ব্ল্যাক_ভাইরাস writer:MD.Helal পর্ব-০১

0
632

হিয়া অর্ধ উলঙ্গ হয়ে কারো সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে ক্লাস রুমে,
এমন সময় ক্লাসে ঢুকে পড়ে বোকা ছেলে দুদু মিয়া,
আর দাঁড়িয়ে দেখছিলো হিয়ার চরম
,,,,,,,,,,উত্তেজনা আর দুদু মিয়া ভয়ে
চিৎকার দিয়ে উঠে,
দুদুর চিৎকার শুনে হিয়া চমকে যায়,
আর ভয়ে তারাতারি জমা পড়ে দুদু মিয়ার কাছে আসে,
হিয়া ভয়ে ভয়ে দুদু মিয়ার কাছে আসে
হিয়া; আপনি কে?
–হামি হামি দুদুদু,,,,(চোখ বড় বড় করে)
হিয়া; প্লিজ ভাইয়া কাউ কে কিছু বলবেন না,আপনি কে বলেন?
—হামি হামি দুদুদু,
এবার হিয়া রেগে বলল আরে আপনি যা দেখার দেখছেন তো আবার বলছেন কেনো,
–না, বলছি মানে আমি দুদু মিয়া;
হিয়া; কি মিয়া,
—দুদু মিয়া,
—ফাইজলামি করেন আমার সাথে,
—এই যে আমার আইডি কার্ড দেখেন,আচ্ছা আপনি কি করছিলেন
–ঐ তো মেমেকাপ ঠিক করছিলাম,
–ও এই ভাবে মেকাপ ঠিক করে বুঝি,
হিয়া; আচ্ছা আপনি কোন ডিপার্টমেন্টের,
–আমি এই ডিপার্টমেন্টের আজই নতুম আসছি,
হিয়া; মানে
–মানে আমি ট্রান্সফার হয়ে আসছি,
হিয়া; ও তাহলে তো আমরা একই ডিপার্টমেন্টে আমরা প্লিজ কাউ কে বলো না,
দুদু মিয়া দাঁত বের করে একটা হাসি দিয়ে আচ্ছা বলব না,
হিয়ার কাছে বিচ্ছিরি লাগলেও কিছু করার নাই,মেনে নিতেই হবে,
হিয়া; আচ্ছা এত সকালে আসছো কেনো,?
–আমি নতুন তো তাই চিনি না জানি না,তাই আর কি,
হিয়া অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী,ইউনিভার্
সিটির ১০টা সুন্দরী মেয়ের মধ্যে হিয়া একজন,
আর দুদু মিয়া হাবা,বোকা একটা ছেলে ঢিলেঢালা ফুল হাতা শার্ট গায়ে,
বাচ্চাদের মত মাথায় শীথি করা,
আর স্কুলের বাচ্চাদের মত ব্যাগ কাধে,
দেখতে অধভূত ২০১৯ সালে এমন ছেলে আছে,ভাবতেই অবাক লাগে,
যাক সে কথা আবার গল্পে ফিরে আসি,
একে একে সব স্টুডেন্ট চলে আসে আর ১০টায় ক্লাস শুরু হয়,
রফিক স্যার প্রথম ক্লাস নেয় এসে সবার দিকে তাকাতে নতুন মুখ দেখতে পায়,
রফিক স্যার; এই তুমি কে, তোমাকে তো আগে দেখি নাই,নাম কি?
—স্যার আমি দুদু,
—হ্যাঁ, কি নাম
–স্যার আমি দুদু মিয়া,
সবাই হোহো করে হেসে দেয় নাম শুনে,
স্যার সবাই কে থামিয়ে,
—তা দুদু কি করো,,,
এই কথা শুনে স্যারের মুখের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে,
আর স্যার বেপার টা বুঝতে পারলো তাই কাশি দিয়ে বললেন, মানে বলতে চাইছি,তুমি বসে কি করছিলে,।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
আচ্ছা বাদ দেও,
তোমাকে তো আগে দেখি নাই,
দুদু মিয়া; স্যার আমি আজই ট্রান্সফার নিয়ে এই ইউনিভার্সিটিতে আসছি,
স্যার; আচ্ছা বসো,
সন্ধ্যা ৭টায় হিয়া ফোন টা হাতে নেয়,দেখে ৬০টা মিস কল,আর ফোনে টাকা না থাকায় তখন ফেসবুকে লগইন করে,
দেখে ১০০+ মেসেজ দেখে অবাকই হয়ে যায়,
অনেকে মেসেজ করছে সব এমন
আপু short Film টা কিন্তু অস্থির হয়ছে,আরো দেখে আপনি এত হট কেনো,
আরো নিচের দেখে ফ্রেন্ডরা মেসেজ করছে,
হিয়া এই সব কি ভিডিও পিক দেখলাম।
তুই এমন বিশ্বাস করতেও কস্ট হচ্ছে,
হিয়া খুব চিন্তায় পড়ে যায়, যে কি হয়ছে,
এমন সময় একজন একটা ভিডিও পাঠায় আর সেই ভিডিও তে হিয়া,
যে টা আজ সকালের,
তাহলে কি দুদু মিয়া কি?
ভেবে আবার টাইমলাইন দেখতে লাগলো,আর যা দেখলো তা হল লিমনের আইডি থেকে নুড ভিডিওটা আপলোড করা হয়েছে,আবার হিয়া কে ট্যাগ করা হয়েছে,(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব হয় না,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
হিয়া মুহুর্তেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়,
লিমন যে এমন করবে তা স্বপ্নেও ভাবতেও পারে নাই হিয়া,
হিয়া বাহিরে যেতে পারে না,হিয়ার বড় আপু রিয়া এসে বলে তুই এত টা জঘন্য কাজ করবি তা কোন দিন ভাবতে পারি নাই,যদি বাবা মা জানতে পারে কি হবে জানিস,
আমার তো মনে হয় না এই সব গোপন থাকবে না,
২ঘন্টায় লাইক পড়েছে ২০হাজার লাইক,শেয়ার ২৫হাজার আর কমেন্ট তো বলার বাহিরে,
ছেলে টা কে নাম বল ঠিকানা দে,আমি কথা বলবো,
হিয়া তার বড় আপু রিয়া ঠিকানা দেয়, তারপর ফোন দেয় লিমন কে কিন্ত লিমনের ফোন বন্ধ, সারা রাত ট্রাই করে কিন্ত লিমনের ফোন অফ,।
হিয়া বাড়ি থেকে লজ্জায় বের হতে পারে না,
হিয়ার বড় রিয়া পরেরদিন লিমনের বাসায় যায়, সাথে হিয়া কে নিয়ে যায়,
বাসার সামনে রিক্সা থেকে নেমে দেখে অনেক মানুষ বাসায় আর কিছু একটা
বলাবলি করছে,
দুই বোন বাসার ভিতরে যায়,কিন্ত ঘর ভর্তি মানুষ আর পুলিশও দেখা যাচ্ছে,
হিয়া আর একটু এগিয়ে যায় মানুষজন কিছু একটা ভিড় করে দেখছে,
হিয়া ভিড় ঠেলে ভিতরে যেতেই দেখে,
লিমনের ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে আছে,
মানে লিমন খুন হয়েছে,
লিমনের সারা শরীরে পেরেক মারা আর লিমনের পুরুষাঙ্গ তে ২টা পেরেক মারা,আর বুকের উপর চামড়া কেটে লিখা ব্ল্যাক ভাইরাস,
গল্পঃ #ব্ল্যাক_ভাইরাস
writer:MD.Helal
পর্ব-০১
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here