#বসন্তের_ফুল🌺🌺
#তারিন_জান্নাত
#পার্ট৫০
গরম আজ ঢলে ঢলে পড়ছে। একটুর জন্যও বাহিরে শান্তি পাচ্ছে না কেউ। অভ্রের অবস্থাও কাহিল হয়ে গিয়েছে এ গরমে। প্রেমাদের বাড়ি থেকে খেয়ে দেয়ে বের হয়েছে। প্রেমার বাবা একমাত্র মেয়ের হবু জামাইয়ের বেশ ভালোভাবে আপায়ন করেন। খাওয়ার টেবিলে শুধু প্রেমা অবুঝ বালিকার মতো তাকিয়ে ছিলে। বিন্দু পরিমাণ ধারণাও করতে পারছেনা,কি হচ্ছে বা কি হচ্ছে না।
পিয়াস একেবারে না খেয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। প্রেমার বাবা ছেলেকে আর পশ্রয় দিবেন না বলে পণ করেন। ছেলে না খেয়ে বেড়িয়ে গেলো তাতে তাঁর কোন মাথা ব্যাথাও নেই।
বিকেল চারটা। অভ্র বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে প্রবেশ করার আগে আরিয়ান এসে অভ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়। মুখে হাসি ঝুলানো। বাঁকা হাসি।
আরিয়ানের হাসি দেখে অভ্রও একটা হাসি দেয়। যা দেখে আরিয়ান ভ্রু কুঁচকে ফেলে। অভ্রের মুখে গম্ভীরতা বদলে হাসি?
যা আরিয়ানের রাগ বেড়ে যায়। কর্কশ কন্ঠে বলে উঠে,
-‘নিজেকে বেশি চালাক মনে করিস তাই না?
আমিও তোকে ছাড়বোনা।তুই প্রতারণা করেছিস আমার সাথে।
অভ্র আরিয়ানের থেকে চোখ সরিয়ে ভেতরে তাকাল। কেউ নেই। ঘুমোচ্ছে হয়তো।এরপর অভ্র আরিয়ানের দিকে দৃষ্টি ছঁড়লো,
-আমি চালাক নাকি বোকা তার উদাহরণ নিশ্চয় এখন আর আমাকে দিতে হবে না।
আরিয়ান তেতে উঠে,
‘-অতি চালাকের গলায় দড়ি।মনে রাখিস।
অারিয়ানের কথা শুনে অভ্র মৃদু হাসে। আরিয়ানের আরো কাছে গিয়ে দাঁড়াল।
আবছা কন্ঠে বলে,
‘-ভাইয়া, এই ডাইলগটা তুমি শুনাতে শুনাতে আমার কান ব্যথা করে দিয়েছো। সে ছোটবেলায় ও আমি বুদ্ধি বের করে অন্য কৌশলে যদি কিছু করি সেটাকে তুমি অতি চালাক বলো। ‘বিকজ ইয়্যূ আর জেলাস!’
যাইহোক এসব কথা বলার সময় আমার হাতে নেই। যাকে বিয়ে করেছো তাকে নিয়ে হ্যাপি থাকো না।’
কথা শেষ করে অভ্র ভেতরে চলে আসে। সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠলেই অরির মুখোমুখি হয়। অরি একটা হাসি দেয়। অভ্র গাল বাঁকা করে অন্য দিকে ফিরে রুমে চলে যায়।
অরি মন খারাপ করে ফেলে। অভ্র হয়তো ওকেও পাপি ভাবে।যেহেতু তাদের রক্ত এক।
অভ্রকে বুঝানো দ্বায়। তবুও সে চেষ্টা করবে। থামবে না।
আরিয়ানে গা রি রি করছে রাগের কারণে।অভ্র এবং অরি দুজনের উপরেই সমান রাগ তার। বাপ পলিটিক্স করে। সে হুমকি দিয়ে বারেবারে ওকে চুপ করিয়ে রাখে।যদি সত্যিই জেলে হাওয়া খাওয়ানোর জন্য পাঠায়।বিষণ ভয়ে আছে আরিয়ান।
আরিয়ানের নীরব রাগ দেখে অরির হাসি চলে আসে। একচোট হেসে আরিয়ানের সামনে এসে দাড়াল।অরিকে দেখে আরিয়ানের বিষাক্ত নাগিন দেখার মতো অবস্থা।
– এই আমরা কয়টায় বের হবো? (অরি)
-কিসের কয়টা? (আরিয়ান)
অরি এবার দাঁত কটমট করে বলে,
-শালা, হানিমুন যাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিস?
আরিয়ান ছোটখাটো একটা হার্ট এট্যাক করে।
কথা বলার কী শ্রী। ভাবতেই কপালে ভাঁজ বসে যায়। থমথম গলায় জবাব দেয়, “রাত আট টায়। আমার কিছু কাজ আছে তাই।আর একজন বন্ধু এবং বন্ধুর বউ ও যাবে।”
অরি মাছি তাড়ানোর বান করে বলে,’ তাতে আমার কী? তুই যাচ্ছিস এটাই বড় কথা।”
পা চালিয়ে উপরে রুমে চলে যায় অরি।আরিয়ান আহাম্মকের মতো চেয়ে থাকে।বিড়বিড় করে বলে, ‘নাহ এই মেয়ের সাথে সংসার, অসম্ভব!”
অভ্র রুমে এসে গোসল করে ফেলে। এরপর দ্রুত নিজের মা-বাবার রুমের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। নক দিতেই অভ্রের বাবা দরজাটা খোলে। অভ্র প্রবেশ করতেই অভ্র জড়িয়ে ধরে।অভ্র নিজের হাতজোড়া দিয়ে আঁকড়ে ধরে।
অভ্রের বাবা অভ্রকে ছেড়ে দিয়ে বলল, ‘ব্যালকণিতে চল,তোর সাথে কথা আছে।তোম মা ওষুধ খেয়ে শুয়েছে।ঘুম ভেঙে গেলে মাথা ধরে যাবে। ‘
অভ্র মাথা ঘুড়িয়ে বিছানার দিকে তাকাল। তার মমতাময়ী মা, অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছে। তার করাণটাও সে নিজে। সব ক্ষতিই তার জন্য হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণ কী শুধু মা-বাবা ডেকে পূরণ করা যায়? অন্য কোন চাওয়া কী নেই।
নিভৃত প্রশ্ন।
অভ্র তার বাবার দিকে তাকাল। সরল চোখজোড়ায় অঢেল মমতা দেখতে পাই সে।
-চল অভ্র?
অভ্রের মৃদু হেসে ব্যালকণির দিকে পা বাড়ালো। দরজাটা চেপে দিয়ে দুজনে সোফায় বসলো। কিছু সময় দুজনে চুপ থাকে।দৃষ্টি সামনে গাছটির পাখির বাসাটির দিকে। কতো যত্নে মা পাখিটি বাচ্চাগুলো আগলে রাখছে।সব মায়েরা এমনই হয়। কিন্তু অভ্রের মা?
হঠাৎ অভ্র মাঝা ঝাঁকিয়ে সব মাথা থেকে ঝেড়ে দেয়। এরপর তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘জরুরী কথা ছিলো বলেছিলে? কী কথা এখন বলো।(অভ্র)
– ‘তোর পরীক্ষা আর কয় মাস বাকি?’
-‘ছয়মাস’ (অভ্র উত্তর দেয়)
-‘ ছয়মাস পর কী করতে হবে তোর জানা আছে তো?(অভ্রের বাবা)
অভ্র একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।সামনের দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলে, ‘মনে আছে’
অভ্রের দেখাদেখি অভ্রের বাবাও শ্বাস ছেড়ে সামনের দিকে তাকাল, এরপর বলল, ‘তবে তোর জন্য একটা খুশীর সংবাদ ও আছে’
সামনে থেকে দ্রুত চোখ সরায় অভ্র।তার বাবার দিকে প্রশ্নাত্বক দৃষ্টি ছুঁড়ে বলল, “কী”
উনি মুচকি হেসে বললেন, ‘ তুই না বললেও তোর মনের কথা আমি বুঝি অভ্র’
প্রতিউত্তরে অভ্র হাসে। আপাততে চুপ থাকতে ইচ্ছে করছে তার। মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেছে অভ্রের। বাবার মুখের উপর না বলার সাহস বা ইচ্ছে কোনটাই নেই তাঁর। আমতা আমতা করে বলল, ‘খুশীর সংবাদটা কী বাবা’
-কাল কলেজে যাবি? (অভ্রের বাবা)
অভ্র মলিন হেসে জবাবে বলে, ‘হ্যাঁ’
-বেশ! তাহলে তুই আর প্রেমা কাল কলেজ ছুটি হওয়ার পর একসাথে আমার জন্য অপেক্ষা করিস। আমি তোদের ড্রপ করতে যাবো।খুশীর সংবাদটা তোদের দুজনকে একসাথেই দিবো।
অভ্র তার বাবার কথার মানে উদ্ধার করতে পারেনি।চোখ ছোটছোট করে তাকিয়ে থাকে।ভাবে কী এমন খুশীর সংবাদ আছে।
-অভ্র,আমাকে একটা প্রমিস করতে পারবি?
অভ্র অবাক হয়ে তাঁর বাবার দিকে তাকাল।মানুষটাকে আজ কেমন অদ্ভুদ মনে হচ্ছে অভ্রের।এভাবে কখনো কথা বলতে দেখেনি সে। মৃদু স্বরে জিজ্ঞেস করে, ‘প্রমিস কেন?’
-তুই কর,তারপর বলছি।
– ঠিক আছে,বলো?
-কথা দিয়েছিস তো? সেই কথাটা আমি সময় আসলেই বলবো। প্লিজ এখন জানার চেষ্টা করিস না আমি বলতে পারবো না।
অভ্র দাঁত কড়মড় করে বলল, ‘ থাক বাবা আর কিছু বলিও না,আমিও শুনতে চাই না। যা বলার পরে বলিও আমি উঠলাম। ‘
অভ্র একপ্রকার রেগে চলে যায়। অভ্রের বাবা তাকিয়ে থাকে কিছু সময়ের জন্য।পরে নিজের সাথে নিজেই হেসে উঠলেন। ফোন হাতে নিয়ে একজনকে ফোন দেয়।
– অভ্রকে বলেছেন? (অচেনা লোক)
-হ্যাঁ আমি সব বলেছি।( বাকি কথাগুলো বলিনি,সেটা নাহয় অজানা থাকুক)। (অভ্রের বাবা)
-ঠিক আছে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবেনা। অভ্রের আর কোন ক্ষতি হতে আমি দিবো না। আমার শুধু একটা চোখ নষ্ট হয়েছে বাকি একটা এখনো ঠিক আছে, আর আমার সামর্থ এখনো আগের মতোই আছে।
অচেনা লোকটির কথাগুলো শুনে অভ্রের বাবা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললেন, ‘ আমার ছেলের জন্য আমি চিন্তার করবো না তো কে করবে?’
অভ্রের বাবার কথা শুনে রাগলেন অচেনা লোকটি। কিন্তু এ রাগের অধিকার তাঁর নেই।তাই চুপ মেরে যায়।
ফোন রেখে লোকটি পাশের রুমের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। দেখলেন নেশায় বুদ হয়ে বিছানায় এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে তাঁর স্ত্রী, এবং তিন মেয়ে। যদিও বা আদৌ তার মেয়ে কী না সন্দেহ আছে।
চোখ বুলিয়ে ডুপ্লেক্স বাড়িটির দিকে তাকালেন।
এ বাড়িটি স্ত্রী এর নামে করে দিয়েছিলে মি.আশিক। আজ সেই ভুলের মাশুল পাচ্ছেন।
-‘আর কোন পাপ নয়,’
____________________________
রাত হতেই প্রেমা অভ্রকে ফোন দেয়।বিষণ অস্থির হয়ে আছে সে। অভ্রকে এতোবার ফোন দিয়েছে অভ্র ধরেনি।কোন বিপদ হয়নি তো?
ভাবতেই শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায় প্রেমার।
বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে আছে অভ্র। দৃষ্টি ফোনের দিকে। প্রেমার ফোন ইচ্ছে করেই ধরছেনা। কী জবাব দিবে প্রেমাকে? সত্যি কথাটা প্রেমা জানলে পাগলামি শুরু করবে প্রেমা।সে ভয়ে বলতে পারছেনা।
প্রেমাকে বুঝাতে সময় লাগবে। কিন্তু সেসময় যদি প্রেমা না দেয় তাহলে?
ভুল বুঝবে ওকে,ভাবতেই অভ্রের বুক মোচড় দিয়ে উঠে। ফোনে অনবরত কল দেখে রিসিভ না করে থাকতে পারলো না অভ্র। ফোন রিসিভ করেই চুপ হয়ে যায় অভ্র।
অপরপাশে প্রেমা চেঁচিয়ে অভ্রের কান ফাটিয়ে দিচ্ছে, ‘ কোথায় তুমি অভ্র? কতবার ফোন দিয়েছি? হিসাব আছে তোমার? আমার কী চিন্তা হয় না। নাকি আমাকে এখন ভালে লাগছে না বলে এড়িয়ে যাচ্ছো? যদি সেটা হয় তাহলে তোমার ঘাড় আমি মটকে দিবো।”
প্রেমার কথা শুনে অভ্র নিঃশব্দে হাসে। নিচের ঠোঁট কাঁমড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ে। ঠোঁট ছেড়ে, মৃদু স্বরে বলল,
‘ সাহস থাকলে আসো, দেখি কে কার ঘাঁড় মটকাতে পারে।”
অভ্রের এ কথায় প্রেমা ‘থ’ মেরে যায়। গম্ভীর মুখ মুহুর্তে শিথিল হয়ে যায়। গভীর শ্বাস টেনে প্রেমা বিছানায় শুয়ে বলে, ‘তোমাকে মিস করছি বিষণ ‘
অভ্র একচোট হেসে বলল, ‘ কাল কলেজে এসো,আমিও যাবো। ‘
অভ্রের কথায় প্রেমা গাল ফুলিয়ে বলে,’আমি কী বলেছি শুনোনি?’
অভ্র হেসে বলে,’শুনিনি আবার বলো’
প্রেমা কপট রেগে, ‘ধূর’ বলে ফোনের লাইনটা কেটে দেয়। প্রেমার কান্ডে অভ্র হাসে। পরমুহূর্তে চোখমুখ আঁধারে ঢেকে যায়। বিষন্ন মন নিয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। কিন্তু ছটপটানি থামাতে পারেনি।
_____________________
পরেরদিন সকালে,
অভ্র বাইকে বসে ফোন স্ক্যান করছে। চোখেমুখে বিরক্তি। গেম খেলেও শান্তি পাচ্ছে না।তাই এখন প্রেমার ছবিগুলো দেখছে। সত্যিই এখন আর এক বিন্দু পরিমাণ বিরক্তিও অভ্রের চোখে মুখে দেখা যাচ্ছে।
গেইট খোলার শব্দে মাথা তুলল অভ্র। চোখ থমকে যায় সাময়িক সময়ের জন্য। অনড় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে প্রেমার দিকে। প্রেমা এসে অভ্রের সামনে দাঁড়িয়ে যায়।অভ্রের হাত ধরে বাইক থেকে নামিয়ে দেয়। তাতে অভ্র ভ্রু কুঁচকে করে তাকাল। প্রেমার মুখ ভালো করে দর্শন করে। অভ্র এবার বুঝতে পারে প্রেমা এখনো অভিমাণ করে গাল ফুঁলিয়ে রেখেছে।
মিষ্টি লাগছে। অভ্র মৃদু শব্দে বলল।
প্রেমা শুনেও না শুনার বান করে। অভ্র আশেপাশে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিলো।
এরপর প্রেমার হাত ধরে বলল,’ অভিমাণ মুখ ফুলিয়ে রেখেছো মানলাম।কিন্তু আমি চাই তুমি অভিযোগ করো। তুমি চুপ থাকলে যে আমার চুপ থাকতে ইচ্ছে করে না।’
শেষের কথাটা বেশ নরম স্বরে বলল।
প্রেমা ঠোঁট বাঁকিয়ে অভ্রের বুকে আলতো করে থাপ্পর মারে, ‘ তুমি খারাপ,বেশি খারাপ!’
-আমি খারাপ? কী খারাবি করলাম?
প্রেমা নাক ছিঁটকে বলল, ‘অভিযোগ করলাম,তোমার প্রশ্ন তোমার কাছেই রাখো।’
অভ্র হালকা হেসে বাইকে উঠে বসে।বাইক চালিয়ে রওনা দেয় কলেজের উদ্দেশ্য!
_______________
অভ্র আর প্রেমার ক্লাস শেষ হয়ে যায়।অভ্র বাইকটা সাইকানকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
গেইটের সামনে আসতেই অভ্র তার বাবাকে দেখতে পায়। প্রেমার সাথে টুকটাক কথা বলতে বলে গাড়িতে উঠে।
-অভ্র আমরা কোথায় যাচ্ছি।
অভ্র তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,’জানিনা’
একঘন্টা পর তারা একটা জায়গা এসে পৌঁছায়। আশেপাশে অনেকগুলো শপিংমল রয়েছে। শপিংমল এর পাশ দিয়ে ছোট একটা রাস্তা দিয়ে তারা ভেতরে ঢোকে। সেখানে একটা অফিস দেখা যায়। প্রেমার বাবা সেখানে দাঁড়ানো। প্রেমা তার বাবাকে দেখে খানিকটা চমকে যায়। অভ্র প্রেমার বাবার সাথে কুশলাদি করে।এতক্ষণ বুঝতে না পারলেও এখন অভ্র বুঝতে পারে কোথায় এসেছে।কিন্তু সেখানে প্রেমার কী দরকার ভেবে পায় না সে।
অফিসটির দ্বিতীয় তলায় যায়।
মাঝপথে অভ্র থেমে তাঁর বাবাকে জিজ্ঞেস করে, ‘ এখানে কেন এসেছি?
উনি মৃদু হেসে বললেন, ‘তোদের পাসপোর্ট বানাতে।’
মুহুর্তে প্রেমা আর অভ্র দুজনে চমকে যায়। অভ্র কিঞ্চিৎ বুঝতে পারলেও এখনো পুরো ব্যপারটা ধোয়ায়া ওর কাছে। তাই জিজ্ঞেস করে, ‘আমাদের মানে?’
তখনি প্রেমার বাবা বলে উঠে, ‘তোমার আর প্রেমার। কেন সেটা তো তোমার বাবা বলেছে!
অভ্র কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে,আবার উচ্চস্বরে বলে উঠে, ‘কী?’
তখনি তার বাবা এবং প্রেমার বাবা হেসে উঠলেন। অভ্রকে সত্যিই চমকে দিয়েছে। সে এমনটা স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। এ মুহুর্তের কথাটা অভ্রের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।
পরে ভাবে।তাহলে এটাই খুশীর সংবাদ ছিলো।আনন্দে আপ্লুত হয়ে অভ্র তার বাবাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে।
-‘ শর্তে এটা কিন্তু ছিলো না, নতুন শক্ত যুক্ত করলাম।কেমন লেগেছে বল?’
অভ্র হাসে। এরপর প্রেমার দিকে দৃষ্টি ছুঁড়লো।
বেচারির মাথায় সব গোল খাচ্ছে।কিছুই বুঝতে পারছেনা।অভ্রের চোখাচোখি হতেই, প্রেমা ঠোঁট আলগা করে কিছু বলার জন্য, তখনি অভ্র বলে উঠে, ‘তোমাকে পরে সব বুঝাবো। আগে চলো’
.
.
.
.
(চলবে)
বাকি দুয়েক বা তিন পর্বে শেষ করে দিবো ইনশাআল্লাহ!
রিভিশন দেওয়া হয়নি, Tarin Jannat