তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_07

0
638

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_07

In London….💗




মিস্টার হেকমাত তার ছেলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নক নক করতেই আছে আর রোয়েন সে তো সাবজাদা এক বড় হামি দিয়ে উঠে বসে আর দরজার দিকে তাকিয়ে বলে ::: এই দরজাটাও শান্তি ভাবে ঘুমোতে দে না। সে উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই হেকমাত ছেলের কান ধরে মুচড় দে।

রোয়েন ঘুমের চলে কানে ব্যথা অনুভব করতেই চিৎকার দে আহহহ ড্যাড ছাড়ো ব্যথা পাচ্ছি তো। ( মন খারাপ করার ভান করে)

হেকমাত ::: ধুর এতো বড় হয়ে গেলি এখনো তোর বাচ্চামী যায় নাই। সালমান কে দেখছিস কতো হার্ড ওয়াকার। ওর মতো হবি তা না উল্টা আরো বিগড়ে যাসছিস। (রোয়েনের কান ছেড়ে দিয়ে ) কি যে হবে তোর আল্লাহই ভালো জানে।

রোয়েন নিজের কান নেড়ে কানের মধ্যে দুই হাত দিয়ে রাখে। হেকমাত তার দিকে তাকাতেই আরো রেগে যাই। তিনি রাগে গজ গজ করতে করতে বলে ::: যা তোর ইচ্ছা মতোন কর সব।।। এখন নিচে চলে আস খাবার দেওয়া হয়ছে।

এ বলে তিনি চলে যান আর রোয়েন বুকের মধ্যে হাত রেখে নিশ্বাস ছেড়ে বলে :: যাক বাবা এতো বড় উপদেশক চলে গেলেন নইতো আরো শুনাতো। উফফ এতো জ্বালা কেন এই লাইফে।

রোয়েন নিজের কাবার্ড থেকে হলুদ কালারের শার্ট আর ব্ল্যাক কালারের জিন্স পেন্ট নিয়ে মনের খুশিতে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকে পরে।

এদিকে……


সালমান ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে ফজরের নামাজ পরে ফেলে। আর সাথে সাথে ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা এসএমএস স্ক্রিনে ভেসে উঠছে। সে মুচকি হেসে ফোনের লক খুলে মেসেজটা ক্লিক করে দেখে…..

এসএমএস নেইম সুভ প্রভাত…..স্যার দ্যা ওয়ার্ক ইজ ড্যান ( বৃদ্ধাঙুলির ইমোজি দিয়ে )

সালমান::: ওকে কেরি অন আইম অল সো রেডি ( লুক স্মাইলের ইমোজি দিয়ে )

সুভ প্রভাত:: ওকে স্যার।

সালমান ফোন রাখতেই দরজার মধ্যে নক পরে। সে গিয়ে দরজা খুলে দেখে মিসেস এলিনা ব্ল্যাক কফি আর তার ফেভারিট ব্রেড উইড চেরি ফ্লেভার জেল মিক্সড করা ট্রের মধ্যে ।

সে মুচকি হেসে মিসেস এলিনা কে ভেতরে ঢুকতে বলে। মিসেস এলিনা ভেতরে ঢুকে চা নাস্তার ট্রেটা ট্রি টেবিলের উপর রাখে। সাথে সালমান কে বলে….

মিসেস এলিনা ::: My son.. Someone is come in the early morning… And he give me this( হাতে একটা সাদা কালারের খাম ) letter to give you..

সালমান খামটা নিয়ে মিসেস এলিনার দিকে তাকিয়ে সন্দেহের ভঙ্গিতে বলে ::: Who was give that?doesn’t you see the face of the man??

মিসেস এলিনা নাসূচক মাথা নাড়ান। সালমান ও আর কিছু বললো না। তিনি চলে গেলে সালমান খামটা খুলে দেখে কিছু ছবি সাথে একটা চিরকুট। সে ছবিগুলো দেখে মুচকি হাসে আর চিরকুট টা খুলে দেখে।

সেখানে লেখা ”Your Love”

সালমান ছবিগুলো নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেগুলো টেবিলের উপর রেখে রেডি হয়ে নাস্তা করে নে। যাওয়ার সময় ছবিগুলো কে সযত্নে কাবার্ডের মধ্যে তার সিক্রেট লক বক্সে রেখে অফ বাতন ক্লিক করে বেরিয়ে যাই।

In Bangladesh….💗




নীল নিলা নিরু তিন জন অবাক হয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। কেননা সেখানে অনেকগুলো মানুষের ভীড়। তারা নিজেদের মধ্যে তাকাতাকি করছে। আর বলছে মেয়েটা এমন কেন করলো?? এ রকম না করে পুলিশ কেস করতে পারতো।

আরেকজন বলে ::: হ্যাঁ শুধু শুধু নিজেদের জীবন হারালো।

অন্যজনে বলে :: যা হয়েছে ভালোই হয়েছে এর সাথে এমনই হওয়া উচিত। কিছু ধনীরা তো গরীব দের পাওা দে না তাই আল্লাহ এরকম করলো।

নিলা সবার কথা শুনে খুব ভয় পেয়ে যাই তার মনের মধ্যে সন্দেহের পাহাড় জমে যায়। নিরু এসব দেখলেও তেমন ব্রেনের মধ্যে ঢুকতে দে না সে ট্যাবের মধ্যে তার নিলার আর তামান্নার ছবিগুলো নিয়ে এডিটিং করতে ব্যস্ত হয়ে যায়।

নীল সবার কথা শুনে নিজের ফোন বের করে হাসপাতালে এমবুলেন্স আনার জন্যে সেখানের স্টাফদের জানায়। সে এখনো সামনে যেয়ে দেখে নি কাদের সাথে কি হলো তাও সে মনুষত্বের কাতিরে সে আগে থেকে কল করে জানায়।

নিলা নীলের কাছে এসে তার বাহুজোড়া নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরে। নীল নিলার এভাবে ধরা দেখে তার দিকে তাকায়। সে দেখে নিলা ভয়ে কাপাকাপি করছে।

নীল অবাক হয়ে জিগ্গেস করে :: কি হলো নিলা তুমি ভয় কেন পাসছো??

নিলা নীলের দিকে তাকিয়ে বলে :: জান তা…তামান্না গেলো যে এখনো আসে নি খে…খেয়াল করেছো!!! (ভয়ার্ত কণ্ঠে )

নীল নিলার কথা শুনে মনে মনে উৎজিত হয়ে ভাবে :: ওহ তাই তো সে ওয়াশরুমের দিকে গেলো এখনো ফিরে নি। কিছু হয় নি তো?? (চিন্তিত হয়ে পরে)

সে নিজের ফোন বের করে তড়িঘড়ি তামান্নার নাম্বারে কল দিয়ে কানে ফোন ধরে। অপরপাশ থেকে কলটা গিয়ে ফিরে আসছে আর বলছে জরুরি ভিওিতে তার ফোন অফড।

নীল প্রায় দুই-তিনবার কল দে তবে সেইম আনস পাই ফোন সুইসটপ। সে পীছে ঘুরে দেখে নিরু ট্যাব নিয়ে ব্যস্ত। সে গিয়ে তাসনিমকে মানে নিরুকে বলে….

নীল ::: নিরু একটা কাজ কর তাড়াতাড়ি।( উৎজিত হয়ে )

নিরু নেজের ট্যাব থেকে নজর সরিয়ে নীলের দিকে জিগ্গেস ভঙ্গিতে তাকাতেই নীল বলে::: এখনই ওয়াশরুমের দিকে যা আর তামান্নাকে নিয়ে আয়। আমি আর নিলা সামনে কি হয় ছে তা দেখতে যাচ্ছি। বুঝলি?? (চিন্তিত প্লাস ভয়ে ভয়ে)

নিরু কিছু বলতে চেয়ে ও পারলো না কেননা নীল তামান্নাকে খুজার জন্যে উৎজিত হয়ে পরছে। নীল নিলার হাত ধরে ভীড়ের দিকে আগায়।

নিরু ওদের দিকে তাকিয়ে হালকা হাসে আর নিজের ট্যাবের দিকে তাকিয়ে পিকগুলোর লাস্ট রুলটা এডিট করে ফেলে। এডিট করার মধ্যে 100% হতে হবে। সে এটি লোড করতে দিয়ে তার ফেভারিট এপ ইন্সটাগ্রামের মধ্যে ঢুকে একজন কে এসএমএস করে।

মেসেজটা অপরপাশে পৌছে যায়। মেসেজের সাউন্ড শুনে সে ওপেন করে দেখে একটা পান্সের ইমোজি। পাশের জন মুচকি হেসে নিরুকে ডেভিল স্মাইলের ইমোজি সেন্ড করে।

নিরু মেসেজটা দেখে নিজে নিজে ভেংচি মেরে ওয়াশরুমের দিকে যায়।

এ দিকে…….নীল নিলা ভীড় ঠেলে সামনে যেয়ে যা দেখে তাতে তাদের চোখ বড় বড় হয়ে যাই। কারণ এতোক্ষণ তারা মনের মধ্যে ভেবে নিয়েছিলো যে নিহত হয়েছে সে হলো তাদের তামান্না। কিন্তু না তাদের সামনে পরে আছে পাচঁজন ছেলে। তাদের চেহারা দেখতে মাদকসেবন কারিদের মতোন।

নিলা হাফঁ ছেড়ে নীলকে বলে ::: উফফ নীল আমি তো ভয়ে পেয়ে ছিলাম।

নীলও হাফঁ ছেড়ে নিলাকে দাড়াতে বলে নিহত ছেলেদের পাশের একটা গরীব বসে ছিলো। সে গিয়ে নিজের মানিব্যাগ থেকে দুইশত টাকার নোট বের করে তাকে দে আল্লাহর নামে। কেননা সে তো একপ্রকার ভয় পেয়েছিলো তামান্না কে নিয়ে।

গরীবকে টাকাটা দেওয়ার পর সে ওদের পাশ কেটে যাওয়ার সময় সে দেখে এক মেয়ে তার শরীরে হার্ফ কাপর ছেড়া। সে মেয়েটা কোনোভাবে একটা বড় উড়না নিজের শরীরের মধ্য জড়িয়ে রাখে। আর তার আশপাশের মহিলা রা তাকে সান্ত্বনা দিসছে।

সে মেয়েটার কাছে গিয়ে বলে :: বোন কি হলো তোমার?? এদের সাথে এমন কে করলো?? (সন্দেহের ভঙ্গিতে )

মেয়েটাকে ক্ষত দেখালেও তার মুখে মুচকি হাসি কেননা তার থেকে কোনো ভয়ই নেই। মেয়েটা হেসে জবাব দে ::: ভাইয়া কিছুক্ষণ আগে এই ছেলেরা আমাকে টেনে এই ( আঙুল দিয়ে ইশারা করে গলির দিকে দেখাই) খানে মুখ বেধে নিয়ে এসেছিলো আমার ইজ্জত হরণ করার জন্যে ( কান্নার ভাব এসে )।

নীল শুনে চোখমুখ লাল করে মেয়েটাকে বলে :: সরি বোন তারপর কি হলো??

মেয়েটা হেসে বলে :: ইটস ওকে ভাইয়া। জানেন ভাইয়া তখন কোথার থেকে এক ডার্ক লোক মুখ পুরো বাধা শুধু চোখজোড়া দৃশ্যমান পরণের মধ্যে পুরো কালো কালারের বড় জ্যাকেট ব্যস। তাকে দেখে বুঝাই যাচ্ছিলো না যে মেয়ে নাকি ছেলে। পুরোই কালো রঙে নিজেকে সাজিয়ে ছে।

সে এসে এই ছেলেদের বেধরম ভাবে পিটাই । উনি এদের কে মেরে এভাবে ফেলে রেখে আমাকে এই কাপরটা দে সাথে ( পকেটের মধ্যে হাত দিয়ে কিছু একটা খুজে বের করে ) এই কার্ডটা দে।

নীল উৎফুল্ল হয়ে কার্ডটা নিয়ে দেখে সেখানে নাম লেখা “”” ডার্ক মাফিয়া কুইন””।

নীল পুরো কার্ডটা ভালোভাবে দেখে নে কিন্তুু কোনো নাম্বারের মতোন কিছু পাই না। তাই সে কার্ডটা মেয়ে কে দে। তার পর বলে:: বোন তোমার এখন কিছু খাওয়া দাওয়া করা উচিত তোমার পরিবারের নাম্বার দাও আমি তাদের কল দিসছি।

মেয়েটা বলে :: আরে ভাইয়া তা করা লাগবে না কেননা আমাকে এই অাপুটা ( পাশ তাকিয়ে একজনকে দেখে) তামান্না আপুইই।

নীল তামান্না ওয়ার্ড টা শুনে সে দিকে তাকায় আর দেখে তামান্না মহিলাদের পাশ কেটে এসে ঐ মেয়েটাকে জুস আর বাগার খেতে দে। সাথে তার পরিবারকে ও ডেকে আনে। মেয়েটাকে তার পরিবারে কাছে দিয়ে তামান্না পিছে ফিরে চলে যেতে নিলেই মেয়েটা তামান্নার হাত ধরে। এতে সে থেমে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলে ::: থ্যাংকস আপু এটুকু হেল্প করার জন্য।

তামান্না উওরে শুধু মুচকি হাসি দে। পরে তারা চলে গেলে নীল দুইহাত বুকের উপর গুজে চোখজোড়া ছোট ছোট করে তামান্নার দিকে তাকায়। তামান্না পিছে ফিরে নীলকে এভাবে তাকাতে দেখে বলে….

তামান্না :: কি বাঘ দেখতেছিস যে এভাবে তাকাছিস?

নীল :: হুম বাঘ তো দেখতেছি সাথে তাকে দেখে সন্দেহ হচ্ছে !!! ( ভাবার ভঙ্গিতে )

তামান্না :: তো কি সন্দেহ আমাকে বল দেখি দূর করতে পারি কিনা?? ( জানার ভঙ্গিতে )

নীল:: ওকে তাইলে বল তো তুই তো ওয়াশরুমে গেছিলি। এখানে কিভাবে এলি??হুমম

তামান্না চোখ ঘুরিয়ে জিন্সের পকেটে হাত গুজে বলে ::তাহলে শুন আমি যখন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তোদের এখানে আসবো তখন দরজার পাশের দেওয়াল থেকে সাউন্ড শুনতে পাই। আমি গিয়ে দেখি এতো (নীলের পাশের দিকে চোখ দিয়ে ইশারা করে দেখাই) (নীল ও পিছে তাকিয়ে নিহত ছেলেদের দেখে ) তামান্না ওদের দেখিয়ে বলে :: এদের এভাবে আর মেয়েটাকে তো দেখলি ই ব্যসস।

নীল শুনে নিজের মাথা নাড়িয়ে বলে :: আরে এতোকিছু হলো এর মাঝে আমার এতো দেওয়া কলগুলো অত্যন্ত ধরতি। জানিস আমরা কতো না ভয় পেয়েছিলাম। (উদাস হয়ে )

তামান্না দুই হাত নিজের বুকের উপর গুজে বলে ::: তো কি হলো ভয় তোরা পাস আমি না (ডোন্ট কেয়ার ভাব করে)। আমি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও ভয় পাই না। গোট ইট। ( মুচকি হেসে) আর আমার মোবাইল সুইচটপ করা ছিলো অনেক আগেই মনেই ছিলো না খুলতে।

নীল তামান্নার হাসি দেখে সেও মুচকি হেসে তাকে নিয়ে চলে যায়। আর তখন এমবুলেন্সও এসে নিহত ছেলেদের নিয়ে রওনা দে।

তারপর…..

……….চলবে……..😈

[বিঃদ্র :::: নেন নেক্সট পাট দিলাম। অনেকে কমেন্টে বলে ছিলো তামান্না কি এমন দেখেছিলো আজকের পাটের তামান্নার দেখা একটা রহস্য তো বের হলো। তবে এখন আরেকটা রহস যোগ হলো 😁 মানে নিউ চরিএ ডার্ক মাফিয়া কুইন 😈 এ কে?? সেটা বের করতে হবে এখন। কোজ আমরা তো জানি মাফিয়া কিং সম্রাট একজনই। তাহলে কুইন কিভাবে আসলো। Soo guys be excited and wait for upcoming dangerous parts😉…..happy reading🙂]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here