অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা #The_Mysterious_Love #আনিশা_সাবিহা পর্ব ১৮

0
467

#অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা
#The_Mysterious_Love
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১৮
অন্ধকার ঘর। কাদের যেন চাপা আর্তনাদ ভেসে আসছে এই চারদেয়ালে বন্দি ঘরের ভেতর থেকে। ঘরের ভেতর সামান্য আলো বা বাতাস ঢোকার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। এই অন্ধকার এবং দমবন্ধকর পরিবেশে যে দুটো প্রাণ এখনো নিস্তেজ হয়ে বেঁচে আছে সেটাই বোধহয় অনেক।
হঠাৎ দুজনের চোখে আলো পড়ায় চোখ বন্ধ করে ঝিমানো দুজন ব্যক্তির চোখসহ কপাল কুঁচকে ফেলে। আলোর থেকে নিজেকে বাঁচানোর বৃথা চেষ্টা করে। কিন্তু বেঁধে রাখা চেয়ারের থেকে এক চুলও নড়তে পারে না। মুখে বাঁধা লাল কাপড় তাদের কিছু বলতে দিচ্ছে না। অন্ধকারে থাকতে থাকতে তাদের জীবনটা পুরো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। আলোকে ভয় পায় তারা। তবুও বসে আছে কারো আশায়। দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন শয়তান ওয়ারওল্ফ রাজ্যের কিং যে অরুণের বাবা। তার মুখে শয়তান মার্কা হাসি দেখে পিটপিট করে তাকায় বন্দি থাকা মহিলা এবং লোকটি। কিং অলক এগিয়ে আসেন তাদের দিকে। দাঁড়িয়ে একটু ঝুঁকে তাদের মাঝে লোকটির মুখে গুঁজে থাকা কাপড় নিচে টেনে দেন।

বন্দি থাকা লোকটি হিসহিসিয়ে বলে ওঠে…..
–“কেন এসেছো এই ঘরে? এতগুলো বছর বন্দি রাখলে। এখন বন্দি আছি চুপচাপ তাতেও শান্তি হচ্ছে না?”
–“বন্দি রাখতে চাইনি তো তোমাদের। অযথা তোমরাই তোমাদের আদরের মেয়েদের জন্য এতোটা কষ্ট করে নিজেরা বন্দি হয়ে থেকেছো। তোমরা যদি তোমাদের মেয়েকে আমার হাতে প্রথমেই তুলে দিতে তোমাদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতাম। থাকতে হত না আমার এই অন্ধকার রাজ্যে।”
দাঁতে দাঁত পিষে কথাটা বলে ওঠেন কিং অলক। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করে লোকটি আবারও চেঁচিয়ে বলে ওঠে…..
–“তোমার মতো সবাই নির্দয় নয়। যাকে আমরা জন্ম দিয়েছি তাকে যদি নিরাপত্তা না দিতে পারি কীসের মা-বাবা আমরা? আজ ২২ বছর হতে চলল। আজও আমাদের মেয়েকে পাওনি আর আমরাও বেঁচে আছি। আমাদের মেয়েকে তোমরা পাবেও না কখনো।”
কিং অলক উম্মাদের মতো হাসেন। সামনে বসে থাকা লোকটির কথাগুলো বছরের সেরা কৌতুক লেগেছে তার কাছে।

হাসি দেখে লোকটি আর মহিলাটি দুজন দুজনের দিকে তাকাতাকি করতে থাকে। মহিলাটি ছটফট করতে থাকে কথা বলার জন্য। মুখে কাপড় থাকায় কথাগুলো মুখ ফুটে বলতে পারছে না সে।
–“শয়তানের রাজা আমি। আমার ক্ষেত্রে কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। হ্যাঁ তোমাদের মেয়েকে খুঁজে বের করতে আমার সময় লেগেছে ঠিকই। কিন্তু অবশেষে খোঁজ পেয়েই গেছি। খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের মেয়ের লাশ পড়ে যাবে।”
বন্দি থাকা লোকটি কিছু বলার আগেই তার মুখের বাঁধন শক্ত করে বেঁধে দিয়ে হনহন করে বেরিয়ে যায় কিং অলক। বন্ধ করে দেয় দরজা। আবারও অন্ধকারে ঢেকে যায় দুটো প্রাণের চিহ্ন। নিজের মেয়ের কথা ভেবে চোখের কোণা দিয়ে পানি পড়ে যায় মহিলাটির। কারো জানা নেই সামনে কি হতে চলেছে। অন্য সন্তানের মতো ১০ মাস ১০ দিন পেটে না ধরলেও ৫ মাস ৫ দিন তো পেটে ধরেছে নিজের মেয়েকে। সেই মেয়ের বিপদের কথা শুনে চিৎকার করে কাঁদতে চাইছে সেই মহিলা। কিন্তু আজ সে নিরুপায়।

নদীর পাড়ে এসে থামে অনুভবের সাদা গাড়িটা। সামনের লাইট টি ওন করতেই সামনে গাছপালায় ঘেরা আচ্ছাদনের রাস্তা দেখা যায়। সেদিকে আর এগোবে না অনুভব। রাস্তার ডান পাশে অনেক নিচুতে বেয়ে গেছে নদী। ঘাড় ঘুড়িয়ে নিজের বাম দিকে তাকিয়ে নরম সুরে যেই বলে ওঠে….
–“মাধু….”
কথাটা সম্পূর্ণ না করে মুখের ভেতরে কথা জমা রাখে। কারণ মাধুর্য ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। চোখ বুজে জানালার সাথে মাথা লাগিয়ে আছে সে। আলতো করে মাধুর্যের হাত ধরে একটু টান দিতেই মাধুর্য ঢোল দিয়ে অনুভবের কাঁধে এসে পড়ে। বাম হাত দিয়ে অনুভব তার মাথা কাঁধের সঙ্গে চেপে ধরে। অন্য হাত দিয়ে জানালা খোলে আস্তে আস্তে। হিমেল বাতাসে শিহরণ খেলে যায় অনুভব ও ঘুমন্ত মাধুর্যের শরীরের কোণে কোণে। নদীর কাছাকাছি থাকা বাতাসগুলো একটু অন্যরকম প্রাণবন্তই হয়। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় মাধুর্যের চুলগুলো এলোমেলো করে উড়ে গিয়ে অনুভবের চোখেমুখে আঁচড়ে পড়ে। এক ফোঁটাও বিরক্ত হয় না সে। বরণ আবেশে কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ রাখে।

যখন সে তার চোখ খোলে তখন মাধুর্য নড়েচড়ে ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে উঠে বসে। চোখ কচলাতে কচলাতে বলে….
–“মা-বাবা!”
অনুভব খানিকটা বিচলিত হয়ে তাকায়। মাধুর্য যখন অনুভবকে দেখে মূহুর্তেই শান্ত হয়ে যায় সে। মলিন হয়ে ওঠে তার মুখ। অনুভব বিমূঢ় হয়ে প্রশ্ন করে….
–“এনি প্রবলেম?”
–“না। হঠাৎ মা-বাবার কথা মনে পড়ল। মনে হলো, তারা ভালো নেই।”
ভাবলেশহীন হয়ে জবাব দেয় মাধুর্য। অনুভব আর সেই বিষয়ে এগোয় না। কারণ সে জানে, মাধুর্যের মা-বাবা নেই। এখন তাকে মা-বাবার কথা বলে মনটা আরো বিষন্ন করে তুলতে চায় না। গাড়ির দরজা খুলে মাধুর্যের কাছে এসে ওর কাছের দরজারটাও খুলে দিয়ে অনুভব ওর চোখজোড়ার ওপর হাত রাখে। হকচকিয়ে উঠে অনুভবের হাতের ওপর হাত রাখে মাধুর্য।
–“কি করছেন?”
–“হুঁশশ…। বিশ্বাস করে যখন এতোখানি এসেছো। তখন আরেকটু বিশ্বাস করে গন্তব্য পর্যন্ত চলো।”

মাধুর্য আর বারণ করতে পারে না। সম্মতি দেয় হালকা মাথা দুলিয়ে। অনুভবকে অনুসরণ করে আস্তেধীরে পায়ের ধাপ ফেলে হাঁটতে থাকে সে। ও বুঝতে পারে সে নিচের দিকে কোথাও যাচ্ছে। হালকা ভয় তার মনে ভর করলে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে অনুভবের ব্লেজার। বিষয়টাতে নিঃশব্দে হাসে অনুভব। একসময় এসে ওদের দুজনেরই চলা থামে। মাধুর্যের চোখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে নিলে চোখ খুলে তাকায় সে। নিজেকে এক অন্য দুনিয়ায় আবিষ্কার করে। অজান্তেই হা হয়ে যায় তার মুখ। তার অস্বাভাবিক বড় বড় চোখজোড়া আরো বড় বড় করে ফেলে। চোখেমুখে ফুটে ওঠে এক আনন্দের ঝিলিক। সামনেই নদী। আর মাধুর্য ও অনুভব দাঁড়িয়ে আছে নদীর পাড়ে। যেখানে গাছপালা আর ঘাসে ভর্তি। চারিপাশে জুড়ে বসেছে জোনাকির মেলা। টিমটিম করে জ্বলছে জোনাকিরা। তারা এই প্রকৃতির রূপকে আরো কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। মাধুর্য হাত বাড়িয়ে বাড়িয়ে জোনাকি ধরতে চায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়। তাতে আরো হাসি ফুটে ওঠে মুখে।
বুকে হাত গুটিয়ে রেখে অনুভব দেখতে ব্যস্ত এই প্রকৃতির মাঝে মাধুর্যের মাধুরি মিশে প্রকৃতি আরো সুন্দরতম হয়ে উঠেছে।

–“কত সুন্দর চারিপাশটা। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এর আগে আমি কখনো দেখিনি।”
মুগ্ধতার সাথে বলে ওঠে মাধুর্য। অনুভব মুচকি হেসে বলে….
–“ভালো লেগেছে?”
–“খুব।”
ছোট্ট করে ব্যস্ততার সঙ্গে বলেই মাধুর্য জোনাকি ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এটাই যেন তার একমাত্র কাজ। এদিক ওদিক হন্তদন্ত হয়ে হাত নাড়াতে থাকে সে। না পেরে মিনিট দুয়েক পরই ক্লান্ত হয়ে কোমড় ধরে ঠোঁট কামড়ে জোনাকি পোকার দিকে তাকায়। জোনাকি পোকারাও যেন আজ মাধুর্যকে দেখে হাসছে! তখনই মাধুর্য খেয়াল করে ওর কাঁধে একটা জোনাকি। একটু একটু করে তাকায় সে। নিজের চকচকে চিকন দাঁত বের করে হেসে আঙ্গুল দিয়ে আলতো ছোঁয়া দিতেই উড়ে যায় সেটা। খিলখিল করে হেসে ওঠে মাধুর্য। প্রকৃতির সঙ্গে মজে উঠেছে মেয়েটা। হাসি শেষে অনুভবের দিকে তাকাতেই অনুভবের স্নিগ্ধমাখা চাহনি দেখে মিইয়ে পড়ে সে। মাধুর্যের পেছনে এসে দাঁড়ায় অনুভব। পলকহীন দৃষ্টিতে দেখতে থাকে মাধুর্য লোকটার কর্মকান্ড।

মাধুর্যের দুটো হাতের নিচে হাত রেখে ওর হাত দুটো উঠিয়ে মুঠো করায় অনুভব। দুজনের মুঠো করা হাতের মাঝে এসে উড়তে থাকে জোনাকি পোকা। যেন জোনাকি টাও খুশি দুটো ভালোবাসার মানুষের হাতের বন্ধনে আসতে পেরে।
–“আচ্ছা, এখানে নিয়ে আসার কোনো বিশেষ কারণ কি আছে?”
জোনাকি পোকাকে সেভাবেই আগলে রেখে কথাটা বলে মাধুর্য। অনুভব মাধুর্যের কাঁধে থুঁতনি রেখে বাঁকা চোখে তার প্রেয়সীকে দেখে চলেছিল। তারই কন্ঠে অনুভবের দেখাতে ঘটে ব্যাঘাত। সে আনমনে বলে ওঠে….
–“হুমম তা অবশ্য আছে।”
–“কি কারণ?” (প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
–“সেটা তো আমার থেকে তুমি ভালো জানো।”
ঘাড় বাঁকিয়ে বিস্ময়সূচক দৃষ্টিতে তাকায় মাধুর্য। হতভম্ব হয়ে কথা আওড়ায়….
–“আমি?”
–“হুমম তুমি।”
অনুভবের রহস্যজনক কথাগুলোর রহস্য উদ্ঘাটন করতে মগ্ন হয়ে পড়ে মাধুর্য। তৎক্ষনাৎ উড়িয়ে দেয় অনুভব হাত নাড়িয়ে জোনাকি পোকা। রহস্য উদ্ঘাটনের ক্ষেত্রে হার মেনে নদীর কাছে চলে যায় মেয়েটি। একদম পাড়ে নদীর হারহিম করা পানিতে পা ডুবিয়ে বসে পড়ে সে।

মুহূর্তের মাঝে পৌঁছে যায় অনুভব নিজেও। ধপ করে বসে পড়ে মাধুর্যের পাশে। পা ডুবিয়ে দেয় পানিতে। পানির শব্দে মুখরিত হয়ে পড়ে আশেপাশের পরিবেশ। থৈ থৈ করে ওঠে চারিদিকে। ফোনটা পকেট থেকে বের করে সময়টা দেখে নেয় অনুভব। ১১ টা বেজে ৪৬ মিনিট। আবারও পকেটে রেখে দেয় ফোনটা। তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। ইচ্ছে করে পা পানির মাঝে নাড়িয়ে লাগিয়ে দেয় মাধুর্যের পায়ের সঙ্গে। চমকে উঠে একটা শুকনো ঢক গিলে লাজুক চোখে তাকায় মাধুর্য। পা সরিয়ে নিয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস ছাড়তে থাকে। আবারও অনুভবের পা গিয়ে ঠেকে মাধুর্যের সঙ্গে। প্রথমে বুঝতে পা পারলে পরে বুঝতে পারে এটা অনুভব ইচ্ছে করে করছে। চোখ ছোট ছোট করে মাধুর্য নিজের পায়ের নখ অনুভবের পায়ের একটু ওপরে বসিয়ে দিতেই চকিতে তাকায় অনুভব। মাধুর্য মিটিমিটি হাসে।
–“এই, এটা কি হলো?”
অনুভবের প্রশ্নে মাধুর্য না জানার ভান করে চমকে ওঠার ভান করে বলে…..
–“কি হলো?”
–“তুমি কি করলে?”
–“কি করলাম?”
তার হাসি দেখে অনুভব আগের মতো শান্ত হয়ে পা সরিয়ে মাধুর্যের পায়ে স্লাইড করতে থাকে। এবার মাধুর্য পুরোপুরি দমে গিয়ে মাথা নুইয়ে বসে থাকে।

একটু পরেই উঠে দাঁড়ায় অনুভব। পা ঝেড়ে মাধুর্যের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় সে। তাকে ধরেই উঠে দাঁড়ায় মাধুর্য। আরো কয়েক ধাপ হেঁটে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় অনুভব। ইশারা করে আকাশের দিকে তাকাতে। মাধুর্য ভ্রু কুঁচকে আকাশের দিকে তাকায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশে জ্বলজ্বল করে ওঠে কিছু একটা। লিখা ভেসে ওঠে বড় বড় করে। সেখানে লিখা ‘Happy Birthday Madhurjo’। মুখে হাত দিয়ে হতবাক হয়ে দেখে দৃশ্যটা। একবার আকাশে তাকায় তো একবার অনুভবের দিকে। গাছে ঠেস দিয়ে এক পা সামনে ঠেলে পকেটে দুই হাত গুঁজে অনুভব চোখ বুজে বলে…..
–“বাবাহ, তোমার জন্মদিন আজ? জানতাম না তো।”
এবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় মাধুর্য। ভার গলায় বলে….
–“নিজে এসব কিছু করে না জানার ভান করছেন? উহু…এক্টিং এ আপনি বেজায় কাঁচা বুঝলেন?”
–“তাই? তাহলে কোনটা ভালো?”
জানতে চায় অনুভব। মাধুর্য কিছুক্ষণ ভেবে বলে ওঠে….
–“ভাইলেন। আপনি যখন সেদিন ভাইলেন এ সুর তুলছিলেন সেদিন অন্য দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। ওই সুর টা আমাকে গ্রাস করে ফেলছিল।”

–“আবারও শুনতে চাও ভাইলেনের সেই সুর?”
প্রকট হয়ে তাকায় মাধুর্য। তার চোখে রাজ্যের বিস্ময়। অনুভব কিছু না বলেই দ্রুত চলে গেল কোথাও। গাছে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই আবারও দেখা যায় অনুভবকে। ওর হাতে ভাইলেন।
–“এটা কোথায় পেলেন আপনি? এই সময়।”
আলতো হেসে হেঁটে এসে মাধুর্যের হাতে ধরিয়ে দেয় ভাইলেন টা অনুভব।
–“আমার গাড়িতেই ছিল।”
মাধুর্য নেড়েচেড়ে দেখতে থাকে ভাইলেন টা। অনুভব পেছন থেকে মাধুর্যের দুই হাত ধরে বলে…..
–“চলো আজ তুমিও বাজাও ভাইলেন আমার সঙ্গে। আগে যেমন বাজাতে।”
বিস্ফোরিত নয়নে তাকায় মাধুর্য।
–“মানে?”
–“মানে তো অনেক কিছুই। কিছু জিনিসের মানে সবসময় জানতে নেই। সময় বলে দেয় কিছু জিনিসের মানে। এখন চোখ বন্ধ করো।”
কথা না বাড়িয়ে আবেশে চোখ বন্ধ করে মাধুর্য। তারা দুজন একই ভাইলেনে সুর তুলতে থাকে। মাধুর্যের হাতে অনুভবের হাত। সুরে সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে তাদের রাত। এই সুরে খুঁজে পায় তারা অন্যরকম ভালোবাসা।

চলবে…..🍀🍀
বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here