‘সিক্ত সুভানুভব’
[১২]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
–
আজকে রোদের গায়ে হলুদ,সকাল থেকেই বাসাতে কেমন হইচই শুরু হয়ে গেছে,রোদের বাপি বাসাতে এসব করতে রাজি ছিলোনা,কমিউনিটি সেন্টারে বলে দিলেই তো হয়ে যেতো,এসব ঝামেলা বাসাতে করার কি দরকার।কিন্ত রোদের আম্মু বলছে, বাসাতে যা আনন্দ হয় সেটা নাকি ওখানে করা যায়না।রোদের বাপি তারপরেও মেহমান আপ্যায়নের জন্য আর রান্না জন্য লোক আনিয়েছে ,কমিনিউটি সেন্টারের মত সকল আয়োজনই বাসাতে করা হয়েছে।রোদের পুরো বাড়িটা অনেক বড় আরো মনমত সাজানো হয়েছে যার কারনে বাড়ি অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে।কাছের সব রিলেটিভরা আসা শুরু করে দিসে,,,
–
রোদের ঘুম ভেঙে গেছে অনেকক্ষণ হলো, ও মেঘের জন্য উঠতে পারছে না।কোন ভাই যে কোনকে ভাইকে জড়িয়ে ধরে এভাবে ঘুমায় মেঘ আর রোদকে না দেখলে বোঝা যেত না,রোদ মেঘকে খুব আদুরে গলাতে ডাকে, তারপরেও মেঘ উঠছে না।রোদ মেঘকে বলে,,
–
রোদঃও মেঘ বাবু উঠুন সকাল হয়ে গেছে তো,আর কতক্ষণ ঘুমাবেন শুনি,,
মেঘঃউমম্ আর একটু দাভাই,,
রোদঃআর একটুও না, আমাকে তো উঠতে হবে তাই না,অনেক দেরি হয়ে গেছে তো।সাড়ে আটটা বেজে গেছে,আলরেডি,,,
মেঘঃউমম আর একটু,,দাভাই
রোদঃমেঘ আর একটু না বাবু,এবার উঠো পড়ো তো,হারি আপ,,
মেঘঃ আচ্ছা দাভাই বিয়ে হয়ে গেলে নাকি দাভাইরা পর হয়ে যায়,আর নাকি ভালবাসে না।এটা কি সত্যি,,
রোদঃকে বলছে এসব কথা?যে বলছে সে ভুল বলছে,সবাই একরকম না মেঘ,আমি তোকে কোনদিনও পর করবো না ভাই,তুই আমার কলিজা।
মেঘঃ নতুন বউমনি আমাকে ভালবাসবে তো দাভাই,যদি আমাকে ভালবাসে তখন কিন্ত আমি খুব কান্না করবো,অনেক অনেক কষ্ট পাবো।
রোদঃহুমম তোমাকে অনেক ভালবাসবে,আর আমি আছি তো,এসব নিয়ে মন খারাপ করবে না।আর কখনো অন্যদের দেখে নিজেকে বিচার করবে না,যেমন অন্য কারো দাভাই বিয়ের ভালবাসে কি করে জানিনা?বাট তোমার দাভাই তোমাকে খুব ভালবাসে,আর ভবিষ্যতেও বাসবে বুঝলে,,,
মেঘঃহুমম
রোদঃ থাক আর আদর দিতে হবে না
–
দুইভাই উঠে যে যার মত করে ফ্রেস হয়ে নিচে নামে,তারপর ব্রেক ফাস্ট করে নেয়,রোদের জোরাজুরিতে রোদ মেঘকে নিয়ে বের হয়,দুইভাই আজ অনেকদিন পর অনেক আনন্দ করলো,তবে রোদের মনটা যে কতটা খারাপ সেটা রোদই জানে,হুমম একটা ছেলেই পারে বুকে হাজারো কষ্ট নিয়ে হাসি মুখে, সবাইকে বোঝাতে যে সে কতটা ভাল আছে।রোদরা ঘুরাঘুরি, শপিং, খাওয়া-দাওয়া করে দুপুর একটার দিকে বাসায় আসে,ততক্ষনে বাসাতে মেহমানে গিজগিজ করছে,চারদিকে হাসাহাসি,বাচ্চারা ছোটাছুটি করছে,কেউ মজা করছে,সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে,আর রোদও ওর আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে, সবার সাথে কথা বলে উপরে চলে যায়।
–
রোদের তো কোন কাজ নেই,আজ ওর আম্মু ওকে অফিসেও যেতে দেয়নি,এজন্য রুমে বসেই অফিসের কাজ করছিলো,এভাবে দুপুর তিনটা পর্যন্ত কাজ শেষ করে,আর একটু ঘুমিয়ে নেয়।চারদিকে গান বাজনা,মুখোরিত একটা পরিবেশ। রোদের আম্মু রোদকে ডেকে টেনে তুললো ৬, টার দিকে,রোদ নামাজ পড়ে বসতেই আবার ওর আম্মু এসে ওর হাতে একটা শপিং ব্যাগ দিয়ে রেডি হয়ে নিতে বললো,রোদ প্যাকেট টার দিকেই ওয়াচের তাকিয়ে আছে আর ভাবছে,,,
–
রোদঃআজকে এই ওয়াচের প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ড যেন খুব দ্রুত গতি চলা শুরু করছে,তোরা এখানে থমকে গেলেও তো পারিস।যত ঘন্টার কাটা ঘুরছে তত আলোকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার সময় ঘনিয়ে আসছে।
–
রোদ শপিংটা হাতে নিয়ে দেখে কলাপাতা কালার ইউনিক মডেলের একটা পান্জাবী আর চুরিদার।রোদ মনে মনে হাসলো গায়ে হলুদে কেউ এই কালার পরে, এটা ভেবে। কিন্ত রোদ এটাও জানতো ওর আম্মু হলুদ বা লাল পান্জাবী কখনোই কিনবে না, কারন এই দুটো কালার নাকি ছেলেদের পরতে নেই,রোদও কিছু বলে না,কারন আম্মু যা করো সন্তানের ভাল বুঝেই করে,তবে এই পান্জাবী অনেক সুন্দর কলা পাতা কালারের উপর গোল্ডেন কালার সুতার কাজ আর গোল্ডেন কালার চুরিদার।ছেলেদের পান্জাবী গুলোর বোতাম থাকে বুকের মাঝখানে বাট রোদের পান্জাবীর বোতাম করা আছে সাইডে,বোতামগুলো ডিজাইন করা।রোদ ওগুলো পড়ে আয়নাতে দাড়িয়ে দেখছে, কারন ওকে দারুন মানিয়েছে এই ড্রেসটাতে,
–
রোদের আম্মু রোদের দরজাতে নক করে, রোদ দরজা খুলে দেয়।রোদের আম্মু মুছকি হেসে রোদের রুমে ঢুকে পড়ে, আর রোদের কপালে একটা চুমু দেয় আর বামহাতের নখ কামড়ে দিয়ে বলে,,
আম্মুঃআমার বাবাটার যেন কারো নজর না লাগে,অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে তোকে,,
রোদঃ ধন্যবাদ আম্মু
আম্মুঃএবার চলো সবাই তোমার জন্য ওয়েট করছে,তোমার নানু এবার এবার রেগে যাবে,বুঝতেই তো পারছো, সেকেলে মানুষ,কোন কাজ মনমত না করলে বাড়ি মাথা তুলবে,,
রোদঃহুমম চল বাট তোমার ছোট রাজকুমার কোথায় গেছে?ওকে তো দেখছি না।
আম্মুঃমেঘ বাইরে আছে সবার সাথে মজা করছে,এবার তুই চল তো তারাতারি,,
রোদঃহুম
–
রোদের জন্য গায়ে হলুদের স্টেজ করছে,রোদকে ওখানে বসানো হয়েছে আর সাথে বসে আমাদের মেঘবাবু।রোদের সব বন্ধুরাও এসে হাজির, রোদ উঠে সবার সাথে হাগ করলো,তবে আবির আর ফাহাদকে হাগ করার সময় দুজনেই রোদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো,আবির কানে কানে বললো,,
আবিরঃআর ইউ ওকে রোদ,,
রোদঃইয়াহ্ আ’ম ওকে
ফাহাদঃহুম,
–
তারপর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো,সবাই একে একে এসে রোদের গায়ে হলুদ ছুঁয়ে দিচ্ছে আর মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে,, রোদের বন্ধুরা খুব মজা করছে,রোদ চুপটি করে বসে আছে,,,আর মেঘ বার বার রোদের দিকে তাকাচ্ছে, রোদ এটা নোটিশ করছে, রোদ মেঘকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে মেঘের গালে হলুদ দিয়ে দেয় আর মেঘকে বলে,,
রোদঃকি হয়েছে মেঘ?তুমি বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছো কিছু বলবে, কিছু বলতে চাইলে বলো,,,
মেঘঃতোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে দাভাই,এজন্য সবাইকে তোমাকেই দেখছে আমার দিকে কেউ তাকাচ্ছে না।
রোদের বন্ধুরাঃআহারে এটা কোন কথা হলো,আমাদের হিরো কেই নাকি কেউ দেখছে না।
রোদঃআরে না মেঘ তোমাকেও খুব সুন্দর দেখাচ্ছে,,, একদম রাজকুমারের মত তোমাকে নীল পান্জাবী খুব মানিয়েছে
–
ওরা কথা বলতে বলতে মেঘের সব বন্ধুরা মৌমাছির মত
দৌড়ে স্টেজের সামনে চলে আসে,রোদের বন্ধুরা এসব মৌমাছিদের দাড়ানোর জন্য নিজেরা সরে গেল,পিচ্চি গুলো খুব সুন্দর করে সেজে এসেছে,ওরা রোদকে হলুদ দেওয়া চেষ্টা করলো বাট হাত পেলো না, কেউ কেউ অনেক পিচ্চি এজন্য, মেঘ হলুদের বাটি আর রোদের হাত ধরে নিচে নামালো, মেঘের এমন কাজে গেস্টরা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে,রোদের হাত ধরে টেনে একটা জায়গাতে হাটু গেড়ে বসতে বললো,রোদও হেসে তাই করলো। এবার পিচ্চি গুলো এসে রোদকে হলুদ মাখাতে শুরু করলো,ওরা রোদ কে ইচ্ছে মত হলুদ মাখাচেছ আর সেকি হাসি তাদের।এমন একটা দৃশ্য দেখে সবাই খুশি হলো,কারন বাচ্চা হচ্ছে পবিএ আর তাদের এই পবিএ হাসি আর ওদের আনন্দ টুকু কোটি টাকা দিলেও কিনতে পাওয়া যাবে না।কেউ অনেক ছোট ছোট তারাও এসেছে রোদকে হলুদ দিতে,,,এটাও বা কত জন পায়।
–
সবার মাঝে পরীর ও এসেছে তবে পরী এসে রোদের কোলে দুম করে বসে পড়ছে আর নামছে না।এবার মেঘের রাগ উঠে যায়, পরী চুল দুইপাশে ঝুটি করা মেঘ একটা ঝুটি টেনে রোদের কোল থেকে নামিয়ে বলে,,
মেঘঃওই দুষ্টু মেয়ে আমাকে কি চোখে পড়ে না যে,আমার দাদাই এর কোলে বসে পড়ছিস,
পরীঃ(পরী কিছু না বুঝে খিলখিল করে হেসে দেয়,মেঘের থেকে তিন বছরে ছোট পরী)
রোদ অবাক হয়ে ওদের তাকিয়ে আর মেঘ পারছেনা পরীকে আছাড় দিতে।
–
রোদ আর কিছু বলে না,বাট বাটিতে যা হলুদ ছিল সব এখন রোদের মুখে আর রোদ চোখ বন্ধ করে বসে ছিল আর পিচ্চি গুলো হাতের ছোট ছোট হাতে রোদকে হলুদ মাখিয়েই গেছে,আর সবার মুখে সেই তৃপ্তির হাসি। এটাই হয়তো রোদের জীবনে দোয়া হিসেবে যোগ হবে,রোদ এবার বাচ্চাদের সাথে একটু দুষ্টমি করতে থাকে,,ওদিকে রোদের মুখে হাসি দেখে রোদের আম্মু শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে।রোদ ওর আম্মুকে বলে ওর রুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে আসে,পিচ্চি গুলো চোখ মুখে হলুদ ঢুকিয়ে দিয়েছে,রোদ ওয়াশরুমে গিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিল।তারপর আবার এসে অনুষ্ঠানে যোগ দিল,একসাইডে রোদের কাজিনরা নাচানাচি করছে,বড়রা আড্ডা দিচ্ছে, বাচ্চা গুলো খুব ইনজয় করছে গানের তালে তালে নাচানাচি করছে।রোদের অফিসের অনেক এসেছে তারাও রোদকে মিষ্টি খাইয়ে গেছে, এভাবে রাত একটা পযন্ত অনুষ্ঠান চলতেই থাকে।
–
পরের দিন সকালবেলা,,,
আজকে রোদের বিয়ের দিন,
ঘুম থেকে রোদ অনেক আগেই উঠে গেছে, নামাজ পড়ে একা একা হাটতে বের হয়েছে, আর কিছু বলার ও নেই করারও নেই,রোদের শুধু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া,একা একা হাঁটতে হাঁটতে একটা নিরিবিলি জায়গাতে,গাছের নিচে বসে পড়লো আর সামনে পুকুরের দিকে তাকিয়ে আছে, রোদ আর আলোর কথা মনে করতে চাচ্ছে না। তারপরেও বার বার আলোর কথা মনে হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা সময় একা একা বসে থেকে ওর আম্মু ফোন পেয়ে বাসার দিকে আবার হাঁটতে শুরু করে।
–
সকালে ব্রেক ফাস্ট করে নিয়ে ওর রুমে যায় তারপর কিছু সময় পরে রোদের বন্ধুরা এসে হাজির, রোদের বাপির সবাইকে বলে দিয়ে এগারোটার দিকে ওরা বেরিয়ে যাবে বরযাএীরা কারন ইবনাতে বাসায় যেতে ঘন্টা তিনেক তো লাগবে এজন্য, সবাই সকালে খেয়ে নেয়, রোদকে গিয়ে বলে ওরা নাকি আবার হলুদ মাখিয়ে, রোদের ভাবিরা রোদকে গোসল করাবে এবার রোদের আম্মু এই ভয়টাই পাচ্ছিলো। কারণ রোদ এটা কখনোই টলারেট করবে না,সেটা রোদের আম্মু খুব ভাল করেই জানে,,
–
ভাবিরাঃরোদ বাগানে চলো, তোমাকে আমরা আবার হলুদ দিয়ে, গোসল করিয়ে দিবো।(সবাই একসাথে রোদের রুমে গিয়ে,রোদকে ঘিরে,)
–
অন্য ভাবিঃনা শুনবো না কিন্ত, এটা একটা রুলস্।তোমাকে যেতেই হবে।
–
রোদঃwhat!?????আমি একা সাওয়ার নিতে পারি না নাকি যে তোমদের সাহায্য লাগবে,ভাবি কিছু মনে করো না এসব লেইম রুলস গুলো সত্যি আমি অপছন্দ করি।আর আম্মু এসব আমি একদম মেনে নিবো না,এসব ন্যাকামি আমার পছন্দ না,তুমি সেটা তুমি ভাল করেই জানো সো আমার মাথা গরম করিও না,আমি কিন্ত একবার রেগে গেলে আজকে বিয়ের দফা রফা করে ছাড়বো,বলে দিলাম,,,বিয়ে করছি মানে এই না যে,নিজের কাজ নিজে করতে পারবো না।,,অসহ্য
–
(ওহ জিও রোদ,,,একদম ঠিক করছে,কে যে এমন রুলস বের করছে কে জানে?,নিজের হাবিকে অন্য মেয়েরা হলুদ দিবে,গোসল করাবে এটা মানা যায় না,হুমমম ঠিক বলছেন খুব হিংসা হয়)
–
রোদকে কেউ আর কিছু না বলে সোজা ওর রুম থেকে বেরিয়ে গেলে, রোদকে রাগ সম্পর্কে ধারণা সবারই আছে এজন্য রোদকে আর ঘাটালো না।
রোদ নিজের সাওয়ার নিয়ে বের হলো আর ওর আম্মুর রেখে যাও শেরওয়ানি পড়ে নিল,সবাই রেডি হয়ে নিল।রোদ বাইরে যাওয়ার আগে আবার রোদকে দাঁড় করিয়ে, ওর মাকে সালাম করতে বললো,সবাই রোদকে পা ধরে সালাম করতে বললো বাট রোদ ওর আম্মুকে মুখে সালাম দিলো,আসসালামু আলাইকুম,,।এবার রোদকে বললো ওর মাকে বলতে,,,
–
ভাবিঃরোদ বলো,*** মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি**
–
রোদঃতোমরা আবার শুরু করলে, এসব ফালতু রুলস কোথায় থেকে শিখছো,আম্মু আর সহ্য করতে পাচ্ছি না।(চিৎকার করে দাঁতে দাত চেঁপে)
–
আম্মুঃএসব কিছু বলতে হবে না,এগুলো শুধু নিজেদের মনমত বানানো একটা নিয়ম।আর রোদ তুমি তোমার জীবন সঙ্গীকে আর আমার জন্য একটা মেয়ে নিয়ে এসো কেমন,,এখন যাও বেরিয়ে পড়ো,,।আর পাগড়ী পড়ে দেখাও তোমাকে বর বেসে কেমন লাগছে, আমি একটু দেখি,।
–
রোদকে আবির পাগড়ী পড়িয়ে দেয়, রোদের আম্মু রোদকে কপালে আদর দিয়ে দেয়,রোদও ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে।এমনিতেই রোদের মন ভাল নেই তারপর আবার ফালতু রুলস নিয়ে সব পড়ে আছে।এবার সবাই রওনা দেয়,,,,,
–
চলবে,,