তুই_আমারই_থাকবি💜 #Esrat_জাহান💜 #Part_2 +৩

0
872

#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_জাহান💜
#Part_2 +৩
‘আর আমি কী ভাবছিলাম,ছিঃ ছিঃ।উনি ঠোঁটে কামড় দিয়েছে শুধু।ইয়া মোর খোদা…আমি সত্যিই ডাফার।নিজের গালেই ঠাস করে দুইটা চড় দিলাম।যত্তসব…..
!
-দরজার ঠক ঠক আওয়াজে ঘোর কাটলো।তারপর যা দেখলাম তা দেখে আমার মাথা আউলা-ঝাউলা হয়ে গেলো। মামানিই…..তুমিই….বলেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।মামানিও আমায় জড়িয়ে ধরে খুশিতে আত্নহারা হয়ে বললো, আমার বাচ্চাটা, তুই!তুই এখানে কীভাবে?ওহ….তুই ই তাহলে আমার ছেলের ওয়াইফ?ওহ..নো.. আমি খুশিতে কী করবো,,, তুই আমার বৌমা!
!
-হুম,মামানি!(লজ্জা পেয়ে)
!
-লাইক সিরিয়াসলি? বাদ দে!জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি…হাউ আর ইউ?মাই জান?
!
-আমি হেসে বললাম,আই এম ফাইন।তুমি?
!
-Pretty Good!তোকে দেখে পুরোই ভালো হয়ে গেলাম।
!
-মামু?মামু কোথায়?ভালো আছে তো?
!
-নট সো গ্রেট রিয়েলি?
!
-বাট হুয়াই?
!
-আমার বাচ্চাটার জন্য,মানে আমার আবরার,খুব বেশি রাগী, জেদি। ওর চিন্তায় তোর মামুর মন অলওয়েজ খারাপ থাকে!বড় ছেলেটা যতই হাসিখুশি,ছোটটা ততই রাগী, বদমেজাজি! তুই জানিস!ওর জন্যই ইংল্যান্ড থেকে সিডনি গেলাম একমাস থাকার পর বলে ও নাকি আর ওখানে থাকবে না,বাংলাদেশে চলে আসবে।তিনদিন হলো ফিরেছি!
!
-এত বছর পর দেশে ফিরলে আমাদের একবারও ফোন করে জানাওনি কেন?
!
-তোর মামা আর আমার বড় ছেলে মিলে প্ল্যান করেছে তোদেরকে সারপ্রাইজ দিবে।কিন্ত এখানে এসে আমার ছোট ছেলে তোর হাতের চড় খেয়ে তোকে একেবারে তুলে এনে বিয়ে করলো?যে ছেলে বলে বিয়ে করলে নাকি ওর ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে যাবে!ভাবতে পারিস…
!
-মামানির কথা শুনে আমি আবারো হ্যাং মারলাম।তারপর দুজনে মিলে ঘর কাঁপিয়ে হেসে উঠলাম….
!
-আচ্ছা, মা।তুই থাক…আমি একটু আসছি..আর তোর মামা আর আমার বড় বাচ্চাটা অফিসের কাজে কাল রাতে লন্ডন গিয়েছে।খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে….
!
-ওহ…আচ্ছা মামানি শুনো,হঠাৎ এরকম একটা ঘটনা ঘটলো কিন্তু বাসায় কেউ জানে না।আমার খুব টেনশন হচ্ছে….
!
-তুই এত হাইপার হচ্ছিস কেন?এটাতো হওয়ারই ছিলো।যাইহোক, আমি সবকিছু সামলে নেবো,মাই বেবি!এত হাইপার হোস না।
!
-থ্যাংক গড মামানি….
!
!এন্ট্রি নিলো আবরার আগুন চৌধুরী
!
-হোয়াট?খুশবু, তুমি আমার আম্মুকে কী বললে?(আবরার চৌধুরী রুমে ঢুকতে ঢুকতে অবাক হয়ে বললেন)
!
-আমিও এবার মামানিকে পেয়ে সাহসী হয়ে উঠলাম।বললাম,মামানি, মামানি বলেছি!কারণ উনি আমার মামুর ওয়াইফ…আর আপনার আম্মু…
!
-মামানি হাসতে হাসতে চলে গেলো!
!
-ডাফার! তুমি সত্যিই আমার আব্বুর বোনের মেয়ে?
!
-অফকোর্স! ডাউট থাকলে আপনার আম্মুকে জিজ্ঞেস করুন।(ভাব নিয়ে)
!
-কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,তাহলে তুমি নিশ্চয় ওই পুচকিটা?যার নাক দিয়ে মাঝে মাঝে পানি পড়তো? এট লিস্ট আই এম সিউর?
!
-নো ওয়ে!চিৎকার করে বললাম…..কখনওই না। আমার নাক দিয়ে কখনওই পানি আসতো না।(রেগে)
!
-উনি বললেন,সত্য বললে সবারই গায়ে লাগে,খুশবু। তোমার ওই রাগী ফেইসটা দেখতে লাগছে ও..।আই ফিল গ্রেট!বলে বেডে হাত-পা মেলে শুয়ে পড়লো।
!
-আমি রাগী চোখে তাকিয়ে রইলাম।কিছুক্ষণ পর বললাম,আপনার ফোনটা দেন তো!
!
-উনি বললেন,ড্যাম ইট….আমার জিনিসে হাত দিলে কী হয় সেটা মায়ের কাছ থেকে জেনে নিও!গট ইট?
!
-আমিও কিছু না বলে মামানির কাছ থেকে মামানির ফোনটা নিয়ে এলাম।বসে বসে Pubg,Angela গেমস খেলছি।মানে একটার পর আরেকটা।হঠাৎ উনি এসে আমার পাশে বসলেন,বললেন,এই ডাফার মেয়ে!তুমি ভার্সিটিতে পড়ো, কিন্তু তোমাকে দেখে যে কেউ বলবে তুমি গাধী!নাহলে গেম খেলতে না..
!
-মানে?গেম খেলা আর ভার্সিটি পড়া এদুইটার কি রিলেশন?
!
-আবারো আমায় কোয়েশ্চেন করছো?(রেগে)
!
-না,মানে জানতে চাচ্ছি!
!
-উনি বললেন,এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।মনে হয় কিছুই পারো না!বলো,3GPP মানে কী?
!
-জানি না।(ভয়ে)
!
-গাধী! ইউ ডাফার….আবরার আগুনের বউ এত গাধী? আমি ভার্সিটিতে মুখ দেখাবো কিভাবে?
!
-তাহলে কি?
!
-3rd Generation Partnership Project!
!
-আচ্ছা, এটা কি?আমি তো জীবনেও এমন কথা শুনিনি!
!
-পড়ালেখায় টাইম দাও! আর যন গেম খেলতে না দেখি। মাইন্ড ইট?
!
-কেন?বলেই থেমে গেলাম।বললাম,আপনি আসলে অনেক হ্যান্ডসাম…ঠিক আমাদের স্কুলের সাকিব,জিসান ওদের মতো।আচ্ছা,আপনি কী মামুর মতো?হতে পারেন।জানেন,আমাদের এলাকায় ঝালমুড়ি ওয়ালাটা না খুব হ্যান্ডসাম,বেচারা আমার থেকে এক বছরের ছোট,, নাহলে….আর ওই আইসক্রিম ওয়ালা লোকটাও খুব কিউট। দেখলেই গালগুলো টানতে ইচ্ছে করে ঠিক আপনার মতো…অবশ্য চুল আপনার মতো না।
!
-এই, তুমি কী হ্যান্ডসাম ছেলেদের নিয়ে জরিপ শুরু করেছ?(অবাক হয়ে)
!
-না না।
!
-ডাফার!(রেগে বললেন)
!
-আপনি আমায় ডাফার বলবেন না।ওকে!
!
-তোমার কথাতে আমি চলবো?এই আবরার আগুন চৌধুরী?
!
-নাহলে আমি কিন্ত আপনার ভার্জিনিটির তেরোটা বাজিয়ে দিবো!(চোখ টিপ মেরে)
!
-ড্যাম ইট।ইউ ডাফার গার্ল।তুমি কী বললে,,,,,,বলেই’

‘বলেই উনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।আমিও হ্যাবলার মতো ভ্যাবলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।কিছুক্ষণ পর মামানিকে নিয়ে আসলেন রুমে। মামানিকে নিয়ে এসে দাঁড় করালেন।বললেন,আম্মু!দেখ তুমি ও কী বলছে!(বাচ্চাদের মতো)
!
-কী বলছে?(ভ্রু কুঁচকে)
!
-আমিও অবাক হয়ে ওদের কথা শুনছি।
!
-আম্মু দেখ,খুশবু বলছে ও নাকি আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করে ফেলবে!তুমিই বলো, এটা কী কোনো কথা?আর ওর এত্ত বড় সাহস,তুমি দেখলে?
!
-আমি আর মামানি ওনার কথা শুনে বেআক্কেলের মতো একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছি।মামানি মিটিমিটি হাসছে আর আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি!!
!
-এই এত্ত বড় দামড়া এইসব কি বলে!হায়…আমিতো হার্ট-এট্যাক করমু। ছি ছি..ব্যাটার কি লজ্জা নাই?এমনিতে তো ভেবেছিলাম একটা গুন্ডা-মাফিয়া… এখন তো দেখি বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী…কার সামনে কি বলতে হয় সেই বুদ্ধিটুকুই নাই!বাট হাউ ইজ পসিবল?
!
-দেখ আবরার এটা তোমার আর খুশবুর পার্সোনাল বিষয়! সেখানে তুমি বেলাজের মতো আমাকে এসব বলছ?মামানি বললো…
!
-বাট আম্মু,তুমি তো জানো আমি নিজের ভার্জিনিটি নিয়ে কতটা হাইপার!কোনো মেয়ের সাথে কোনোদিন কিছু করিনি,তাও এই খুশবু কিসব বলছে?ধরো,ও যদি কোনোদিন আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করে দেয়?তাহলে আমি কি করবো?বলো…..
!
-আবরার!প্লিজ স্টপ ইট….মামানি ধমকে বললেন।
!
-আমি এসব কথা শুনে শিহরিত!এই গুন্ডা নাকি এত্ত হাইপার তার ভার্জিনিটি নিয়ে!কেন রে….এসব কথা বিয়ে করার সময় মনে ছিল না?এখন আসছিস ভাব দেখাতে?যত্তসব….ন্যাকামি!
!
-আমি যাচ্ছি রুমে…আর এসব ফালতু বিষয়ে কথা অফ রাখো…..এতবড় হয়েছ, তবুও মায়ের আচল ধরে ঘুরাঘুরি বন্ধ করো।বলেই মামানি গটগটিয়ে চলে গেলেন।আর আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসি দিলেন…..
!
-এবার আপনাকে বাঁচাবে কে?
!
-এই তুমি চুপ করো!তোমার কথা কে শুনে?আমার কোনো বিষয়ে ইন্টারফেয়ার করার অধিকার তোমার নেই!আর আমি নিজের প্রটেক্ট নিজেই করতে পারি!গট ইট!
!
-তাই মায়ের আচল ধরে বসে থাকেন!আই নো…..(হেসে বললাম)
!
-ড্যাম ইট!তুমি চুপ না করলে এক থাপ্পড় মেরে চুপ করিয়ে দেবো।
!
-আচ্ছা,আর কথা বলবো না।
!
-ওকে….বলেই কাবার্ড থেকে ল্যাপটপ নিয়ে বিছানায় দু’পা তুলে বসে পড়লেন।পরণে সেই হাফ-প্যান্ট আর টি-শার্ট!
!
-আমিও পুরো ঘরময় হাঁটতে লাগলাম।ফ্লোরে সোনালী কার্পেট বিছানো আর তাতে আমার পা সুড়সুড়ি করছে।দেয়ালে অসংখ্য ফটো ঝুলানো।সোফার একপাশে একটা বড় বার্বিডল রাখা।কিন্ত এতবড় ডল দিয়ে এই গুন্ডা কি করে?ভাববার বিষয়…..
!
-এই খুশবু? তুমি নাকি সারাদিন ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদো? ল্যাপটপ এর দিকে তাকিয়েই বললেন!
!
-অবাক হয়ে, উনি জানলো কিভাবে? বললাম,কে বলেছে?মোটেও না….
!
-জানি জানি!
!
-কচু জানেন!
!
-উনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,কচু?তুমি কি বলেছ?
!
-কচু, কচু বলেছি!
!
-এই কচু জিনিসটা আবার কি?
!
-হোয়াট?আপনি কচু চিনেন না?(চিৎকার করে)
!
-একি?তুমি এত জোরে সাউন্ড করছ কেন?আমি হাই সাউন্ড একেবারেই লাইক করি না!গট ইট!ডাফার…
!
-ওকে,ওকে।বাট আপনি কচু চিনেন না?এটা কিভাবে পসিবল?
!
-না চিনতেই পারি।তাতে এত অবাক হওয়ার কি আছে?
!
-আমি একটু পানি খেয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,ওহহহ…তাইতো তাইতো।
!
-আচ্ছা,এখানে কি কচু বাগান আছে?আমাকে নিয়ে যেও থাকলে!
!
-আমি হ্যাং মেরে বললাম,অফকোর্স অফকোর্স!
!
-এই কচু জিনিসটা আমাকে ভাবাচ্ছে,এটাতে মানুষ ফাঁসি লাগে কিভাবে? আই এম ইম্পেসড!!!
!
-মানে?
!
-আমার বাংলাদেশী ফ্রেন্ডরা মাঝেমাঝে দেখা হলে ঝগড়া বাঁধিয়ে বসতো,তখন ওরা বলতো যা তুই, কচু গাছের সাথে ফাঁসি লেগে মরে যা…..
!
-ওহহহহ…….
!
-বাট তুমি এত………. ‘

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here