গল্পঃ #ব্ল্যাক_ভাইরাস
writer:MD.Helal
#পর্ব_০২
,
যে নুড ভিডিও ভাইরাল করছে সে এখন লাশ হয়ে পড়ে আছে,আর হিয়াও জীবন টাও অন্ধকারে ঢেকে গেলো,
হিয়া আর রিয়া বাড়ি চলে আসে,, রিয়া বলে তুই তোর ফোন অফ করে রাখ
নতুন কোন ঝামেলায় জড়ানোর কোন
দরকার নেই,
এখন হিয়ার মনে একটাই প্রশ্ন লিমন কে কে খুন করবে,আমার জানামতে ও তো কারো ক্ষতি করে নাই,
কিন্ত হিয়া ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছে না,
হিয়া আজ ৫দিন হল ইউনিভার্সিটিতে
আসে না,
একদিন আসছিলো কিন্ত বাজে কথা
শুনতে হয় তাই আর আসা হয় না,
কিন্ত এই কয়দিনে দুদু মিয়া একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়,
মেয়ে একটা বোরখা ওয়ালী কলেজে আসে বোরকা পড়ে,খুব পর্দা করে মেয়েটা, মেয়েটি কারো সাথে কথা বলে না,কথা বললেও খুব কম কথা বলে,
দুদুই প্রথম মেয়েটির সাথে সেধে কথা
বলতে যায়,
–আসসালামু আলাইকুম, আমি দুদু মিয়া,আপনার নাম কি?
মেয়েটি সালামের উত্তর দিয়ে বলে আমি মাইশা,
দুদু মিয়া; আচ্ছা আমরা কি বন্ধ হতে পারি,
মাইশা;কেনো আমি আপনার সাথে বন্ধত্ব করতে যাবো,
দুদু মিয়া ঃ হে তাই তো,আমাল সাতে ক্যান বন্ধত্ব কলবেন,আমি তো বোকা হাবলা বলদ,কথা গুলো কান্নার শুরে বলল,
মাইশা; এ আল্লাহ আপনি কাঁদছেন কেনো,প্লিজ কাঁদবেন না,
–তো কি কলবো,আল্লাহ আমালে বোকা বানাইয়া পাঠাইছে দুনিয়ায়,
—আচ্ছা আচ্ছা,,,
মাইশা একটু ভেবে বলল,ভাবলো ও তো বোকাসোকা বন্ধু হলে সমস্যা নাই,
আচ্ছা আমরা ফ্রেন্ড কিন্ত কিছু শর্ত
আছে,,,
—হুম বলেন,
—আমাকে কখনো দেখতে চাইবেন না,
দুই আমাকে কখনো ছুয়া যাবে না,
—আচ্ছা আমি বোকা মানুষ ছুয়ে কি করব,
–আর তোমাকে আমি অন্য নামে ডাকবো, দুদু মিয়া কেমন নাম একটা, মানুষ হাসে,
–তুমি বললে বাপের নামসহ চেন্স করে ফেলবো,
–আরে বাবার নাম চেন্স করতে হবে না,
তাহলে আজ থেকে তোমার নাম হবে রিয়াদ,
–আচ্ছা ঠিক আছে,
মাইশা তখন বলল,আচ্ছা রিয়াদ,
–রিয়াদ কে,
–আরে তোমার নাম তো রিয়াদ,
–ওহওহ আমি তো রিয়াদ,
মাইশাঃ তুমি কি টাংগাইল এসপি পার্ক চিনো,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
রিয়াদ; চিনমো না ক্যান, আমার বাসার কাছেই তো,
মাইশা; আমাকে নিয়ে যাবা, আমি কখনো কোন পার্কে যাইনি,আমার পার্ক দেখতে খুব ইচ্ছে,
রিয়াদ; হুম নিয়া যামু,
মাইশা; আচ্ছা আমাদের ক্লাসের হিয়ার ঘটনা টা জানো কি,
রিয়াদ;আমি অনেক কিছু জানি, বলা যাইবো না,
মাইশা; আমরা না ফ্রেন্ড, আর ফ্রেন্ড কে সব বলতে হয়,
রিয়াদ; তাই সব কইতে হয়,তাহলে ক্যাম্পাসে চল এখানে না,
তারপর দুজনে ক্যাম্পাসে যায়, তারপর সব মাইশা কে,
রিয়াদ আর মাইশা ক্যাম্পাসে ঝাল মুড়ি
খাচ্ছাছিলো এমন সময় কিছু ছেলে
মাইশা কে টিচ করে কিছু বাজে কথা বলে,বোরখা ধরে টানাটানি করে,
রিয়াদ কিছু বলতে গেলে মাইশা বাধা দেয়,,,
সেদিন ঐ ঘটনা ঐখানেই শেষ,
সারাদিন পর হিয়া ফোন টা হাতে নেয়,
আর অবাক করা কান্ড দেখে লিমনের
আইডি active দেখতে পায়,
হিয়া এটা কি ভাবে সম্ভব,লিমনের ফোন তো পাওয়া যাচ্ছিলো না শুনলাম,।তাহলে লিমন এই সব ভাইরাল করেনি
তাহলে কি আইডি হ্যাক করা হয়ছে,
এমন সময় লিমনের আইডি থেকে মেসেজ আসে,
–নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো আমি লিমন না,
হিয়া; তাহলে কে আপনি,
–আমি ব্ল্যাক ভাইরাস,
কথা শুনে হিয়ার অন্তর টা কেপে উঠে,
হিয়া; আমাকে মেসেজ করছেন কেনো,
–হিসাব বোঝনাই তোমার উপরে যাওয়ার টাইম হয়ে গেছে,
হিয়া ভয়ে ভয়ে বলে আমি কি করছি,
–তুই একটা সমাজের ভাইরাস,৩টা ছেলের সাথে তোর শারীরিক সম্পর্ক হয়ছে,
(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব হয় না,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
হিয়া;আপনি জানলেন কি ভাবে,আর এই সব মিথ্যা কথা,
।
–এই সব মিথ্যা না,তাদের কাছ থেকে আবার ১লাখ করে টাকাও নিয়েছো,
একজন এই সব এর ভয়ে সুইসাইড করছে,
–এই সব মিথ্যা, আমি কিছু করি নাই,
তখন কিছু ভিডিও পাঠায়,আর সেই সব দেখে হিয়ার চোখ কপালে উঠে যায়।
তখন ব্ল্যাক ভাইরাস একটা ভয়েস মেসেজ দেয়,
বলে তোকে মরতে হবে,তুই যদি নিজে সুইসাইড না করিস, তোর সব ভিডিও ভাইরাল করব,তোর বাবা মায়ের ফোনে দেবো এই সব ভিডিও,
হিয়া; প্লিজ এই সব করবেন না,
–আমি যে কি করতে পারি তা তোর কল্পনার বাহিরে,তাই বলছি তুই সুইসাইড কর,
আর হাত কেটে লেখবি ব্লাক ভাইরাস,
এই সব করতে হবে,আমি ভিডিও কল দিবো তারপর,
আর হিয়া তাই করলো ব্ল্যাক ভাইরাস যা বলল,
পরেরদিন সকাল বেলা,,,,
হিয়ার লাশ ফ্যানে ঝুলছে আর হাত কেটে লেখা ব্ল্যাক ভাইরাস,
পুলিশ আসে আর ব্ল্যাক ভাইরাস লেখা দেখে চমকে যায়,
কারো মাথায় ঠোকে না, এই ব্ল্যাক ভাইরাস কে আসলে,
(চলবে)