স্পর্শানুভূতি #writer_Nurzahan_Akter_Allo #part_30 🍁🍁

0
634

#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_30
🍁🍁

মিষ্টু বেডে শুয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে বাইরের আকাশ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যায়।রাসেল সবকিছু গোছগাছ করে নিয়ে মিষ্টুর রুমে উঁকি মেরে দেখে মিষ্টু ঘুমাচ্ছে! রাসেল ধীর পায়ে মিষ্টুর কাছে এসে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে পড়ে আর মিষ্টু দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে…

রাসেলঃআমি মনে করতাম তুমি খুব শক্ত মনের মেয়ে!কিন্তু না তুমি বড্ড সরল আর খুব ইমোশনাল মাইন্ডের।তোমাকে ঘুমালে এই নিষ্পাপ লাগে যে আমি তোমারই এই মায়াবী মুখটা দেখে তোমাকে ভালবেসে ফেলছি মিষ্টু!আমি তোমাকে ঠিক কতটা যে ভালবাসি সেটা বোঝাতে পারবো না!তবে আর যাই হোক আমি তোমার পাশে আছি আর সারাজীবন থাকবো ইনশাআল্লাহ।


রাসেল উঠে চলে যায় ওর রুমে! সন্ধ্যার দিকে মিষ্টুর ঘুম ভেঙে যায়।মিষ্টু উঠে নামাজ পড়ে নেয়। রাসেল মিষ্টুকে রেডি হয়ে নিতে বলে কারন ৭ঃ৩০ ওদের ফ্লাইট। মিষ্টু রেডি হয়ে নিলো ওর রুমেই বসে আছে! রাসেল সবকিছু নিয়ে গুছিয়ে নিয়ে তারপর ওরা বেরিয়ে পড়লো!গাড়িতে মিষ্টু চুপচাপ বসে আছে! ওরা এয়ারপোর্টে পৌঁছালো! রাসেল যখনই ভেতরে ঢুকতে যাবে মিষ্টু তখন রাসেলের হাত টেনে ধরে! রাসেলে সাথে সাথে দাড়িয়ে যায় আর পেছনে ঘুরে মিষ্টুর দিকে তাকায়। মিষ্টু কাঁদো কাঁদো মুখ করে রাসেলকে বলে…


মিষ্টুঃআমরা আবার কবে আসবো রাজশাহীতে?(কাঁদতে কাঁদতে)

রাসেলঃখুব তারাতারি আসবো!তুমি আবার কাঁদছো কেন?প্লিজ কেদো না।আমি কথা দিচ্ছি খুব তারাতারি আমারা ফিরে আসবো। (মিষ্টুর চোখ মুছে দিয়ে)

মিষ্টুঃসত্যি আসবো তো!প্রমিস
রাসেলঃহুমম পাক্কা প্রমিস(মুচকি হেসে)


ফ্লাইটে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে মাএ ৩৩ মিঃ!ওরা ৩৩ মিঃটে ঢাকাতে পৌঁছে যায়।রাসেলের বাসা এয়ারপোর্ট থেকে বেশি দুরে না!রাসেলের বাবা রাসেলের জন্য গাড়ি পাঠিয়েছে!রাসেল মিষ্টুকে গাড়িতে বসতে বলে নিজেও মিষ্টুর পাশে বসে পড়লো!ড্রাইভার গাড়ি ড্রাইভ করছে।মিষ্টুর কেন জানি মনে হচ্ছে আবার কোন সমস্যায় ওকে পড়তে হবে!রাসেলের হাত মিষ্টুর হাতের টার্চ করতেই মিষ্টু সাথে রাসেলের দিকে ভ্রু কুচকে রাসেলের দিকে তাকায়..


রাসেলঃইয়ে মানে! তুমি কি নার্ভাস ফিল করছো?তোমার মুখটা শুকিয়ে গেছে কেন?

মিষ্টুঃ না আমি ঠিক আছি?

রাসেলঃ হুমম!তবে চিন্তা করো না আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।

মিষ্টুঃহুম


রাসেলের বাসার সামনে এসে গাড়িটা থামায়! রাসেলকে মিষ্টুকে নামতে বলে আর নিজেও নামে।রাসেল আর মিষ্টু বাসার ভেতরে গিয়ে ঢুকতে রাসেলের মা মিষ্টু সামনে এসে দাড়ায়! রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..
রাসেলঃএটা আমার আম্মু!

মিষ্টুঃআস্ সালামু আলাইকুম! কেমন আছেন খালামনি?

রাসেলের আম্মুঃএই মেয়ে বাংলা কথা বুঝতে কি সমস্যা হয় নাকি তোমার?আমি রাসেলের আম্মু তুমি আমাকে খালামনি বলছো কেন?(রেগে গিয়ে)

মিষ্টুঃ কেন বলছি এর উওর পরে দিবো?

আম্মুঃতোমার যে কোন শিক্ষাদীক্ষা নেই তোমার কথা শুনলেই বোঝা যায়!না জানি কোন চালচুলোহীন ঘর থেকে তুলে এনেছে কে জানে?

রাসেলঃআম,,, আমমু

মিষ্টুঃআমি বলি রাসেল!তুমি প্লিজ চুপ থাকো?আমার শিক্ষা নিয়ে কথা যখন উনি তুলছে তাহলে উওর টা আমাকেই দিতে দাও?

রাসেলঃ (অবাক চোখে মিষ্টু দিকে তাকিয়ে আছে তার কারন মিষ্টু এই প্রথম রাসেলের নাম ধরে ডেকেছে আর রাসেলকে তুমি করে সম্ভাধন করছে)

মিষ্টুঃ আমম- মার


মিষ্টু কিছু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাসেলের বাবা এসে মিষ্টুর সাথে হেসে হেসে কথা বলতে থাকে!মিষ্টুও উনার সাথে কথা বলে। তারপর ওদের রুমে গিয়ে রেস্ট করতে বলে! রাসেল আর মিষ্টু উপরে চলে যায়।রাসেল সামনে সামনে হাঁটছে আর মিষ্টু পেছন পেছন!রাসেল ওর রুমের দরজা খুলে রুমে ঢুকে পেছনে তাকাতেই দেখে মিষ্টু নেই!আসলে রাসেলের বাবা উনার রুমে চলে যেতেই মিষ্টু সিড়ে থেকে নেমে রাসেলের আম্মুর কাছে গিয়ে বলে।


মিষ্টুঃসময় দিলাম নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন!যার শীল যার নোড়া তারই ভাঙ্গি দাঁতের গোড়া তাই না।আমার বরকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন আর না!সাহস থাকলে আমার সাথে লাগতে আসবেন।

আম্মুঃতাই নাকি!চুনোপুটি হয়ে বোয়ালের সাথে টক্কর। আমি দেখি তুই কি করে টিকতে পারিস এই বাড়িতে।

মিষ্টুঃওকে ডান!


মিষ্টুর ফোন আসতে মিষ্টু কথা বলতে বলতে বাইরে চলে গেল!মিষ্টু দাড়িয়ে দাড়িয়ে মিতুর সাথে কথা বলতে বলছে?

মিষ্টুঃওই দিকের কি খবর তাই বল?

মিতুঃ হুম যা বলেছিস হয়ে গেছে…

মিষ্টুঃওকে জানু!টাকা পাঠিয়ে দিবো একা একা ট্রিট নিয়ে নিস। আর মাঝে মাঝে আমি যা বলবো সেই অনুয়ায়ী দেখা করে আসিস কেমন তাহলেই হবে।

মিতুঃহুমম কেন নয়!তুই চিন্তা করিস না আমি আছি তো….

মিষ্টুঃওকে থাক তাহলে!বাই

মিতুঃবাই

মিষ্টুর খুশি এবার দেখে কে?মিষ্টু মনের সুখে বিরবির করতে করতে গান গাইছিলো আর রাসেলের রুমে দিকে যাচ্ছিলো হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খায়।মিষ্টু সরি বলার আগে মেয়েটাই মিষ্টুকে চড় মারতে যায় মিষ্টু মেয়েটার হাত ধরে ফেলে! আর হাতটা মুচড়ে দেয়।মিষ্টু রাসেলকে আসতে দেখে মেয়েটির হাত ছেড়ে দেয়।মেয়েটি রাসেলকে দেখে রাগী চোখে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে ক্যাউ ক্যাউ করে চেচাঁতে চেচাঁতে চলে গেল।রাসেলকে দেখে মিষ্টু মুচকি একটা হাসি দিল।


রাসেল বোকার মত মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে আছে!কারন হুট করে মিষ্টুর এমন পরিবর্তন রাসেলকে খুব ভাবাচ্ছে। রাসেল মিষ্টুকে ওর রুমে নিয়ে গেল!মিষ্টু রাসেলের রুমে গিয়ে ঠাস করে বেডে দুইটা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লো।রাসেল দাড়িয়ে দাড়িয়ে মিষ্টু কান্ড দেখছে কারন মিষ্টু মুখে একটা দুষ্টু হাসি ফুটে উঠছে!রাসেল মিষ্টুর পাশে বসলো!রাসেলকে বসে দেখে মিষ্টু উঠে বসলো…


রাসেলঃ আম্মু আর রোজ কে একটু মানিয়ে নিও প্লিজ! ওদের কথায় কষ্ট পেও না।

মিষ্টুঃরোজ কে?

রাসেলঃযে মেয়েটার সাথে একটু আগে তোমার দেখা হলো ওই রোজ!আমার বোন..

মিষ্টুঃওহহ্!ওকে সমস্যা নেই।

রাসেলঃএখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও কেমন!

মিষ্টুঃহুমম


মিষ্টু উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে একটা কালো কালারের সালোয়ার কামিজ পড়ে বের হলো!রাসেল ফোনে কথা বলতে বলতে রুমে আসলো!রাসেল মিষ্টুর দিকে একবার তাকিয়ে ওর কিছু ফাইল আর লেপটপ নিয়ে বেডে বসে পড়লো! রাসেল বাসায় পড়া স্যান্ডেলটা খুলে বেডে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে আর মিষ্টু রাসেলের সেই স্যান্ডেলটাই পড়ে নিচে চলে গেল কারন ওর তো বাসায় পড়া স্যান্ডেল আনা হয় নি।মিষ্টু নিচে গিয়ে দেখলো রাসেলের আম্মু পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে কাবাব খাচ্ছে আর সিরিয়াল দেখছে তার রোজ পাশে বসে ফোন টিপছে।


মিষ্টু রান্না ঘরে গিয়ে দুই মগ কফি করলো তারপর মগ দুইটা একটা ট্রেতে করে নিয়ে রাসেলের আম্মুর সামনে গেল তারপর নিচু হতেই!রাসেলের আম্মু আর রোজ কফির মগ নিতে হাত বাড়াতেই মিষ্টু নিচু হয়ে কাবারের প্লেট টা নিয়ে গটগট করতে করতে উপরে চলে গেল!আর রাসেলের আম্মু আর রোজ রাগে গজগজ করতে লাগলো!রোজ ওর আম্মুর দিকে বললো..


রোজঃ আম্মু তুমি কি কিছু বলবা?ওই মেয়েটা কয়েকটা ঘন্টা হলো না এসেছে এর মধ্যে আমাদের সাথে এমন বিহেভ করা শুরু করছে!আমি জাস্ট ওই মেয়েটাকে সহ্য করতে পাচ্ছি না…

আম্মুঃ সময় হলে আমিও ওরে বোঝাবো ওই মেয়েটা কার সাথে লাগতে এসেছে।বেয়াদব মেয়ে একটা..


মিষ্টু রাসেলের রুমে গিয়ে দেখে রাসেল ওর স্যান্ডেলটা খুজছে! মিষ্টু মুচকি হেসে রাসেলের সামনে গিয়ে দাড়ায় আর একটা কফির মগ রাসেলের দিকে এগিয়ে দেয়!রাসেল কফির মগটা নেয়! মিষ্টু স্যান্ডেল খুলে বেডে বসে মনের সুখে কাবাব খাচ্ছে একবার আর একবার কফিতে চুমুক দিচ্ছে একবার।রাসেল বুঝতে পারছে না মিষ্টুর এমন নরমাল বিহেভের কারন! মিষ্টু রাসেলের দিকে একটা কাবার এগিয়ে দেয় রাসেল কাবাবটা নিয়ে একটা কামড় দিয়ে জিজ্ঞাসা করে…


রাসেলঃআমি তো এখুনি যাচ্ছিলাম কফি করতে তুমি কষ্ট করে আবার এগুলো আনতে গেলে কেন?আর কাবাব এত অল্প সময়ে বানালে কি করে?

মিষ্টুঃএই সময় টাই আমি কফি খায় এজন্য বানাতে গিয়েছিলাম!আর কাবাব আমি বানায় নি..(খেতে খেতে)

রাসেলঃতাহলে কি সার্ভেন্টরা বানিয়েছিলো?

মিষ্টুঃআপনার বোন আর মা বসে বসে খাচ্ছিলো!আমারও খেতে ইচ্ছে করছিলো তাই পুরো প্লেটটাই নিয়ে চলে এসেছি?আমি কি অন্যায় কিছু করছি?🙄

রাসেলঃ না না অন্যায় কেন করবে?ওরা তো প্রতিদিন খায় একদিন না খেলে কিছু হবে না।
(না জানি বাসায় কখন যে যুদ্ধ লেগে যায়!সেটা আল্লাহই জানে?আমার মা আর বোন যদি বুনো ওল হয়!তো বউও পেয়েছি পুরো বাঘা তেঁতুল!কেউ কারো থেকে কম না।এখন শুধু বসে বসে যুদ্ধ দেখার পালা)

মিষ্টুঃআপনাদের বাসাটা এমন কেন?

রাসেলঃকেমন?

মিষ্টুঃসবাই কেমন চুপচাপ!এটা বাসা নাকি অন্যকিছু..

রাসেলঃ হা হা হা! তাই নাকি আমি তো বলছি তোমার মত করে তুমি সাজিয়ে নাও।

মিষ্টুঃহুমম!আচ্ছা রাসেল ভাইয়া একটা কথা বলবো?
রাসেলঃহুমম বলো!

মিষ্টুঃআপনি কতটুকু সময় বাসায় থাকেন?আই মিন কখন কখন বাসায় আসেন?

রাসেলঃ আমি বাসায় খুব কম আসি!কারণ কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেই আমি ভালো থাকি!আর দেখছোই তো কেমন প্রানহীন বাসাটা…

মিষ্টুঃ আপনি কাজ করেন আমি আসছি?
রাসেলঃকোথায় যাচ্ছো?

মিষ্টুঃআসছি!!!!!!

মিষ্টু নিচে গিয়ে সার্ভেন্টের সাথে ভাব জমিয়ে ফেললো!তারপর ওদের সাথে গল্প করে রাসেলের বাবার রুমটা কোন দিকে একজনকে বললো রুমটা দেখিয়ে দিতে।মিষ্টু রাসেলের বাবার রুমে গিয়ে নক করলো!রাসেলের বাবা মিষ্টুকে দেখে রুমে আসতে বললো তারপর মিষ্টু গল্প জুড়ে দিলো!রাসেলের বাবা মিষ্টুর সাথে খুব অল্প সময়ে মিশে গেল!মিষ্টু এক একটা কথা বলছে আর রাসেলের বাবা হো হো করে হাসছে।রাসেলের বাবা হুট করে মিষ্টুর মাথা হাত দিয়ে মিষ্টুকে বললো…

বাবাঃজানিস মা আজকে অনেক বছর পর এমন ভাবে হাসলাম।

মিষ্টুঃতাই নাকি!তাহলে আমাকে একটা উপহার দাও।আমি বিনা উপহারে কোন কাজ করি না(হাত বাড়িয়ে দিয়ে)

বাবাঃহা হা হা তাই নাকি!আমার এই মায়ের কি চাই শুনি?আমি এখুনি সেটা দেওয়া ব্যবসথা করবো।

মিষ্টুঃবাবা আমি চাই বাসাটা সব সময় প্রাণবন্ত থাকুক!বাবা আমি এমন প্রাণহীন বাসায় থাকতে পারবো না আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। (ছলছল চোখে তাকিয়ে)

বাবাঃ রাসেলের মা মারা যাওয়ার সাথে সাথে এই বাসাটারও প্রাণ চলে গেছে!রাসেলের মা তোর মত বড্ড বেশি কথা বলতো জানিস?সব সময় বকবক করতো।

মিষ্টুঃবাবা আমি তোমার আর তোমার ছেলের জন্য আবার আগের মত বাসাটা প্রাণবন্ত করতে চাই!যদি তুমি পাশে থাকো তো।

বাবাঃওকে ডিয়ার আমি সব সময় তোর সাথে আছি

মিষ্টুঃহুমম!আর তোমার বউটা মে বি সারাদিন আমার সাথে খ্যাচখ্যাচ করবে!মাঝে মাঝে আমি বাঁচিয়ে দিও কেমন..হা হা হা

বাবাঃহা হা হা হা ওকে


মিষ্টু আর রাসেলের বাবা বেশ কিছু সময় গল্প করলো!রাসেল মিষ্টুকে না দেখতে পেয়ে নিচে গেল আর একটা সার্ভেন্ট কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো ওর বাবা রুমে মিষ্টু!রাসেল ওর বাবার রুমে গিয়ে দেখে দুজনকে জমপেশ আড্ডা দিচ্ছে আর হাসছে।রাসেলের বাবা বেডে হেলান দিয়ে বসে আছে আর মিষ্টু ওর বাবা চুল টেনে দিচ্ছে। রাসেল ওর বাবার দিকে তাকিয়ে আছে কারন আজকে অনেক বছর পর রাসেল ওর বাবাকে হাসতে দেখলো।রাসেলকে দাড়িয়ে থাকতে থেকে ওর বাবা বললো..


বাবাঃওখানে দাড়িয়ে আছিস কেন?আয় ভেতরে আয়..
রাসেলঃজি বাবা..

বাবাঃরাসেল আজকে তোকে একটা ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে?
রাসেলঃকেন বাবা?

বাবাঃআমার সাথে কথা বলার জন্য একটা মানুষ এনে দিয়েছিস?আমার এই মা টাকে আমি খুব বেশি পছন্দ হয়েছে রে দোয়া করি সারাজীবন এই ভাবে এক সাথে থাক।

রাসেলঃওহহ্ (মুচকি হেসে)

বাবাঃ এজন্যই তো বলি, যে ছেলে বিয়ের কথা বললে একপ্রকার পালিয়ে যেতো সে হুট করে বিয়ে করে ফেলসে কেন?এই দুষ্টু মেয়েটাই তাহলে আমার ছেলে মাথা নষ্ট করে দিসে..হা হা হা

মিষ্টুঃওই বুইড়া বাবা!তুমি আমারে দুষ্টু বললে..

বাবাঃতুই আমাকে বুইড়া বললি..

মিষ্টুঃনা তুমি বুইড়া হবে কেন?তুমি তো কচি খোকা চল তোমারে আর পাঁচটা বিয়ে করিয়ে আনি।

রাসেলঃ (মুচকি মুচকি হাসছে ওদের কথা শুনে)

বাবাঃরাসেল তোর বউ আমাকে বুইড়া বলছে আর তুই হাসছিস?

রাসেলঃআমি এর মধ্যে নাই বাবা!তোমাদের ঝগড়া তোমরা বুঝে নাও কারন আমি কিছু বললে আমার চুল উপর অত্যাচার শুরু হবে।তাই আমি কিছু বলবো না…

মিষ্টুঃকি বললে আমি তোমার চুলের উপর কি করি?

রাসেলঃকই আমি তো কিছু বলি নি।বাবা আমি কিছু বলছি তোমাকে (ওর বাবার দিকে তাকিয়ে)

বাবাঃকই আমি তো কিছু শুনিনি!হা হা হা

মিষ্টুঃইউ রা ভেরি পালটিবাজ 😡
রাসেল আর বাবাঃহা হা হা


তারপর ওরা তিনজন খুব আড্ডা দিচ্ছে!রাসেলের মনে নেই ওর বাবাকে এর আগে এতকথা বলতে দেখছে কি না?আজকে মিষ্টুর সাথে রাসেলের বাবাও যেন আনন্দ টাকে লুফে নিতে চাচ্ছে!হয়তো উনি এতদিন কথা বলা বা আড্ডা দেওয়ার মত কাউকে পায় নি।আর উনার বউ আর মেয়ে তো ফোন, টিভি,পার্লার, পার্টি,এসব নিয়েই থাকেন।আর টাকার দরকার হলে উনার সাথে কথা বলেন।রাসেলের বাবা মিষ্টুর হাত ধরে টেনে রাসেলের পাশে বসায় আর রাসেলের হাতে উপর মিষ্টুর একটা হাত রেখে ছলছল চোখে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..

চলবে…
(আজকের পার্টটা বড় করে দিসি তাই তোমরাও বড় বড় কমেন্ট করবা কেমন 😜😜🙈🙈)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here