তিনি_আমার_সৎমা পর্বঃ৪

0
290

#তিনি_আমার_সৎমা
পর্বঃ৪
মিথিলা নিভা

সারাঘরে পিনপতন নীরবতা। সবাই মুখ থমথমে করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। একটু আগে দাদী যা বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি ভুল শুনেছি। আমি হালকা হেসে পরিবেশটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম। দাদীর কাছে যেয়ে দাদীর হাতে হাত রেখে বললাম,”দাদী মজা করো না তো এখন। এখন কি মজা করার সময় বলো?”
দাদী ঘোলাটে দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন। আমি একটু কেঁপে উঠলাম সেই চোখের দিকে তাকিয়ে।
“মজা করার মতো অবস্থায় আমরা আর নেই রে বোন। তুই যা শুনেছিস ঠিক শুনেছিস। আফজাল, আমার ছেলে যাকে তুই বাবা বলে ডাকিস, সে তোর নিজের বাবা নয়। আমিও তোর নিজের দাদী নই।”
আমি চিৎকার করে দাদীকে ছেড়ে উঠে দাঁড়াই, আমার সৎমা আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলেন। দাদী এখনো নির্বিকার।
“শান্ত হও, নীরা শান্ত হও। তুমি এমনিতেই অসুস্থ। আর মা আপনাকেও বলি, এখনই এসব কথা জানানোর খুব দরকার ছিলো? ওর শরীরটা খারাপ, গায়ে জ্বর। এখন এতোকিছু কীভাবে সহ্য করবে ও?”
“ওকে শক্ত হতে হবে বৌমা। এতো নরম হওয়া ওর যাবে না। ওর মায়ের সাথে হওয়া সব অন্যায়ের বিচার করতে হবে ওকে।”
আমি কাঁপছি থরথর করে। কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,”তবে যে ছোট থেকে শুনে আসছি আমি আমার বাবার মতো রাগ পেয়েছি?”
“তুই ছোট থেকে আফজালকে দেখেছিস তোর মায়ের উপর এভাবে চণ্ডালের মতো রাগ দেখাতে, তোর সাথেও সে কম করেনি। সেখান থেকে দেখতে দেখতে তোর মধ্যে ওই রাগ ঢুকে গেছে। কিন্তু তোর চেহারায় তোর বাবার কোনো ছাপ আছে?”
আমি একটু থমকে গেলাম। আসলেই তাই। সবাই বলতো আমি আমার মায়ের মতো দেখতে হয়েছি।
“তাহলে আমার আসল বাবা কে দাদী?”
“তোর আসল বাবা তুই জন্মের পরপরই মা*রা গিয়েছিলেন। তার ছিলো কোটি টাকার সম্পত্তি আর নিজের বিশাল ব্যবসা। যার একমাত্র উত্তরাধিকারী ছিলি তুই। তোর বাবা চলে যাওয়ার পর তোর মা ছোট্ট তোকে নিয়ে অকূল পাথারে পড়ে। যদিও অঢেল টাকাপয়সা তার ছিলো, কিন্তু সেসব দেখার কেউ ছিলো না। একে তো এতো টাকাপয়সা অন্যদিকে ছিলো তার রূপ। যার ফলে অনেক মানুষের নজর পড়ে তোর মায়ের দিকে। তারমধ্যে একজন ছিলো তোর নিজের বাবার বন্ধু হাশেম, হ্যা এই অসভ্য হাশেম।”
আমি হতভম্ব হয়ে সব শুনছি। মনে হচ্ছে কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি আমি। ঘুম ভাঙলেই স্বপ্নটাও ভেঙ্গে যাবে। টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়তে থাকে আমার চোখ দিয়ে।
“সেই সময় তোর বাবার অফিসে চাকরি করতো আফজাল, যাকে তুই কিনা এখন নিজের বাবা হিসেবে জানিস। তোর মায়ের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠতে থাকে সে দিনদিন। তোর মা ও ওকে বিশ্বাস করতে শুরু করে অন্ধের মতো। আসলে ওই অবস্থায় তার আর কিছু করারও ছিলো না। এরমধ্যে একদিন আফজাল তোর মা কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, সাথে তোর দায়িত্বও নিতে চায়।”
আমি কথা বলতেও যেনো ভুলে গিয়েছি। আমার কথা আটকে আছে মুখে। আস্তে করে তাকিয়ে নতুন ভদ্রমহিলার দিকে তাকালাম। কি নাম দিবো আমি উনার? আফজাল সাহেব নিজেই তো আমার বাবা নয়, তার স্ত্রী আমার মা কীভাবে হবে?
“তোর মা অনেক ভেবে রাজি হয়ে যায় আফজালের কথায়। ঘরোয়া পরিবেশে ছোটখাটো করে বিয়ে হয়ে যায় ওদের। আমি তোর মা কে দেখে ভেবেছিলাম আমার ঘরে একফালি চাঁদ এসে ঢুকেছে। সেই সাথে তোকেও আমি নিজের করে নিয়েছিলাম। তোর মা কে আমি সেদিন কথা দিয়েছিলাম, নীরা কোনোদিন জানতে পারবে না সে আমাদের কেউ না। আফসোস তাকে দেওয়া কথা আমি আজ রাখতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করে দিও গো মা রাত্রি, ক্ষমা করে দিও।”
দাদী শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছলেন। আমি অনড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমার জায়গায়।
“এরপর আফজাল তোকে দত্তক নেয়, তোর সব দায়দায়িত্ব নিজের করে নেয়। সবকিছু ভালোই চলছিলো। তোকেও আফজাল নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতো। সবকিছু সুন্দর ভাবেই কাটছিলো। হঠাৎ একটা ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গেলো।”
“কি ঝড় দাদী?”
“আফজাল হঠাৎ করে কিছু খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে যায়। জু*য়া খেলতে শুরু করে। আরো অনেকরকম খারাপ কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। এরই মধ্যে কৌশল করে সে তোর বাবার সব সম্পত্তি আস্তে আস্তে নিজের নামে করে নিতে থাকে তোর মায়ের কাছ থেকে। তোর মা ছিলো বোকা, সে আফজালকে অন্ধবিশ্বাস করতে থাকে। তাই অন্যকিছু বুঝতে পারে না। কিন্তু আমি তো মা। আমি বুঝতে পারি আমার ছেলের কথা। আমি বৌমাকে বারণ করি এভাবে নীরার নামের সম্পত্তি ওকে না দিতে। আর যা হলো আমার কাল। আফজাল খারাপ সঙ্গে পড়ে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো টাকার জন্য। আমি এভাবে সাবধান করায় আমার উপর রেগে যায়। এমনকি সে আমার গায়ে পর্যন্ত হাত তোলে। আমাকে বলে আমি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করি, আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। এই বয়সে আমি কোথায় যাবো? সেই থেকে আমি আফজালকে এমন ভয় করি।”
“কিন্তু বাবার সাথে হাশেম আঙ্কেলের পরিচয় কীভাবে হয় দাদী?”
“হাশেমই তোর বাবাকে খুঁজে নেয়। আমি নিষেধ করার পর থেকে তোর মা আফজালকে কোনো রকম টাকা দিতে অস্বীকার করে। টাকার জন্য যখন আফজাল দিশেহারা, তখন হাশেম তার কাছে আসে।”
“তারপর?”
“আফজালের তখন প্রচুর দেনাদার। ওদিকে জু*য়ার নেশা,ম*দের নেশা। পাগলের মতো অবস্থা তখন তার। এরমধ্যে হাশেম খুঁজে নেয় আফজালকে। সে তখন সবচেয়ে কুরুচিপূর্ণ একটা প্রস্তাব দেয় আফজালকে। আর আফজালও টাকার জন্য সেই প্রস্তাব মেনে নেয়, নিতে বাধ্য হয়।”
আমার কণ্ঠ থেকে কোনো স্বর বের হতে চাচ্ছে না। কোনোরকমে বললাম,”কি ছিলো সেই প্রস্তাব দাদী?”
“সেসব আমি তোকে বলতে পারবো না। শুধু শুনে রাখ দিনের পর দিন তোর বাবাকে টাকার লোভ দেখিয়ে তোর মায়ের সাথে অসভ্যতা করেছে ওই জানো*য়ার হাশেম। আর আমার কুলাঙ্গার ছেলেটা সেসব উপভোগ করেছে। আমি কোনোদিন মুখ খুলতে পারিনি। আমি মুখ খুললেই আমার উপর চলতো আফজালের অমানুষিক অত্যাচার।”
দাদীর কোনো কথাই যেনো কানে যাচ্ছে না আমার। পুরো পৃথিবীটা যেনো টলছে আমার সামনে। যে কোনো মুহূর্তে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বো আমি। আফজাল নামক লোকটার উপর ঘৃণায় বারবার অস্থির হয়ে উঠছি আমি। ইচ্ছা করছে এখনই পিশাচটাকে….
“কিন্তু দাদী, মা কেনো আইনের আশ্রয় নিলো না? অর্থবল থাকতেও কেনো সে দিনের পর দিন এই শাস্তি মেনে নিলো?”
“কে বলেছে সে আইনের আশ্রয় নেয়নি? সে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিলো আফজালকে। কিন্তু হাশেম অত্যন্ত ধুরন্ধর একটা কীট। ও আফজালকে ছাড়িয়ে এনেছে কৌশল করে। তারপরই আফজাল তোর মায়ের সামনে তোকে দিতো বিভিন্ন ধরণের শাস্তি। তোর মা আর যাই হোক, তোর কষ্ট সহ্য করতে পারতো না। অনেকবার আফজালকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছে সে। কিন্তু এই আফজাল আর হাশেম মিলে ছকটা এমনভাবে সাজিয়েছিলো, তারা সবসময় তোর মা কে হাতের পুতুল করে রেখেছিলো। পরে রনি হলো। তোর মায়ের পায়ে পড়ানো হলো আরো একপ্রস্থ শেকল। তোর মায়ের বাপের বাড়ির দিকেরও এমন কেউ ছিলো না যে তাকে বাঁচাতে পারে। এক বুড়ি আমি, তোর মা শুধু ছুটে ছুটে আমার কাছে আসতো। মা আমাকে এই নরক থেকে আপনি বাঁচান। এই সম্পত্তির কিচ্ছু চাইনা আমি। শুধু আমার ছেলেমেয়েকে নিয়ে এখান থেকে চলে যেতে চাই আমি। আপনি ব্যবস্থা করে দিন। কারণ সে সময়ে তোর মা কে একরকম বন্দী করেই রাখা হতো এই চার দেওয়ালের মধ্যে। বাইরের কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হতো না তাকে। শেষের দিকে তোর মা মানসিক রোগীর মতো হয়ে গিয়েছিলো তোর মনে আছে বোধহয়। একরাতে সে আমার কাছে এসে বললো,” মা আপনি তো কিছুই করতে পারলেন না আমার জন্য। তাই নিজেই আমি নিজেকে এই নরক থেকে উদ্ধার করবো। আমার ছেলেমেয়েগুলোকে আপনার কাছে রেখে যাচ্ছি আমি। আপনি ওদের দেখবেন।” আমি সেদিন ভেবেছিলাম হয়তো ও এমন কোনো একটা প্লান করেছে এই বাড়ি থেকে মুক্তি পাওয়ার। আমি খুশি হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কে জানতো, সে এভাবে তার মুক্তি খুঁজে নেবে?”
এটুকু বলে দাদী থামলো এরপর হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আরো যেনো কি কি বলতে লাগলো। আমার কানে গেলো না কিচ্ছু সেসব। আমার সামনে দুনিয়াটা ঘুরতে অদ্ভুতভাবে। আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না। দেওয়াল চেপে নিজেকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। হঠাৎ আমাকে ওই অবস্থায় দেখে উনি ছুটে আসলেন আমাকে ধরতে। কিন্তু তার আগেই আমি মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। জ্ঞান হারানো আগে আধবোজা চোখে আমি দেখলাম আমার মায়ের মতো কেউ আমাকে কোলে তুলে নিলো, আহা রে, কেনো জানি উনার গায়ের গন্ধটাও আমার বড্ড পরিচিত মনে হলো, আচ্ছা তবে কি এই গন্ধ আমার মায়ের? আর কিছুই মনে নেই আমার।

কতক্ষণ পর আমার জ্ঞান ফেরে আমি জানিনা। জ্ঞান ফিরতেই আমি নিজেকে আমার খাটে দেখলাম। আমার মাথার কাছে বসে আছেন আমার নতুন মা।
নতুন মা কথাটা ভাবতেই আমি নিজের মধ্যে একটু শক খাই। আমি উনাকে মা বললাম? ভাগ্যিস মনে মনে বলেছি, নাহলে উনি তো শুনে ফেলতেন। কি একটা লজ্জা হতো। উনি আমার মা কীভাবে হবেন? উনি এই আফজাল নামক পাষণ্ডটার স্ত্রী। আর ওই লোকের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এই পৃথিবীতে কেউ নেই আমার আপন। আমি একা, এই পৃথিবীতে আমি একা। এই ভদ্রমহিলা আমার কিছু হয়না, দাদীও আমার কিছু হয়না। রনি যদিও আমার ভাই, কিন্তু সে এই আফজালের ছেলে। আমি হঠাৎ ডুকরে কেঁদে উঠলাম শুয়ে শুয়েই। মাথার কাছে চিন্তিত মুখে বসে ছিলেন উনি। আমার কান্নার আওয়াজ শুনেই ধড়ফর করে উঠে বসলেন। আমার মাথাটা বুকে চেপে বললেন,”আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া। মা, ও মা নীরার জ্ঞান ফিরে এসেছে। একটা ডাক্তারও ওর বাবা ডাকতে দিলো না। আমি তো চিন্তায় অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। আর একটু হলে আমি নিজেই ওকে কোলে তুলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতাম। দেখতাম কে আটকায় আমাকে। বের করে দিলে দিতো আমাকে এই বাড়ি থেকে। তবুও আমার মেয়ের সুস্থতার সাথে কোনো আপোষ নেই।”
আমি অবাক চোখে দেখলাম উনার দিকে। কি বললেন উনি? উনার মেয়ে? আমার কেনো উনাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছা করছে এখন? যেভাবে মাকে জড়িয়ে কাঁদতাম?
দাদী ছুটে আসলেন। আমাকে দেখে বললেন,”আলহামদুলিল্লাহ। ও বোন, আমার সোনা বোন। এখন কেমন লাগে বোন? ও বৌমা, ওর মাথায় হাত দিয়ে দেখো ওর জ্বর কেমন এখন। মেয়ের জ্ঞান ফেরার খুশিতে তো ফরফর করে কথা বলেই যাচ্ছো। আগে দেখো ওর জ্বর কেমন।”
“জ্বর নেই মা। দেখেছি আমি। কিন্তু ওকে দেখে মনে হচ্ছে ওর শরীর খুব দূর্বল। দেখেন না কীভাবে তাকিয়ে আছে। ওকে এখনই কিছু খেতে দিতে হবে।”
আচ্ছা মা ছাড়া কি কখনো কেউ এতোটা বুঝতে পারে? সত্যিই খিদায় আমার প্রাণ ছটফট করছে। আমি উনাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম। মনের মধ্যে বললেও আবার লজ্জা পেয়ে গেলাম।
“আপনি ওর কাছে বসেন মা। আমি ওর জন্য খাবার নিয়ে আসি।”
উনি ছুটে উঠে যাচ্ছিলেন। আমি পিছন থেকে হঠাৎ করে উনার শাড়ির আঁচলটা টেনে ধরলাম।
উনি হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকালেন পেছন ঘুরে। দাদীও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আবার আমার পাশে পড়লেন উনি। মিষ্টি করে হেসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,”কিছু বলবে নীরা?”
আমার শক্তি নেই কোনো কথা বলার। আস্তে আস্তে ফিসফিস করে বললাম,”আপনাকে কি আমি আন্টি বলে ডাকতে পারি?”
আমি চেয়েছিলাম আমি বলবো আপনাকে মা বলে ডাকতে চাই আমি। কিন্তু ভিতর থেকে কিছু একটা বাঁধা পেলাম বলতে।
আবারও সুন্দর করে হাসলেন উনি। আমি একটু লজ্জা পেলাম আবার।
“আন্টি কেনো? মা বলে ডেকো?”
“আপনি তো আমার মা নন। এই বাড়ির কেউ আমার কিছু হয়না। এই বাড়িতে আমি একটা আগন্তুক ছাড়া আর কিছুই না।”
“নীরা।” দাদীর চিৎকার শুনে তার দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে হাসার চেষ্টা করলাম আমি।
“দাদী ভুল কিছু বলেছি?”
দাদী কোনো কথা না বলে মুখ শক্ত করে অন্যদিকে ফিরলেন। আমি জানি এখন উনি বসে বসে কাঁদবেন। সারাজীবন শুধু কাঁদতেই দেখলাম মানুষটাকে।
“বেশ, তুমি আমাকে আন্টি বলেই ডেকো। যেদিন জানতে পারবে আমি তোমার কে, সেদিনই নাহয় ডেকো আমাকে মা বলে, যদি তুমি চাও।”
“কে আপনি?”
“কেনো তোমার সৎমা, ওহ দুঃখিত, তোমার রুনা আন্টি।”
এই বলে অদ্ভুত করে হাসতে লাগলেন উনি। হাসিটা এতো পরিচিত লাগছে কেনো আমার?

(চলবে….)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here