‘সিক্ত সুভানুভব’
[১০]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
পরেরদিন সকালে রোদের আম্মু খুব খুশি হয়ে কাজগুলো করছে। রোদ ওর মায়ের মুখের দিকে বার বার তাকিয়ে সেটাই খেয়াল করছে।রোদের আম্মু রোদে ডেকে পাশে বসতে বললো,রোদ পাশে বসে ফোন টিপতে শুরু করলো,রোদের আম্মু ওদের রিলেটিভদের
নামের লিষ্ট করছিলো ইনভাইট করার জন্য,রোদের আম্মু ওর ফ্রেন্ডসদের কার্ড দিতে বললো,মেঘকে ডেকেও দশটা কার্ড দিল বাট মেঘের নাকি এতে হবেই না।
মেঘ নিজেই বাইশটা কার্ড নিলো,রোদ শুধু বসে বসে সবার কথা শুনছে আর ওর চোখ ফোনের দিকে,রোদের আম্মু রোদের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে নিল।রোদ ওর আম্মুর দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো,রোদের আম্মু রোদের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
–
আম্মুঃআমি আজকে খুব খুশি জানো রোদ,আমার মত এত সুখী মানুষ আর আছে কি না আমার জানা নেই?কিন্ত আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই,যে আমার ছেলেটা বিয়েতে মত দিয়েছে।আর হ্যা ইবনাত তোমাকে খুব পছন্দ করে,,
রোদঃইবনাত কে?
আম্মুঃযার সাথে তুমি নতুন জীবন শুরু করছো তারই নামই ইবনাত আমার বান্ধবীর মেয়ে,ওরা সিঙ্গাপুরে থাকতো,একটাই তাদের মেয়ে সে হলো ইবনাত,,
রোদঃওহহ
আম্মুঃআজকে তুমি আর ইবনাত তোমাদের বিয়ের শপিং করতে যাবে,আজকে আর অফিসে যাওয়ার দরকার নেই।
রোদঃ আম্মু আমাকে এসবের মধ্যে টেনো না প্লিজ, আমার এসব ভালো লাগে না,আর আজকে একটা বড় ডিল করতে যেতে হবে,আমাদের কোম্পানির জন্য এটাই এতদিন আমি চেয়েছিলাম।আর এই ডিলটা হয়ে গেলে আমি টপ বিসনেসম্যানদের ২য় অবস্থানে চলে যাবো।আশা করি আমার কথা তুমি বুঝতে পেরেছো,,
আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে, তোর যাওয়া শপিংয়ে লাগবে না।তবে তোর বন্ধুদের কার্ড গুলো দিয়ে দিস আর তাদের পরিবারের সবাই যেন অবশ্যই আসে,যদিও তোর বাবা ওদের আলাদা করে ফোন করে বলছে,তারপরেও তোর বন্ধু তোরও তো একটা দায়িত্ব আছে তাই না।
রোদঃহুমম
–
রোদ ওর ফোন টা নিয়ে ওপরে চলে গেল,রোদের আম্মু আবার উনার কাজে মনোযোগ দিলেন।রোদ সাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে একেবারে নিচে নামলো,ড্রাইভারকে ডেকে কিছু ফাইল আর বিয়ের কার্ড গুলো রেখে আসতে বললো,আর রোদ ব্রেকফাস্ট করতে বসলো,মেঘ রোদের পাশে বসে খুব আদরের সাথে রোদকে ডাকলো,,,
–
মেঘঃও দা,,ভা,,,ই
–
রোদঃকি লাগবে বলো? আমি শুনতে পাচ্ছি
মেঘঃ ইয়ে মানে আসলে তোমার তো বিয়ে তাই না,তাই আমি বলছিলাম যে,,
–
রোদঃআমার জানামতে আমার বিয়ের কথা সবাই জানে,তুমি কি আমার বিয়ের কথা আমাকে মনে করিয়ে দিতে, এখানে এসেছো?এসব হাজিবাজি কথা বাদ দাও আর কাজের কথা বলো।
–
মেঘঃতোমার বিয়ে তাই তোমার থেকে আমি পাঁচটা ড্রেস নিবো।আম্মুর গুলো বাদে, কত মেয়ে আসবে আর বড় কথা বরের ভাই বলে কথা তাই না বলো।
–
রোদঃআজকে হবে না কালকে সন্ধ্যায় ফ্রী থাকলে যাবো।আর তোমার এগুলো বাদে আর কি বা চাইবে বলো?(গম্ভীর হয়ে)
–
মেঘঃতাহলে কালকে নিয়ে যেতে হবে কিন্ত, কালকে কোন কথা শুনবো না কেমন।
রোদঃহুমম
–
রোদ খেয়ে চলে যাই আর বাড়ির সাজানোর জন্য লোক এসে ওদের কাজ শুরু করে।বাড়ির বড়ছেলে রোদের বিয়ে কথা,তাই ওর বাবা মা কোন এুটি রাখতে চাই না।রোদের বাবা নিজে দাড়িয়ে থেকে তদারকি করছে,একদম নিজের মনের মত করে।আর দুইদিন পরে রোদের বিয়ে এজন্য খুব কাছের রিলেটিভ রা আসা শুরু করে দিসে,বিশেষ করে রোদের দাদুর আর নানুর বাসায় লোকজন।রোদের আম্মু আর ইবনাতের আম্মু বিয়ের শপিংয়ের জন্য বের হয়ে গেল,রোদের আম্মুরা দুই বান্ধবী মিলে ওদের ছেলে/মেয়ের বিয়ের শপিং করার জন্য,ইবনাতেরও কি কাজ পড়ে গেছে এজন্য ইবনাতও যেতে পারছে না।
–
রোদ ওর অফিসে গিয়ে সোজা নিজের কেবিন চলে গেল,আর ম্যানেজারকে মিটিং রুমে কয়েকজনকে প্রেজেন্ট থাকতে বললো,যাদের রোদ আগে থেকেই মিটিং রুমে থাকতে বলছে,সেই কইজনকেই মিটিং রুমে গিয়ে ওয়েট করতে বললো,একটু পর ম্যানেজার রোদকে জানাই যাদের সাথে ডিল করার কথা তারা চলে এসেছে,রোদ ওদের মিটিং রুমে গিয়ে বসাতে বললো,,।রোদও মিটিং রুমে গিয়ে,,
–
রোদঃ হ্যালো! হাউ আর ইউ অল…
উপস্থিত সবাই: ফাইন এন্ড ইউ..
–
রোদ: আলহামদুলিল্লাহ! আই এম অলসো ওয়েল বাই দা গ্রেস অফ আল্লাহ,
উই আর হেয়ার টু ডে টু সাইন এ বিগ ডিল.হুইচ ইস ভেরি ইম্পর্টেন্ট ফর আওয়ার টু কম্পানিজ. ইফ প্রফিট ইস টু বি মেড, আওয়ার টু কোম্পানিজ উইল বি ইন এ বিগ বিজনেস প্লেস…
–
রহমান চৌধুরী( ইউএস কোম্পানির মালিক): ইউ আর রাইট! বিকজ দা ডিল উয়িল মেক আওয়ার কোম্পানি এ সিঙ্গাপুর ব্রাঞ্চ, এন্ড আই ওয়ান্টটেড টু ডিল উইথ ইউ, বিকজ উই নো ,উই আর্ নট চিটিং,,
–
রোদ: আই ডোন্ট স্টিল. অ্যান্ড আই ডোন্ট টক টু এনিওয়ান. হো গেটস কট. আই এম গুড ফর সামওয়ান, হুজজ্ গুড উইথ মি. বাট আই এম বেড ফর সামওয়ান,হুজজ্ ব্যাড বিহেভিয়ার উইথ মি. ইটস্ এ পার্সোনাল লাইফ,,
–
রহমান চৌধুরী: ইয়াহ্ আই নো ..
রোদ: লেটস গেট আওয়ার্ড ডিল ডান…..
রহমান চৌধুরী: হুমমম, অফ কোর্স
–
রোদ ডিলটা সাইট করে দেয় তারপর গেষ্টদের সাথে আর কিছু সময় ওদের বিসনেজ নিয়ে কথা বলে ওরা একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে নিল,তারপর যে যার মত বিদায় জানিয়ে চলে গেল।আজকে রোদ ৫ কোটি ২২ লাখ টাকার ডিল সাইন করছে,রোদ ভাবেনি এত সহজে কাজটা হয়ে যাবো।রোদ ম্যানেজারকে সবকিছু সামলে নিতে বলে চলে গেল,রোদের আজ মাথা ব্যাথা করছে তাই বাসায় গেল।বাসায় গিয়ে দেখে বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়ে গেছে,রোদ মনে মনে হাসলো।
–
গাড়িটা পার্ক করে গাড়ি থেকে নেমে দেখে মেঘসহ আরো কয়েকজন বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছে,রোদ আর কোন দিকে না তাকিয়ে, ওর রুমে চলে গেল।বাসার কেউ খেয়াল করে নি রোদ এসেছে,রোদ ওর রুমে গিয়ে ডোর লক করে ড্রেস বদলে শুধু থ্রী কোয়াটার পড়ে থাকলো।তারপর আলমারীর সামনে গিয়ে ড্রায়ার থেকে একটা বড় বক্স বের করে বিছানাতে বসলো,আর বক্সটার ভেতর যা ছিল সব বিছানাতে বের করে রাখলো,,,,
–
রোদ এই তিনবছরে আলোর জন্য অনেককিছুই কিনেছে,যেমন নোজ পিন,নুপূর,বিভিন্ন কালারে চুরি,শাড়ি,বেশ কয়েক জোড়া দুল,নেকলেস,রিং,একটা সোনার চিকন চেনও আছে,আর একটা খুব সুন্দর কোমর বন্ধনী, রোদ যত বার শপিংমলে গেছে,আর যেটা ওর ভাল লাগছে সেটাও আলোর জন্য কিনে রাখছে,বাট আলোই নেই শুধু ওকে দেওয়া জন্য।রোদ একদৃষ্টিতে জিনিসগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,তারপর আবার ওইভাবে তুলে আলমীরা তে রেখে দিল,রোদের মাথা ব্যাথা করছে এজন্য একটা স্লিপিং পিল খেয়ে নিল,কারন এখন ওর ঘুমের দরকার।
–
রোদের আম্মু আর ইবনাতের আম্মু দুজনেই নিজের হাজবেন্ডের কেডিড কার্ড নিয়ে বের হয়েছে। আর ইচ্ছামত শপিং করছে দুই বান্ধবী,,,।
রোদের আম্মু রাত আটটাতে বাসায় পৌঁছায়,রাতের বেলাতে সব ওদের বাড়িটা অন্য একটা রুপ ধারণ করছে,চারদিকে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় লাইট,বিভিন কালারের পর্দা দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করে সাজানো,রোদ আর ইবনাতের নামটা খুব সুন্দর করে লিখে সেটাতে বিভিন্ন কালার লাইটা দিয়ে লাইটিং করছে,রোদের আম্মুর সাজানোটা খুব পছন্দ হয়েছে শপিং ব্যাগ গুলো সাহেলা আর ড্রাইভারকে আনতে বলে,রোদের আম্মু পুরো বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।
রোদের আম্মুর হুট করে রোদের কথা মনে হলো,সেই সকালে রোদের সাথে কথা হয়ে তারপর রোদের সাথে আর কথা হয় নি,ছেলেরটার মনের উপর দিয়ে কি যাচ্ছে,সেটা রোদের মা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।
–
রোদের আম্মু ফোন দিয়ে যাচ্ছে বাট রোদের ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে,রোদের আব্বু অফিসে ফোন দিল বাট ম্যানেজার জানালো রোদ সেই দুপুরে চলে গেছে বাসায়।রোদের আব্বু আর আম্মু একথা শোনার পর চিন্তাতে পড়ে যায়,ওদিকে রোদ টানা ৫ ঘন্টা ঘুমিয়ে চোখ মুখ ফুলিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখ মুখ ধুয়ে আসে,বেসিনের গ্লাসে দেখে রোদের চোখ লাল হয়ে আছে,চোখ গুলো ফুলে গেছে।
রোদ রুমে এসে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে নিল,আর একটা গেন্জী পড়ে নিল।ড্রেয়িং টেবিলের সামনে গিয়ে চুলগুলো ঠিক করে, ফোনটা হাতে নিয়ে, ফোন অন করতে করতেই সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলো।সবাই তখন ড্রয়িং রুমেই বসে ছিল,রোদকে নিচে নামতে দেখে রোদের আম্মু দৌড়ে এলো,,
–
আম্মুঃরোদ তুই কোথায় ছিলি এতসময় আর তোর ফোন বন্ধ কেন?তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?(চিৎকার করে)
রোদঃআমি তো সেই দুপুর থেকে আমার রুমেই ছিলাম,আর ফোন সুইচ অফ রাখছিলাম যাতে ঘুমের ডিসটাব না হয় এজন্য, আর তুমি এমন করছে কেন?আর এখনো এই শাড়ি পড়ে আছো কেন?
আম্মুঃএমনি তুই বস,তোর সাথে আমার কথা আছে,এখুনি মানে এখুনি, আর কোন কথা আমি শুনতে চাই না।
রোদঃহুমম বলো আমি শুনছি,আর তোমার কি হয়েছে?কার উপর এতো রেগে আছে,আর এভাবে কথা বলছো কেন?
আম্মুঃআমি বুঝে গেছি তুমি মন থেকে বিয়েটা মানতে পারছো না,আমি মনে করে ছিলাম আমার উপর তোমার বিশ্বাস আছে।আমি তোমার খারাপ কখনো চাইবো না রোদ বাট তোমার এই ফেইক হাসি দিয়ে আমার মন ভোলাতে পারবে না।রোদ তুমি বড় হয়েছে কিন্ত এটা ভুলে যেও না যে,আমি তোমার মা।তোমার তাকানো, তোমার গলার সুর শুনে বলে দিতে পারি তোমার মনের মধ্যে কি চলছে?
রোদঃকি হয়েছে?তুমি এভাবে এসবই বা বলছো কেন?আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না।
আম্মুঃতোমার এই বিয়ে করতে হবে না?আমি তোমাকে আর জোর করবো না,তুমি বড় হয়ে গেছো সো তুমি কি করবে তুমি জানো?তোমার এই মনে যে হাজার কষ্ট জমা আছে,তোমার মুখের কি অবস্থা করছো তুমি জানো?আমি এসব দেখতে পারবো না রোদ,আমি এখুনি ইবনাতের আম্মুকে বলে বিয়ে ক্যানসেল করতে বলছি,একটা পরের বাসার মেয়ে এনে তার জীবন নষ্ট করার কোন অধিকার তোমার বা আমার নেই।আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমার রোদ এখন অনেক বড় হয়ে গেছে,,,তবে আর না রোদ আর না।তুমি আমাকে আর আম্মু বলেও ডাকবে না,যার উপরে বিশ্বাস নেই তাকে আম্মু বলে কেনই বা ডাকবে? (চিৎকার করে)
–
রোদ ওর আম্মুকে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে,তারপর ওর মায়ের পায়ের কাছে বসে পড়ে আর পা জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে,,,
রোদঃ আম্মু তুমি এটা করো না, তাহল অনেকে তোমাকে অনেক কথা শুনাবে।আমি সহ্য করতে পারবো না আম্মু, আমি তো তোমার জন্য নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি,আমাকে একটু সময় দাও আমি আগের রোদ হয়ে যাবো আম্মু।তুমি আমাকে একটু সময় দাও,আমি যে আলোর কথা কিছুতেই ভুলতে পারছি না,আমার মনে যে ওরই বসবাস।
আম্মু তোমার ছেলে যে ওই একজনের জন্য পাগল আম্মু,তাকে এনে দাও না আম্মু আমার আর কিছু চাইনা,আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে আম্মু,আমার কষ্টগুলো কি করে কমাবো আম্মু,আমার কষ্ট গুলো যে মুছে দিতে পারবে, সেই নেই আম্মু।
আমার যে দম বন্ধ হয়ে আসছে আম্মু,আমাকে একটু সময় দাও প্লিজ আম্মু,তুমি যাকে বলবে আমি তাকেই বিয়ে করবো। আলো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে তুমি এভাবে আমাকে দুরে ঠেলে দিও না,আমার এবার সত্যি মারা যাবো আম্মু
–
রোদের আম্মু রোদকে টেনে দাঁড় করায় দিয়ে জড়িয়ে ধরে নিজেও কেঁদে,কোন মা চাইয়া তার ছেলে এভাবে কষ্ট পাক ধুকে ধুকে মারা যাক।রোদের চোখের পানি মুছে দেয় রোদের আম্মু,রোদ একটু হেসে আবার উপরে চলে যায় এবার আর রুমে না ছাদে চলে যায়,ছাদে গিয়ে দেওয়ালের সাথে হাতে আঘাত করতেই থাকে,না পেরেছে আলোকে ধরে রাখতে, না পারছে আম্মুর কথা মেনে নিতে,না পারছে নিজেকে ভাল রাখতে, তাহলে আবার অন্য কাউকে কি করে ভাল রাখবে?রোদ এবার ছাদের এক কিনারায় বসে ওই দুর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছে,,
–
রোদঃতোকে আর মনে করে কষ্ট পাবো না,তুই যদি পারিস আমাকে ছেড়ে যেতে তাহলে আমি কেন পারবো না?আমিও পারি রোদ মেহবুব পারে না,এমন কোন জিনিস নেই।হুম আমি ভাল থাকবো আর আমি খুব খুব ভাল থাকবো,কেন ভাল থাকবো জানিস?
কারন তুই কাছে না থাকলেো এক আকাশের নীচে তো আছি,রাত দিনের পাথক্য তো বুঝি,,ওই দুর আকাশের তারা তো দেখি। তবে যত ভাল আর যত সুন্দরী মেয়ে আমার বউ হোক না কেন?এই বুকে তোর জায়গা আছে আর থাকবে বাট আমার কাছে ফিরে আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল।কারন কারো জীবনের সাথে আমার জীবন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একই সুতোয়,তোকে আর নিজের মত করে পাওয়া হলো না,এক সাথে পথ চলা হলো না,,,।তবে আমি ওই ইবনাত নামের মেয়েটাকে ঠকাতে পারবো না,,,,
–
I love you, and that’s more than my own life. I learned to fill my own feelings for you, I’m so sad to have to accept someone else ,,, in your place.
Why do you leave me so much pain today because I love you so much? I loved you, i dreamed of living together, I wanted to stand by you. So why did you leave me alone?
Please come back, I can’t take it again ease.
–
রোদ ছাদে হাটু গেঁড়ে বসে এসব বলছে,আর খুব করে কাঁদছে।
চলবে,,
(একদিন একটু ছোট করে গল্প দিলে তোমরা বলো,এত ছোট কেন?বাট নিজেরা Nc,next, osadaron এসব ছাড়া নাকি কমেন্ট খুজে পাও না,আবার কেউ কেউ যত পারো শট কমেন্ট করো।নিজেরা গল্পের বেলাতে একটুও ছাড় দিবে না,আমি কেন দিবো?এবার থেকে আমি ছোট ছোট পার্ট দিবো।আজ সময় পাইনি ইডিট করার বানান ভুল হয়ে থাকলে মাফ করবে)