#বুকের_বা_পাশে🌿🌿
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_13
পরেরদিন সকালে______
আজকে তুরাগের বার্থডে।
তবে বাসার কারো কোনো হেলদোল নেই! তুরাগও আর কাউকে মনে করিয়ে দিলো না। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে, ব্রেকফাস্ট সেরে অফিসে চলে গেল। তুরাগ যাওয়ার পর তুয়া সবাইকে কড়া করে নিষেধ করে দিলো, কেউ যেন তুরাগকে কিছু না জানায়। কারণ তুরাগের জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করা হচ্ছে। গতরাতে প্রিয়ম বাসায় ফিরেছে। আর আজ সকালে তুয়াদের বাসায় এসে সারপ্রাইজ প্ল্যান করলো। তুয়ার বাবাও কাছের আত্মীয় দের ইনভাইট করে ফেললো। তুয়া আর প্রিয়ম দুজনে মিলে শপিংমলে চলে গেল। বড় একটা কেক অর্ডার করে, তারপর আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ওরা বাসায় ফিরলো! তুরাগ আসবে সেই সন্ধ্যায়, তাই আস্তে ধীরে সব কাজ করা যাবে।
তিন্নিও চলে এসেছে। তুয়া আর তিন্নি মিলে বেলুন ফুলিয়ে রাখছে। একটু পর কলিংবেলের বেজে ওঠে। তুয়া দরজা খুলে দেখে প্রত্যয় দাড়িয়ে আছে। তুয়া সৌজন্যে মূলক একটা হাসি দিলো।
–“ভাইয়া ভেতরে এসে বসুন।”
–“হুম।”
প্রত্যয় বাসায় ঢুকে দেখে প্রিয়ম আর একটা মেয়ে বসে আছে। প্রত্যয় কিছু বলার আগেই প্রিয়ম উঠে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো,
–“আরে প্রত্যয় ভাইয়া! কেমন আছেন?” (প্রিয়ম )
–“ভাল আছি। তুমি কেমন আছো?” (প্রত্যয়)
–“আমিও ভাল আছি। তারপর কি খবর?”
–“চলছে এক রকম। তোমার কি খবর?”
–“আমারো চলছে এক প্রকার।”
–“ভাই ডাক্তার মানুষদের এত হ্যান্ডসাম হওয়াটা কি জরুরী?” (প্রিয়ম)
–“কেন? মডেলরাই বুঝি হ্যান্ডসাম হয়ে থাকবে? আর আমাদের বুঝি হ্যান্ডসাম হতে ইচ্ছে করে না?” (প্রত্যয়)
–“আপনারা এত হ্যান্ডসাম হলে আমাদের দিকে আর কে তাকাবে ভাই? এই দুঃখ কই রাখবো আমি?” (প্রিয়ম)
–“হা হা হা! তুমি কোন দিক থেকে কম আছো,যে আপনার এত দুঃখ?” (প্রত্যয়)
তুয়া প্রত্যয়ের সাথে তিন্নিকেও পরিচয় করিয়ে দিলো।প্রত্যয় তিন্নির আর প্রিয়মের সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠলো। তুয়ার আব্বু আর আম্মুর সাথে প্রত্যয় দেখা করে কথা বলে নিলো। প্রত্যয় আর প্রিয়মকে দেখে মনে হচ্ছে, ওরা দুইভাই আর এটাই ওদের বাসা। আর তিন্নি আর তুয়া এক কোণে বসে গুজুর গুজুর করছে। তুয়া একটা বেলুন ফুলাতে গিয়ে ঠাস করে ফাটিয়ে দিলো।আর এই শব্দের প্রত্যয় আর প্রিয়ম দুজনেই ওর দিকে তাকালো। প্রিয়ম উঠে তুয়ার মাথায় ঠুয়া মেরে বললো!
–“এই টুপা ঠিকমত কাজ করতে পারিস না?”
–“বেলুন ফেটে গেলে আমি কি করবো?”
–“তোর চোখ কোথায় থাকে? দেখে কাজ করতে পারিস না? বিয়ের পর তুই তোর বরের হাতে নির্ঘাত মার খাবি!” (প্রিয়ম)
–“শকুনের দোয়াতে গরু মরে না।” (মুখ ভেংচি দিয়ে)
–“মরে রে টুপা! আচ্ছা তুই কি আমাকে শকুন বললি?”
–“ওই আর কি!” (মুচকি হেসে)
এবার প্রিয়ম তুয়াকে দৌড়ানি দিলো। তুয়া দৌড় দিলো সাথে প্রিয়মও! এক পর্যায়ে প্রিয়ম হাসতে হাসতে তুয়াকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে। তুয়া নিজেকে ছাড়াতে চাইলে, প্রিয়ম তুয়াকে ইশারায় বোঝায় কিস করতে। তুয়া বেশ কয়েকবার প্রিয়মকে সরাতে গিয়েও পারেনা। তারপর তুয়া বাধ্য হয়ে, ওর জীবনের প্রথম ঠোঁটের স্পর্শ টা প্রিয়মের কপালে দেয়। তারপর প্রিয়মও তুয়াকে ছেড়ে তুয়ার কপালে আদর দিয়ে দেয়। দুজনের মুখেই প্রাপ্তির হাসি। তুয়া এবার প্রিয়মকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বাইরে চলে আসে।
তুয়ার আম্মুর সাথে প্রত্যয় মুচকি হেসে কথা বলছিলো। কিন্তু বেখেয়ালী ভাবে হুট করে বামদিকের রুমের ভেতর ওর চোখ আটকে যায় আর তুয়া আর প্রিয়মের এতটা কাছে আসা প্রত্যয়ের চোখে পড়ে যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এমন কিছু হওয়ার জন্য প্রত্যয় নিশ্চুপ হয়ে যায়!ওর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়, মনে হয় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
বুকের ভেতর অসহ্য এক যন্ত্রনা এসে ভিড় জমিয়েছে। বার বার দম আঁটকে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এক্ষুনি প্রাণপাখিটা ওর শরীর থেকে উড়াল দিবে। বুকের ভেতর এমন অসহ্য চিনচিনে ব্যাথা এসে জমা হচ্ছে, মনে হচ্ছে কেউ ওর বুকের বা পাশে আগুনের লাভা ঢেলে দিয়েছে।আর সেই লাভার উত্তাপে পুরো শরীর, কয়েক সেকেন্ডে অসার হওয়ার উপক্রম।
প্রত্যয় ওইদিক থেকে সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নেয়। এখন এখানে বসে থাকাটা প্রত্যয়ের জন্য মারাত্মক যন্ত্রণার। এজন্য কাজের বাহানা দেখিয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যায়। প্রত্যয় কোনো রকম ওর রুমে ঢুকে দরজা আটকে ধপ করে বসে পড়লো। প্রত্যয় বেশ কয়েকবার নিঃশ্বাস নিয়ে ওর বুকের বা পাশে হাত বুলিয়ে বললো,
–“তুয়া এই কোন অসহ্য যন্ত্রনা আমার বুকে জ্বালিয়ে দিলি! আমি মনে হয়, তোকে হারানোর কষ্ট সহ্য করতে পারবো না রে। আমার বুকে এমন কষ্টের লাভার উন্মোচন করিস না রে তুয়া। না! না! এমন হতে পারে না!আমি ভুল দেখেছি, আমারই মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে। আল্লাহ তুমি এমন পরীক্ষা আমার নিও না, আমি আর বাঁচবো না। আমি একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবো। আমি তুয়াকে ছাড়া একটা মুহূর্তও বেঁচে থাকার কথা ভাবতে পারিনা! তুয়া আমার হয়ে থাক না রে, প্লিজ!” (দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে)
প্রত্যয় কথা গুলো বলছিলো, আর ওর চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো। যদিও বা দুই হাত দিয়ে ওর মুখ ঢেকে রেখেছিলো। এই কষ্টটা না পারছে সহ্য করতে, আর না পারছে ভুল বলে ঝেড়ে ফেলতে! প্রত্যয় চোখের এই অশ্রু কাউকে হারানোর ভয়, অসহ্য যন্তনার, ভালবাসার মানুষটাকে অন্য কারো সাথে দেখার কষ্ট। প্রত্যয়ের মস্তিষ্ক বলছে তুয়া আর প্রিয়মের মাঝে রিলেশন আছে, আর মন বলছে,”না এটা মিথ্যা!”এমন দোটানা নিয়ে প্রত্যয় ওয়াশরুমে গিয়ে সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে গেল। এখন নিজেকে শান্ত রাখাটা খুব জুরুরী, কারণ চোখের দেখা সব সময় সত্যি না হতেও পারে! এটা ভেবে প্রত্যয় আবার নিজের মনকে বুঝ দিলো।
প্রিয়ম আর তুয়া এসে প্রত্যয়কে আর পেলো না। তাই ওরা ওদের কাজে লেগে গেল। তুয়া আর প্রিয়ম দুষ্টুমি করছিলো আর বেলুন দিয়ে ড্রয়িং রুম সাজাচ্ছিলো।তিন্নি ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে, তুরাগের রুমে ঢুকে কি করছে কে জানে? তুয়ার আম্মু, তুয়া, তিন্নি আর তুয়ার বাবা একসাথে দুপুরে খেতে বসলো! সবাই জমপেশ খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিলো! প্রিয়ম একটা কাজের জন্য বাইরে গেল, তুয়ার আম্মু তুয়াকে বললো প্রত্যয়ের আম্মুকে ডেকে আনার জন্য, তুয়া প্রত্যয়ের বাসায় গেল। প্রত্যয় সাওয়ার নিয়ে, ওর আম্মু ডাকলে এসে খেতে বসছিলো। প্রত্যয় নিজেকে স্বাভাবিক রেখেছে, প্রত্যয় কেবল এক লোকমা ভাত মুখ নিয়েছে।ওমনি তুয়ার আগমন!
–“মামনি আম্মু তোমাকে ডাকছে।”
–“আয় তুয়া, আর আমাদের সাথে খেতে বস।”
–“না মামনি, আমি খেয়েছি। তুমি চলো।”
–“দেখ চিংড়ি আর গরুর মাংস রান্না করেছি। একটু খা।”
–“আচ্ছা দুইটা চিংড়ি আর মাংস দাও।”
প্রত্যয়ের আম্মু প্রত্যয়কে তুলে দিয়ে, তুয়াকে পুরো বাটিটাই দিয়ে দিলো। আর তুয়া প্রত্যয়ের সামনের চেয়ারে বসে পড়লো। আর একটা প্লেটে বড় চিংড়ি নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। কারণ তুয়ার চিংড়ি আর গরুর মাংস খুব পছন্দের, আর এগুলোর ভাগ সে ছাড়তে নারাজ। তুয়ার পর পর তিনটা চিংড়ি খেয়ে নিলে, আর গরুর মাংসের বাটিতে চামচ ঢুকিয়ে চিরুনী তল্লাশী চালাচ্ছে। প্রত্যয় ওর খাওয়া বাদ দিয়ে শুধু তুয়ার কাহিনী দেখছে! এক বাটি মাংস আছে, তাও তুয়ার কোনটাই পছন্দ হচ্ছে না। প্রত্যয় মাংসের বাটিটা ওর দিকে টেনে নিয়ে কয়েক পিচ মাংসের টুকরো তুয়ার প্লেটে তুলে দিলো। তুয়া আড়চোখে প্রত্যয়ের দিকে একবার তাকালো, একবার মাংসের দিকে তাকালো।তারপর একপিস মাংস মুখে পুড়ে নিলো! আর দুই পিচ হাতের মুঠোয় নিয়ে হনহন করতে করতে চলে গেল।প্রত্যয় ওর আম্মুর দিকে তাকালো, তারপর দুইজনই শব্দ করে হেসে দিলো।
এইদিকে প্রিয়মের এক বন্ধু এক্সিডেন্ট করেছে, তাই প্রিয়ম ওকে নিয়ে হসপিটাল গেছে। আর হসপিটালে প্রিয়মকে দেখে চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে, অটোগ্রাফ আর কেউ কেউ সেলফি নিতে ব্যস্ত। প্রিয়ম কোনো রকম ওদের ঠেলে দ্রুত পায়ে চলে যায়! এইদিকে তুয়া প্রিয়মকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে, কিন্তু প্রিয়মের ফোন সাইলেন্ট করা। তুয়া রেগে প্রিয়মকে ভয়ংকর কিছু গালি দিলো,তারপর নিজেই রেডি হয়ে বেরিয়ে গেল। তুয়া নিচে নামতেই দেখে প্রত্যয় দাঁড়িয়ে আছে। তুয়া প্রত্যয়ের পাশ কাটিয়ে চলে যাবে, এমন সময় প্রত্যয় তুয়াকে ডাক দিলো!
–“তুই কি কোথাও যাচ্ছি?”
–“হুম! আমি একটু নিউ মার্কেটের দিকে যাবো।”
–“আমিও ওইদিকেই যাচ্ছি, চল আমরা একসাথেই যায়।” (প্রত্যয়)
–“না, আমি একাই চলে যেতে পারবো।”
–“আমি এতটাও খারাপ না! এভাবে ইগনোর করিস না, কারণ তোর ইগনোর করাটা দেখে আমার নিজের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।” (প্রত্যয়)
–“আসলে তেমন কিছু না।”
–“আচ্ছা তেমন কিছু না হলে যেতে সমস্যা কি?”
–“আচ্ছা চলুন।”
তুয়া যেতে রাজি হলে, প্রত্যয়ের মুখে হাসি ফুটলো। তুয়া গাড়িতে গিয়ে বসলো আর প্রত্যয় গাড়ি স্টার্ট দিলো।দুজনেই চুপ করে আছে,কারো মুখে কোন কথা নেই।প্রত্যয় ভাবছে, তুয়াকে কিভাবে ওর মানের কথা জানাবে? প্রত্যয় তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আমাকে এত ইগনোর করিস কেন তুয়া?”
–“ইগনোর করবো কেন?”
–“আমি তোকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম, তাই এখন ইগনোর করে শোধ নিচ্ছিস?”
–“না।” (দাঁতে দাঁত চেপে)
–“তাহলে কি সমস্যা বলবি তো? নাকি চোখের আড়াল হয়েছিলাম বলে,মনের আড়ালও করে দিয়েছিস?”
–“যা ভাব্বেন তাই!”
–“যদি প্রিয়মও কিছুদিনের জন্য দুরে সরে যায়, তখন ওকেও কি মনের আড়াল করতে পারবি?”
–“প্রিয়ম কখনোই আমাকে ফেলে দূরে কোথাও যাবে না।” (আত্মবিশ্বাসের সুরে)
–“এত কনফিডেন্স!”
–“হুমম।”
প্রত্যয় তুয়ার মুখের দিকে তাকালো, প্রত্যয় ওর প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাচ্ছে। প্রত্যয় শুকনো একটা হাসি দিলো। তুয়া আড়চোখে একবার প্রত্যয়ের দিকে তাকালো। তুয়া প্রত্যয়ের সাথে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য, কিছু কথা মনে মনে সাজিয়ে নিলো। তারপর বাইরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
–“এখন তো আপনি অনেক বড় ডাক্তার! বিয়ে করে বউ আনবেন কবে?”
–“যেদিন তুই আসবি।”
–“কিহহ্! কি বললেন?” (একপ্রকার চিৎকার করে)
–“যা শুনেছিস তাই বলেছি, তুই অনেক বুদ্ধিমতী। তুই হয়তো বুঝতেও পারিস যে আমি তোকে ভালবাসি। আর এজন্য তুই আমার থেকে পালিয়ে বেড়াস। আমি এত গুছিয়ে মনের কথা বলতে পারিনা তুয়া। এজন্য এখনই তোকে আমি আমার মনের কথা জানিয়ে দিলাম। কারণ আমি গুবিজুপি করতে পারি না।” (প্রত্যয় শান্ত কন্ঠে)
তুয়া আর একটা কথাও বলেনি; দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে বসেছিলো। প্রত্যয়ও আর কথা বাড়ায়নি।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রত্যয় নিউ মার্কেটের সামনে এসে গাড়ি থামাতেই, তুয়া হনহন করে বের হয়ে চলে গেল। তুয়াকে প্রত্যয় ডাকলো, কিন্তু তুয়া সাড়া দিলো না। প্রত্যয় তারাতাড়ি করে গাড়ি পার্ক করে এসে, তুয়াকে আশেপাশে কোথাও আর খুঁজে পেলো না। প্রত্যয় দৌড়ে এদিক ওদিক দেখলো, কিন্তু তুয়ার চিহ্ন টুকু দেখলো না।প্রত্যয়ের কাল ঘাম ছুটে গেছে, তুয়াকে খুঁজতে খুঁজতে।
সন্ধ্যার দিকে সব গেস্ট রা চলে এসেছে। তুরাগ একটা মিটিংয়ে জন্য আটকে গেছে। তুয়ার আম্মু, আব্বু, প্রত্যয়ের আব্বু আম্মু সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে। প্রত্যয় আরো কিছুক্ষণ তুয়াকে খুঁজলো। কিন্তু তুয়াকে আর পেলই না। তারপর প্রত্যয় বাসায় ফিরে, খোঁজ নিয়ে জানলো যে তুয়া এখনো ফেরেনি। প্রত্যয় আবার গাড়ি নিয়ে আবার বের হতে যাবে, এমন সময় দেখলো প্রিয়ম আর তুয়া বাইকে করে আসছে। তুয়াকে প্রিয়মের সাথে দেখে, প্রত্যয় আর কিছু না বলে ওর বাসায় চলে গেল।প্রত্যয়ের কলিজা শুকিয়ে গিয়েছিলো যখন শুনলো তুয়া বাসায় ফিরেনি। তুয়ার এমন কাজের জন্য প্রত্যয় এখন রেগে গেছে। তবু প্রত্যয় তুয়াকে কিছু বললো না। বরং নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলো। অন্য কেউ হলে এতক্ষণে হয়তো দুই থাপ্পড় লাগিয়ে দিতো।
To be continue….!!
(গল্পটা মনে হয় অসমাপ্তই রেখে দিতে হবে!)