তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_16

0
408

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_16

রোয়েন টিভির সামনে সোফায় বসে আছে সাথে পপকর্ন নিয়ে। সে রিমোট নিয়ে টিভি অন করে পাবজি অ্যাপ ওপেন করে জিমেইল দিয়ে পাবজি খেলায় ঘোরভাবে খেয়াল করে সব ফ্রেন্ডস একসাথে। সে তারদের ফ্রেন্ডস এর ইনবক্সে নক দিয়ে বলে….

রোয়েন :::: কিরে গাইস ওয়াটস আপ??

বন্ধু::: হেই ব্রো ইয়াহ উই আর ফাইন। ওয়াট এবাউট ইউ??

রোয়েন::: আইম অলসো ফাইন। লেটস প্লে দ্যা গেইম বয়েস এন্ড গার্লস। কাম অন।

সবাই:::: ইয়াহ ব্রো কাম অন।

সবাই যুদ্ধে নামে গেইমের যুদ্ধ। রোয়েন প্রতিটা এনিমমিকে একদম টার্গেট রেখে মারছে। এক এক বুলেট তাদের মাথায় সুট করে। একে একে অনেকজন কে মেরে ফেলে। তার পাবজীর লেভেল অতিক্রম করছে।

তার ফ্রেন্ডস রা সব এনিমিকে মেরে আরেক ঘরে ঢুকে দেখে সেখানে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে কোনো অস্ত্র না থাকায়। তার ফ্রেন্ড সুযোগ বুঝে মেয়েটাকে গুলি করবে তার আগেই রোয়েন এসে দাড়ায়। মেয়েটা সাথে সবাই অবাক রোয়েনের এভাবে দাড়ানো দেখে। তার এক মেয়ে ফ্রেন্ড ইনবক্সে নক দিয়ে বলে…..

বন্ধু::: হেই ফ্রেন্ড !! ওয়াই ইউ আর সার্পোটিং দিস গার্ল।

রোয়েন:::: নাটিং। বাট আই লাইক দ্যাট গার্ল। আই ওয়ান্ট হার টু মেইক আওয়ার ফ্রেন্ডস! ক্যান উই??(বাচ্চাদের মতো ইমোজি দিয়ে)

🌺🌺 এদিকে….

সম্রাট চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে। তার মুখে মুচকি হাসি। তাকে হাসতে দেখে মেনেন্জার বলে…..

মেনেন্জার :::: স্যার কি হলো কিছু বলছেন না যে??

সম্রাট হাতজোড়া এক করে ঠোঁট এর উপর রেখে বলে…..

সম্রাট :::: না কিছু না ভাবছি আজ এক পার্টি আসে সেখানে যাবো। তাই কোন ড্রেসটা পড়বো বুঝছি না। আপনি চয়েজ করে বলতে পারবেন কিছু?

মেনেন্জার :::: স্যার আমি কিভাবে কি বলি? তবে এটুকু বলবো আপনার থেকে যে কালারটা বেশি পছন্দ হয় সেটা পড়েন বা আরেকটা কথা সাজেস্ট করেছি। যদি আপনার প্রিয়সী থাকে তবে সে যে কালারটা পছন্দ করে সেই কালারের ড্রেস পড়বেন।
(সম্রাট প্রিয়সী কথাটা শুনে মুচকি হেসে মেনেন্জারের দিকে তাকিয়ে বলে ::: হুম গ্রেট আইডিয়া। মাই লাভলি লাভ তামান্নার ফেভারিট কালার ইজ ব্লেক উইড ব্লো। আই উইল ওয়ার দিস টাইপ অফ ড্রেস [ফোনের মধ্যে ড্রেস কালেকশন করে)

মেনেন্জার মুচকি হেসে ::: ওকে স্যার গেট রেডি। সি ইউ।

মেনেন্জার চলে গেলে তার ফোনে কল আসে। সে কল উঠিয়ে দেখে ফোনের উপর সোহেল নামটা ভেসে উঠছে। সে কল উঠিয়ে কানে ধরতেই অপরপাশ থেকে সোহেল বলে….

সোহেল::: দোস্ত আই মিন স্যার আমাকে এতোই খারাপ ভাববেন যে এতো তাড়াতাড়ি দেশে চলে গেলেন। একটু বিদায়ও নিলেন না। জানেন আপনাকে
ছাড়া অফিসটা ফাঁকা ফাঁকা হয়ে আছে(উদাস হয়ে )

সম্রাট মুচকি হেসে বলে ::: তুই ও আজকের মধ্যে চলে আসবি। এখনই সব ঠিকঠাক কর রওনা দে। আর হ্যাঁ আমি মাএই বাংলাদেশে পা রাখলাম তা তুই জানলি কি করে??(সন্দেহের ভঙ্গিতে )

সোহেল নিজের জিহবে কামড় দিয়ে আমতা আমতা করে বলে ::::আ…আ আসলে বস আমি আমি আপনার কেবিনে ঢুকেছিলাম তখন টিকেট দেখেছি। এজন্যই জানি(এক নিশ্বাস এ সব জট করে বলে দে) বাট বস তুমি ওখানে গেলা কেনো?? (অবাক হয়ে )

সম্রাট শুনে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ::: শালা তুই সব ভুলে যাস কি করে?? দেশে আসার মেইন রিজন টাই ত আমার প্রিয়সী বলেছিলাম না?? (কোমরে হাত রেখে নিজের চোখজোড়া ঘুরিয়ে ) তো এখন যা বললাম সেটাই কর। আমি কল রাখছি একটা পার্টির মধ্যে যাবো(সে কল কাটতে যাবে তার আগেই সোহেল বলে….)

সোহেল ::: স্যার বস স্টোপ বলছিলাম কি কল দিয়েছিলাম অন্য একটা কারণে। (সম্রাট শুনে দাঁড়িয়ে চোখজোড়া ছোট করে গম্ভীর কণ্ঠে বলে :::: কি কারণ??)

সোহেল::: স্যার খবর পেয়েছি এক নীল মনি হাট গোডাউনের পাশে এক কুড়িঘর নাকি এমন কিছু হবে সেখানে একবাসায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে তিনজনকে পুড়ে ফেলা হয়েছে। সব ঠিক জানি না। তবে আপনার থেকে সেখানে যেয়ে একবার দেখে আসা উচিত।

সম্রাট ভেবে বলে ::: হুমম আমি এখনই যাবো। রাখি তুই চলে আস।

সোহেল::: ওকে বস টুট টুট টুট।

কল রেখে সম্রাট নিজের কোর্ট হাতে রেখে বেরিয়ে পরে। সে জিপিএস এর মাধ্যমে সেখানে পৌঁছে যায়। সে গাড়ি থেকে বের হয়ে সেই পুড়া ঘরের সামনে এসে দাড়ায়। সে ঘরটা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছিলো তখনই তার পা হঠাৎই ভারি কিছু একটার পড়ে। সে নিচে তাকিয়ে দেখে একজোড়া কানের দুল সে সেটা নিয়ে পকেটে রেখে গাড়ি নিয়ে রওনা দে।

🌺🌺

এদিকে…..

তামান্না সুমনার কেবিনের দরজা খুলে ঢুকে দেখে সে শুয়ে আছে। তামান্না এসে সুমনার হাত ধরে বলে…

তামান্না:::: এখন কেমন লাগছে বুনু??

সুমনা মুখ ফুলিয়ে বলে;::: আমার তেমন কিছুই হয় নি। এখন আর এখানে এভাবে বসে থাকতে ইচ্ছা করছে না। চল না নীল ভাই আর নিলা ভাবির পার্টির এরেন্জমেন্ট টা দেখতে খুব ইচ্ছা করছে। চল চল চল। প্লিজ(বাচ্চাদের মতো রিকুয়েস্ট করে)

তামান্না কিছু না বলে শুধু এক ডাক দে নার্স!!!!(উচ্চ গলায়)

নার্স ডাক্তার দুইজনই এসে তামান্নার দিকে ভয়ের মতো করে তাকায়। তামান্না ওদের দিকে তাকিয়ে বলে…..

তামান্না::: ডোন্ট ওয়ারি ভয় পাইয়েন না। আপনারা আমার বোনের খুব ভালোই খেয়াল রেখেছেন। আর আমাদের এখন যেতে হবে আপনি তাহলে ব্যবস্থা করে ফেলেন।

ডাক্তার শুনে খুশি হয়ে বলে::: ওও ওকে ম্যাম। নার্স আপনি পেসেন্ট কে আরেকবার চেকআপ করে ফেলেন। আর আপনি তামান্না ম্যাম আপনাকে কিছু মেডেসিন দেয় আপনি এগুলো কালেক্ট করে পেসেন্ট কে নিয়ে বাসায় যেতে পারবেন। রিসেপশনে এসে আপনার সাইন দিয়ে নিয়ে যান।

নার্স সুমনার পালর্স চেক করে ব্লাড প্রেসার মেপে তার মাথার ব্যান্ডেজ টা খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দে। ততোক্ষণে তামান্না মেডেসিন নিয়ে আসে সাথে রিসেপশনে সাইন করে ফেলে। সে কেবিনে ঢুকে ডাক্তার কে মেডেসিনগুলো দেখায়। তিনি সেগুলো চেক করতে লাগে। তামান্না আড়চোখে সুমনাকে দেখে নে আর নার্স কে বলে…..

তামান্না ::::: বুনু সুমনাকে একটু কাপড় গুলোও পরিয়ে দাও। আমি ওই সাইডে ব্যাগ রেখেছি(তর্জনী আঙুল দিয়ে দেখিয়ে)

নার্স ::: ওকে ম্যাম।

তামান্না কেবিনে বসে ফোনের মধ্যে এফবি ওপেন করে নিউজ ফিড দেখে। সুমনা ঠিক ঠাক হয়ে বের হয়ে আসে। তামান্না সুমনাকে ধরে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে পড়ে।

🌺🌺

নীলের বাসায়…..নীল কয়েন টা হাতে নিয়ে ভাবতেই আছে। সে বিড়বিড় করে বলে…..

নীল::: তামান্না বলছে এর মধ্যে কিছু একটা স্পেশাল আছে। কিন্তুু কি সেটা?? আমি ত কিছুই দেখতেছি না। এই তামান্না যে কোথার থেকে কি কি আনে (চোখজোড়া ঘুরিয়ে একশ্বাস ছেড়ে) আমি নিজেও এই মেয়েটাকে আজ পর্যন্ত বুঝেনি। পাগলী গোধরাদ থেকে পালিয়ে আসছে মনে হয়। পাগলী !!

তামান্না গাড়ি চালাচ্ছে এখানে জট করে তার জিহবে কামড় খাই দাঁতে দাঁত লেগে। এতে সে গাড়ি চালানো অবস্থায় বলে……

তামান্না::: নীলের ডাচ্চা নীল। তোরে আমি দেখিস কি করি বাসায় এসে। আজকের রাত পাটি ত। দেখ আমাকে গালি দেওয়ার মানে কি বুঝাবো(চোখজোড়া ছোট করে মুখ ফুলিয়ে রেগে)

সুমনা ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে তামান্নার দিকে চেয়ে থাকে। সে হঠাৎই তামান্নাকে হাত দিয়ে নাড়া দে। এতে সে হকচকিয়ে সুমনার দিকে তাকায়। সুমনা বলে:::: কি হলো বুনু তুমি এভাবে বিড়বিড় করে কাকে কি বলছো?? আর ডাচ্চা কি??

তামান্না মুচকি হেসে বলে ::: আরে আমি নীল কে বকতেছিলাম। সে আমাকে গালি দিসে তাই আমার জিহবে কামড় খেলাম। আর ওটা বাচ্চা হবে। আমি ডাচ্চা বলছি কারণ নীলের ত এখনো বাচ্চা হয়নি (মুচকি হেসে সুমনার দিকে তাকিয়ে )

সুমনা অবাক হয়ে বলে::: ওও তবে তুমি কিভাবে বুঝলা যে তোমাকে নীল ভাইয়াই গালি দিসে? এটা অন্যকেউ ও হতে পারে।

তামান্না শুনে নিজের মাথা নাড়িয়ে বলে::: হুম লজিক আছে তোমার কথায়(সুমনার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে গাড়ি চালায়)।তবে সে আমার দোস্ত আমি ওকে ভালো করেই চিনি। সেই আমাকে গালি দিসে। আর দেখিও বাসায় গিয়ে যখন কেলানি দিবো তখন ঠিকই বলবে। আইম সিউর!!(মুচকি হেসে কনফিডেন্টলি ভাব করে)

সুমনা::: ওকে বুনু লেটস সি।

তামান্না মুচকি হেসে গাড়ির পাওয়ার বারিয়ে বলে ::: লেটস গেট ইট এ রেস। ইয়োওওওওও।

………..চলবে…………

[বিঃদ্র:::: সরি ফোর লেইট লুটিফ😷😷। বাট আমি ট্রাই করি তাড়াতাড়ি দেওয়ার। তবে স্টাডি কাজ থাকায় পারি না। আশা করি আপনারা আমাকে বুঝবেন। রাগ করিয়েন না। আর ধর্য্য রাখবেন সবাই। আমি গল্প লেখি যেমন তেমন আপনাদের জন্যে খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গল্পটা রোমাঞ্চ বানায় যাতে আপনাদের পড়ে মজা ভালো লাগে। সরি এন্ড থ্যাংকস ফোর রিডিং। হেপ্পি রিডিং ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here