বুকের_বা_পাশে🌿🌿 #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #Part_7

0
569

#বুকের_বা_পাশে🌿🌿
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_7

প্রত্যয় এতক্ষণ চুপই ছিলো বাট পৃথার আর সাদের কথা শুনে প্রত্যয় হেসে দিলো। সাদ আর পৃথার সাথে থাকলে না হেসে পারা যায় না। তারপর প্রত্যয় ওদের ঝগড়া থামালো। আর ওখানে থাকা এক কাপলকে ওরা জিজ্ঞাসা করলো এভাবে তালা ঝুলানো কেন? ওই কাপলরা প্রত্যয়দের বললো,

–“এখানে অনেক কাপল জোড়ায় জোড়ায় আসে। আর একটা তালা নিয়ে তালার উপর নিজেদের নাম লিখে তারপর সেই চাবিটা সেন নদীর পানিতে ফেলে দেয়। যারা যারা এটা করে তাদের রিলেশন নাকি সারাজীবনের জন্য বন্ধ তালার মত যুগল বন্ধী হয়ে থাকে! এটা অনেকেই বিশ্বাস করে তাই এভাবে তালা আটকে যায় এখানে।”

প্রত্যয় উনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় দিলো। সাদ আর পৃথাও শুনলো। পৃথা কিছু বলার আগেই সাদ বলে বললো,
–“এটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় তাই না?”
–“হুমম! এই ঘটনাটা আমি আগেই শুনেছিলাম আর এমন ব্রিজ শুধু প্যারিসে নেই, আরো কয়েকটা দেশেও আছে।” (প্রত্যয়)
–“আর কোন কোন দেশে আছে রে?” (পৃথা)
–“আলজেরিয়া, অস্ট্রোলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,
কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি, আর ব্রাজিলেও এমন ব্রিজ দেখা যায়। এসব দেশেও এমন কোটি কোটি তালা ঝুলানোর ব্রিজ আছে।” (প্রত্যয়)
–“ভাভা গো ভাভা! কি পাগলাটে টাইপের কারবার দেখছিস!” (পৃথা)
–“প্রিয়জনকে সারাজীবনের জন্য পাশে রাখার জন্য কত জন কত কিছু করে! আর এমন কিছু করে যদি প্রিয় মানুষটাকে পাশে পাবার একটা আশ্বাস পাই, তো পাক না। কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চায় তাতে ক্ষতি কি?” (প্রত্যয়)
–“কিন্তু এখানে যত জন ভোমর তালা আটকেছে সবাই কি তাদের ফুলকে নিয়ে সারাজীবন থেকেছে? কারণ এখানে মধুর সন্ধানে সবাই বের হয় মনু, মধু পেলে ফুলকে ছুড়ে ফেলে দিতে দুবার ভাবে না। বাংলাদেশেও এই নিয়ম চলে আর এখানকার কথা নাই বা বললাম!” (পৃথা)
–“তুই দুই লাইন বেশি বুঝিস ক্যান রে বইন? একটু কম বুঝলেও তো পারিস তাই না?” (সাদ)
–“তোর কথাটাও ফেলার না। তবে কি জানিস পৃথা, সব ভোমর মধু খোঁজে না। কেউ কেউ প্রিয় মানুষটার মুখের হাসিটা দেখে এক পৃথিবী সুখ অর্জন করেছে এমন ভাব নিয়ে নিজেকে সুখী মনে করে! আর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করে। আবার অনেকেই আছে যারা প্রিয় মানুষটার হাসি তো দূরে থাক, তাদের যদি পুরো শরীরটাকেও বিলিয়ে দেওয়ার হয় তো তবুও ওরা সুখের ছিটে ফোঁটার সন্ধানও করতে পারবে না। সবাই এক না তবু দিন শেষ সবাই প্রিয় মানুষটাকেই পাশে চায়! আর প্রিয় মানুষটার সাথে সুখে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকে। সব ভোমর মধু খেয়ে ফুলকে ছুঁড়ে মারে না! কোনো কোনো ভোমর ফুলকে আগলে রাখতেও জানে।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“হুমম বুঝলাম” (পৃথা)

তারপর প্রত্যয়ও একটা তালা নিয়ে ওটাতে কিছু একটা লিখলো। সেই তালা ব্রিজে আটকে সেন নদীর সামনে দাড়িয়ে চাবিটা ছুঁড়ে মেরে আকাশে দিকে তাকিয়ে মনে মনে কিছু একটা বললো। পৃথা আর সাদও একটা করে তালা নিলো ওরাও সেইম কাজ করলো। পৃথা তালার উপর প্রত্যয়ের নাম লিখলো কিন্তু প্রত্যয়ের চোখের আড়ালে! পৃথা এমন ভাবে নামটা লিখলো যে এটা আসলে কি লিখা সেটা বোঝার ক্ষমতা কারো নেই!তারপর পৃথা আর সাদও নদীতে চাবি ছুঁড়ে মারলো। পৃথা, সাদ প্রত্যয়ের সব কথা জানে! তবুও পৃথার অবাধ্য মন কেন জানি প্রত্যয়কে খুব ভালবাসে! যদিও এটা কারো অজানা নয়। একপেক্ষিক ভালোলাগা গুলো সত্যিই বড্ড কষ্ট দায়ক! তবুও পৃথা এই কষ্টটাকে সাদরে গ্রহন করতে রাজি।

প্রিয়ম বাসায় ফিরলো রাত সাড়ে এগারো টার দিকে। প্রিয়ম বাইকটা রেখে বাসার কলিংবেল বাজাতেই মিশি (ওর বোন) এসে দরজা খুলে দিলো। প্রিয়ম মিশির দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলো। মিশি প্রতিদিনের মত আজকেও প্রিয়মকে তাড়া দিলো যাতে তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেতে আসে। প্রিয়মও দ্রুত ফ্রেশ হয়ে একসাথে খেতে বসে। সকালে আর রাতে ওরা দুই ভাইবোন একসাথে খায়। ওদের বাবা মায়ের এতো সময় নেই পরিবারকে দেওয়ার মত। মিশি ছলছল চোখে প্রিয়মের দিকে তাকিয়ে বললো,

–“ভাইয়া জীবনে কত টাকা আয় করতে পারলে মানুষ সুখের মুখ দেখতে পারে বলতে পারিস?”

–“যে সুখ খুঁজে নিতে পারে সে বেড়ার ঘরে থেকেও সুখ অনুভব করতে পারে! যারা পারেনা তারা বিশাল অট্টলিকাতে থেকেও সুখের দেখা পায় না।” (প্রিয়ম)

–“ভাইয়া আজকেও বাবা মায়ের ঝগড়া হয়েছে। আমার আর এসব সহ্য হচ্ছে না ভাইয়া। সেই ছোট্ট থেকে দেখে আসছি বাবা মা সব সময় টাকাকেই বেশি প্রধান্য দেয়!জানিস ভাইয়া আমি ভুলে গেছি আম্মু আমাকে কবে খাইয়ে দিয়েছে! আমার মাথায় কবে তেল দিয়ে দিয়েছে!আমি ভুলে গেছি বাবা আমাকে কবে আদর মাখা হাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছে, একটু সুন্দর করে কথা বলেছে। আমি এতো বিলাসিতা চাই না ভাইয়া আমাকে একটু সুখ এনে দে। আমরাও এবার সবার মত ভালো থাকতে চাই। জানিস ভাইয়া তুয়াকে মাঝে মাঝে আমার খুব হিংসে হয়! কারণ ওর পরিবারটা কত সুন্দর। ওরা কত সুখে আছে। তাহলে আমাদের পরিবারটা এমন কেন হলো না রে ভাইয়া?” (মিশি কেঁদে কেঁদে)

–“বাবা আর আম্মুর আমাদের কথা মনে থাকলে তো খোঁজ করবে। তুই কষ্ট পাচ্ছিস কেন বনু? আমি আছি তো তোর পাশে।” (প্রিয়ম মিশির চোখের পানি মুছে দিয়ে)

–“প্রতিদিন এত ঝামেলা আমার সহ্য হয় না রে ভাইয়া! আমি সুস্থ একটা পরিবেশ চাই। আমি বাবা+মা আর তোকে সাথে নিয়ে একটা সুস্থ পরিবেশে বাঁচতে চাই। বাবা মায়ের আদর চাই! ওদের সাপোর্ট চাই!” (মিশি)

–“যাদের বাবা-মা নেই তারা নিজেদের একটা সময় মানিয়ে নিতে শিখে যায়! আর যাদের বাবা মা থেকেও নেই তাদের মত অভাগার কথা আর কি বলবো বোন?দেখ আমিই তো ছোট থেকে বাবাই আর আম্মু কে কখনো কাছে পায়নি। এজন্য এখন নিজের জীবনে নিজের মত করে চলতে শিখে গেছি। আমার তো বাবাই আর আম্মু সাথে চারদিন পর আজকে দেখা হয়েছিলো। তাও জিজ্ঞাসা করলো মডেলিং কবে? আর কত টাকা দিবে! উনারা আগে কিছু পেমেন্ট করেছে কি না।একবারো জানতে চাইলো না আমি কেমন আছি।এসব কথা তাহলে আমি কাকে বলবো বল? আমারও আর কিছু বলার নেই! এজন্যই তো হাসি মুখে সব মেনে নিয়েছি।”

মিশি ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে প্রিয়মের দিকে।

–“জানিস বনু বাইরে আমার অনেক বন্ধু, অনেক ফ্যান, আমার অনেক নাম ডাকও আছে। আমি সবার সাথে হাসি, খুশি, দুষ্টুমি করে সময় কাটিয়ে দেই! কাউকে কখনো বুঝতে দেয় না আমার মন খারাপ থাকলেও।এজন্য অনেকে ভাবে আমার মত সুখী মানুষ মনে হয় এই পৃথিবীতে নেই। তবে কেউ জানতেও চাই না আর আমি কাউকে জানতেও দেয় না যে আমার মত হতভাগার দীর্ঘ শ্বাসের পেছনেও লুকিয়ে আছে বুকচাপা একটা কষ্টের গল্প।‌ বাদ দে আর মন খারাপ করিস না বোন! দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।” (প্রিয়ম)

তারপর প্রিয়ম কথায় কথায় মিশিকে নিজে হাতে খাইয়ে দিলো! মিশিকে দেখানোর জন্য প্রিয়ম এক লোকমা ভাত মুখে নিয়েছিলো ঠিকই! তবে ওটা আর গিলতে পারছে না। হয়তো কষ্ট আর অভিমান গুলো এসে গলায় খাবারটা আটকে দিয়েছে। তারপর দুই ভাইবোন অনেক গল্প করলো অনেক বিষয় নিয়ে। প্রিয়ম মিশির রুমেই গল্প করছিলো। একটা সময় প্রিয়ম যখন দেখলো মিশি ঘুমিয়ে গেছে, তখন প্রিয়ম মিশিকে ভালো করে শুইয়ে দিলো। এরপর মিশির কপালে আদর দিয়ে দরজা হালকা করে চাপিয়ে চলে গেল।

প্রিয়ম ওর রুমে গিয়ে অন্ধকার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল।আর একদৃষ্টিতে অন্ধকারের দিকেই তাকিয়ে আছে। বেশ কিছুটা সময় প্রিয়ম চুপচাপ দাড়িয়ে ছিলো ঠিকই, তবে চোখ থেকে অনবরত ঝরঝর করে অশ্রু গড়িয়ে পড়েছে! প্রিয়মের এই একাকীত্বের আর বুকচাপা অভিমানের সাক্ষী থাকে এই অন্ধকার রাত। বুকের ভেতরেই লুকিয়ে থাকুক না অজানা কিছু গল্পের কাহিনী।‌তবে ভুবন ভুলানো হাসির পেছনেও একটা করে কষ্টের গল্প থাকে। সেটা কেউ প্রকাশ করে; কেউ বা দীর্ঘ শ্বাসের মাঝে সেই গল্পটা লুকিয়ে রাখে। প্রিয়মের না বলা অভিমান গুলো অজানায় থাকুক। আর ওর চোখের অশ্রু লুকানোর জন্য এই অন্ধকার রাতটাই যথেষ্ট।

পরেরদিন সকালে______

তুয়া খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হয়। বাগানে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরে ওর আম্মুর সাথে একসাথে ব্রেকফাস্ট রেডি করে ফেলে।তুয়া কে যতই ভাল কিছু খেতে দেওয়া হোক না কেন সে তুরাগের প্লেট থেকে তুলে না খেলে শান্তি পায় না। এভাবেই দুই ভাইবোনের খুনসুটি করে খাওয়া শেষ করা ওদের রোজকার রুটিন। তুয়া খাওয়া শেষ করে কলেজের জন্য রেডি হয়ে নিলো তারপর এক দৌড়ে প্রত্যয়দের বাসায় যায়, প্রতিদিনের মতো প্রত্যয়ের আম্মুর সাথে দেখা করে। তারপর কলেজে যায়।

তুয়া আর তিন্নি দুজনেই ক্লাস রুমে দিকে যাচ্ছে। তিন্নি বকবক করেই যাচ্ছে আর তুয়া চুপচাপ শুনেই যাচ্ছে। প্রিয়ম, তিন্নি আর পরিবারের লোকজন ছাড়া তুয়া বাইরের কারো সাথে বেশি কথা বলা পছন্দ করে না। কলেজে সে তিন্নির সাথে আর প্রয়োজন হলে অন্য কারো সাথে টুকটাক কথা বলে। তুয়ার আর তিন্নি স্কুল লাইফের বেস্টু। তিন্নি যে অনেক আগে থেকে তুরাগকে পছন্দ করে এটা তুয়া জানে। ওরা দুজন ক্লাসে যেতে যেতে পলাশ নামের একটা ছেলের সাথে দেখা।
–“হেই তুয়া কেমন আছো তুমি?”
–“ভাল। আপনি?”
–“আমিও ভালো আছি। তুয়া তোমাকে আমার একটা কথা বলার ছিলো।” (পলাশ)
–“বলুন।”
–“তোমাকে আমি খুব পছন্দ করি। আই মিন লাভ করি।” (লজ্জা মাখা মুখে)
–“ওহ আচ্ছা! তো এখন আমি কি করতে পারি?”
–‘তুমি আমার ভালবাসাটা গ্রহন করে নিতে পারো! যদি তুমি চাও তো।” (পলাশ দাঁত বের করে)
–“সরি ভাইয়া, মাফ করবেন। আপনার ভালবাসা আমি গ্রহন করতে পারলাম না!ষ। তবে কারো কাছে ভাল লাগার মানুষ হওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। ভাল লাগতেই পারে এটা খারাপ কোন ব্যাপার না।ভাইয়া আপনি প্লিজ আর এসব বলবেন না। আমি জানি আপনি ভদ্র ঘরে ছেলে।”(তুয়া)

বেচারা পলাশ আর কিছু বলার ভাষা খুজে পেলো না।তাই উল্টো ঘুরে হাটা শুরু করলো। আর তিন্নি দাঁত বের করে হাসছে আর তুয়া চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছে। তিন্নি হাসছে আর বলছে,
–“আহারে! পোলাডারে এভাবে ছ্যাকা দিলি?”
–“ছ্যাকা কই দিলাম?” (ভ্রু কুচকে)
–“যেটা এখন দিলি! আহারে পোলাডা!” (হেসে)
–“তিন্নি তুই আগে তোর হাসি বন্ধ কর। আর ফোন এ কি একটা কথা যেন বলতে চাইলি? ওটা বল।”
–“ওহ হ্যা, আম্মু আর আব্বু দাদুর বাসায় যাচ্ছে জমিজমা নিয়ে কি জানি হয়েছে তাই! আমি যাবো না তাই তুই এখন আমার বাসায় যাবি নাকি আমি তোর বাসায় যাবো সেটা বল।” (তিন্নি)
–“তুই চল আমার বাসায়! কারণ আমি আমার রুম ছাড়া কোথাও ঘুমাতে পারিনা।” (তুয়া)
–“আচ্ছা তাহলে কলেজ শেষ করে তুই আমার সাথে বাসায় যাবি। তারপর আমি কয়েকটা ড্রেস নিয়ে তোর বাসায় যাবো।”
–“আচ্ছা।”

ওইদিকে সাদ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রত্যয়কে খোঁচাচ্ছে একটা রেস্টুরেন্ট এ যাওয়া জন্য। প্রত্যয় রুগী দেখছে৷ আর সাদ প্রত্যয়কে খোঁচাচ্ছে। প্রত্যয় বিরক্ত হয়ে সাদের দিকে একবার তাকিয়ে আবার রুগী দেখায় মনোযোগ দিলো। বেশ কয়েক ঘন্টা পর প্রত্যয় পেসেন্ট দেখা শেষ করলো। সাদ তখন প্রত্যয়কে এক প্রকার টেনেই বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলো
–“এবার তো চল ভাই। এখন তো আর কোন পেসেন্ট নেই।” (হাত ধরে টেনে)
–” তুই যে তোর ড্রেস খুলে আমাকে দেখাতে চাচ্ছিস, সেটা আগে বললেই তো হয়। এতো প্যাচানোর কি আছে? দাড়া পৃথাকেও ডেকে নেই, ও কেন বাদ যাবে?”
–“ড্রেস ছাড়া থাকবো! তোকে দেখাবো! এসব কি বলছিস তুই?” (অবাক হয়ে)
–“ভুল কি বললাম?” (প্রত্যয়)
–“রেস্টুরেন্ট এ যেতে চাইছি তাই তুই এসব বলছিস?”
–“না। এখানে প্রায় দশ হাজার রেস্টুরেন্ট আছে। ওগুলো তে চল। আমার কোন সমস্যা নেই। তুই যদি সাধারণ কোন রেস্টুরেন্ট এ যেতে চাইতি আমি টু শব্দ করতাম না। কিন্তু তুই Naked(নগ্ন) রেস্টুরেন্ট এ যেতে চাচ্ছিস। সেখানে নগ্ন হয়েই ভেতরে প্রবেশ করতে হয়! আর নগ্ন হয়েই খাবার খেতে হয়। ওখানে ওয়েটার থেকে শুরু করে সবাই নগ্ন হয়েই চলাফেরা করে। ভাই আমি পারবো না ওখানে যেতে! এটা ভুলিস না যে আমরা ভদ্র পরিবারের ছেলে।” (প্রত্যয়)
–“ওয়াট! কি বলছিস ভাই এসব? এজন্য ওই রেস্টুরেন্টের এতো নাম ডাক?” (অবাক হয়ে)
–“হুম। আর আমি ভুল বলিনি। তুই খোঁজ নিয়ে দেখতে পারিস। আমি কোথাও যাওয়া আগে জেনে বুঝে খোঁজ নিয়ে তারপর যাই।” (প্রত্যয়)

To be continue…..!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here