Addicted_love Part:46

0
1044

#Addicted_love
Part:46
Aarizona Ella
যত দিন যাচ্ছে ততই ইশফাকের অবস্থা অসহায়ত্বে পরিনত হচ্ছে, মদ খেয়ে কখনো রাস্তায় তো কখনো কোন মজলিশে লুটিয়ে পরছে।
ইশফাকের এই অবস্থা আন্টির আর সহ্য হচ্ছে না।
সকাল সকাল নাস্তা নিয়ে আন্টি ইশফাকের রুমের দিকে এগুলেন।
ইশফাক ভিতরে ড্রিংকস্ করছে আর এলার লকেটটি হাতে নিয়ে বার বার দেখছে।
স্যার আসবো?(আন্টি)
হুম(ইশফাক)দরজার দিকে তাকিয়ে।
ইশফাকের দিকে তাকিয়ে আছে আন্টি।।কিছু বলতে চাচ্ছেন কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছেন না।।
কিছু বলবেন?(ইশফাক)আন্টির দিকে তাকিয়ে।
ন।।না,মানে হ্যাঁ।।(আন্টি)আমতা আমতা করে।
বলুন।(ইশফাক)
নাস্তা টা আগে সেড়ে নিয়েন স্যার।(আন্টি)
হুম।আর কিছু বলবেন?(ইশফাক)
না।(আন্টি)রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেন…
আন্টি??(ইশফাক)পিছন থেকে ডাক দিয়ে।
জ্বী?(আন্টি)ফিরে তাকিয়ে।
আমি কাল বি.ডি তে ল্যান্ড করছি।(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আন্টি ইশফাকের দিকে।
এলাকে ফিরিয়ে আনতে হবে,ওকে ছাড়া বেচে থাকা টা অসম্ভব হয়ে যচ্ছে আন্টি।।(ইশফাক)ছল ছল চোখে তাকিয়ে।।
দুয়া করি যেনো আপনি তাকে ফিরে পান।(আন্টি)মুচকি হেসে।
৩ দিন পর
বাংলাদেশ এ ল্যান্ড করা মাত্র ইশফাক এলার মায়ের বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো।।।ভেবেছে হয়তো এলা মায়ের কাছেই আছে।
এলার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ইশফাক দরজা নক করছে।কিছুক্ষন পর একজন ভদ্রমহিলা দরজা খুললেন।
জ্বী কাকে চাচ্ছেন?(ভদ্র মহিলা)
জ্বী আমি ইশফাক চৌধুরী মিসেস রুশা হক (এলার মা) এর জামাতা, উনারা কোথায়?
আসলে মিসেস রুশা হক তো এখানে থাকেন না,ঘর ভাড়ায় দিয়েছেন,।(ভদ্রমহিলা)
উনারা কোথায় গিয়েছেন কিছু জানেন এই ব্যাপারে?(ইশফাক)
কোন জায়গায় গিয়েছেন এটা জানি না তবে যতটুকু জানি মেয়ের বিয়ের পর মিসেস রুশা হক কে উনার ভাই এর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেখাশোনার কেউ ছিলো না তাই।(ভদ্রমহিলা)
কতদিন হয়েছে এখান থেকে গিয়েছেন?(ইশফাক)
হবে ৪ মাস মতো। আমরা বিগত চার মাস ধরে থাকছি এখানে।(ভদ্রমহিলা)
কোন জায়গায় আছেন এই ব্যাপারে কিছু জানেন?(ইশফাক)
না বাবা এই ব্যাপারে কিছু জানি না আমি,মিসেস রুশা হক এর ভাই প্রতি মাসে এসে ভাড়া আদায় করেন।(ভদ্রমহিলা)
আচ্ছা,,ধন্যবাদ আপনাকে।।(ইশফাক)
বলেই ইশফাক পাগলের মতো দৌড়ে গাড়িতে গিয়ে বসলো।
পাগল এর মতো গাড়ি চালাচ্ছে ইশফাক আর এক হাতে নিজের চুল নিজেই ছিড়ছে,এক্সিডেন্ট হবে তার দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ইশফাকের।
পাগলের মতো এদিক ওদিক ঘুরছে ইশফাক আর এভাবেই কেটে গেলো দুইদিন।দাড়ি মুচ লম্বা হয়েছে ইশফাকের,,চুল উস্কোখুস্কো চেহারা শুকিয়ে গেছে একদম।
একজন সুদর্শন পুরুষের অবস্থা যে এমন ও হয় তা ইশফাক কে না দেখলে বুঝাই যেতো না।
এখনো কোন আহার গ্রহণ করে নি ইশফাক এমন না যে ইশফাক এখানে শুন্য,,কিন্তু সে এখন শুন্য থাকতেই বেশি ভালবাসছে।
বার থেকে একটা মদ এর বোতল কিনে হাটা ধরলো ইশফাক।
বারে বসে এতক্ষণ ড্রিংকস্ করছিলো ইশফাক।বার থেকে বেরিয়েও ড্রিংকস্ করা থামায় নি সে।
রাত প্রায় ১১ টা ইশফাক হাটছে আর মদ গিলছে।সম্পুর্ন মাতাল সে।চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।দুলছে ইশফাক।
হঠাৎ একটা গাড়ির সামনে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো সে।
একজন অজ্ঞান লোক কে সাথে করে বাসায় ঢুকছে আদিয়ান আর চেচামেচি করে ডাকছে বাড়ির সব সার্ভেন্টস্ দের।
গেষ্ট রুম টা রেডি আছে?(আদিয়ান)
জ্বী স্যার।(সার্ভেন্ট)
গেষ্ট রুমে শুইয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আদিয়ান।
মিস ইশা কোথায়? (আদিয়ান)একজন সার্ভেন্ট থেকে জিজ্ঞেস করছে।
উনার মাথা নাকি খুব ব্যাথা করছিলো তাই উনি উনার রুমে গুমুচ্ছেন।(সার্ভেন্ট)
বলেই আদিয়ান নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো।
সকালে ইশফাকের ঘুম ভাংতেই নিজেকে সে বিছানায় আবিস্কার করলো। আর তার পাশের চেয়ারেই বসে আছে আদিয়ান।
আদিয়ান কে দেখা মাত্রই বছানা ছেড়ে উঠে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ইশফাক।
আদিয়ান তুই?কই ছিলিস এতো দিন?কতো বছর পর দেখছি তোকে?(ইশফাক)
আদিয়ান ও ইশফাক কে পরম আবেগে জড়িয়ে ধরলো।
আগে এটা বল নিজের এই হাল করে রেখেছিস কেন?ইশফাক কে ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো আদিয়ান।
কি করছিলি মাঝ রাতে তাও এমন মাতাল অবস্থায়?ড্রিংকস্ করিস জানি তবে এতটা মাতাল হয়ে যে রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকবি তা কাল জানলাম।সবার কাছে তোর একটা সুনাম,সম্মান আছে শুধু বাংলাদেশে না এব্রড এ ও তোর অনেক পাওয়ার আছে,,ওয়ার্ল্ড এর সবচাইতে সমৃদ্ধশালি ব্যাবসায়ী দের তালিকায় তোর নাম ও আছে,কেন এসব করে নিজের সম্মান কমাচ্ছিস?
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো ইশফাক।
আচ্ছা যাই হোক,, আমেরিকা থেকে আবার এসেছিস কবে?(আদিয়ান)
এসেছি বিগত ছয় দিন আগে।তুই এসেছিস কবে?(ইশফাক)
আমি আজ এসেছি প্রায় ১১ মাস, তোকে খুজেছি অনেক,তোর বি ডি এর বাড়িতে পর্যন্ত গিয়ে খুজেছি তোকে,,তোর বাড়ির সার্ভেন্টস রা বলেছিলো তুই নাকি আবার আমেরিকা ব্যাক করেছিস।(আদিয়ান)
হুম ব্যাক করেছিলাম।আবার ফিরেছি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সম্পদ কে ফিরিয়ে নিতে।(ইশফাক)
আচ্ছা কি সে সম্পদ শুনি একটু(আদিয়ান)
ইশফাক কিছু বলতে যাবে এমন সময় দরজায় কেউ নক করলো।
স্যার নাস্তা রেডি।(সার্ভেন্ট)
আচ্ছা আপনি যান আসছি।(আদিয়ান)
,,,,,,,,,,,,,।
কি হাল করে রেখেছিস নিজের? যা ফ্রেশ হয়ে তারাতারি আয়,অপেক্ষা করছি।(আদিয়ান)
হুম।(ইশফাক)।
আজকে এতো স্পেশাল খাবার ব্যাপার কি?স্পেশাল কেউ এসেছে নাকি?নাস্তার টেবিলের সামনে যেতে যেতে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো এলা।
আমার বাল্যকালের কলিজার টুকরো কে আজ অনেক বছর পর খুজে পেয়েছি।আর এসব তার জন্য ই(আদিয়ান)মুচকি হেসে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,পিছনে ফিরে তাকিয়ে মুচকি হাসলো এলা।
আচ্ছা তো কোথায় আপনার কলিজার টুকরো?কখন এসেছে দেখা যাচ্ছে না যে?(এলা)
কাল রাতে এসেছে।ফ্রেশ হয়ে আসছে।(আদিয়ান)মুচকি হেসে।
তো নাম কি আপনার কলিজার টুকরোর?(এলা)
দ্যা বিজনেস আইকন ইশফাক চৌধুরী!!! আমার কলিজার টুকরো।।(আদিয়ান)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,😰😨😨এলার চোখ উল্টিয়ে যাওয়ার উপক্রম।কি বলবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না।মাথার উপর যেনো আকাশ ভেংগে পড়লো এলার।পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা যেন হারিয়ে ফেলেছে এলা।
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here