প্রিয়ঃ ত্রয়োদশ পর্বঃ

0
417

#প্রিয়ঃ
ত্রয়োদশ পর্বঃ
মোর্শেদা রুবিঃ
**************
প্রিয়’র হঠাৎ কেঁদে ওঠায় ইরা কিছুটা থমকে গিয়ে চুপ মেরে গেলো।এই পরিসরে প্রিয়কে শান্ত করার চেষ্টা করলো প্রিয়া।
প্রিয় থামলে ইরার দিকে কিছুক্ষণ স্মিতহাস্যে তাকিয়ে থাকলো ও! বললো-
-“আসলে,এ ব্যপারে আমার শোনার বা বলার কিছুই নেই।কারন সময়ের সাথে পরিস্থিতি বদলায়।আপনি একটু বসুন,আমি বাবুটাকে একটু শান্ত করে আসছি।”
বলে প্রিয়কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গেলো প্রিয়া।

ইরা শারদের দিকে তাকিয়ে বলল-“আপনার বউ তো বেশ স্মার্ট,না বলেও অনেক কথা বলে ফেলে।আমার কথা আই মিন ‘আমাদের’ কথা বলেননি ওঁকে?”

শারদ বলল-“বলার মতো তেমন কিছু আছে বলে তো আমার মনে হয়না।তুমি আসলে কি বলতে চাচ্ছো সেটা পরিস্কার করে বলো!”

ঈরা ভীষণ অবাক হয়ে বলল-“তাই নাকি?আপনি তাহলে অতীত ভুলে গেছেন অথবা অস্বীকার করতে চাচ্ছেন।এ বাড়ীতে আজ প্রিয়ার নয় আমার থাকার কথা ছিলো!”বলে ইরা অগ্নিদৃষ্টিতে শারদের দিকে তাকাল। শারদ ছোট্ট করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুপ করে গেলো।
এমন সময় প্রিয়কে সাজেদার কাছে দিয়েই প্রিয়া ঘরে ঢুকলো।সম্ভবত ও ইরার শেষোক্ত কথাটা শুনতে পেয়েছে।কিছুটা থমকে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সে।

ইরা প্রিয়াকে দেখে মৃদুহেসে বললো-“কিছু মনে করবেন না।আপনার স্বামী যে আমাকে ঠকিয়েছে এই কথাটা কোনোভাবেই চাপতে পারলাম না!”

প্রিয়া নিরবে দাঁড়িয়ে রইলো।নীরার আম্মু পরিস্থিতি সামাল দিতে এ পর্যায়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসলেন-“আসলে আমি আজ এখানে আসতে চাইনি বাবা ,ইরা’ই জোর করে আমাকে নিয়ে এলো।”

তারপর তিনি প্রিয়ার দিকে উদ্দেশ্য করে বললেন-“তুমি শারদের বৌ,তোমার অনেক কথা আমি শুনেছি।তুমি প্রিয়কে মায়ের মত মানুষ করছো এটা শুনে আমি স্বস্তি পেয়েছি।আমার নাতনিটা ভালোভাবে মানুষ হোক,এটাই তো আমাদের একমাত্র চাওয়া।যাক্, যেজন্য এসেছিলাম।”

বলে ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে শারদের হাতে দিয়ে বললেন-” তোমার আম্মা তো ভেতরে চলে গেলেন তাই তোমার হাতেই দিচ্ছি।
আগামী মাসের সতের তারিখে ইরা’র বিয়ে।
ইরা’ই প্রেসার করলো প্রথম দাওয়াতটা সে তোমাকে দেবে।বিয়ের পরই ওরা কানাডা চলে যাবে! ছেলে সেখানকার সিটিজেন।(কিছুক্ষণ থেমে আবার বললেন)-“আমার মেয়েটা চলে যাবে তাই ওর আব্দারটা রাখতে হলো নতুবা আমি আসতে চাইনি বাবা! ”
এ পর্যন্ত বলে নীরার আম্মু থেমে গেলেন!

শারদ কোন জবাব দিলোনা।কার্ডটা একপাশে রেখে দিল।
প্রিয়া “আমি আসছি”বলে দ্রুত বেরিয়ে গেল।ঘরে এখন ওরা তিনজন।নীরার আম্মু,ইরা আর শারদ।

ইরা মুখ কঠিন করে রেখেছে।
শারদ ইরার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর সুরে বলল-“তুমি কাজটা ঠিক করোনি”!
ইরা চোখ ছোট করে তাকাল-“কোন কাজটা?”
-“আমার বউ’র সামনে তুমি গোটা বিষয়টাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছো!এভাবে আমার সংসারে আগুন লাগিয়ে তোমার কি লাভ হচ্ছে বলো?”

-“ওও…ব্বাবা…একেবারে “আমার বউ”!”ঠোঁট উল্টে বলল প্রিয়া।”আপি কেও তো কোনদিন এভাবে ডেকেছেন বলে শুনিনি!”

শারদ নীরার মায়ের দিকে তাকাল-“প্লিজ,ওকে থামান!ও পাগলের মত আচরন করছে”!
-“হ্যাঁ,করছি কারন আমি পাগল! কেন ভয় পাচ্ছেন নাকি? বউ চলে যাবে ?” ইরা হেসে উঠল।
শারদ শান্ত স্বরে বলল-“সে ভয় আলহামদুলিল্লাহ নেই তবে ভয় যেটা পাচ্ছি সেটা অন্য কারনে আর সেটা হলো প্রিয়া কষ্ট পাবে।আমি চাইনা তোমার এসব মিথ্যা অভিযোগে ও কষ্ট পাক্!”
-“আহ্,কি ভালোবাসা!”
নীরার আম্মু মেয়ের কাঁধে হাত রাখলেন-“চুপ কর্ না মা!”

এদিকে প্রিয়া দ্রুত হাতে ফ্রিজ খুলে মিষ্টি,দই, কিছু ফল আর বিস্কিট সাজিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ড্রইংরুমে চলে এল।শুনতে পেল ইরা হিসহিসিয়ে বলছে-“আপনার জন্যই আমার জীবনটা আজ এমন হলো।আমি বিয়ে করবো ঠিকই কিন্তু সুখী হতে পারবো না আপনার জন্য।তাই আপনাকেও সুখে থাকতে দেবো না”!

ওদিকে নীরার আম্মু বলছেন-
-“আহ্,থামতো,কি শুরু করলি?আমি এজন্য এখানে আসতে চাইনি!”

এই পর্যায়ে হালকা গলা কেশে প্রিয়া প্রবেশ করল।ইরা থেমে গম্ভীর হয়ে গেল।নীরার আম্মু অবাক হলেন-” ওমা,তুমি আবার এসব আনতে গেলে কেন?”

প্রিয়া হেসে নাস্তা সার্ভ করতে লাগল।ইরা ব্যঙ্গাত্মক হেসে বলল-“শারদ ভাইয়ের লক্ষ্মী বৌ!”
প্রিয়া ওর কথাটা না শোনার ভান ওর দিকে একটা প্লেট বাড়িয়ে ধরলে ইরা জানাল সে কিছু নেবেনা।

প্রিয়া নীরার আম্মু আর শারদের হাতে নাস্তা তুলে দিল।শারদ শুধু চা খাবে বলল।
প্রিয়া একটা পিরিচে মিষ্টি নিয়ে সেখান থেকে সামান্য কেটে ইরার মুখের সামনে তুলে ধরল।
-নাও,আমার হাতে মিষ্টিমুখ করো!”
-“ন্ না না….আমি মিষ্টি পছন্দ করিনা।”

-” মিষ্টি আমিও এভয়েড করি,কিন্তু এটা তোমার বিয়ের সুসংবাদের মিষ্টি,নাও আপু।মনে করো আমিই তোমার নীরা আপি,আর আমিতো কোন দোষ করিনি,বলো? করেছি?আমার হাতে খেতে সমস্যা কি!”

ইরা কিছু বলতে গেলে ওর আম্মু বাধা দিলেন-“নে না,এত করে বলছে..!”
ইরা কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে।এতসব কথার পর প্রিয়ার এই আচরন অপ্রত্যাশিত।প্রিয়া ওর মুখের সামনে মিষ্টি ধরে আছে দেখে বাধ্য হয়ে মুখ খুলল।
.
প্রিয়া চামচটা রেখে ইরার হাত ধরে বলল-“শোনো আপু,কেউ কাউকে ঠকালে কতটা খারাপ লাগে তা তুমি জানো,তাই যাকে বিয়ে করছো তাকে ঠকিওনা।তাতে তুমি নিজেও সুখী হবে সে ও।পেছনের কথা ভুলে যাও।সুখী হবার চেষ্টা করো!”

-“হুঁহ,চাইলেই বুঝি সুখী হওয়া যায়!”
-“কেন যাবেনা! কেউ যদি মনে করে আমি ভালো খেলে পড়লেই সুখী হবো তাহলে সে ভালোর খোঁজেই জীবনটাকেই দুঃখে পার করে দিবে অথচ কোনটা ভালো সেই জ্ঞানটাই তার নেই আবার কেউ হয়ত ভাগ্যে যা পাবে,যতটুকু পাবে সেটাকেই আলহাদুলিল্লাহ বলে মেনে নেবে,ভাববে অনেকে তো এটুকুও পায়না আমি পেয়েছি,এই তৃপ্তি তাকে সুখী হতে সাহায্য করে।এ কারনেই অনেক ধনীরাও সম্পদে ডুবে থেকে সুখ পায়না আবার একটা গরীব রিক্সাচালকও অল্প পেয়েই বেশ সুখী।সুখ জিনিসটা আসলে আপেক্ষিক।কেউ কাউকে সুখে রাখতে পারেনা তবে কেউ সুখে থাকতে পারে।এটা যার যার মনের ব্যাপার।”
-“এত তত্ত্বকথা আমি বুঝিনা!”ইরা কাঁধ ঝাকাল।

নীরার আম্মু ব্যাগ হাতে উঠে দাঁড়ালেন!প্রিয়ার মাথায় হাত রেখে বললেন-“তুমি খুব ভালো মেয়ে! তোমার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো!”
-“দোয়া করবেন,আমাদের জন্য”!
-“শারদকে নিয়ে বিয়েতে এসো”!

শারদ চুপ করে নিজের জায়গাতেই বসে রইল।ইরা ওর দিকে না তাকিয়ে প্রিয়াকে বলল-“যাই!তবে ভালো থেকো বলতে পারলাম না”!

প্রিয়া হাসল-“কিন্তু আমার বলতে বাধা নেই,আল্লাহ তোমাকে ভালো রাখুন।”
ইরা আর কোন কথা না পেয়ে গটগট করে বেরিয়ে গেল।

ওরা চলে গেলে প্রিয়া গেট লাগিয়ে ভেতরে চলে যেতে উদ্যত হলো।
শারদ ডাকল-“প্রিয়া?”
প্রিয়া ওর দিকে তাকাল -“কিছু বলবেন?”
শারদ উঠে এসে ওর হাত ধরল,ভেবেছিল প্রিয়া হাত সরিয়ে নেবে।

প্রিয়া শান্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে।
শারদ বললো-“তোমার মনে নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন জমা হয়ে আছে।তুমি হয়তো ভাবছ,ইরার কথাই ঠিক!”
-‘আমি ধারনা করতে পছন্দ করিনা।এটা করা গুনাহও।তাছাড়া আমার ভাবাভাবিতে কি এসে যাবে বলুন!”
-“অনেক কিছুই এসে যায় প্রিয়া।

প্রিয়া ধীরে ধীরে বলল-“আমি তো ভাগ্যকে মেনেই এ বাড়ী এসেছি কিন্তু আপনি প্রস্তুত ছিলেন না।আমি তো তখনও জানতাম না, আপনি কেন আমাকে বিয়ে করতে রাজী হননি”!

শারদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো-“আসলে তুমি পুরো ব্যপারটা না শুনলে বুঝতে পারবেনা। ”
-“ঠিক আছে,পরে শুনবো।”
বলে প্রিয়া ট্রে গুছিয়ে ভেতরে চলে গেলো।

প্রিয়া চলে যাবার পর শারদ দুহাতে মুখ ঢেকে বসে পড়ল।
বাকী দিনটা আর প্রিয়ার সাথে কোনো কথা হলোনা।বিকেলে শারদ বাইরে যাবে বলে চা চেয়েছিল।প্রিয়া চা টা রেখেই চলে যাবার জন্য উদ্যত হতেই শারদ ডাকল-” দাঁড়াও”!
প্রিয়া থামল।
শারদ বললো-” তুমি কি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছো নাকি ?”
-“কথা বন্ধ করেছি কে বলল?”
-“আমি বলছি।ইরারা আসার আগেও তো এমন ছিলেনা।”
-“না,এমনিই মাথাটা একটু ধরেছে!”
প্রিয়া এড়িয়ে গেলো।

প্রতিদিনের মত আজ রাতেও কম্পিউটারে বসেছে শারদ।প্রিয়ার অপেক্ষা করছে সে।প্রিয়া মায়ের ঘরে এতক্ষণ কি করছে কে জানে”!
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রিয়া এল।
নিজে থেকেই শারদের সামনে এসে বসল।শারদ আনমনে কম্পিউটার টেপাটিপি করছিল।
প্রিয়া বলল-“কি বলতে চাচ্ছিলেন, বলুন!”
শারদ ওর দিকে তাকিয়ে বলল-“মা কিছু বলল?”
প্রিয়া হাতের আংটি ঘোরাতে ঘোরাতে বলল-
-“আম্মা তো অনেক কিছুই বললো। তবু আমি আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই!”

শারদ দুহাত বুকের উপর আড়াআড়ি করে বাঁধল।দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল-“ইরা আর আমি একই ডিপার্টমেন্টে পড়তাম।ভাল বন্ধু ছিলাম।সেই সুবাদে নীরার সাথে পরিচয়।নীরা অন্য ডিপার্টমেন্টে পড়তো কিন্তু যেহেতু নীরাকেই পছন্দ করতাম তাই ওর সাথে ফোনে বা বাইরে বসে কথা হতো।ইরা আমাদের ব্যপারটা প্রথমে ধরতে পারেনি।ওদের বাসায় কখনো গেলে নীরার জন্য যেতাম কিন্তু ইরা ভাবতো আমি হয়তো ওর জন্য গেছি।আমি বলবোনা,আমার দোষ নেই। আমার দোষ যেটা ছিল সেটা হলো আমি ইরাকে কখনো বুঝতে দেইনি যে ওকে আমি ভালোবাসিনা ওকে কেবল একজন বন্ধুর চোখে দেখি।
ওদের বাসা থেকে যখন নীরার জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল তখনি আমরা মানে আমি আর নীরা জানাই যে,আমরা বিয়ে করতে চাই।ইরা তখনই প্রচন্ড শক্ড হয়, আমাকে বাইরে ডেকে ওর বন্ধুদের সামনে যা তা বলে।কাঁদে,চিৎকার করে।দেখেছো তো ও কতটা ক্রেজী টাইপ মেয়ে।আমাদের বিয়েতেও ইরা ছিলোনা।ওর মামার কাছে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছিল।
নীরা নিজেও খুব জেদী আর খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছিল।(কথার এ পর্যায়ে প্রিয়া বাধা দিয়ে বলল-“নীরার কথা থাক্,মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে সমালোচনা শুনতে বা বলতে চাচ্ছিনা)!

শারদ থেমে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল-“নীরা মারা যাবার বেশ কিছুদিন পর নীরাদের বাসা থেকেই ইরার সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাবটা আসে।ইরাই বলে পাঠিয়েছিল।আমাদের বাসায় কেউ তেমন আপত্তি করেনি,আব্বু মা দুজনই রাজী ছিল কেবল আমিই রাজী ছিলাম না।কেন যেন মনকে বোঝাতে পারছিলাম না।নীরাকে খুব ভালবাসতাম তার স্থানে ইরাকে তো ভাবতেই পারছিলাম না তাছাড়া ইরার কিছু জিনিস আমার একদম ভালো লাগতো না।বিশেষ করে ছেলেদের সাথে ওর মেলামেশাটা।এমনকি নীরার সাথেও এ নিয়ে মাঝেমধ্যে তর্ক হতো।ও বলতো,বিয়ে করে আমি নাকি ওকে নিজের সম্পত্তি মনে করছি তাই ওর ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছি।
আসলে বিয়ের আগে বুঝিনি মানুষ বউ কে কিভাবে দেখতে পছন্দ করে।বিয়ের পর বুঝতে পারলাম যে ঘরের বউকে একেবারে খোলামেলা দেখতে কোনো পুরুষই বোধহয় পছন্দ করেনা।তাছাড়া ইরার পরিমিতি বোধ খুব কম।স্থান কাল পাত্র বিচার করেনা,যখন যা মনে আসে বলে ফেলে!”

শারদ প্রিয়াকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে সেদিকে তাকিয়ে বলল-“তোমাকে বিয়ে করতে না চাওয়ার পেছনে কারন একটাই ছিলো।মেয়েদের প্রতি যথেষ্ট আস্থা না থাকা।ভেবেছি মেয়েরা এমনই হয়।তবু মায়ের পীড়াপীড়িতে রাজী হয়েছিলাম।বিয়ের পরের দিন থেকে আজ পর্যন্ত তুমি আমার কাছে এক অন্যরকম বিস্ময় প্রিয়া।”

শারদের কন্ঠ কিছুটা খাদে নেমে গেলো-“তোমাকে না দেখলে জানতাম না,কোনো মেয়ে এত পবিত্রও হতে পারে।পরপুরুষ থেকে বেঁচে চলা তুমি যখন আমার সামনে সহজ ভাবে আসো তখন মন আনন্দে বলে-“এই মেয়েটা শুধু আমার।বোরকা পড়া তোমাকে যখন কেউ দেখতে পায়না তখন মন জানে নিকাবে আবৃত রত্নটির মালিক আমি একা যার কোনো ভাগিদার নেই।সততার একটা সৌন্দর্য্য আছে প্রিয়া। তোমাকে দেখে জেনেছি।
তোমার বিভিন্ন আচরন ধৈর্য্য সহনশীলতা আমাকে দুর্বল করে ফেলেছে।আজ আমি মন থেকে জানি যে,সত্যিকারের ভালো আমি শুধু তোমাকেই বাসি।নীরার সৌন্দর্য ছাড়া তার কাছে আর কিছু পাইনি।জীবনে সুখী হতে গেলে সৌন্দর্য্য তেমন কোন কাজেই আসেনা।বরং আমার চোখে তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী নারী।”

প্রিয়া মুখ তুলে তাকাতে পারছেনা।শারদ ওর দুহাত ধরে নিজের দিকে টানলো”!
-“আমাকে কি ক্ষমা করা যায়,প্রিয়া?”
প্রিয়া কোন কথা না বলে উঠে এসে শারদের কাঁধে নিজের মাথাটা রাখল।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here