হৃদস্পন্দনের_টানে___ #written_by_Nurzahan_akter_Allo #part_12 ❤❤

0
309

#হৃদস্পন্দনের_টানে___
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_12
❤❤

নুরের বাবাঃ হা হা হা যাক তাহলে বুঝলে!খুব ভালো হলো…গুড ভেরি গুড।

জুবিনঃ নুর ওই পেপারটা দিলে সাইন করে দিবেন কারন ওটা ডুপলিকেট পেপার….

নুরের বাবাঃহুমম তবে আমার সাথে একদম চালাকি করতে যেও না।ফল ভালো না..

জুবিনঃ সেইম কথা আমি যদি বলি শশুড় মশাই।আপনিও বেশি চালাকি করতে যাবেন না।আমাকেও কাঁচা খেলোয়াড় ভাববেন না।

নুরের বাবাঃ হুম। আমাদের খেলা যখন এক তাহলে পালটি খাওয়ার কোন দরকারই নেই…

জুবিনঃ এবার বলেন তো?? পরীর কি দোষ ছিলো শুধু শুধু বাচ্চাটাকে মারলেন কেন???আর উৎসের কি দোষ ছিলো??না মানে আমাদের টার্গেট যখন এক তাহলে সব খোলাসা করে নেওয়াটাই বেটার তাই না…

নুরের বাবাঃ পরী বা উৎসের কোন দোষ নাই!ওহ বেচারা ভালোমানুষের তার প্রমান দিতে গিয়ে প্রাণ হারালো!আর পরীকে মারতে চাইনি নুরের মামা রেগে ওদের মেরে ফেলছে।

জুবিনঃ আপনি কিছু বলেন নি কেন??

নুরের বাবাঃ কারন পথের কাটা দুরে সরলেই তো আমার লাভ তাই না।নুরের মাকে তে বিয়ে করছিলাম এই রাজত্বের রাজ করার জন্য.. তবে নুরের মামা অনেক বোকা!ওই বোকা মনে করছিলো ওকে ভাগ দিবো বাট ওহ জানতো না ও কানাকড়িও পাবে না।শুধু শুধু ওকে ব্যবহার করতাম ওকে…হা হা হা

জুবিনঃ নুরকে ভুল মেডিসিন দিতেন কেন??ওকে বললেই তো সবকিছু নিয়ে নেওয়া যেত ওর থেকে…তাহলে এসব করার কারন??

নুরের বাবাঃ পাগল করে হলে তো কোনদিন আর এসব চাওয়া সুযোগ টাও পেও না তাই না!ওই হসপিটালে আমি লোক লাগিয়ে রাখছিলাম! সব সময় নুরকে ফলো করার জন্য! তারপর তুমি এলে আমার খেলা ঘুরিয়ে দিলে…

জুবিনঃ আমি তো জানতাম না যে এমন হবে! সো যাই হোক ভাগ যেন সমান সমান হয়।তবে নুর আর পরীকে আপনি কোনদিন ভালোই বাসেন নি তাই না..

নুরের বাবাঃ হুমম ওদের মন থেকে সত্যি ভালবাসিনি কারন ওদেরকে সব সময় আমার কাছে উটকো ঝামেলা বলে মনে হয়েছে। জুবিন তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান আর যথেষ্ট সুদর্শন একটা ছেলে,,নুরকে ব্যবহার করে ছেড়ে দাও! আর নুরের থেকেও অনেক
ভাল জিনিস আছে আমার কাছে লাগলে বলবে…সব ম্যানেজ করে দিবো।

জুবিনঃ হা হা হা তা আপনার এখনো মাল লাগে নাকি??

নুরের বাবাঃ ছেলে মানুষ কখনো বুড়ো হয় না বুঝলে!আর এরা হচ্ছে শরীরে আরো এনার্জি বাড়ায়।তাই তো বলছি লাগলে বলবে কেমন…বেশ কয়েকজন আছে।

জুবিনঃ হুমমম! লাগবে তো বলবো। এক জিনিস আর কতদিন..

নুরের বাবাঃ ওইটাই তো বলছি। যাক তোমার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো।চলো অনেক কথা হলো এখন রুমে যায় নয়তো নুর ডাউট করবে..


তারপর জুবিনরা সবাই একসাথে ডিনার করলো।খুব মজা করছে সবাই আর খাচ্ছে হঠাৎ নুরের আম্মু বলে উঠলো…

আম্মুঃ নুর আমাদের একটা খেলার সাথি উপহার দাও।আর কতদিন বাঁচবো! বয়স তো কম হচ্ছে না….


জুবিন সাথে সাথে ভীষম খায়!এমন ভাবে ভীষম খেয়েছে যে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে।নুর লাফ দিয়ে উঠে জুবিনকে পানি খাওয়ায় আর জুবিনের মাথায়, পিঠে হাত বুলাতে থাকে।নুরের আঁচল দিয়ে জুবিন মুখ মুছে নেয়।নুর এখনো জুবিনের পিঠে হাত বুলাচ্ছে! এটা দেখে নুরের আম্মুর মুখে হাসি ফুটে। কাশতে কাশতে জুবিনেরও মুখে হাসি ফোটে নুরকে ওর জন্য উতলা হতে দেখে।সবাই আবার খাওয়াতে মনোযোগ দিলো! জুবিন মনে মনে বলছে….


জুবিনঃ শাশু মা আপনার মেয়ে আমাকে টাচ্ করতেই দেয় আর আপনি খেলার সাথি নিয়ে পড়ে আছেন।ওয়েট করুন আপাতত! আমার ভাগ্য খুললে! আপনার ভাগ্যতে খুলবে আর নানু ডাক শুনবেন…(মনে মনে)


জুবিন খেয়াল করলো নুর জুবিনের পায়ের নখ চেপে আছে!নুরের পায়ের নখে ও ব্যাথা পাচ্ছে বাট কিছু বলছে না।জুবিন দুষ্টু হেসে নুরের পা চেপে ধরে নুরের পায়ে সুড়সুড়ি দিতে থাকে।এবার নুর কোন রকম জুবিনের থেকে পা ছাড়িয়ে খেয়ে উঠে রুমে চলে যায়।


পরেরদিন সকালে ভোরে কেউ অনবরত কলিংবেল বাজিয়েই যাচ্ছে! নুরের আম্মু দরজা খুলে দেখে পুলিশ দাড়িয়ে আছে!নুরের আম্মু পুলিশ দেখে নুরকে ডাকলো!নুর ওর আম্মুর ডাক শুনে দৌড়ে আসলে সাথে জুবিনও আসলো মুখ রহস্যময় হাসি ঝুলিয়ে রেখে।পুলিশ হনহন করে রুমে ঢুকে সার্চ করা শুরু করলো তারপর নুরের বাবাকে ধরে আনলো!নুরের বাবা চিৎকার করছে!জুবিন নুরের বাবার কাছে গিয়ে বললো…


জুবিনঃচিৎকার করে এনার্জি নষ্ট করবেন না শশুড়বাড়ি মশাই!জেলে যাচ্ছে নিজের খেয়াল রাখবেন!ঠিকমত খাওয়া দাওয়াত করবেন কেমন….হ্যাপি জার্নি (মুচকি হেসে)

নুরের আম্মুঃ এসব কি বলছো জুবিন?তোমার মাথা ঠিক আছে।কাকে কি বলছো??(রেগে)

নুরঃএসব কি হচ্ছে? (জুবিনের দিকে তাকিয়ে)


জুবিন রুমে গিয়ে কালকে ওর আর নুরের বাবার কি কথা হয়েছিলো সেটাই সবাইকে শোনায়!নুরের আম্মু কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছে!উনি কল্পনাও করে নি যে নুরের বাবা এত নিকৃষ্ট আর লোভী মানুষ। উনি ধপ করে বসে পড়ে।উনি কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না।
একটা পুলিশ জুবিনকে বললো…

পুলিশঃ এই রেকর্ড টা দিন! আমাদের কাজে লাগবে..প্রমাণ হিসেবে।

জুবিনঃ এটার কপি আপনাদের ডিসির কাছে চলে গেছে!আপনাদের দেওয়া প্রয়োজন বোধ করছি না।আর আমার আদরের শশুড় মশাই যেন জেল থেকে ছাড়া নাই পায় সেই ব্যবসথাও হয়ে গেছে।জুবিন এত কাঁচা কাজ করে না….দেখলেন তো শশুড় মশাই হাতে নাতে প্রমানও দিলাম।

নুরের বাবাঃ এটা তুমি ঠিক করলে না জুবিন!এর ফল তোমাকে ভোগ করতে হবে। (রেগে গিয়ে)

জুবিনঃ বের হতে পারেন কি দেখেন?তারপর তো পরের কথা ভেবে দেখবো।আর হ্যা আপনার চেলাপ্যালাও যাবে সমস্যা নাই!কালকে আপনার মুখ থেকে কথা বের করতেই! আমি বউটার গায়ে হাত তুলছি…যাই হোক এইদিনটাই অপেক্ষা করছিলাম এতদিন!আজকে সব রহস্য শেষ…


পুলিশ নুরের বাবাকে টানতে টানতে নিয়ে চলে গেল!জুবিন নুরের মায়ের কাছে হাটু গেড়ে বসে বসলো..

জুবিনঃ আম্মু!আপনি আমার উপর রাগ করবেন না!আমার এটা করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।বিষধর সাপ বাসায় রাখলে সে বার বার ছোবল দেওয়ার চেষ্টা করবে!আর বার বার যে আমরা বেঁচে যাবো এর কোন গ্যারন্টি নেই তাই সাপটাকেই না রাখায় ভালো!উনিই নুরকে বার বার পাগল করতে চাইছিলো,উনি উৎস আর পরীর মৃত্যুর কথা জানতো, উনি সব ঘটনার কালপিট।আম্মু আমাকে মাফ করবেন আমি আপনাদের ভাল চাই! আর আপনাদের কথা ভেবেই আমাকে এমন পদক্ষেপ নিতে হলো। (নুরের আম্মুর সামনে হাটু গেড়ে বসে)

নুরের আম্মুঃতোমার উপরে কোন অভিযোগ নেই বাবা!নিজের আপনজনের থেকে ঠকলে নিজের উপর থেকেই বিশ্বাস উঠে যায়।এত কিছুর পরেও আমি খুশি কারন তোমার মত একটা ছেলে পেয়েছি আমি।জুবিন জানো আমি কখনো কল্পনা করিনি নুরের বাবা নুরকে মারতে চাই!আমার নুর আমার কলিজা!আমি আমার পরীকে হারিয়েছি কিন্তু নুরকে হারাতে পারবো না। (কেঁদে কেঁদে)

জুবিনঃ আম্মু আমারও কেউ নেই এই পৃথিবীতে! আজকে থেকে আমিও আপনার ছেলে হতে চাই!আমার আপনার বলে কিছু রাখতে চাই না আমি।আপনি আমাদের সাথে থাকবেন এখন থেকে…আর কোন কথা শুনতে চাই না আমি ব্যস্….


নুর আর জুবিন মিলে নুরের আম্মুকেও ওদের সাথের বাসায় নিয়ে যায়!কারন এখানে একা থাকলে উনি ভেঙে পড়বেন।এবার থেকে আর কোন ভয় নেই….নুরের আম্মুর কোলে নুর শুয়ে আছে!নুর ওর আম্মু দিকে তাকিয়ে বললো…

নুরঃ আম্মু আমার উপর তোমার খুব রাগ হচ্ছে তাই না!আমার জন্য বাবাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেল।আমার জন্য তুমি এখন খুব কষ্ট পাচ্ছো??(কেঁদে কেঁদে)

চলবে…
(কালকে সারপ্রাইজ আছে তোমাদের জন্য….. 😎)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here