Addicted_love Part:12

0
1053

#Addicted_love
Part:12
Writer: Aarizona Ella
অনেক ভিজার কারনে প্রচন্ড জ্বর উঠেছে।
ফোন টাও অফ করে রেখেছি।ওইদিন এর কথা গুলো কোনভাবেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না।
উনার কথা গুলো কানে বাজছে।আর উনার কথা যতক্ষণ মনে পড়ে ততক্ষণ মনের মধ্যে ধুক ধুক শব্দ টা অনবরত করতে থাকে।উনার কথা ভাবতে ভালো লাগে আবার কোন এক অজানা ভয় কাজ করে।
দুই দিন খুব জ্বরে ভুগছি।দুপুরে খাওয়ার পর শুতেই চোখ লেগে এলো।
কেও দরজায় নক করছে।।
আসসালামু আলাইকুম।(,,,,,,,,,)
আরে তুমি বাসায় আসো।(মা)অবাক হয়ে।
কেমন আছেন আন্টি??(ইশফাক)ঘরে প্রবেশ করতে করতে)
আছি বাবা ভালো। তোমার কি অবস্থা?হঠাৎ কিভাবে আসা হলো?(দরজা বাধতে বাধতে বলল)মা।
আসলে আন্টি এলার ফোন আজকে দুইদিন যাবৎ অফ তাই ভাবলাম একটু দেখে যাই।(ইশফাক)।
ওহ আচ্ছা।আজকে দু দিন ধরে ওর খুব জ্বর তাই ও ঘুমুচ্ছে।তুমি বসো আমি ও কে ডেকে দিচ্ছি।(মা)
আরে আন্টি না থাক ও ঘুমাক ওকে ডাকবেন না প্লিজ।আপনি আছেন তা আমার জন্য এনাফ!(ইশফাক)মুচকি হেসে।
আচ্ছা বাবা।তুমি একটু বসো আমি আসছি।(মা)
ঠিক আছে আন্টি।😊(ইশফাক)
বসা থেকে উঠে ঘরের ভিতর পয়রাচারী করছে(ইশফাক)
হঠাৎ বাম পাশের রুমের দরজাটার দিকে চোখ গেলো।
দরজায় একটি পুতুল ঝুলানো।সামনে এগুতেই দেখে দরজা আধখোলা।তার ফাকে এলা কে দেখা যাচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায়।
ঠিক প্রথম দিনের মতো এলা ইশফাক কে টানছে।এই মুহুর্তে কেমন জানি ইশফাকের এলার প্রতি মৌহ কাজ করছে।
ইশফাক এলার দিকে তাকিয়ে আছে ঠিক কিন্তু তার চাহনিতে মায়া না হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে।
এলার মা কে ট্রে হাতে নিয়ে আসতে দেখে ইশফাক তকবগিয়ে আবার সোফায় গিয়ে বসলো।
আহা আন্টি সবসময় এমন করেন কেন?(ইশফাক)
তুমি কি আমাদের বাসায় প্রতিদিন আসো নাকি(ভ্রু কুচকে বললো) মা।
বুঝলাম আন্টি।(ইশফাক)
নাও বাবা।(কাপ এগিয়ে দিয়ে)মা।
তো আন্টি এলা কে ডাক্তার দেখান্নি?(ইশফাক)
হুম বাবা দেখিয়েছি।বৃষ্টিতে ভেজার কারনে একটু ঠান্ডা লেগেছে আর তেমন কিছু না।(মা)
আমার কারনে হয়েছে।খুব খারাপ লাগছে আমার।(মন খারাপ করে)ইশফাক।
আরে ধুর বাবা কি বলো এগুলো। তুমিও তো ভিজেছিলে।যা হওয়ার হয়ে গেছে নিজেকে এভাবে অপরাধী মনে করো না।তুমি বললে ওকে ডেকে দিতে পারি।(মা)
না না আন্টি ও ঘুমাক।এম্নিতে অনেক অসুস্থ ও।ওর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে চাচ্ছি না।(ইশফাক)
আচ্ছা তাহলে।(মা)
কেউ একজন দরজার কড়া নাড়ছে।
তুমি বসো বাবা আমি দেখছি কে!(মা)
একটা বাজারের থলে হাতে নিয়ে ইশফাক এর সামনে আসতে আসতে বল্লো
বাজার থেকে কিছু জিনিস আনিয়েছিলাম।পরশু মেয়েটার জন্মদিন। তুমি বসো আমি এগুলো রেখে আসছি।
মাথা ঝাকিয়ে(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।
আচ্ছা আন্টি আমি আসি অনেক দেরি হয়ে গেছে।(ইশফাক)
আবার কখন আসবে বাবা?(মা)
এখন তো প্রতিদিন ই আসছি।।।😂(অট্ট হাসি দিয়ে)ইশফাক।
পাগল ছেলে।(মাথায় হাত বুলিয়ে)।
আচ্ছা যাই।এলা উঠলে বলবেন ফোন অন করতে!(ইশফাক)
ঠিক আছে বাবা।(মা)
উফফফফ মাথা টা খুব ধরে আছে।মনে হয় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।আহহহ,,,
উঠে বস্লাম।।অনেক ক্লান্ত লাগছে।
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।রুম থেকে বেরিয়ে দেখি মা নামাজ পরছে।
পাশে গিয়ে বসলাম মায়ের।
নামাজ শেষে মা বললো
উঠেছিস?শরীর এখন কেমন লাগছে?(মা)
হুম মা এখন ভালো মোটামোটি শুধু একটু দুর্বল লাগছে।।।।
নাস্তা করে নে।(মা)
হুম।।
ড্রয়িং রুমে গিয়ে টেবিলে ট্রে দেখতে পালাম।
মা!!কেও এসেছিলো নাকি?
হুম।ইশফাক এসেছিলো। (মা)
উনার নাম শুনে বুক তা ধুক করে উঠলো।
ক,,, ক,কক, কেন?😰
তোর ফোন নাকি অফ তাই তোকে দেখতে এসেছিলো (মা)
মা এর কথা শুনে খাবার গলাই আটকে গেছে।😨😨
তো আমাকে ডাকলে না যে?😒
সে মানা করেছিল আর তুই বেঘোরে ঘুমুচ্ছিলি তাই আর ডাকলাম না।(ইশফাক)
হুম বুঝলাম।ইশফাক এর মৌসুম চলছে আজকাল।(খোচা মেরে বললাম কথা টা মাকে)
মা আড়চোখে তাকিয়ে আর কিছু বল্লো না।
পরেরদিন দুপুরে খেয়ে দেয়ে মারিয়ার সাথে বাইরে গেলাম মাইন্ড রিফ্রেশ করতে।
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১০ বেজে গেছে।
ফিরে মায়ের সাথে কিছুক্ষন কথা বললাম।
তারপর রুমে গিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম।
১১:৫৯ মিনিটে ফোন এ কল আসতে দেখে চমকে গেছি।এখিন আবার কে কল দিবে।।।
উনি আমাকে এই সময়ে কল দিবে কেন?উনার কিছু কাজ কারবার মাঝে মাঝে অনেক অবাক করে দেয়।
,,,,,,,,
হ্যালো,,,,,,,,
hey beauty!!শরীর এখন কেমন?জ্বর কমেছে?(ইশফাক)
হুম কমেছে!(মুখ বেকে)
একটু ছাদে আসতে হবে আপনার।(ইশফাক)
পাগল হয়ে গেছেন?এতো রাতে ছাদে কেন যাবো হা?(চেচিয়ে)
আসবেন নাকি আমিই আপনার ঘরে ঢুকে পড়বো?
নাাা।আপনি এমন ঘাড়ত্যারামি করেন কেন সবসময়?(বিরিক্তি নিয়ে)
তারাতারি এসো।আমি দাঁড়িয়ে আছি।৫ মিনিটের বেশি যেনো লেইট না হয়।(ইশফাক)
ক ক কিন্তু কে,,,,,???
টুট টুট টুট।।।
উফফ লোক টা পাগল বানিয়ে দিচ্ছে আমাকে।অনেক রাগ উঠছে আমার।
গায়ে ওড়না পেচিয়ে আস্তে আস্তে দরজা খুলে বের হলাম।
ছাদে গিয়ে আমি থ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
যা দেখছি তা দেখে আমার চোখ কপালে।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here