Addicted_love Part:44

0
997

#Addicted_love
Part:44
Aarizona Ella
আপনি কেন আমার সাথে এমন করেছেন?কেন আমার লাইফ নিয়ে খেলেছেন,,এমন কি শত্রুতা ছিলো আপনার আমার সাথে যে আপনি আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস,আবেগ কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন,,,আজকে কেন আমি অন্ধকারে হারিয়ে গেছি,,,, নিজের অস্তিত্বের মাঝে নিজেই মিশে গেছি?কেন আজ আমি এই অস্তিত্ববিহীন নগরী তে একলা বেড়িয়ে চলছি?????
চোখ থেকে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়ছে এলার।।এলা আবারও মিশে যাচ্ছে সেই অধারের গহীনে,হারিয়ে যাচ্ছে সে।।।
ঘুম ভাংতেই আচমকা উঠে বসলো ইশফাক।।গোটা রুম যেন বিষন্নতায় হা হা করছে।।।গা কাঁপছে ইশফাকের,ঘেমে চৌচির ইশফাক,,যেনো এইমাত্র গোসল সেড়েছে,,বুকের ধুক ধুক শব্দ টা ক্রমশ বেড়েই চলেছে,, নিজের অজান্তেই চোখ থেকে অশ্রুর ধারা অব্যাহত হচ্ছে ইশফাকের।।।ইশফাক ফুপাচ্ছে।।।।চোখ জোড়া লাল রুপ ধারন করছে।।।।
উঠেই একগ্লাস পানি গিলে নিল ইশফাক।।।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসেছে ঘর থেকে।।।
এভাবেই বিষন্নতায় দিন কাটছে ইশফাকের।।মাস এক পাড় হলো।।।
যতই দিন যাচ্ছে ইশফাকের মাতলামো বেড়েই চলছে।।যে দিক তাকাচ্ছে ওদিকে শুধু এলাই নজরে পরছে ইশফাকের।।
সকাল সকাল ঘুম ভাংলো ইশফাকের,,,,শাড়ি পড়ুয়া কেউ একজন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুচ্ছে।।।তাকে দেখতেই ইশফাক উঠে বসলো।।।
কে?(ইশফাক)
মহিলাটি ফিরে তাকালো ইশফাকের দিকে।।।
মহিলার চেহারা দেখে ইশফাকের ঠোঁটে বিশ্ব জয় করা হাসি ফুটে উঠেছে।।।
এলা তুমি? কখন এসেছো?জানো তুমি এখান থেকে যাওয়ার পর এমন কোন মুহূর্ত বাদ যায় নি যেখানে আমার তোমাকে মনে পড়েনি।।তুমি এসেছো আমার খুব শান্তি লাগছে,,কেন আমি জানি না।।এখন আমি যেই শান্তি টা ভোগ করছি আজকে ৪ মাসের মধ্যে একটি বারের জন্য ও আমি সেই শান্তি পাই নি।তুমি আমার পাশে ছিলে না কিন্ত এরপর ও আমি তোমাকে বার বার আমার মাঝেই অনুভব করেছি।।।(ইশফাক)
পাশের টেবিল এ কফির মগ রাখা দেখে ইশফাক মুচকি হাসলো,,,,
আমি জানতাম তুমি আমার কফিদাতা,,,,বিগত চার মাস তোমার হাতের বানানো কফি কে খুব মিস করেছি৷,,, কেউ তোমার মতো কফি বানিয়ে দেই না আমাকে।তাই দিন টা আমার ওয়াইন দিয়েই শুরু হতো শেষ রাত পর্যন্ত।।।(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কি হলো এলা তুমি কিছু বলছো না কেন?খুব রেগে আছো আমার সাথে তাই না?আমি সব ঠিক করে দিবো।।।
বলেই ইশফাক আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।।।হাত বাড়ালো এলার গালের দিকে,,,পরম আদরে ছুয়ে দিতে যাচ্ছে ইশফাক এলাকে।।।
ছুতেই উধাও এলা।।।।
এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।
চিৎকার করছে ইশফাক,,আমার এগুলো একদম পছন্দ না কোথায় লুকিয়ে আছো ফিরে আসো।।।।এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।।।।।খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু,,,,কোথায় তুমি??এক্ষুনি আমার সামনে এসে দাঁড়াবে,,,,(ইশফাক)
ইশফাক পাগলের মতো এদিক ওদিক খুজছে এলাকে।।।কখনো ওয়াস্রুম তো কখনো বেল্কুনি তে।
বাইরে থেকে নুপুরের আওয়াজ আসছে দরজার দিকে তাকাতেই কেউ একজন দৌড়ে চলে গেলো।
এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,তুমি এভাবে পালাচ্ছো কেন?আমাকে এভাবে কষ্ট দেয়ার পরিনাম কিন্তু ঠিক হবে না বলে দিচ্ছি,,চিৎকার করে বলছে ইশফাক….পিছে পিছে ইশফাকও দৌড় দিয়ে নিচে নেমে গেলো,,, পুরা ঘর তন্ন তন্ন করে খুজছে ইশফাক এলাকে।।।
চিৎকার করে করে ডাকছে এলাকে।আর জিনিসপত্র ভাংচুর করছে সে।বাড়ির সার্ভেন্ট রা সবাই অবাক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে ইশফাকের দিকে।
সবাই হতড়ম্ব হয়ে গেছে ইশফাকের অবস্থা দেখে। কিন্তু কেউ সাহস পাচ্ছে না কিছু বলার।
বাইরে মশুল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে।বাইরে থেকে কারও হাসির আওয়াজ আসছে,,,,
ইশফাক দৌড়ে দরজার দিকে এগুলো ,,, এলা তুমি ভিজছো কেন?ভিতরে আসো বলছি,,,?এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া শুনতে পাচ্ছো না,,ঠান্ডা লাগলে কিন্তু আমি তোমাকে দেখো কি করি।গতবার থাপ্পর মেরেছিলাম এবার হাতপা বেধে রাখবো যেনো ঘর থেকে এক্কেবারে বেরুতে না পারো।
চিতকার করছে ইশফাক।আর রাগে ফুসছে সে।
তুমি আবার কোথায় যাচ্ছো?কোন কথা বলছো না কেন?এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,খবরদার গেইটের বাইরে যদি এক কদম ও বাড়াও,,ভালো ভালোই বলছি বাসায় এসো।(ইশফাক)
ইশফাক ঘর থেকে বেরিয়ে ভিজতে লাগলো।। আর পাগলের মতো চিৎকার করতে লাগলো।
স্যার আপনি কি করছেন বাসায় আসেন?(আন্টি)ঘর থেকে বেরিয়ে।
আন্টি এলাকে বলেন বাসায় ঢুকতে,,(ইশফাক)
স্যার আপনার মাথা ঠিক নেই আপনি বাসায় চলুন প্লিজ।(আন্টি)
আমি এলাকে না নিয়ে ঢুকবো না বাসায়(ইশফাক)
পাগলের মতো চেচিয়ে চেচিয়ে বলছে ইশফাক।।।
এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।বলেই গেইট এর দিকে এগুলো ইশফাক।।
আন্টি ইশফাক কে থামিয়ে দিলেন।
কি? করছেন টা কি আপনি?পাগল হয়ে গেছেন?এখানে নেই এলা,,চলে গেছে সে,,আর আসবে না কখনো,,,, আপনি বাধ্য করেছেন তাকে এখান থেকে যেতে,,,নেই এখানে এলা আর না কখনো থাকবে।(আন্টি)ইশফাকের হাতের বাহু ধরে হাল্কা ঝাকিয়ে বল্লো।
ইশফাক নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে,,, থমকে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে,,।।তাকিয়ে আছে বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়া ঘাসের উপর।।
আমার এলা কে ফিরে আসতে বলেন আন্টি,, ও কে বলেন ফিরে আসতে।।।।।এলায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।হাটু গেড়ে বসে সম্পুর্ন শক্তি দিয়ে চিৎকার করে ডাকছে ইশফাক এলাকে।
ইশফাকের আর্তনাদ বৃষ্টির ঝড়ন্ত প্রত্যেকটা ফোটার সাথে মিশে যাচ্ছে।
চলবে।
সবার অনুরোধে গল্প দেয়াটা কর্তব্য মনে করেছি,না খেয়ে গল্প টা লিখেছি এতক্ষন।সবার কাছে আমার একটা অনুরোধ অবস্থা বুঝার চেষ্টা করবেন।চারিদিক বিবেক বিবেচনা করে আমার এগুতে হবে,,আর তার জন্য ই আমি আবার লিখতে বসেছি,অনেকে গল্প পাওয়ার আশায় বসে আছেন,,আর তাদের জন্যই লিখেছি যারা আমার সিদ্ধান্ত কে সম্মান করেছেন।ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here