি আলো কানাচুর থাবো।” রাগে ইচ্ছের তুতলানো কথা শুনে চাঁদ খিলখিল করে হেসে উঠল। প্রত্যয়ের আম্মু হেসে ইচ্ছেকে বলল,”ইচ্ছে এই দু’টোকে কি দিয়ে মারব বলো তো?” ইচ্ছে সোফা থেকে নেমে অনেক খুঁজে ঝাঁড়ু এনে বলল,”এতা দিয়ে।” প্রত্যয় প্রিয়ম খাওয়া বন্ধ করে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে আছে, অবশেষে ঝাঁড়ুর পিটুনি।
প্রত্যয়ের আম্মু এবার জানতে চাইলেন আগে কাকে মারবে? ইচ্ছে আঙ্গুল দিয়ে প্রত্যয়ের আব্বুকে দেখিয়ে দিল। কারন উনিই সবাই রাজশাহীতে নিয়ে গিয়েছিল। একথা শুনে সবাই হেসে উঠল। প্রত্যয়ের আব্বু হতভম্ব হয়ে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন পাকা বাচ্চা উনি এর আগে আর দু’টো দেখেনি। চাঁদ তুয়া প্রত্যয়ের আব্বুর মুখভঙ্গি দেখে খিলখিল করে হাসছে। প্রত্যয়ের সঙ্গে তুয়ার চোখাচোখি হতেই তুয়া হাসি থামিয়ে খাওয়াতে মনোযোগী হল। প্রিয়ম ব্যাপারটা খেয়াল করে ভ্রু কুঁচকে নিল। ইচ্ছের আম্মুর ডাক শুনে ইচ্ছে দৌড়ে বেরিয়ে আবার ফিরে এসে ওর চানাচুরের বাটি টা নিয়ে গেল। প্রত্যয়ের আব্বু হাসতে হাসতে বললেন,”এমন একটা তোতাপাখি আমাদের বাসা থাকলে কিন্তু মন্দ হয় না।”
একথা শুনে তুয়া ওর খাওয়া থামিয়ে মিষ্টি হেসে বলল,” আব্বু, সব চাওয়ার কি মূল্য পাওয়া যায়? বরং কখনও কখনও সামান্য কিছু চাওয়ার অপরাধে বড় মূল্য চুকাতে হয় ।”প্রত্যয় কথা শুনে মুচকি হাসলেও প্রত্যুত্তর করল না। প্রত্যয়ের আব্বু আম্মু একে অপরের দিকে তাকিয়ে চুপ করে গেলেন। তারপর খাওয়ার পর্ব চুকিয়ে সবাই স্থান ত্যাগ করলেন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে পরিবার পরিকল্পনা সংস্থা থেকে দুটো মহিলা প্রত্যয়দের বাসায় এসেছেন। উনারা সদ্য বিবাহিত মেয়েদের কিছু মূল্যবান উপদেশ দিয়ে থাকেন।
চাঁদ তুয়া এসে উনাদের ঠিক সামনে বসল। একজন মহিলা হেসে আগে চাঁদকে জিজ্ঞাসা করলেন,”তোমরা স্বামী স্ত্রী কোনটা ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করো?” চাঁদ মাথা খাঁটিয়ে বলল,”স্নো, রিভাইভ পাউডার, আর পারফিউম।” চাঁদের উত্তর শুনে তুয়ার হার্ট এ্যার্টাক করার অবস্থা। তাই বলে স্নো, পাউডার আর পারফিউম? চাঁদের উত্তর শুনে মহিলাটি ভাবলেন চাঁদ ছোট মানুষ কিছু বুঝছেনা, তাই বললেন, ”তোমার স্বামী বাসায় থাকলে তাকে জিজ্ঞাসা করে এসো।” চাঁদ একবার ওর গালে হাত বুলিয়ে প্রিয়মকে গিয়ে বলল,”আপনি কোনটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? ওই মহিলাটা জিজ্ঞাসা করতে বললেন।” প্রিয়ম রুম থেকে বের হতে গিয়ে ওনাদের পুরো কথাটা শুনেছে বিধায় অকপটে বলল,”আমাদের সম্পর্কটা এখনও সেই অবধি এগোয়নি। আর পূর্বেও এমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় কোনোকিছুর ধারণাই আমার জানা নেই।”
প্রিয়ম বুঝাল এক চাঁদ বুঝল আরেক। চাঁদ প্রিয়মের কথা শুনে রুম থেকে বলতে বলতে বের হল , “আমার স্বামীর পূর্বের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাই সে এখন কোনোকিছুতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেনা।” চাঁদের কথা শুনে প্রিয়ম রেগে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। আরেকজন মহিলা তুয়াকে একই প্রশ্ন করলেন, তুয়া নতজানু হয়ে জানাল ওরা বাচ্চার প্লানিং করছে। প্রত্যয় রুম থেকে বের হয়ে তুয়ার কথাটা শুনেও না শোনার ভান করে বেরিয়ে গেল। তুয়া চাঁদের কথা শুনে মহিলা দু’টো কিছু উপদেশ দিয়ে বিদায় নিলেন।
আজকে ভোর থেকে পলকের মনে অদ্ভুত একটা ইচ্ছে জেগেছে। ওর নাকি কয়লা চিবুতে ইচ্ছে করছে। রনিত ডাক্তারের কাছে শুনেছে, এই সময় সন্তান সম্ভাবা মায়েদের মনে অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু ভালো লাগা কাজ লাগে। কারো কারো দেওয়াল চাটতে ইচ্ছে করে, কেউ মাটির গন্ধ শুকতে পছন্দ করে, কেউ ফিনাইলের গন্ধ পছন্দ করে, কেউ চাল চিবুতে পছন্দ করে আবার কেউ নতুন জুতোর গন্ধ পছন্দ করে। সাধারণ এসব পছন্দ হরমোনজনিত কারনেই হয়ে থাকে। পলকের আবদার কথা শুনে রনিত গালে হাত দিয়ে বসে আছে। পলক দাঁত কিড়মিড় করে বার বার বলছে, ওকে কয়লা এনে দিতে। রনিত এই নিয়ে খুব চিন্তিত কারন কয়লা পেটে গেলে যদি বাচ্চার ক্ষতি হয়? অার আসল কথা সে এখন কয়লা কোথায় পাবে? কোনো মানুষের কয়লা চিবুতেও ইচ্ছে করে, একথা রনিত পলককে দেখেই জানল।
রনিত পলককে থামানোর জন্য বলল,”কয়লার দোকান খুলুক তারপর এনে দিব। তুমি এখন চুপটি করে বসো আমি জুস করে দিচ্ছি।” পলক দাঁত কিড়মিড় করে বলল,”আমি কয়লাই খাব! আমার দাঁত কিড়মিড় করছে তুমি কয়লায় এনে দাও।”
রনিত পড়েছে মহাবিপদে। সে এসব না পারছে সহ্য করতে আর না পারছে কিছু বলতে। রনিত পলকের মনোযোগ ঘুরাতে ওর ছোট বেলার গল্প বলতে লাগল। দশ বছর বয়স থেকে রনিত নানীর বাসাতেই বেশি থাকত। ওর দাদীর খুব আদরের নাতীও সে ছিল। রনিত ওর দাদীকে বউ বলে ডাকত আর ওর দাদী হেসে বলতেন, “কও সুয়ামী।” রনিত ছলছল চোখে ঠোঁটে হাসি রেখে গল্প বলতে লাগল। একটুপরে, রনিত মন ভার করে ওর দাদীর মারা যাওয়ার ঘটনা জানাল। পলক বিষ্ময় নিয়ে জিজ্ঞাসা করল,”তাহলে বাসায় যে থাকেন সে কে? উনি তোমার আপন দাদী নন?”
রনিত হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে বলল,”সেও আমার দাদী কিন্তু আমার নিজের দাদী নয়। আমার দাদার ভাইয়ের বউ উনি, সম্পর্কে আমার দাদীই হয়। উনার বিয়ের ছয় মাস পর দাদু মারা যায়, তারপর উনি বাবার বাড়িতেই বেশি থাকতেন। পরে ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে বিবাদ করে এখানে চলে আসেন। বিধবা মেয়ে দেখে মানুষ খুব জ্বালাত, নোংরা প্রস্তাব দিত। এই নিয়ে অনেক ঝামেলাও হতো। পরে আব্বু উনার দায়িত্ব নেন আর আমাদের বাসাতেই থাকতে বলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উনি আমাদের বাড়ির সদস্য হয়ে উঠেন। এখন কেউ বুঝতেই পারেনা উনি আমার নিজের দাদী নন। আমি বা ভাইয়াও উনাকে নিজের দাদীর মতোই ভালবাসি। রনিত গল্পের ছলে পলককে জুস খাইয়ে মাথায় বিলি কাটছিল। গল্প শুনতে শুনতে একপর্যায়ে ঘুমে পলকে চোখ বুজে আসল। পলককে ঘুমাতে দেখে রনিত যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল।
প্রত্যয়ের আব্বু তুয়াকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। প্রত্যয় বাসায় ফিরে তুয়াকে না পেয়ে ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখছিল। চাঁদের থেকে শুনেছে তুয়া ওর আব্বুর সঙ্গে ঘুরতে গেছে। চাঁদকে রেখে তুয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ারটা প্রত্যয়ের পছন্দ হলো না। পরে বুঝল প্রিয়ম বাসায় আছে তাই ওর আব্বু চাঁদকে সঙ্গে নেয়নি। প্রিয়মের এই সপ্তাহে বড় বড় দু’টো প্রোগ্রাম আছে। তাই রুমের দরজা আটঁকে সে গান প্রাকটিস করছে। এই দু’টো প্রোগ্রাম ওর স্বপ্ন পূরনের পথে একধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর দরজা খোলা রাখলে চাঁদ একটু পর পর উঁকি মারছিল, তাই প্রিয়ম রেগে দরজা আঁটকে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর তুয়ারা বাসায় ফিরল, প্রত্যয়ের ড্রয়িংরুমে দেখে তুয়া মুখ ভেংচি দিয়ে রুমে চলে গেল। এটা দেখে প্রত্যয় মৃদু হাসল।
দুপুরে নামাজ পড়ে এসে সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছে। তখন প্রত্যয়ের আব্বু বললেন,”চাঁদ তুয়া তোমাদের জিনিসপত্র তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নাও। কালকে থেকে অন্য কোথাও থাকতে হবে, তাই না?”
কথাটা শুনে প্রিয়ম তুয়ার দিকে একবার তাকিয়ে প্রত্যয়ের দিকে তাকাল। প্রত্যয়কে স্বাভাবিক দেখে প্রিয়ম জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,”ওরা কোথায় থাকবে আব্বু?” প্রত্যয়ের আব্বু স্বাভাবিক ভাবে হাতের গ্লাসটা রেখে বললেন,” আমার বসুন্ধরার ফ্ল্যাটে।”
To be continue….!!