#বুকের_বা_পাশে🌿🌿
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_14
প্রত্যয়ের কলিজা শুকিয়ে গিয়েছিলো, যখন শুনলো তুয়া বাসায় ফেরেনি। তুয়ার এমন কাজের জন্য প্রত্যয় রেগে গেছে! তবুও প্রত্যয় তুয়াকে কিছু বললো না। বরং নিজেকে কনট্রোল করে নিলো। অন্য কেউ হলে, এতোক্ষণে দুই থাপ্পড় লাগিয়ে দিতো।
প্রিয়ম যখন পকেট থেকে ওর ফোন বের করেছিলো, তখন তুয়ার অনেক গুলো কল উঠে ছিলো! প্রিয়ম হসপিটালে সব কাজ শেষ করে তুয়ার সাথে দেখা করে।তুয়া প্রত্যয়ের বলা কথা গুলো প্রিয়মকে জানায় নি! আর প্রিয়ম ভেবেছে ও ফোন ধরেনি, তাই তুয়া মন খারাপ করে আছে। তারপর প্রতিবারের মতো এবারও প্রিয়ম অনেক কষ্ট করে তুয়ার মন ভালো করেছে। দু’জনে একসাথে কেক নিয়ে একেবারে ফিরেছে। ওরা বাসায় এসে দেখে, সব গেস্ট রা চলে এসেছে। তুয়ার আব্বু তুরাগকে ফোন দিয়ে জানলো, তুরাগ আসছে মাঝ রাস্তায় আছে। তুয়া বাসায় ফিরে ঝটপট রেডি হয়ে নিলো। তুয়া হালকা গোলাপি কালারের একটা থ্রি পিস পড়েছে, লেয়ার করা চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া, চোখে মোটা করে কাজল আর ঠোঁটে হালকা করে গোলাপি চ্যাপষ্টিক দেওয়া। আর কপালে সাদা পাথরের ছোট্ট একটা টিপ। তুয়া রেডি হয়ে বের হতেই, প্রিয়ম তুয়ার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
“কোন কাননের ফুল গো তুমি?
কোন আকাশের চাঁদ গো তুমি?
কোন রাখালের মধুর বাঁশির সুরে?
ওহ্ জ্বালাইলা আগুন বুকে, জ্বালাইলা আগুন!”
তুয়া প্রিয়মের কথা শুনে লজ্জা পেলো, কিন্তু প্রতি উত্তরে আর কিছু বললো না। এই দিকে তুরাগ ওদের ফ্ল্যাটের সামনে এসে দেখে, লাইট বন্ধ করা,অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। তুরাগ ওর ফোন বের করে লাইট জ্বালিয়ে দরজার কাছে আসে। আর দরজার সামনে লাইট অন করে দেয়। এবার দেখে ওদের দরজা লক করা; বাইরে থেকেই। তুরাগ ওর পকেট থেকে চাবি বের করে, দরজা খুলে ভেতর পা রাখতে না রাখতেই, চারদিকে দিকে লাইট আর বাথর্ডে উইশ ওর কানে এসে পৌঁছায়। হুট করে এমন হওয়াতে তুরাগ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে! তুরাগের এমন বোকা বোকা ফেস দেখে সবাই হো হো করে হেসে দিলো।
তারপর সবাই তুরাগকে উইশ করলো। তুরাগ সবার সাথে কথা বলে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আসলো। প্রত্যয়ের আম্মু প্রত্যয়কে ডেকে আনলো, তুয়া প্রত্যয়ের দিকে ভুলেও তাকায়নি। তবে প্রত্যয়ের ব্যাকুল মন আর অবাধ্য চোখের দৃষ্টি তুয়ার উপরেই ছিলো। তারপর
যথাসময়ে কেকটাও কাটা হলো। গেস্টরা নিজের মতো করে আড্ডা দিচ্ছে, কেউ খাচ্ছে, যে যার মতো সময় কাটাচ্ছে। আর প্রত্যয় চুপটি করে রুমের এক কোণে বসে আছে; আর প্রিয়ম আর তুয়ার খুনশুটি দেখছে।তাছাড়া কি আর করার আছে? না আছে ভালবাসার মানুষটার উপর জোর করার অধিকার, আর না আছে ভালবাসার অধিকার। সবদিক থেকেই যেন শূন্যের খাতায় এসে থমকে গেছে। তবে প্রত্যয়ের কাছে ওদের দুজনকে একসাথে দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অবাধ্য মনটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে তুয়ার বাবা ঘোষণা করলো,তুরাগের বিয়ের কথা। তিন্নি আর তুরাগ এই কথায় দুজনেই থ, দুজনের মুখেই ভয় আর প্রিয় মানুষটাকে হারানোর কষ্টের ছাপ স্পষ্ট। তুয়া তুরাগ আর তিন্নির দিকে তাকালো। তিন্নি ছলছল চোখে তুয়ার দিকে তাকালো, কিন্তু তুয়া মুখ ফিরিয়ে নিলো। আর তুয়ার এভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াটা তুরাগ আর প্রিয়মের দৃষ্টি এড়ালো না।তু য়ার বাবা তুরাগকে ডেকে আজকেই এনগেজমেন্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত জানালো। তুরাগ কিছু বলার আগেই তুয়ার আম্মু তিন্নিকে তুরাগের পাশে দাঁড় করিয়ে দিলো।তুরাগ আর তিন্নি আরেক দফা শক খেয়ে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো। আর মনে মনে দুজনেই আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জানালো। তুরাগ আর তিন্নি দুজনেই একসাথে তুয়ার দিকে তাকালো তুয়া মুচকি হেসে দু’জনকে বেস্ট অফ লাক বললো ইশারায়। এটা যে তুয়ারই কারসাজি, এখন বুঝতে আর বাকি রইলো না।
তিন্নির আব্বু আম্মু এগিয়ে এসে তিন্নিকে বললো তুরাগের হাতে রিং পড়িয়ে দিতে। তারপর তুরাগ আর তিন্নির এনগেজমেন্টটা হয়ে গেল। তুরাগ আর তিন্নি দুজনেই তুয়াকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দিলো। কারণ
তুয়াই দুই পরিবারকে ওদের কথা জানিয়ে ছিলো,আর এই প্রস্তাবে কারো কোন আপত্তি ছিলো না। তুরাগ যথেষ্ট ভদ্র আর স্টাবিলিশ একটা ছেলে; এখানে আপত্তি করার কিছু নেই। তাই দুই পরিবার মিলে শুভ কাজটার জন্য দুই ধাপ এগিয়ে গেল। এবার খুব দ্রুত ওদের বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অপেক্ষা।
তারপর তুয়া ওর রুমে গিয়ে কয়েকটা কাগজে সবার নাম লিখে আনলো। এখন একটা খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রত্যয়, প্রিয়ম, তুয়া, তিন্নি, তুরাগ, আর মিশি।সবাই মিলে ঠিক করলো অন্যরকম একটা খেলা খেলবে। গেস্টরা অনেকেই চলে গেছে, ফাঁকা ফাঁকা একটা পরিবেশ! বড়রা সবাই আড্ডা দিচ্ছে, সাথে প্রত্যয় আর প্রিয়মে বাবা-মা আছে। হঠাৎ তুরাগ বলে উঠলো,”রুমে না থেকে ছাদে গিয়ে খেলা টা খেলি চলো। বিশেষ করে খোলা একটা পরিবেশে থাকলে মনটাও ফুরফুরে হবে। আর খেলাটা জমবে ভালো।” তুরাগের বলতে দেরি, কিন্তু তুয়া আর তিন্নির উঠে দাঁড়াতে দেরি হয় নাই।
তারপর সবাই মিলে ছাদে গেল। দশতলা বিল্ডিং এর ছাদ টা অসম্ভব সুন্দর। এখন ছাদে সঙ্গি হয়ে সাথে আছে অন্ধকার আকাশের মাঝে অসংখ্য তারা আর প্রাণ জুড়ানো বাতাস। তুয়া মাদুর বিছিয়ে দিলো, আর সবাই মাদুরের উপর বসলো। তুয়া চিরকুট গুলো একটা বোলের মধ্যে রাখলো। তুয়া সবার দিকে একবার করে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললো,
— “এখান থেকে একজন একজন করে একটা করে চিরকুট তুলবে। চিরকুটে যার নাম থাকবে, সে তার মন মতো একটা গান শোনাবে। কেউ কোনও অজুহাত দেখাতে পারবে না। কেউ যদি অজুহাত দেখায় বা গান গাইতে না পারে, তাহলে তাকে লুজার বলে আখ্যায়িত করা হবে।” (তুয়া আড়চোখে প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়ে)
— “এটা তোর কেমন নিয়ম? আমি তো গান পারিনা।” ( তুরাগ)
— “এই তিন্নি, তাহলে তুই কি একটা লুজার কে বিয়ে করতে যাচ্ছিস? আহারে, তোর জন্য আমার বড্ড বেশি কষ্ট হচ্ছে।” (তুয়া তুরাগকে শুনিয়ে)
তুরাগ তুয়ার কথা শুনে তুয়ার কান টেনে ধরলো। আর তুয়া চিৎকার দিতে থাকলো। দুই ভাই বোনের খুনসুটি শেষ করে ওরা খেলায় মনোযোগ দিলো। তুয়ার কথার সারমর্ম প্রত্যয় এর বুঝতে সমস্যা হয়নি। তুয়া যে প্রত্যয় কে ইঙ্গিত করেছে, এটা বুঝতে পেরে প্রত্যয় মুচকি হাসলো। তারপর সবাই মিলে এবার খেলাতে মনোযোগ দিলো। সবার প্রথমে মিশি একটা চিরকুট তুললো, আর সেখানে ওর নিজের নামই লিখা ছিল। খেলার রুলস অনুযায়ী, এবার মিশিকে গান গাইতে হবে। আর মিশিও গান ধরলো…
“বাতাসে কান পেতে থাকি,
এই বুঝি ডাকছো তুমি।
আকাশে চোখ মেলে থাকি,
এই বুঝি পাঠালে চিঠি।
একবার বলি বারবার বলি, বলি যে লক্ষবার
তুমি আমার প্রিয়তম, তুমি যে আমার!”
মিশি ওর গানটা শেষ করলো। তবে মিশি খুব একটা ভালো গায় না, আবার খুব একটা খারাপও গায় না। মোটামুটি যাকে বলে। এবার তুরাগ একটা চিরকুট তুলল। আর সেখানে প্রিয়ম এর নাম লেখা ছিল। প্রিয়ম এবার খেলার রুলস অনুযায়ী গান গাইতে শুরু করলো..
“এই বুকেতে কেউ থাকে না ,থাকো শুধু তুমি
খুব যতনে সংগোপনে, লুকিয়ে রাখি আমি
তুমি আমার সোনা পাখি, আদর সোহাগে রাখি
একলা করে চলে গেলে, কেমনে বলো বাঁচি”
প্রিয়ম যেনো গানটা খুব মন দিয়ে, কাউকে উপলব্ধি করে গাইলো! আর তুয়া মনোযোগ দিয়ে প্রিয়ম এর গান টা উপভোগ করল। প্রিয়ম এবার একটা চিরকুট তুললো সেখানে তিন্নির নাম লিখা ছিল। তিন্নি এদিক-ওদিক তাকিয়ে কয়েকবার ঢোঁক গিলে নিয়ে তারপর গান গাইতে শুরু করলো…
“মাধবী লতা আমি ,আমি কানন বালা
তোমার এ গানের সুর আমি, আমি গলার মালা
দিঘির জলের রোদ আমি, আমি সাঁঝের বেলা
মাধবী লতা আমি ,আমি কানন বালা।”
এবার তিন্নি একটা চিরকুট তুলল; সেখানে তুরাগের নাম লিখা ছিল। তুরাগ এবার পড়েছে মাইনকার চিপায়। বেচারা মুখ কাঁচুমাচু করে এদিক ওদিক তাকালো। যদি কেউ নিষেধ করে। কিন্তু কেউ নিষিদ্ধ করল না, বরং উৎসাহ দিলো গাওয়ার জন্য। আর তুরাগও কাকের মতো গলা নিয়ে সুর ধরলো..
“আমি ফাইসা গেছি ,আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি,মাইনকার চিপায়
আমারও দিলের চোট
বোঝেনা কোনো হালায়”
তুরাগের গান শুনে সবাই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে! বেচারা তুরাগ সবার হাসি দেখে কেঁদে ফেলার উপক্রম। তুয়া আর তিন্নি তুরাগের গান শুনে হাঁসতে হাঁসতে মাদুরের উপরেই শুয়ে পড়েছে! তারপর তুরাগ একটা চিরকুট তুলল। আর সেখানে তুয়ার নাম লিখা ছিল। এবার তুয়া হালকা করে কেশে গলা পরিষ্কার করে নিল। তারপর বড়োসড়ো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে গান গাইতে শুরু করলো…
“শোনো গো দখিনো হাওয়া, প্রেম করেছি আমি
লেগেছে চোখেতে নেশা, দিক ভুলেছি আমি(¡¡)
মনেতে লুকানো ছিল সুপ্ত যে পিয়াসা
জাগিল মধুরও লগোনে-তে, বাড়ালো কি আশা
উতলা করেছে মোরে, আমারি ভালোবাসা
অনুরাগে প্রেম শরীরে, ডুব দিয়েছি আমি”
তুয়া গানটা খুব সফটলি গাইলো। সবাই মনোযোগ সহকারে তুয়ার গানটা শুনলো। আর একটা চিরকুটই বাকি ছিলো, আর সেটা প্রত্যয়। এবার আসলো প্রত্যয় এর পালা। প্রত্যয় এতোক্ষণ মনোযোগ দিয়ে তুয়ার গানটা শুনছিল। প্রত্যয়ের ফোন টা তখন ওর হাতেই ছিল। এজন্য এমন সুবর্ণ একটা সুযোগ হাত ছাড়া করার মতো বোকামি প্রত্যয় করেনি। খুব সতর্কতার সাথে প্রত্যয় ওর ফোনে তুয়ার গানটা রেকর্ড করে নিয়েছে। এবার সবাই প্রত্যয় কে ধরল গান গাওয়ার জন্য। তবে তুয়া চুপ করে ছিল, একটা কথাও বলেনি। তারপর প্রত্যয়ও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ওর পছন্দ মতো একটা গান ধরলো…
“বকুলের মালা শুকাবে এ, রেখে দেবো তার সুরভীইই
দিন গিয়ে রাতে লুকাবে, মুছো নাকো আমারই ছবি।
আমি মিনতি করে গেলাম আ আম।
তুমি চোখের আড়াল হও, কাছে কিবা দূরে রও।
মনে রেখো আমিও ছিলাম আ আম
এই মন তোমাকে দিলাম।
এই প্রেম তোমাকে দিলাম।”
প্রত্যয় ওর গান দিয়ে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলো। এই গানের কথা গুলো খুব যত্ন করে কাউকে উৎসর্গ করা হয়েছে। সবাই প্রত্যয়ের গানে এতোটা মগ্ন ছিলো যে কারো কোন দিকে খেয়ালই ছিল না। এতোটা নিখুঁত আর সফটলি গাইলো যে মন ছুঁয়ে গেছে। এতো চুপচাপ,শান্ত মেজাজের একটা ছেলের এতো ভালো একটা প্রতিভা আছে, এটা সবার কাছেই অজানা ছিলো। প্রতিটা মানুষের মাঝেই ভালো গুন আছে। কেউ প্রকাশ করে আর কেউ বা আছে, প্রত্যয়ের মতো লোক চক্ষুর আড়ালে, প্রতিভা গুলোকে লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করে।
যখন প্রিয় মানুষটা কে ভালোবাসার কথা বলেও বোঝানো যায় না, তখন বুকের বা পাশে জমে থাকা অসীম ভালোবাসাটা বুক চিরে তো আর তাকে দেখানো যায় না! যদি দেখানো যেতো, তাহলে অনেকেই বুক চিরে দেখিয়ে দিতো, তাদের ভালবাসার পরিমাণ টা! তবে একতরফা ভালোবাসা গুলোতে, প্রিয় মানুষ গুলো ভালোবাসার কথাটা শুনতে চায় না! ভালোবাসার কথা তাদের জানালে তারা বিরক্ত হয়। ইগনোর করে বুঝিয়ে দেয়, তোমার ভালোবাসা টা সে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়। তবে তাকে গান, ছন্দ অথবা কবিতার মাধ্যমে যদি কিছু কথা বলা হয়, তাহলে ক্ষতি কি; ঠিক প্রত্যয়ের এর মতো করে? এটাও এক ধরনের ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম।
প্রত্যয় তুয়ার ধারণা ভুল প্রমান করে দিলো। কারণ তুয়া ভেবেছিল, প্রত্যয় গান গাইতে পারে না। আর এখানে প্রত্যয়কে অপদস্থ করাই ছিলো তুয়ার মেইন টার্গেট! তুয়া দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিলো। তুয়ার প্ল্যান নষ্ট করে দিলো প্রত্যয়! এজন্য তুয়া মনে মনে প্রত্যয়ের দিকে কয়েক পদের গালির বর্ষণ করছিলো। সবাই প্রত্যয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও, তুয়ার ভ্রু কুঁচকে রাগি ভাব দেখে প্রত্যয় একটু কষ্ট পেলো। তুয়ার মুখের ভাব ভঙ্গি দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুয়া চরম ভাবে প্রত্যয়ের উপর বিরক্ত। সত্যি বলতে প্রত্যয় তুয়াকেই গানের কথা গুলো উৎসর্গ করেছিলো। প্রত্যয়ের উপর তুয়া কোন এক অজানা কারণে খুব বিরক্ত হয়। আজকে প্রত্যয়ের মনের কথা জানার পর থেকে তুয়ার যেন প্রত্যয়ের উপস্থিতিটাও শরীরে কাঁটার মতো বিঁধছে।
To be continue….