বুকের_বা_পাশে 🌿🌿 #written_by_Nurzahan_akter_allo #Part_25

0
440

#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_25

প্রত্যয়ের প্রতিটা কথা তুয়া শুনছে ঠিকই।কিন্তু কিছু বলার মতো ভাষা ওর নেই।তুয়ার মাথায় আপাতত একটা কথাই ঘুরছে,আর সেটা হলো,
–“প্রিয়মের এই অবস্থার জন্য তুয়াই নিজেই দায়ী। ”

তুয়া ধপ করে মেঝেতে বসে পড়লো।সব পথ যেন এখানেই সমাপ্ত।পরিস্থিতি আজকে সম্পূর্নভাবে তুয়ার বিপরীত পথের চিত্র ধারণ করেছে।প্রত্যয় তুয়ার কাছে এগিয়ে এসে তুয়ার সামনে বসলো।প্রত্যয় তুয়ার চোখ মুছে দিলো।আর তুয়ার দুই গালে হাত রেখে বললো,

–“এভাবে ভেঙ্গে পড়লে তো হবে না।কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে।নিজেকে শক্ত কর তুয়া।এই পরিস্থিতিতে পারবোনা বলে ভেঙ্গে পড়লে হবেনা।আর বোকারা যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায়। তুই তো সাহসী মেয়ে তাহলে কেন হাল ছেড়ে দিচ্ছিস?” (প্রত্যয়)
–“প্র প্রি প্রিয়মের এমনটা হলো শুধুমাত্র আমার জন্য,সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী। আমি কিভাবে নিজেকে মাফ করবো?সব আমার দোষ সব আমার জন্য হয়েছে।আমি হেরে গেছি।আমি এখন সর্বহারা পথিক।” (তুয়া কেঁদে কেঁদে)

–“কাঁদিস না তুয়া আর নিজেকে শক্ত কর।আমি আছি তো তোর পাশে দেখবি সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।” (প্রত্যয়)
–“আম আমি প্রি ।” (তুয়া কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল)
–“তুই যাবি প্রিয়মের কাছে?” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“হুম।একটা বার শুধুমাত্র একটা বার আমি ওকে দেখবো।প্লিজ আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলো আমি তোমার পায়ে পড়ি,শুধু একটাবারের জন্য আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলো।” (তুয়া)

কথাটা বলে তুয়া প্রত্যয়ের পা ধরতে যাবে।ওমনি প্রত্যয় তুয়াকে থামিয়ে দেয়।প্রত্যয় মুচকি হেসে বলে,

–“ধুর বোকা মেয়ে পা ধরতে হবেনা।তবে তুই যদি একটা শর্ত মেনে নিস। তাহলে আমি তোকে নিয়ে যাবো।”(প্রত্যয়)
–“কি শর্ত?” (তুয়া)
–“কালকে সকালে আমি তোকে প্রিয়মের কাছে নিয়ে যাবো।এখন একদম ভেঙ্গে পড়বি না।আর বাসার কেউ যেন ভুলেও এসব কথা না জানে।আর আমি যে তোকে প্রিয়মের কাছে নিয়ে যাচ্ছি, এটা শুনলে সবাই আমাদের উপর রেগে যাবে।তাই বলছি নিজেকে স্বাভাবিক কর।যাতে কেউ আমাদের কোন ভাবেই সন্দেহ না করে।কি পারবি তো আমার শর্ত মানতে?” (প্রত্যয়)
–“হুমম।আমি পারবো আর তোমার সব কথা শুনবো।তবুও আমাকে প্রিয়মের কাছে নিয়ে চলো, প্লিজ।আমি একটা বার ওকে দেখবো।” (তুয়া)
–“হুম।”

সেদিন প্রিয়ম চলে যাওয়ার পর ওর কি হয়েছে সব খবর প্রত্যয় জানে।আর প্রিয়ম এখান থেকে বের হওয়ার পর, প্রিয়ম এক্সিডেন্টও করেছিলো।প্রত্যয় নিজ দায়িত্ব থেকে প্রিয়মের সব খবর রেখেছে।এমন পরিস্থিতিতে ওর পাশে কারো না কারো তো দাঁড়ানো উচিত।এজন্য প্রত্যয় নিজেই প্রিয়মের খোঁজ রেখেছে।আমাদেরও কিছু কিছু দায়িত্ব আছে,যেগুলো আমরা চাইলেও ঝেড়ে ফেলতে পারি না।কারন প্রতিটা মানুষের মধ্যে বিবেক বলে কিছু একটা আছে।আর যাদের বিবেক আছে তারা সব দায় ঝেড়ে ফেলে না।তাদের বিবেকই তাদের সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়।

আজকে তুয়া যখন ঘুমিয়ে ছিলো।প্রত্যয় সাদকে ফোন করে সব জানিয়েছে।কারন সাদ একজন সাইকোলজিস্ট।প্রিয়মের অস্বাভাবিক আচারণের কারনে প্রত্যয় সাদের সাথে কথা বলেছে।আর এটার জন্যই জানা গেছে, প্রিয়ম অটোফ্যাজিয়া রোগে আক্রান্ত।প্রিয়ম সবার থেকে নিজেকে একেবারেই আড়াল করে নিয়েছে।আর নিজের জগৎ হিসেবে বেছে নিয়েছে অন্ধকার রুম।

রাতের খাবারের জন্য প্রত্যয়রা সবাই একসাথে খেতে বসেছে।প্রত্যয়ের আম্মু সবাইকে খাবার সার্ভ করে দিলো।তুয়াও ওর মুখে এক লোকমা ভাত তুলে নিলো।আর সেই ভাতটুকু এখন না পারছে গিলতে, আর না পারছে উগলে ফেলতে।প্রত্যয় তুয়ার দিকে একবার তাকিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে তুয়ার দিকে এগিয়ে দিলো।তুয়া পানি দিয়ে ভাতটুকু গিলে নিলো।আর তখনই সাথে সাথে ভীষম খেলো।প্রত্যয় এক লাফে চেয়ার থেকে উঠে তুয়ার মাথা আর পিঠে হাত বুলাতে থাকলো।আর এদিকে তুয়ার তো কাশতে কাশতে জান বের হওয়ার উপক্রম।কাশির চোটে তুয়ার চোখ থেকে ঝরঝর করে পানি পড়ছে!আর পুরো মুখ লাল হয়ে আছে।এক পর্যায়ে তুয়া মুখে হাত দিয়ে প্রত্যয়ের রুমের দিকে দৌড়ে চলে গেল।তুয়া ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে দিলো।

প্রত্যয়ও আর না দাঁড়িয়ে তুয়ার পেছন পেছন গেল।তুয়া বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে বমি করছে।আর প্রত্যয় গিয়ে তুয়ার কপালের দুই পাশ চেপে ধরলো।একটুপর তুয়ার মুখ ধুইয়ে দিয়ে প্রত্যয় তুয়াকে ধরে রুমে নিয়ে আসলো।তুয়াকে বেডে শুইয়ে তুয়ার জন্য হালকা খাবার এনে জোর করে খাইয়ে দিলো।আর কম ডোজের একটা ঘুমের মেডিসিনও দিলো।এখন আপাতত ওর একটু রেস্টের বড্ড বেশি প্রয়োজন।এভাবে চলতে থাকলে তুয়ারও মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে বেশি সময় লাগবেনা।আর ঘুমের মেডিসিন না দিলে তুয়া সারারাত চোখের পাতা এক করতো না।

এদিকে প্রত্যয়ের আব্বু আম্মু তুয়ার ভীষম খাওয়াতে প্রত্যয় কেমন উতলা হয়ে পড়েছে।সেটাই বসে বসে দেখছিলো।প্রত্যয় যে তুয়ার প্রতি কতটা দূর্বল এটা উনাদের অজানা নয়।আর ছেলেটা যে নিজের কষ্টটা লুকিয়ে রেখে সবার কত্ত খেয়াল রাখছে।তাও সে না করছে কোন অভিযোগ আর না করছে কোন রাগ। সবকিছু নিজে হাতে সামলে নিচ্ছে,
“যেন ওর কাছেই আছে সব সমস্যার সমাধান।”

পরেরদিন সকালে প্রত্যয় তুয়াকে জোর করে ব্রেকফাস্ট করিয়েছে।আর ওর আব্বু আম্মুকে বলেছে তুয়াকে নিয়ে একটু বেড়াতে যাচ্ছে। যাতে তুয়ার মনটা ভালো হয়।এটা শুনে প্রত্যয়ের আব্বু আম্মুও কিছু বলেনি।প্রত্যয় গাড়ি ড্রাইভ করছে আর তুয়া পাশে উশখুশ করছে।যেন রাস্তা আর শেষ হচ্ছে না।প্রত্যয় সবই বুঝতে পারছে বাট কিছু বলছে না। প্রায় ৪৮ মিনিট পর প্রত্যয় গাড়ি থামালো।আর ওরা গাড়ি থেকে বেরিয়ে ১২ তলা একটা ফ্ল্যাটের সামনে গেল।প্রত্যয় কলিংবেল চাপ দিলো।একটু পর একটা ছেলে এসে দরজা খুলে দিলো।তুয়া দ্রুত ছেলেটাকে সরিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল।আর আশে পাশে তাকিয়ে প্রিয়মকে খুঁজতে থাকলো।তুয়া প্রিয়মকে আশে পাশে না দেখতে পেয়ে দৌড়ে অন্য রুম গুলোতে খুঁজতে শুরু করলো।খুঁজতে খুঁজতে একটা রুমের মেঝেতে প্রিয়মকে শুয়ে থাকতে দেখলো।প্রিয়মের হাতে একটা খুব সুন্দর পুতুল বউ। প্রিয়ম ওর #বুকের_বা_পাশে পুতুলটাকে রেখে মেঝেতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে।

তুয়া হাঁটু মুড়ে প্রিয়মের সামনে বসলো।তুয়ার চোখের পানি আর বাঁধ মানছেনা।রাজপুত্রের মত ছেলের এ কি অবস্থা হয়েছে?যে ছেলে সব সময় ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে তার এই অবস্থা। তুয়া আর কান্না আটকে রাখতে পারলোনা।এবার শব্দ করেই কেঁদে দিলো।প্রিয়ম কারো কান্নার শব্দ পেয়ে চোখ খুলে তাকালো।আর তুয়াকে দেখে প্রিয়মের চোখের কোণা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।প্রিয়ম শুয়ে থাকা অবস্থাতেই তুয়ার মুখ পানে চেয়ে আছে।প্রত্যয় দরজায় কাছে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।তুয়া আর প্রিয়ম কারো মুখে কোন কথা নেই।দু’জন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।আর তাদের চোখ থেকে ঝরে পড়ছে হারানোর অশ্রু।

প্রিয়ম উঠে হঠাৎ করে তুয়ার গলা চেপে ধরলো।কিন্তু তুয়া প্রিয়মকে ছাড়ানোর বিন্দু মাত্র চেষ্টা টুকুও করলো না।প্রত্যয় দ্রুত এসে প্রিয়মের থেকে তুয়াকে ছাড়িয়ে নিলো।প্রিয়ম একটা ফ্লাওয়্যার ভাস ছুঁড়ে তুয়ার দিকে মারলো। আর তুয়াকে প্রোটেক্ট করতে গিয়ে ওটা গিয়ে লাগলো প্রত্যয়ের পিঠ বরাবর।প্রত্যয় আহ্ শব্দ করে উঠলো। তুয়া চোখ তুলে প্রত্যয়ের দিকে তাকালো। তুয়া এটা বুঝলো প্রত্যয় খুব ব্যাথা পেয়েছে।তুয়া প্রত্যয়কে সরিয়ে দিয়ে প্রিয়মের সামনে এসে দাঁড়ালো।আর প্রিয়ম তখন চিৎকার করে বললো,

–“কেন এসেছিস তুই?কেন এসেছিস তুই এখানে?দেখতে এসেছিস, আমি মরে গেছি কি না?আমি মরলে খুশি হবি তুই না?তোর খুশির জন্য আমি সব করতে পারি।আজকেও তোকে আমি খুশি করবো, তুই যা চাইবি তাই ই হবে। ছুরি টা কই?আজকেই আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।” (প্রিয়ম আশে পাশে তাকিয়ে)

—“প্রিয়ম প্লিজ শান্ত হও।এত হাইপার হয়ে পড়লে তো হবেনা।আমরা বসে কথা বলি।একটু শান্ত হও প্লিজ,এমন করো না।” (প্রত্যয়)

–“ওর সব ইচ্ছাই আমি পূরণ করবো সব।আমার কলিজা আমার থেকে কিছু চাচ্ছে।আর আমি ওকে দিবো না তা কি করে হয়।আজকেই আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।আর ও আমার থেকে মুক্তি চেয়েছিলো তাইনা?ওকে তাই হবে।আমার থেকে চিরতরের জন্য ওকে আমি মুক্তি দিয়েই দিবো।” (প্রিয়ম চিৎকার করে)

প্রিয়ম হাতে কাছে যা পাচ্ছে। তাই দিয়েই ও নিজেকে আঘাত করার চেষ্টা করছে।প্রত্যয় বার বার প্রিয়মকে আটকানোর চেষ্টা করছে।প্রিয়মের এমন অবস্থা দেখে তুয়া উচ্চ শব্দে কেঁদেই যাচ্ছে। প্রিয়ম কাঁচের বোতল ভেঙ্গে হাতের একটা টান দিলো।আর গলগল করে রক্ত বেরিয়ে মেঝেতে গড়িয়ে পড়লো।বেডের বালিশ, কুশন,বেডশীট সহ সব ছুঁড়ে মারলো।সাজানো ড্রেসিং টেবিলের সব জিনিস পত্র ছুঁড়ে মারলো।আর সেখানে কাঁচের বোতল থাকায় সব ভেঙ্গে চুরে চারদিকে কাঁচ ছিটিয়ে গেল।দুই মিনিটেই প্রিয়ম পুরো রুম লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে।এরপরও প্রিয়ম নিজেকে শান্ত করতে পারলো না।প্রিয়ম দেওয়ালের সাথে যখনই মাথা বারি দিতে যাবে।তখনই তুয়া দৌড়ে গিয়ে প্রিয়মের পা ধরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকলো।

–“প্লিজ থামো! প্রিয়ম প্লিজ একটু শান্ত হও। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা।” (তুয়া)

–“না তুই তো চাস আমি মরে যাই তাই না?তোর ইচ্ছেই পূরণ করবো আমি।যা তুই, আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা।আমার ভালবাসাকে তুই অবজ্ঞা করেছিস।আমার পবিত্র ভালবাসাটাকে তুই তুচ্ছ ভেবে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিস।আমি এই জীবন নিয়ে আর বাঁচতে চাই না।আমি নিজেকেই শেষ করে দিবো।আর চিরতরে তোকে মুক্তি দিবো আমি।” (ভাঙা কাঁচের টুকরো হাত তুলে নিয়ে)

— “প্লিজ প্রিয়ম না। এমন পাগলামি আর করো না। আমি তোমাকে এমনি এমনি ফিরিয়ে দেইনি।একটু বোঝার চেষ্টা করো।” (তুয়া)

–“ঠকবাজ, মিথ্যে বাদী, তোকে আমি বিশ্বাস করিনা।তুই আবার নতুন চাল চেলেছিস।আবার আমার জীবন নিয়ে তোর খেলতে ইচ্ছে করছে তাই না?এই বুকের বা পাশটায় এতো যত্ন করে ভালবাসায় দিয়ে তোকে আগলে রেখেছিলাম।আর তুই সেই বুকেই আগুনের লাভা ঢেলে আমাকে ছারখার করে দিয়েছিস।আমার বেঁচে থাকার অবলম্বনটা তুই কেড়ে নিয়েছিস।তুই বেইমান, খুব খুব খারাপ মেয়ে তুই। আমার জীবন নিয়ে খেলতে তোর খুব মজা লাগে তাই তো?ওকে আমিই এবার থাকবো না।এই খেলার সমাপ্তি আমি ঘটাবো।আর আমিও মুক্ত হবো এবার আমার এই কলুষিত জীবন থেকে।” (ছুড়ি হাত নিয়ে)

প্রিয়ম যেন উন্মাদ হয়ে গেছে।ওর হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে গেছে।ওর মাথায় এখন একটা কথাই ঘুরছে, “নিজেকে শেষ করা”।আর এখানেই ও শান্তির দেখা পাবে।তুয়া প্রিয়মকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু প্রিয়ম তুয়ার কোনো কথা শুনতে নারাজ।প্রিয়ম যত যাই বলুক ওর চোখ দিয়েও ঝরঝর করে পানি ঝরেই যাচ্ছে। চোখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে,হাত থেকে এখনো রক্ত গড়িয়ে মেঝেতে পড়ছে।প্রিয়ম ওর কাটা হাত টা না প্রত্যয়কে ধরতে দিচ্ছে। আর না তুয়াকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে। আর প্রিয়মের এই অবস্থা দেখে তুয়া কেঁদে পাগল হয়ে যাচ্ছে। তুয়ার কান্নাও প্রিয়মকে আজকে থামাতে পারছেনা।প্রিয়ম যেনো নিজেকে শেষ করার জন্য আরো উন্মাদ হয়ে উঠেছে।প্রিয়ম ওর হাতের ছুড়িটা আবার ওর হাতের শিরা বরাবর ধরতেই,তুয়া চিৎকার করে বললো,

—“আমি আমার অনিশ্চিত জীবনের সাথে তোমাকে জড়াতে পারবোনা।প্লিজ থামো প্রিয়ম, প্লিজ।” (উচ্চ শব্দে কেঁদে,চোখ বন্ধ করে)

To be continue….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here