#হৃদস্পন্দনের_টানে___
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_11
❤❤
নুরঃ সৎ বাবা আমার সব প্রোপাটি এবার থেকে আমি দেখবো আজকে থেকে আপনার ছুটি…এবার এই পেপারে সাইন করে আমি অবসর নিন এসব থেকে।আর আপনার চুরি করার দিন শেষ….
নুরের এই কথা বলতেই কেউ একজন ঠাস করে নুরের গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো…..নুর ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে চড়টা আর কেউ না চড় টা মেরেছে জুবিন…
–
নুর অবাক হয়ে জুবিনের দিকে তাকিয়ে আছে!জুবিন নুররে কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে বলছে…
জুবিনঃ এসব কেমন ধরনের ভদ্রতা নুর!উনি তোমার বাবা আর বাবার সাথে এভাবে কেউ কথা বলে।তুমি এতটা অসভ্য মেয়ে জানতাম না তো…(দাঁতে দাঁতে চেপে)
নুরঃ তুমি আমাকে মারলে… (অবাক হয়ে তাকিয়ে)
জুবিনঃ হুমমম এমন ব্যবহার দেখলে আবার আরেকটা দিবো।
নুরের বাবাঃ থাক বাবা ওহ ছোট মানুষ! ওর কথায় আমি কিছু মনে করি নি।
জুবিনঃ মনে করবেন কি করবে গায়ে যে গন্ডারের চামড়া (বিরবির করে)
নুরের বাবাঃ কিছু বললে…
জুবিনঃ না না কিছু বলিনি।নুর যাও বাবাকে সরি বলো এখুনি…
নুরের আম্মুঃ নুর মা কি হয়েছে তোর?এভাবে কথা বলছিস কেন মা??তুই তো এভাবে কারো সাথে কথা বলিস না…
জুবিনঃ ওর মন ভালো নেই আন্টি! আপনি আমাদের সাথে আমাদের বাসায় চলেন ওর সাথে কিছু সময় থাকুন ওর মনটা তাহলে ভালো হবে।
নুরের বাবাঃ ওখানে যাওয়ার কি দরকার?আজকে তোমরা এখানেই থেকে যাও আমরা সবাই একসাথে থাকি…জুবিন বাবা তোমার সাথে আমার কথা আছে তুমি আজকে থেকে যাও এখানে।
নুরের আম্মুঃহুমম বাবা আর অমত করো না আজকে এখানেই থেকে যাও।
–
নুর আর কিছু না বলে ওর রুমে গিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে।আর উৎসের একটা ছবি বের করে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!জুবিন নুরের রুমে এসে দরজা লক দেয় তারপর নুরের উপরেই শুয়ে পড়ে নুরের চুল সরিয়ে একটা আদর দেয়!নুর উঠতে গেলে জুবিন নুরকে জড়িয়ে ধরে গালে আদর দেয় আর বলে….
–
জুবিনঃআমার নামে উৎসের কাছে নালিশ করা হচ্ছে বুঝি!
নুরঃ…..
জুবিনঃ রাগ করছেন ম্যম! বেশি জোরে লাগছে..একটু আদর দিয়ে দেয়।
নুরঃ……..
জুবিনঃ আসলে…
নুরঃ জুবিন আমাকে কিছু বলতে হবে না!আমি জানি তুমি যা করবে আমার ভালোর জন্য করবা।আর তুমিও যদি ঠকাও তো সেইদিন নুর বলে পৃথিবীতে কারো অস্তিত্ব থাকবে না।
জুবিনঃ এই উৎস অনেক সুদর্শন!কোন হিরোর থেকে কম না…
নুরঃ তুমি নিজেও কারো থেকে কম না তাই না..
জুবিনঃ হা হা হা তাই নাকি?তুমি আমাকে তাহলে ভাল করে দেখছো??বাহ্
নুরঃনা দেখার কি আছে শুনি??
জুবিনঃআচ্ছা নুর উৎসের সব চেয়ে বেশি কোন জিনিসটা তোমার বেশি ভালো লাগতো…
নুরঃওর হাসিটা আর বামপামের বাঁকা দাঁত টা আমার মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট ছিলো।উৎসের কোন অহংকার ছিলো না! খুব মিশুক ছিলো উৎস..
জুবিনঃ আর আমার কোন জিনিস তোমার ভালো লাগে…
নুরঃ…..
জুবিনঃ ভালো লাগার মত আমার মধ্যে কিছুই নেই নুর!থাক বলতে না জোর করবো না তোমাকে!!(মন খারাপ করে)
নুরঃহুমম তোমার চোখ!আর তোমার চোখ যে কাউকে ঘায়েল করতে পারে খুব সহজে। এই চোখে সব ভাষা আমি পড়তে পারি এজন্য একবার বলাতে বন্ধু বানিয়ে ছিলাম! আর একবার বিয়ে করবে বলাতে তাও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।এই চোখের ভাষা পড়ে আমি বুঝেছি তুমি কখনো কাউকে ঠকাতে পারে না….
জুবিনঃতাহলে বলো তো এখন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝছো…
নুরঃ আমার জন্য অসীম ভালবাসা!আমার আমাকে চড় মেরে নিজে কষ্ট পাচ্ছো..কষ্ট পেও না আমি ব্যাথা পায়নি জুবিন!তবে এখানে বড্ড কষ্ট হয় (বুকের পাশ পাশে হাত দিয়ে)
–
জুবিন আর কিছু না বলে নুরকে একটানে ঘুরিয়ে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে!এত শক্ত করে জড়িত ধরছে যে নুরের মনে হচ্ছে দম আটকে মারা যাবে! জুবিন শুধু পারছে না নুরের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে।জুবিন কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই কেউ দরজা নক করে। নুরের বাসার বুয়া বলে জুবিনকে নাকি নুরের বাবা ডাকছে…. জুবিন নুরের কপালে আদর দিয়ে বলে…
–
জুবিনঃ উৎসের মত হয়তো ভালবাসতে পারবো না তবে আমার আমার মন প্রাণ দিয়ে তোমাকে ভালবাসি নুর!উৎসের সাথে আমার কোন শএুতা না ছিলো আর না এখন আছে!তুমি আগে ছিলে উৎসের বাট এখন শুধু আমার! তোমার উপর শুধু আমার অধিকার আর কারো না…ভালবাসি খুব বেশি ভালবাসি তোমায়।
–
জুবিন কথা বলে মুচকি হেসে চলে যায়!জুবিন আর নুরের বাবা সামনাসামনি কথা বলছে।নুরের বাবা মুচকি হেসে জুবিনকে ধন্যবাদ দেয়। জুবিনও মুখে রহস্যের হাসি ঝুলিয়ে রেখে বলে…
জুবিনঃ যা পাবেন হাফ শেয়ার আমার।আর এত কষ্ট করে যদি শূন্য হাতে বাসায় ফেরাটা বোকামি বলে মনে হচ্ছে তাই…
নুরের বাবাঃ হা হা হা যাক তাহলে বুঝলে!খুব ভালো হলো…গুড ভেরি গুড।
জুবিনঃ নুর ওই পেপারটা দিলে সাইন করে দিবেন কারন ওটা ডুপলিকেট পেপার….
চলবে…
(গল্প টা আর দিতেই চাচ্ছিলাম না কারন তোমাদের রেসপন্স নেই।কয়েকজনের অনুরোধে এতটুকু লিখলাম। রেসপন্স পাচ্ছি না আর সত্যি কথা মনও ভালো নেই তাই ছোট করেই দিলাম।কিছু মনে করো না)