বুকের_বা_পাশে 🌿🌿 #written_by_Nurzahan_akter_allo #Part_24

0
432

#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_24

সন্ধ্যার একটু আগে তুয়ার ঘুম ভেঙে যায়। বেড থেকে নামে আর আশেপাশে তাকায়। প্রত্যয় রুমে নেই। তুয়া ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে।মাগরিবের আজান হচ্ছে নামাজটা পড়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখে প্রত্যয়ের আম্মু রান্না ঘরে কিছু একটা করছে।তুয়া গিয়ে ওখানে দাঁড়ালো।প্রত্যয়ের আম্মু মুচকি হেসে বললো,
–“কি রে ঘুম হলো?এবার দারুন করে কফি বানিয়ে দে তো আম্মু ।তোর হাতের সেই স্পেশাল কফি।” (প্রত্যয়ের আম্মু)
–“হুম।”
— “প্রত্যয়ের বাবা আর প্রত্যয়ের জন্যও করিস।ওরাও খাবে তুই কফি বানা।আর আমি ঝটপট পপকর্ন করে ফেলি।”
–“হুম।”

তারপর তুয়া কফি বানিয়ে সবার মগে ঢেলে দিলো।প্রত্যয়ের আম্মু পপকর্ন একটা বড় বোলে রাখলো।তারপর পপকর্ন আর কফির ট্রে তুয়ার হাতে ধরিয়ে দিলো।তুয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে প্রত্যয়ের আম্মুর দিকে তাকালো।তুয়ার দৃষ্টির মানে ধরতে পেরে প্রত্যয়ের আম্মু বললো,
–“প্রত্যয় ওর স্টাডি রুমে আছে।যা ওকে গিয়ে দিয়ে আয়।সেই বিকেলে স্টাডি রুমে ঢুকেছে এতক্ষণ কি করছে? সেটা ডাক্তার সাহেবই জানে।তারাতারি যা তুই তা না হলে কফিটা আবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।” (প্রত্যয়ের আম্মু)
–“হুম।”

তুয়া প্রত্যয়ের স্টাডি রুমে গেল।প্রত্যয় একটা চেয়ারে বসে আছে।আর ওর সামনে আছে একটা মোটা বই।প্রত্যয়কে এখন দেখেই মনে হচ্ছে সে বইয়ের মাঝেই মনোনিবেশ করেছে।আর তার মুখে সিরিয়াস ভাবটাও বিরাজ করছে।তুয়া দরজায় নক করলো।প্রত্যয় বইয়ের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দরজার দিকে তাকালো।আর তুয়াকে দেখে ভেতরে আসতে বললো।তুয়া ভেতরে ঢুকে প্রত্যয়ের দিকে কফির মগ এগিয়ে দিলো।তুয়ার হাত থেকে কফির মগটা নিলো প্রত্যয়। পপকর্নের বোলটা প্রত্যয়ের সামনে রাখলো তুয়া।তারপর তুয়া চলে আসতে যাবে তখন প্রত্যয় বলে উঠলো,
–“তোর কফির মগটা এখানে নিয়ে আয়।তোর সাথে আমার কথা আছে।” (প্রত্যয় বইটা বন্ধ করে)
–“এখনই কথা বলাটা কি জরুরী?” (তুয়া মাথা নিচু করে)
–“হুম।”
–“আচ্ছা বলো।আর আমি এখন কফি খাবো না।”

এরপর তুয়া প্রত্যয়ের সামনে বসলো।প্রত্যয় ওর কফির মগটা তুয়ার দিকে এগিয়ে দিলো।তুয়া একবার প্রত্যয়ের দিকে তাকালো।তারপর দৃষ্টি সরিয়ে নিলো।প্রত্যয় তুয়াকে কফিটা খেতে বললো।তুয়া কফির মগে ঠোঁট ছোঁয়ালো। দুইবার কফিটা মুখে নিয়ে মগটা রেখে দিলো।প্রত্যয় মগটা নিয়ে অনায়াসে কফি খেতে লাগলো।তুয়া কিছু বললো না কারন কিছু বলার থাকলে তো বলবে।প্রত্যয় মগটা রেখে শান্ত কন্ঠে তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,

–“আমাদের তো এখন বিয়ে হয়ে গেছে। তুই আর আমি এখন হাজবেন্ড -ওয়াইফ।যা হয়েছে সেসব ভুলে যা। যদিও এতটা সহজ না।তারপরেও বলবো মানিয়ে নিতে।কারন কি জানিস?তোর আর আমার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের পরিবার।আমি জানিনা কি হয়েছে তোর?তবে এখন যা হচ্ছে এটা মেনে নে।আর এতে তোর আমার সাথে সবারই মঙ্গল।আমাকে সেলফিশ ভাবিস না একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখ।আমি জানি তোর সময় লাগবে।আমিও তোকে সময় দিবো।বাট তুয়া তোর এটা মনে রাখতে হবে তোর সাথে এখন আমিও জড়িয়ে আছি।তুই যতদিন তোর জন্য অপেক্ষা করতে বলবি, আমি রাজি।কিন্তু তোর কাছে আমার একটাই রিকুয়েস্ট আছে।সেটা হলো তুই সবার কাছে নিজেকে স্বাভাবিক রাখ।আমাদের জন্য আমাদের বাবা মায়েরা কষ্ট পাচ্ছে।এটা তো ঠিক না তাই না।” (প্রত্যয়)
— “হুম”
–“আমাকে ভালবেসে তুই আমার কাছে আসিস নি। এই কথাটা আমার অজানা নয়।তবে বিশ্বাস আর ভরসা করিস বলেই,এখন তোর জীবনের সাথে আমাকে জড়িয়ে নিয়েছিস।আমার তোর উপরে কোন অভিযোগ নেই।শুধু একটাই চাওয়া আছে।সেটা হলো তুই নিজেকে স্বাভাবিক কর। আমার রুমের চার দেওয়ালের মাঝে তুই তোর ইচ্ছে মতো চলতে পারিস।এতেও আমার কোনো আপত্তি নেই।” (প্রত্যয়)

–“তোমার সাথে আমি এখন পবিত্র একটা বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।এটা অস্বীকার করার সাহস আমার নেই।আমার জন্য তুমিও এখন কষ্ট পাচ্ছো।আর সত্যি বলতে আমি এমনটা চাইনি। তবে বিয়ে যখন হয়ে গেছে এটা তো আর অমান্য করতে পারিনা।তাই আমাকে একটু সময় দাও আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।খুব প্রিয় কোনো জিনিস চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি তো।এজন্য কষ্টটা ঠিক সামলে উঠতে পারছিনা।” (তুয়া চোখ মুছে)

–“আমি আছি তোর পাশে।হাজবেন্ড না ভাবিস শুভাকাঙ্ক্ষী তো ভাবতে পারিস।নিজেকে শক্ত কর দেখবি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।” (প্রত্যয়)
–“হুম।এবার আমি যাই?” (তুয়া মাথা নিচু করে)
–“না।আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। আমি এবার যা বলবো তুই মন দিয়ে শোন।আর আমার কথার মাঝখানে কোনো কথা বলবি না। আর এই কথা শোনার পর নিজেকে শক্ত রাখবি।কারন আমাদের সাথে খারাপ যা কিছু ঘটে তার পেছনে কোনো না কোনো ভালো কিছু লুকিয়ে থাকে।” (প্রত্যয়)
–“হুম”
এবার প্রত্যয় উঠে দাঁড়ালো চেয়ার থেকে আর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বলা শুরু করলো।

—“পৃথিবীতে মানুষ যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরণের তাদের মন-মানসিকতাও তেমন হয়ে থাকে ভিন্ন রকমের! এবং মানসিক সমস্যাও গুলোও হরেক রকমের।বাংলাদেশে যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হন।তাদের একটি অংশ আক্রান্ত হয় বায়োলজিক্যাল এবং জেনেটিক কারণে৷ কিন্তু বড় একটি অংশ আক্রান্ত হয় পারিবারিক,হতাশা এবং নানা ধরনের চাপ, দারিদ্র্য,প্রেমজনিত কারন, আর এসব সমস্যা মাঝেই মানসিক রোগের উৎপত্তি। তবে সামাজিক এবং পারিবারিক অসঙ্গতি এর অন্যতম কারণ৷’আর এসব মানসিক সমস্যা গুলো এক একটার লক্ষণ একেক রকমের।যেমনঃ-

১) –“অ্যামপিউটি আইডেন্টিটি ডিজঅর্ডার : এটা মানসিক এবং স্নায়বিক সমস্যা।যেখানে রোগী মনে করেন, তিনি নিজ দেহের কোনো একটি অঙ্গ ছাড়াই ভালভাবে বাঁচতে পারবেন। এই বিশ্বাস থেকে তারা নিজেরাই নিজেদের শরীরের অঙ্গচ্ছেদ করার চেষ্টা করে থাকেন !হাতের শিরা,হাতের আঙুল, পা, মাথার চুল এসব কেটে ফেলার জন্য ইচ্ছা পোষন করে।আর এতেই ওদের খুব সুখ অনুভব করে থাকে।অর্থাৎ অ্যামপিউটি আইডেন্টিটি এই রোগের পেশেন্ট, নিজের ক্ষতি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।”


২) –“অটোফ্যাজিয়া : এই রোগে আক্রান্ত মানুষ ক্রমাগত নিজের শরীরকে ব্যথা দেবার প্রয়োজন অনুভব করে থাকেন। এটা তেমন অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক ব্যাপারটা হলো, নিজেকে কষ্ট দেওয়ার প্রক্রিয়াটি। অটোফ্যাজিয়া আক্রান্ত মানুষ নিজের শরীর কামড়ায়, এমনকি কখনো কখনো খেয়েও ফেলে।এরা অন্ধকার রুম পছন্দ করে,সবকিছুতে নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে।সব সময় নিজেকে গুটিয়ে রাখতে চায়! প্রচণ্ড বিষণ্ণতা, সিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি মানসিক সমস্যার পাশাপাশি অটোফ্যাজিয়া দেখা দিতে পারে।অর্থাৎ অটোফ্যাজিয়া রোগের পেশেন্ট, নিজেকে নিজের কাছে বোঝা মনে করে।”

৩) –“অনিওম্যানিয়া : আমরা অনেকেই “শপোহলিক” বলে থাকি।সেসব মানুষদের যারা কেনাকাটা করতে শুরু করলে আর থামতে পারেন না। একেবারে ফতুর হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। তারা উন্মাদের মতো কেনাকাটা করেন। এটাও কিন্তু একটা মানসিক রোগ যার নাম অনিওম্যানিয়া।”

৪) –“কটার্ড’স সিনড্রোম : এটাও স্নায়ুবিক এবং মানসিক একটি রোগ! যেখানে রোগী নিজেকে মৃত মনে করে এবং অনেক সময় অমর বলেও মনে করতে থাকেন।”

৫)–” ক্লিনিক্যাল লাইক্যানথ্রপি : এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন। তিনি হঠাৎ করেই কোনো একটি জন্তুতে রুপান্তরিত হয়ে গেছেন। এবং অনেক সময় তারা আচরণও করা শুরু করেন জন্তুর মতো।”

৬) –“প্যারিস সিনড্রোম : এই সমস্যাটা হয় শুধুমাত্র প্যারিসে বেড়াতে আসা জাপানি ট্যুরিস্টদের। জাপানিরা হয়ে থাকে, একটু বেশিই নমনীয় স্বভাবের এবং চাঁচাছোলা স্বভাবের ফরাসীদের আচরণে! তারা যে “কালচার শক” পায়, তারই একটি তীব্র রূপ হলো প্যারিস সিনড্রোম।”

৭)–“ডায়োজেনেস : প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ডায়োজেনেসের নামে নাম এই সমস্যাটির। তিনি বাস করতেন একটি ব্যারেল বা পিপার ভেতরে! এবং তিনি বিশ্বাস করতেন পৃথিবীর সবকিছুই অর্থহীন, এবং তিনি নিজেও তুচ্ছ একটি প্রাণী। এই রোগে আক্রান্ত মানুষ নিজেকে প্রচণ্ড রকমের অবহেলা করে থাকে! এবং অন্যদের সাহচর্য এড়িয়ে চলে। সাধারণত বার্ধক্যে উপনীত হওয়া মানুষের মাঝে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।”

–“এই রোগ গুলো মানসিক রোগ।তবে হাস্যকর ব্যাপার কি জানিস?এগুলো মোটেও তুচ্ছ করার মতো ব্যাপার না।তবুও অনেকেই তুচ্ছ ভাবেই বিষয়টা নেয়।আর এসব মানসিক সমস্যা গুলোর থেকে মুক্তি লাভ না করলে।এর ফলে ভয়াবহ কিছু ঘটনাও ঘটে।” (প্রত্যয়)
–“আমি এসব জেনে কি করবো?আর আমাকে এসব বলার কারন কি?” (তুয়া)
–“কারন তোর এসব জানাটা জরুরী বলে আমি মনে করি।আর অকারনে আমি তোকে বসিয়ে রাখিনি।আসলে এগুলো বলার যথেষ্ট কারনও আছে।আর এর সাথে জড়িত আছে প্রিয়ম।এজন্য তোকে এত কথা বললাম।যাতে তুই সহজেই কথাগুলো বুঝতে পারিস।” (প্রত্যয়)
–“প্রিয়ম জড়িত মানে?” (উঠে দাঁড়িয়ে উত্তিজিত কন্ঠে)
–“হুম।এখানে প্রিয়ম জড়িয়ে আছে।”

এর পর প্রত্যয় যা বললো,তুয়া এটা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না।কথাটা শুনে তুয়ার যেন পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। যার ভালোর জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করলো।আর তারই কি না এখন এই অবস্থা।প্রিয়মের এই অবস্থার জন্য তুয়াই কি তাহলে দায়ী হয়ে থাকবে? তুয়া কি প্রিয়মের ভাল করতে গিয়ে প্রিয়মকে এমন বিপদের সম্মুখে এগিয়ে দিলো?তুয়া এ কোন গোলক ধাঁধায় পড়ে গেল।তুয়া অশ্রুসিদ্ধ চোখে প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।আর প্রত্যয় শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুয়ার কান্না মাখা চোখের দিকে!প্রত্যয়েরই বা কি বলার আছে?আর কি বা বলবে?কারন তুয়ার একটা সিদ্ধান্তের জন্যই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি।তুয়া সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলো একভাবে,এখন সেটার মোড় ঘুরে, সৃষ্টি হলো আরেকটা সমস্যার। আর মধ্যখান থেকে তুয়া ফেসে গেলো নিষ্ঠুর এক গোলক ধাঁধায়। প্রত্যয় শান্ত দৃষ্টিতে তুয়ার দিকে তাকালো!আর নরম সুরে বললো,

–“প্রিয়ম এখন অটোফ্যাজিয়া রোগে আক্রান্ত।ও ক্রমাগত নিজের শরীরকে আঘাত করছে।অন্ধকার রুমই হলো এখন ওর প্রিয় জায়গা।বার বার নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।এটা তেমন অস্বাভাবিক নয়। কারন এই রোগের লক্ষণই এগুলো।প্রিয়মের এখন প্রধান সমস্যা ও নিজে নিজেকেই সহ্য করতে পারছেনা।অবহেলা, অনাদরে, টেনশন আর অতিরিক্ত চাপের কারনে একটা সময় অটোফ্যাজিয়া পেশেন্টরা নিজে নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়ে।নিজেকে অযোগ্য বলে দাবি করে।নিজেকে তুচ্ছ ভেবে গুটিয়ে নেই।মানুষ যখন নিজেই নিজেকে সহ্য করতে পারেনা।তখন সে যেকোনো উপায়ে নিজেকে কষ্ট দিয়ে শান্তি অনুভব করে।আর এটাই সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার।কারন পেশেন্ট যখন নিজে নিজেকে কষ্ট দিয়ে শান্তি অনুভব করে, তখন সে আত্মাহত্যা করতেও পিছুপা হয় না।বরং দিন দিন আত্মাহত্যা করার প্রবণ ইচ্ছা ওর মধ্যে পোষণ করে।আর শেষ পরিণতিও তাই ই হয়।” (প্রত্যয়)
—(তুয়া সাইলেন্ট)
–“তবে এটাই সত্যি যে প্রিয়ম এখন মানসিক রুগী।সবদিক থেকে অবহেলা আর নিজের কাছে হেরে গিয়ে ওর এই অবস্থা।প্রতিটা মানুষের ধৈর্যের একটা সীমা আছে।কেউ কষ্টটা সহ্য করে নিতে পারে,আর কেউ সেটা পারেনা।অতিরিক্ত চাপ, টেনশন,ভয়, অবহেলা আর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ার, মূল কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ওর এই প্রধান সমস্যাগুলো। আর দিন দিন ওর অবস্থা আরো করুণ হচ্ছে।না জানি এর সমাপ্তিটা আরও কত ভয়াবহ হয়।” (প্রত্যয়)

প্রত্যয়ের প্রতিটা কথা তুয়া শুনছে ঠিকই।কিন্তু কিছু বলার মতো ভাষা ওর নেই।তুয়ার মাথায় আপাতত একটা কথাই ঘুরছে,আর সেটা হলো,

“প্রিয়মের এই অবস্থার জন্য তুয়াই নিজেই দায়ী ”

To be continue…!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here