অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ,০২ পর্ব,০৩

0
546

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ,০২ পর্ব,০৩
তাসনিম তামান্না
০২

-‘ শ শা শান ভা ইয়া প্লিজ আ মাকে ছেড়ে দিয়েন না প্লিজ এখা… ন থেকে প পড়লে ম ম’রে যাবো প্লিজ ছাড়বেন না প্লিজ’

-‘ যা মরে যা তোকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ? তুই ম-র-লে-ই আমি এই বিয়ের হাত থেকে বাঁচবো ‘

জারা থমকে গেলো। শানের শক্ত করে ধরে রাখা হাতটা ছেড়ে দিলো। শান জারার হাত টান দিয়ে ছাদের নিরাপদ জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলল

-‘ আমাকে তোর খুব বিয়ে করার শখ না? আমি এই দেশে যে কইদিন আছি তোর জীবনটা আমি নড়ক বানিয়ে দিবো জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ‘

শান চলে গেলো। জারার চোখ ছাপিয়ে জল এলো। এতো কষ্ট কেনো তার জীবনে?

সূর্য অস্তমান রক্তিম অন্তরিকক্ষে পাখিদের নীড়ে ফেরার তাড়া বাতাসে রংবেরঙের ফুলের ঘ্রাণ। সেই বাতাস ছুয়ে যাচ্ছে জারার দেহ মন। ধীরে ধীরে সূর্য ডুবে গেলো নীলাভ অম্বরিতে পূর্ণ চন্দ্রীমা জারার মনে চট করে প্রশ্ন উদায় হলো আজ পূর্ণিমা? তখনি শান কোথা থেকে এসে জারাকে ছাদে বাইরের দিকে ঝুঁকে দাঁড় করালো। জারা প্রথমে ভয় পেয়ে বাঁচার আকুতি করলেও শানের কথায় জারার কোথায় যেন লাগলো। বাঁচার ইচ্ছে যেনো মরে গেলো। নিজের ওপরে বিতৃষ্ণা আসলো। মনে পড়লো কাউকে আকরে ধরে বাঁচার মতো কেউ নেই যারা ছিল তারা পারি দিয়েছে দূরে না ফেরার দেশে। জারা রেলিং ধরে নিচে তাকালো লাফ দেওয়ার সাহস হলো না। রেলিং ঘেঁষে বসে পড়লো হাঁটুতে মুখ গুঁজে ডুকরে কেঁদে উঠলো। নিজেই নিজেকে বলতে লাগলো

-‘ তোর ভাগ্য এতো খারাপ কেনো জারা? তোকে কেউ কেনো ভালোবাসে না? তুই দেখতে খারাপ জারা সেজন্য তোকে কেউ ভালোবাসে না। জোর করে আর যায় হোক ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ভালোবাসা মন থেকে আসে। কিন্তু ভাইয়া? কি যেনো বলল ভাইয়া আ আমি ম…রে গেলে ভালো। তাহলে আমি-ই সব নষ্টের মূল? না এতো অপমানের পর ভাইয়াকে বিয়ে করা মানে নিজেকে ছোট করা না আমি কিছুতেই এ বিয়ে করবো না ‘

চোখ মুখ মুছে উঠে দাঁড়ালো জারা। পা আগোতে গেলে কেমন ভার ভার লাগলো। চোখ ছাপিয়ে জল আসতে লাগলো। ধীরগতিতে নিচে এসে বলল দেখলো হুজুরের পাশে বড় মামা, ছোট মামা, আর খালু বসে আছে চোখ বুলিয়ে মনিকে খোঁজার চেষ্টা করলো কিন্তু ব্যথ হলো পেলো না কোথাও পাশের রুমে চলে গেলো যেখানে কিনা সবাই আছে। কাজিনগুলো জারাকে সাজাতে লাগলো জারার কোনো বাঁধা মানলো না। জারার বুকের দুরুদুরু বেড়েই চলেছে। কি হবে? কি হবে করে? চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করলো আমি এ বিয়ে করবো না কিন্তু মুখ দিয়ে একটা শব্দ ও বের হলো না। বিয়ে জন্য বসার রুমে ডাকা হলো। জারা আর শানকে পাশাপাশি বসানো হলো। জারা চোখ তুলে দেখলো শান লাল চোখে স্থির হয়ে বসে আছে। কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না জারা। জারা নিজের ওপরেই বিরক্ত হলো এতো ভিতু কেনো সে?

ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হয়ে গেলো। কথা হলো শান বিদেশ থেকে এলো বড় করে অনুষ্ঠানে করা হবে। শান আর জারা এখনও পাশাপাশি বসে আছে। বড়রা যদি না থাকতো তাহলে এতক্ষণ শান এখান থেকে চলে যেত। জারা চেয়েও বিয়েটা আটকাতে পারেনি। জারা যখন নিজের কল্পনা জল্পনা করতে ব্যস্ত তখনই শান কানের কাছে ফিসফিসয়ে বলে উঠলো

-‘ মিসেস জারা আর ইউ রেডি? আপনার জীবন ধীরে ধীরে বিষক্রিয়াময় করে তুলবো। জীবনে বেঁচে থাকতে আর ইচ্ছে হবে না দেখিস বিয়ে করার সাধ একে বারে মিটিয়ে দিবো তোর ‘

জারা নিশ্চুপ হয়ে শুনলো শানের প্রতিটা কথায় বুক কেঁপে উঠলো। বুঝলো আগে তো কঠিন জীবন ছিলই এখন দ্বিগুন কঠিব তার জীবন। সে-তো বিয়ে করতে চাই নি। আর সে-তো কখনো বলিই নি শানকে বিয়ে করবে। তাহলে তাকে কেনো সব কষ্ট সহ্য করতে হবে। জারা মনে মনে দোয়া করলো ‘আল্লাহ আমার ধৈর্য শক্তি বাড়িয়ে দাও। তুমি আমার স্বামীকে ভালো রেখো। এ পরিবারের সকলকে ভালো রেখো।

আজ শান আর জারার বাসররাত হওয়ার স্বত্বেও। শানের মা শান্তি বলল

-‘ ওরা এখনো ছোট যেহেতু সেহেতু একসাথে থাকার প্রশ্ন উঠছে না। আগের মতোই যে যার মতো যার যার রুমে থাকবে ‘

শান্তির কথায় আর কেউ দ্বিমত করলেন না সবাই মেনে নিলেন।

জারা রাতে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে ঘুম আসছে না। চোখ দিয়ে অঝর ধারায় পানির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এপাশ ওপাশ করেও শত চেষ্টা করেও জারার ঘুম হলো না উঠে ডাইরি খুলে। মনের অজস্র কথা ক্ষুদ্র ভাষায় লেখার প্রচেষ্টা চালানো। চোখ দিয়ে দূর্লভ অবাধ্য জল গুলো টুপটাপ ডাইরির পাতায় পড়ে সাদা পৃষ্ঠা ভিজে নরম হয়ে উঠলো। জারা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারলো না। বিছানায় উবুড় হয়ে শুয়ে কান্না করতে লাগলো। কট করে দরজার লক খুলে গেলো জারার কান্না থেমে গেলো অতি সাবধানে চোখে জল মুছে চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো। দরজা লক করারও শব্দ শুনতে পেলো জারা। জারা মনে করলো মনি এসেছে। কিন্তু আচমকা হাত টান দিয়ে উঠে বসালো জারাকে। জারা চমকে তাকালো মানুষটির দিকে হিংস্র চোখে তাকিয়ে আছে। জারা ভয়ে শুকনো ঢোক গিললো মনে মনে দোয়া করতে লাগলো

-‘ আমাকে অশান্তিতে রেখে নিজে শান্তিতে ঘুমাচ্ছ খুব শান্তি না তোর। তোর শান্তি ছুটাবো ‘

জারা শানের এমব বিহেভিয়ার দেখে হতবিহ্বল হয়ে গেলো জারা কিছু বলার আগে শান জারাকে ধাক্কা দিয়ে শুয়িয়ে দিল। কিছু বুঝার আগের অধর মিলিয়ে দিলো। জারা অবাকের শীর্ষে পৌঁছে গেছে। জারা ঠোঁটে ব্যথা পেতেই শানকে জোরে ধাক্কা দিলো কিন্তু কাজ হলো না কিছুক্ষণ পর শান নিজেই ছেড়ে দিয়ে বলল

-‘ আজ না আমাদের বাসর রাত চল বাসর করি আস… ‘

আর কিছু বলার আগে জারা ডুকরে কেঁদে উঠলো। শান বলল

-‘ এইটুকু তেই এতো চোখের পানি নষ্ট করলে তার হবে না। চোখের পানি জমিয়ে রেখে দাও আভি তো পিকচার বাকি হে এবার সারারাত কাঁদো এবার আমার শান্তির ঘুম ‘

শান সিস বাজাতে বাঝাতে চলে গেলো। জারা অশ্রু সিক্ত নয়নে তাকিয়ে রইলো শানের যাওয়ার পানে।

চলবে

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [৩ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

সকাল ৬ঃ৪৫ মিনিট চারিদিকে বৃষ্টির প্রবল বাতাসে সব লন্ড ভন্ড এই সকালে যারা রাস্তায় ছিল সবাই আশ্রয় নিলো কোনো না কোনো ছাওনির নিচে। টুপটাপ বৃষ্টি আর ঝড়োবাতাসে জারার দেহ ছুয়ে গেলো মন অব্দি আর পৌঁছাতে পারলো না। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হাঁটতে হাঁটতে কাক ভেজা হয়ে পৌঁছে গেলো কোচিং-এ বসে পরলো পিছনের বেঞ্চে নতুন কোচিং নতুন স্কুলে জারার এখনো ভালো কোনো ফেন্ড হয়নি প্রয়োজনে টুকটাক সকালে সাথে কথা বলে। আসার সময়ও সেকি বৃষ্টি। বৃষ্টি জারাকে দমাতে পারলো না আগের মতোই এবারও কাকভেজা হয়ে বাড়িতে ফিরলো। বসার রুমে কাউকে দেখতে না পেয়ে রুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে হেয়ারড্রাইয়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে বাইরে আসলো। বড়মামা খেয়ে চলে গেছে তারা নিজেদের মতো ঘুরতে কিংবা খালুর সাথে অফিসে এখন বাড়ির ছেলেমেয়েরা খাচ্ছে। জারাকে দেখে শান্তি বলল

-‘ জারা আয় বস খেতে নে। কখন ফিরলি?’

জারা চেয়ার টেনে বসতে বসতে কন্ঠ সর খাদে নামিয়ে মলিন কন্ঠে বলল

-‘ একটু আগে’

জারার ছোট মামা জারাকে ডেকে উঠে বলল

-‘ জারা মা এদিকে আয় তো’

জারা উঠে মামার কাছে গেলো মা-বাবার পরে জারাকে তার মামা আর মনি বেশি ভালোবাসে। জারাকে নিজের পাশে বসিয়ে মাথা হাত বুলিয়ে আস্তে আস্তে বলল

-‘ তোর চোখ দুটো ফোলাফোলা কেনো রাতে ঘুমাস নি না-কি ভালো ঘুম হয়নি কোনটা’

-‘ কোথায় মামা তুমি চোখে বেশি দেখছ’

-‘ আচ্ছা শোন আজ-ই তো আমরা সবাই মিলে খুলনায় রওনা দিচ্ছি তোর হাতখরচের টাকা আমি এসে এসে দিয়ে যাবো বুঝলি কাউকে বলার দরকার নাই নিজের মতো খরচ করবি যা মন চাই তাই করবি ঘুরবি দেখবি মন ভালো থাকবে’

-‘ না মামা আমার লাগবে না আর যা লাগবে সবই আছে আমার জন্য অযথা কেনো খরচ করবা বলতো এমনিতেই অনেক খরচ হচ্ছে আমার জন্য তোমাদের’

-‘ এক চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো তোমার বেশি বড় হয়ে গেছ তুমি? আমাদের কথার কোনো দাম নাই তোমার কাছে?’

জারার বলতে ইচ্ছে করলো “তোমাদের কথা মতোই তো বিয়ে করলাম এখন দেখ আমি তার জীবনে বিষকাটা সে আমাকে উপড়ে ফেলতে চাই আমি ও চাই”

-‘ কি হলো মেয়েটাকে বকছ কেনো? কি হয়েছে?’

জারা আর জারার ছোটমামা চমকে উঠল। ছোট মামা ভালোবাসলেও মামি সুবিধার নয়। জারা হেসে বলল

-‘ কিছু না মামি ঔ নতুন স্কুলে কি করবো কেউ কিছু বললে কিভাবে উত্তর দিবো সেটা শিখাচ্ছিল’

-‘ কেনো জারা ছোট না-কি ও এখন যথেষ্ট বড় হয়েছে যথেষ্ট বুদ্ধি-জ্ঞান আছে তুমি এসব উল্টো পাল্টা শিখিয়ে ওর মাথা বিগড়ে দিও না’

মামা বলল

-‘ আচ্ছা যা খেয়ে নে সকাল থেকে তো কিছু খাস নি যা খেয়ে নে’

মামি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে চলে গেলো। জারা বুঝলো মামি কিছু আচ করতে পারছে বাসায় গেলে মামা মামির ঝ-গ-ড়া লাগবে ভেবেই জারার মন খারাপ হলো তবুও মামাকে কিছু বলল না জানে বলে কিছু লাভ হবে না মামা টাকা দিবে বলেছে তখন দিবেই।

সবাই টুকটাক কথা বলল। শান এতোক্ষণ চুপ থাকলে-ও এখন গম্ভীর কন্ঠে শান্তিকে উদ্দেশ্য করে বলল

-‘ আম্মু আমার ১ সপ্তাহ পর ফ্লাইট’

-‘ সেকি এতো তাড়াতাড়ি? ‘

-‘ যত তারাতাড়ি যাওয়া যায় ততোই ভালো। ‘

কথাটা বলে শিরি দিয়ে উঠার সময় জারাকে উদ্দেশ্য করে বলল

-‘ জারা রুমে আয় কাম ফাস্ট’

শান কথাটা বলে চলে গেলো। জারার গলায় খাবার বেঁধে চোখে পানি চলে এলো মনি জারাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো। শান্তি জারার পাশ থেকে সরতেই সব কাজিন সার্কেলরা মিলে জারাকে পচাতে লাগলো। জারা অবশ্য এসবে লজ্জা বা হাসি পাচ্ছে বা তবুও মলিন হেসে খাবার ছেড়ে উঠে পরলো।

শানের রুমের দরজায় দুরুদুরু বুকে টোকা দিয়ে কাঁপা গলায় বলল

-‘ আসবো?’

ওপাশ থেকে কোনো রেসপন্স না পেয়ে জারা দরজায় মোচড় দিয়ে দরজা খুলে রুমের ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখলো কেউ নেই। দরজা খুলে রুমে ডুকে ওয়াশরুমের দরজা দেখলো নাই ফিরে যাওয়ার জন্য দরজার কাছে আসতেই বেলকনি থেকে শান এসে বলল

-‘ কোথায় যাচ্ছি?’

জারা দাঁড়িয়ে গেলো। পিছনে ফিরে মাথা নিচু করে বলল

-‘ না মানে আপনাকে দেখতে না পেয়ে চলে যাচ্ছিলাম’

শান জারাকে দরজার কাছ থেকে সরিয়ে দরজা লক করে জারাকে দরজার সাথে দু’হাতে আটকিয়ে বলল

-‘ আজ সকালে কই গিয়ে ছিলি?’

জারা ভয়ার্ত চোখে বলল

-‘ ক কো চিং এ’

-‘ ও রেলি? তুই পড়াশোনা করতে যাস না-কি নিজের শরীরের প্রতিটা ভা’জ রাস্তার লোককে দেখাতে যাস?…’

শানের ধমকে জারা কেঁপে উঠলো। শান আবার বলল

-‘ এই বাড়িতে ন-ষ্টা-মি চলবে না। আমার বাবার একটা সম্মান আছে আর তোর মেয়ের জন্য তার সম্মানে এতটুকু আ’ঘা’ত লাগুক সেটা আমি চাই না? আর আমি বেশ বুঝতে পারছি আমি না থাকলে তুই কি কি করতে পারিস। মাথায় রাখবি তুই এই বাড়ির বউ। আমি যদি এদিক থেকে ওদিকে কিছু শুনছি তোকে নিজের হাতে খু-ন করবো মাইন্ড ইট ‘

“তুই এই বাড়ির বউ” জারার কানে বার বার প্রতি ধ্বনি হয়ে বাজতে লাগলো। ওখানেই আটকে রইল আর কিছু মাথায় ডুকলো না। শান সরে যেতেই শান বলল

-‘ গেট আউট’

জারা ধীর গতিতে বেড়িয়ে এলো। নিজের রুম থেকে সারাদিন আর বের হলো না খাবারটাও রুমেই খেলো।

কাঠফাটা রোদের দিনে অর্ধেক স্কুল করে বাসায় আসলো জারা স্কুলের হেডটিচার শানের বাবার বন্ধু হওয়ায় আগে থেকে বলে রাখা জারার প্রয়োজনে। শরীরটা ভালো না তার শরীর ম্যাজম্যাজ করছে। শাওয়ার নিয়ে বসার রুমে আসলো কালকে মামারা চলে যাবার পর থেকে বাসাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। ফ্রিজ খুলে দেখলো কি কি আছে। ফল, চকলেট, জুস, কোল্ডিস…. ইত্যাদি জারার কিছু খেতে ইচ্ছে করলো না। শান পানির গ্লাসটা শব্দ করে টেবিলে রেখে বলল

-‘ তোর শাস্তি তুই এখন থেকে আমি যখনক্ষণ না তোকে নিচে আসতে বলবো ততক্ষণ তুই ছাদে ঠিক মাঝক্ষানে দাঁড়িয়ে থাকবে’

-‘ এ এই র রোদে?’

-‘ তোর শাস্তি’

-‘ ক কিসের শা শাস্তি?’

-‘ কালকে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় আসার শাস্তি তখন দিতে পারি নাই বাসাই সবাই ছিল বলে বাট এখন কেউ তোকে এই শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না’

জারা ভয় পেলো। শান আবার বলল

-‘ খালি পায়ে কিন্তু নো শিলিপার…. কি হলো এখনো দাঁড়িয়ে আছিস কেনো না গেলে বল অন্য কিউট কিউট শাস্তি দি’

-‘ না না যাচ্ছি’

চলবে ইনশাআল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here