পর্বঃ১৬+১৭
#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ১৬
রাজ তার মায়াপরী কে এই প্রথম নিজের হাতে ভালোবেসে খুব যত্নে খায়িয়ে দিচ্ছে।
এই ভাবে রাজ আর কোনো দিন তাকে খায়িয়ে দেয় নি। সেদিন তো রাগে রানির মুখ চেঁপে ধরে সে জুর করে খায়িয়ে দিয়েছিল। আজ তো আর তেমন কিছু হচ্ছে না। রানিরও এতে সম্মতি দিচ্ছে। তাই রাজের খুশি টা দ্বিগুণ বেড়ে গেল।
রানি রাজের হাতে খাচ্ছে। আর রাজ তা দেখে চোখের পিপাসা দূর করছে।
– তুমি গিয়ে শুয়ে পড়ো।
– হুম। কিন্তু এই গুলি ঠিক করবে….
– চিন্তা নেই, তোমার করতে হবে না। আমি করে নিব।
রানি আর কথা না বলে চলে গেল সেখান থেকে।
রাজ খেয়ে সব ঠিক করে রুমে গেল। গিয়ে দেখে রানি জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে।
রাজ টুক করেই রানির কাছে গিয়ে ওর কোমরের দুপাশে নিজের হাত রাখল।
রানি অনেকটা বিরক্ত ভরা কন্ঠে বলে উঠল,
– ছাড়ুন আমাকে।
রাজ তার মুখটা রানির ঘাড়ের উপর রেখে জবাব দিল।
– না।
– আপনাকে ছাড়তে বলেছি আমি।
– বললাম তো ছাড়ব না। না ছাড়লে কি করবে?
রানি আর কোনো কথা না বলেই রাজের হাতটা রাগে ছাড়িয়ে নিল। দূরে গিয়ে বলল,
– যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন নাকি আপনি?
– হ্যাঁ। ঠিক তাই।
রানি আর কিছু না বলেই দৌড়ে পাশের রুমে চলে গেল। যেই দরজা আটকাতে যাবে রাজ তুফানের মতো চলে এসে দরজা ধরল।
– রানি দরজা আটকাবে না। না করছি আমি।
– আপনি সরে যান। আমি দরজা লাগাব। জুর খাটাবেন না।
– কি মনে করেছো? দরজার ওপাড়ে গেলেই আমার দেখে মুক্তি পেয়ে যাবে? না রানি।
-…..
– রানি দরজা টা লাগিও না। মানা করছি আমি। দেখো আমি চাইলেই এই অর্ধেক বন্ধ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলতে পারি। কিন্তু আমি তা চাইছি না। এটা করলে তুমি ব্যথা পাবে। রানি দরজাটা খুলো।
“তুমি ব্যথা পাবে” কথাটা শুনেই রানি কেমন যেন একটা থমকে গেল।
রাজ হুট করেই দরজা খুলে ফেলল। গিয়ে রানির হাত টা একটু শক্ত করেই চেঁপে ধরল। চোখ দুটিও কেমন লাল হয়ে আসছে। রানি জানে ব্যক্তি টা রেগে গেলে চোখ দুটি লালা হয়ে যায়। তার এমন কাজে হয়তো এখন রাজ রেগে উঠেছে।
রাজ রানি কে ঘুরিয়ে তাকে দরজার সাথে চেঁপে ধরল।
– রানি। এই সামান্য দরজা তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে নিতে পারবে মা। কোন দিন না। দরজার ওপাড়ে আমি তোমাকে যেতে দিব না। তোমাকে আল্লাহর রহমতে যখন পেয়েই গেছি আর দূরে যেতে দিব না। কক্ষনই না আমার কথা গুলি শুনো, দেখবে তোমাকে আমি খুব সুখে রাখব।
রানি রাজ কে সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিল। রাজ একটু বেতাল হয়ে গেল। পড়ে যেতে চেয়েও সামলে নিল নিজেকে।
– কাকে ভালোবাসব আমি? আপনাকে? আপনার মতো একটা গুণ্ডা কে? যে কিনা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ কে নির্দয়ের মতো মারে? কাকে ভালেবাসব আমি? আমি আপনাকে কোনদিন ভালোবাসতে পারব না। আমি আপনাকে ঘৃণা করি। আপনার মতো গুণ্ডা কে আমি ভালোবাসতে পারব না। আপনি একটা গুন…….
– রানিই। চুপ রানি একদম চুপ। আর একটা কথাও না। এই নিয়ে আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না। আমি বাধ্য নই কিন্তু। চুপ করে ঘুমাতে চলো।
– না। আমি এই ঘরে থাকব। আপনার থেকে দরজার ওপাড়ে।
– তা কখনোই হবে না রাগপরী।
রানি কে টানতে টানতে রাজ নিজের রুমে নিয়ে গেল।
– শুয়ে পড়ো।
– আমি পরে ঘুমাব। আপনি শুয়ে পড়ুন।
– আমি কি বোকা নাকি? তুমি আগে শুবে পরে আমি।
– না।
– যা বলছি তা করো।
রানি চলে যেতে নিলেই রাজ এক ধাক্কা দিয়ে রানি কে বিছানার উপর ফেলে দিল।
রানির উপর একটু ঝুঁকে পড়ল সে।
– কি মনে হয় তোমার? রানি এটা কখনো হবে যে তুমি আমার কাছে, এক বাড়ি তে থেকে দরজার ওপাড়ে ঘুমাবে। রানি বিশ্বাস করো আমি তা পারি না। তোমার সাথে ঘুমালে আমার শান্তি লাগে। মনে হয় এক শান্তির দুনিয়ার আছি আমি। আর তোমার থেকে দূরে থাকলে বুকের ভিতরে চিনচিন ব্যথা হয়। খুব কষ্ট লাগে। রানি প্লিজ আমার কাছ থেকে নিজেকে দূরে রেখো না। প্লিজ রানি।
রানি আর কিছু না বলে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। রাজও রানির পাশে শুয়ে পড়ল।
রানির চিন্তার ঘোর যেন কাটতে চাইছে না কি করবে? কোন রাজ টা আসল? সেই দিনের হিংস্র ভাবে মারা মানুষ টা? নাকি একটু আগের কথা গুলি বলা মানুষটা? রানির মনে হচ্ছে কোন এক অতল সাগরে ভাসছে সে। কোন দিকে যাবে বুঝে উঠতে পারছে না। এমন কেন করছে আল্লাহ তার সাথে? রানি আর পারছে না। ভাবতেও পারছে না তার কি করা উচিৎ।
সকালে,,
রানির আগে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে, ৫.৪০ বাজে। এত তারাতরি ঘুম ভেঙ্গে গেল? অনেক রাতে কখন চোখ লেগেছে জানে না সে। সে রাতে ঘুমিয়েছে নাকি ঘুমায়ই নি?
রানি আর কিছু না চিন্তা করে উঠার জন্যে নড়েচড়ে উঠল।
কিন্তু সে তো উঠতে পারছে না। কিছু একটা যেন তাকে আটকে রেখেছে। রানি তাকিয়ে দেখে রাজের এক হাত তার উপরে। পাশ ফিরতেই দেখতে পেল রাজের ঘুমন্ত মুখটা। রানির খুব কাছেই রয়েছে মুখটা। কতটা স্নিগ্ধ মনে হচ্ছে মুখটা। যেন রাগের বিন্দু মাত্র বালাই নেই। রানি একবার চোখ বন্ধ করে রাজের মুখে রাত রাখল। নিজের ঠোঁট গুলি যেন রাজের কপাল বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজের গরম নিশ্বাস টা হঠাৎ রানির মুখে পড়তেই যেন তার ঘোর কেটে গেল। চোখ গুলি খুলে দিল রানি।
রানি ভাবছে কি করতে যাচ্ছিল সে? সে রাজের হাতটা আস্তে করে নিজের উপর থেকে সরিয়ে দিল।
হঠাৎ রাজ আবার রানি কে জড়িয়ে নিল। রানি বিছানায় পড়ে গেল। তারপরেও সে নিজে কে আস্তে আস্তে রাজের বাহুডোর থেকে ছাড়িয়ে উঠে গেল।
ওয়াশরুম থেকে ওযু করে বেড়িয়ে এলো।
ঘরে এসে জায়নামাজ খুঁজতে লাগল। কোথাও আছে কিনা তাও তো জানে না সে। কি আর করার? একটা মাদুর বিছিয়ে নামাজে বসে পড়ল।
নামাজ শেষে দোয়া করতে লাগল।
– আল্লাহ এ কোন পরীক্ষা করতে লাগলে আমায়? আমার মতো এত অবুঝ বান্দার সাথে এমন করো না তুমি। তোমার এই নিয়তির খেলা যে এই অবুঝ ব্যক্তি বুঝবে না। আল্লাহ এই বিপদ থেকে তুমি তোমার পাপী বান্দা কে উদ্ধার করো। পথ দেখাও আমার।
আমি যে আর পারছি না আল্লাহ। কি হচ্ছে আমার সাথে? বাবা আমাকে ভুল বুঝে তাড়িয়ে দিল। উনিও আমার সাথে যা তা করে। জানি উনার রাগ বেশি। কিন্তু সেদিন ওই ভাবে লোক গুলিকে কেন মারছিল? আর যাই হোক একটা গুণ্ডা লোক কে নিজের স্বামী মানতে পারছি না আল্লাহ। আবার মাঝে মাঝে উনার আচরণে মনে হচ্ছে উনি আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি উনার আচরণে বুঝে উঠতে পারছি না কোন উনি টা সত্য। আল্লাহ এত কিছুর পরেও উনার প্রতি একটা অদ্ভুত টান অনুভব হয় আমার। আল্লাহ উনার জন্যে আমার কিসের এতো মায়াটান? আল্লাহ আমাকে সত্যটা বুঝতে সাহায্য করো। আমাকে তুমি দয়া করে সত্যের পথটা দেখাও।
আমিন।
মোনাজাত শেষ করে রানি বেলকুনিতে গেল। সেখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাবনার জগতে পাড়ি জমাল।
ভোরের পাখি কিচিরমিচির করে ডাকছে। সূর্যটা আস্তে করে উদয় হচ্ছে। তার আলো তে দুনিয়াটা আলোকিত করে দিতে লাগল। হাল্কা বাতাস এসে তার চুল গুলি এলোমেলো করে দিয়ে যাচ্ছে। বেশ সুন্দর একটা পরিবেশ। মন ভালো করার মতো আবহাওয়া।
রানি ভাবছে, মানুষটা এই একটা কাজ বেশ ভালোই করেছে। বাড়িটা বেশ সুন্দর একটা জায়গায়।
কোলাহল মুক্ত একটা জায়গা। চারপাশটায় অনেক গাছপালা। মনে হয় একটা জঙ্গলে বাড়িটা। চারপাশের গাছপালা যেন বাড়ি টা কে আবদ্ধ করে রেখেছে। অনেক টা আগলে রাখার মতো।
এমন সুন্দর একটা পরিবেশ তারউপর আজ অনেক দিন পর নামাজ পরেছে। আজ দিনটার শুরু টাও দেখতে পারছে। মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠল তার। মন ভালো হওয়ার জন্যে এর থেকেও বেশি কিছু মনে হয় আর দরকার নেই।
রানি মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে রান্নাঘরে চলে গেল।
#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ১৭
রাজ ঘুম থেকে উঠে রানি কে পাশে দেখতে পেলো না। রান্নাঘরের বাসনপত্রের শব্দ শুনে সে ভালো করেই বুঝতে পারল রানি রান্নাঘরে আছে।
রাজ ফ্রেশ হয়ে বেলকুনিতে গেল।
এদিকে রানি এসে দেখে বিছানা খালি। বেলকুনিতে উঁকি দিয়ে দেখতে পেল রাজ সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
– আপনার কফি।
– এখানে নিয়ে এসো।
-…. (একটা মুখ ভেংচি দিল)
– নিন।
রাজ তার হাতটা ধরল।
– হাত ধরলেন কেন? কফিটা নিন আর ছাড়ুন।
– কেন?
– কেন মানে?
– মানে ছাড়ব কেন?
– আমি বললাম তাই।
– তুমি বললেই শুনতে হবে কেন?
– মানে কি? আপনি আমার হাতটা ছাড়ুন। হাত ছাড়ুন বলছি।
– না ছাড়ব না। (মুচকি হেসে)
– আপনি আমার হাত ধরবেন কেন? যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন নাকি? (অনেকটা বিরক্তি নিয়ে কথাটা বলল)
এবার রাজ তার হাতটা দরে বেলকুনির রেলিং এর সাথে প্রায় ধাক্কা দিয়ে চেঁপে ধরল।
– আমার যখন যা ইচ্ছা তাই করব।
– আপনি আমার সাথে যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। আপনার সে অধিকার নেই। (চোখ বন্ধ করে বলল)
রাজ একটু তার মুখের কাছে গিয়ে বলল,
– হ্যাঁ। তাই করব। যা ইচ্ছা করব। আর অধিকার আছে। তোমার উপর শুধু রাজের অধিকার আছে। আর কারো না।
দাঁত কিড়িমিড়ি করে কথা গুলি বলে রাজ হনহন করে বেরিয়ে গেল।
রানি এক রাশ রাগ নিয়ে দাঁত কুটকুট করতে করতে কফির কাপ নিয়ে রান্নাঘরে গেল।
মনে মনে তো রাজ কে খুব বকাঝকা করছে আর রান্নার কাজ করছে।
– আল্লাহ কোন রাক্ষসের মুখে ফাললা আমারে। আমার সাথে যা ইচ্ছা তাই করবে কেন? আমি কি মানুষ না? লোকটার থেকে পালাতেও পারি না। ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে পেটে ছুরি দিয়ে পেটটা ফুটো করে দেই। বদমাইশ লোক রে। আমার কোমর টা। ইসস ব্যথা করছে অনেক। ভালো লাগে না আর এই সব। আল্লাহ এই সবের বিচার তুমি করো না হলে আমাকেই করার সুযোগ দাও।
এর পরেও কেন উনার জন্যে আমার মায়াটান কাজ করে?
– কি বললে?
এমন কথাতে রানি সামনে তাকিয়ে দেখে দূরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাজ।
– ককইই? কিইছু না।
– তাহলো আমতাআমতা করছো কেন?
– না তো।
– না তাই না?
– আপনি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেন?
-…
– দেখুন আমি কিন্তু যা নয় তাই করব। আমি কিন্তু আপনার গলায় ছুরি চালিয়ে দিব। (হাতে ছুরি নিয়ে)
– ও তাই?
(একটু একটু করে কাছে আসতে লাগল রাজ)
– দেখুন কাছে আসবেন না বলে দিলাম। আমি কিন্তু সত্যি সত্যি তাই করব।
– একটু আগে কি বললে? আমার বিচার তুমি করবে? হুমম?
– দেখুন, আমি কিন্তু…..
কথা শেষ করার আগেই রাজ রানির হাত ধরে ছুরি টা কেড়ে নিয়ে ফেলে দিল।
একটু একটু করে রাজ সামনে যাচ্ছে। আর রানি ভয়ে পিছনে যাচ্ছে।
হুট করেই রানি কে ধরে নিল রাজ।
– প্রাণসী, তুমি আমাকে যা শাস্তি দিবে আমি মেনে নিব। আমাকে যদি মেরে ফেলতেও চাও আমি তাতেও রাজি। বাঁধা দিব না তোমায়। কিন্তু আমি যদি তোমাকে কোনো শাস্তি দেই, তুমি মানতে পারবে তো?
রানি রাজের কথায় অবাক। একটা লোক এতটা পাগল হয় কি করে?
– কিই কি বলছেন কি আপনি?
– ঠিকি বললাম আমি। মানতে পারবে? নাকি ভয়ে…
– এই যে আমি মুটেও ভয় পাই না।
– তাই?
– হুম।
– ওকে দেখা যাবে।
– কি দেখা যাবে?
– পরে দেখে নিও আমি কি শাস্তি দেই। যা দিব মানতে পারবে তো?
– না মানার কি আছে? আপনি কি আমাকে ভীতু বলছেন?
– না তা নয়। কিন্তু হতেও তো পারো।
রানি রাজকে পিছনে ফেলে সে সামনে চলে গেল। আর বলল,
– দেখা যাবে।
– ঠিক আছে প্রাণসী।
রাজ রানির কাছে গিয়ে তার গালে একটা চুমু দিয়ে তারাতরি বেরিয়ে এলো রান্নাঘর থেকে।
রাজের এমন কাজে সে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সে ভাবতে লাগল, কি করল এটা উনি?
দুপুরে,
রানি সব গুছিয়ে রাজ কে ডাকতে গেল। গিয়ে দেখে ল্যাপটপ নিয়ে সে কাজ করছে।
– খাবার রেডি আছে।
-….
– শুনছেন?
– হুম। বলো।
– খাবার দিয়েছি টেবিলে। খাবেন না?
– হুম। তুমি গোসল করেছো?
– না। পরে করে নিব। আপনি খেয়ে নিন।
– তাহলে তো ভালোই হলো আমিও এখনো গোসল করিনি।
– ওকে করে নিন।
– তো চলো।
– মানে?
– মানে গোসল করব।
– যান। গিয়ে করুন। আমাকে বলার কি আছে?
রাজ তার কাছে গেল। মুখটা রানির কানের কাছে এগিয়ে নিয়ে কানেকানে বলল,
– আজ আমি আর তুমি এক সাথে গোসল করব প্রাণসী।
রাজের কথা শুনে রানির চোখে বড় বড় হয়ে গেল। গোলগাল চোখ নিয়ে ডুক গিলল সে। ভয়ে গলা দিয়ে যেন কথাই বের হচ্ছে না। নিশ্বাস টাও বন্ধ হয়ে আসছে। উনার মাথাটা ঠিক আছে তো? ভাবতে লাগল সে।
– কি হলো?
– দেখুন আপনি গোসল করে খেতে আসুন। আমি যাই।
বলেই রানি দৌড় দিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। দরজার সামনে বান্দা এসে হাজির।
– কোথায় যাও প্রাণোসী?
– দেখুন সরুন আমার কাজ আছে।
আর কথা না বলেই রাজ রানি কে হঠাৎ করেই কোলে তুলে নিল।
রানি ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করছে তবে কিছুতেই যেন কিছু হবার নয়। রাজ কি আর এত সহজে ছেড়ে দিবে তার প্রাণসী কি?
চলবে,,
(
— হ্যাপি রিডিং।
চলবে….