অবাধ্য_পিছুটান #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_২৫

0
115

#অবাধ্য_পিছুটান
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_২৫

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

এই টুকু বলতেই তাকে থামিয়ে দিলেন তাহমিনা বেগম। কপাল কুঁচকে বললেন,

-“এত রাতে ফেরার কি দরকার ছিল? কাল দিনে ফিরতে। আমি সজাগ থাকতাম। শুধু শুধু আমার কাঁচা ঘুমটা ভাঙতো না।”

তুর্য সরু দৃষ্টিতে তাকালো মায়ের পানে। তার সন্দেহ গাঢ় হলো। এটা সত্যিই তারই মা তো! পরক্ষনেই তুর্যের হৃদয়ে কড়া নাড়লো, তাহমিনা বেগম তার মা হওয়ার সাথে সাথে ঘষেটি বেগমের বংশধরও তো। এর দ্বারা সব সম্ভব। সেই বহুকাল আগে ঘষেটি বেগম নিজ পরিবারের সাথে বি’শ্বা’স’ঘা’ত’ক’তা করে পুরো বঙ্গদেশকে পরাধীনতার শিকল পড়িয়ে ইংরেজদের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করেছিল। সে তুলনায় তার বংশধরেরা তো কিছুই করছে না। তুর্য সময় নিল না বেশি। থমথমে কন্ঠে বলল,

-“রাজশাহী থেকে তোমার বউমাকে যু’দ্ধ করে নিয়ে এসেছি। বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছি। বরণ করে ঘরে তুলবে নাকি আমি ঘরে নিয়ে আসবো। পরে কিন্তু আবার কান্নাকাটি করতে পারবে না যে নিজের প্রথম ছেলের বউকে একটু বরণও করতে পারলাম না।”

তাহমিনা বেগমের চোখ বড় বড় হলো। অবিশ্বাস্য কন্ঠে বললেন,

-“সত্যি তুই পৃথাকে নিয়ে এসেছিস?”

তুর্য উপর নিচ মাথা নাড়ালো। মুখে বলল,

-“হ্যা।”

তাহমিনা বেগম যেন লাফিয়ে উঠলেন। চোখ মুখের তার ঘুম ঘুম ভাবটা কেটে গেল এক মুহুর্তেই। খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন,

-“এই না হলে আমার ছেলে। এই প্রথম আমার মনে হচ্ছে তুই একটা কাজের কাজ করেছিস নয়তো সর্বদা যতসব অকাজ করে বেড়াস।”

তুর্যের ছোট ছোট হলো। তার মা তার প্রশংসা করলো নাকি অপমান করলো বোধগম্য হলো না ঠিক। তুর্য থমথমে কন্ঠেই বলল,

-“তোমার বউমাকে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছি মা।”

তাহমিনা বেগমের চোখ মুখ গম্ভীর হলো। ছেলেকে কপট রাগ দেখিয়ে বললেন,

-“আগে বলবি না? রাজশাহী থেকে কল করে বললি না কেন তুই পৃথাকে নিয়ে আসছিস বেয়াদব।”

কথাটা বলে থামলেন তাহমিনা বেগম। হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেন পৃথার পানে। ব্যস্ত কন্ঠে বললেন,

-“ইসস মেয়েটা কতক্ষন ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিশ্চই পা ব্যথা করছে।”

মায়ের এহেন কথায় তুর্য অবাক না হয়ে পারলো না। বেচারা এতদিন পর বাড়িতে ফিরলো সে দিকে বিন্দু পরিমাণ ভ্রুক্ষেপ নেই তার মায়ের অথচ পুত্রবধূর জন্য দরদের শেষ নেই। একদম লাফিয়ে চলে গেল পুত্রবধূর নিকট। তা ছেলে না থাকলে ছেলের বউটা আসতো কোথা থেকে? তুর্যও মায়ের পিছু পিছু ছুটলো। ঠোঁট উল্টে বলল,

-“আমারও পা ব্যথা করছে মা। এতটা পথ জার্নি করে এসেছি শরীরটাও ক্লান্ত বেশ।”

তাহমিনা বেগম মুখ বাঁকিয়ে বললেন,

-“তোকে এত রাতে ফিরতে বলেছে কে? কাল সকালে ধীরে ঠান্ডায় ফিরতি। এখন শরীর ক্লান্ত লাগলে রুমে গিয়ে মটকা মে’রে পড়ে থাক। জ্বালাস না আমাকে।”

তুর্য দাঁড়িয়ে পড়লো। বিরবিরিয়ে বলল,

-“ঘষেটি বেগমের প্রধান বংশধর।”

তাহমিনা বেগম ব্যস্ত ভঙ্গিতে পা রাখলেন বসার কক্ষে। এক পলক তাকালেন পৃথার পানে, মেয়েটা ঘোমটা মাথায় নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এতদিন পর পৃথাকে দেখে হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করলেন তিনি। উৎফুল্ল হয়ে ডাকলেন বাড়ির সবাইকে।‌ গলা উঁচিয়ে বললেন,

-“কই সব তোমরা। দেখে যাও আমার বউমা ফিরে এসেছে।”

ক্ষানিক সময়ের মধ্যেই তাহমিনা বেগমের হাঁক ডাকে ঘুম ছেড়ে সবাই জড় হলো বসার কক্ষে। সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো সদর দরজায় দাঁড়ানো কালো শাড়ি পড়িহিত রমনীর পানে। তাহমিনা বেগম দেরী করলেন না। জা দের সাথে নিয়ে ছুটলেন বরণডালা সাজাতে। তার এত শখের পুত্রবধূ আজ এত বছর পরে বাড়ির চৌকাঠে পা দিয়েছে তাকে কি আর বরণ না করে ঘরে তোলা যায় নাকি? ঘরে যা যা ছিল তা দ্বারাই অল্প সময়ের মধ্যে বরণ সাজিয়ে নিলেন বাড়ির মহিলাগন। অতঃপর ছুটে এলেন আবার বসার কক্ষে। তাহমিনা বেগম হাতে বরণডালা নিয়ে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালেন পৃথার মুখোমুখি। হাসিমুখে বরণ করতে শুরু করলেন শখের পুত্রবধূকে। শুধুমাত্র তিনি একা নন তুর্যের চাচিরাও এই শেষ রাতে উঠে বরণ করে নিলেন পৃথাকে। মেয়েটা অবাক চোখে দেখছে সবাইকে। সে ভাবতেই পারেনি এতটা সহজে সবাই তাকে আপন করে নিবে। এই শেষ রাতে উঠে হুলুস্থুল বাঁধিয়ে বরণ করে নিবে তাকে। একটু আগে পৃথার মনে জন্মানো ভয়টা উবে গেল। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল মেয়েটা।

বরণ শেষ হতেই তাহমিনা বেগম যেন হামলে পড়লেন পৃথার উপরে। নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,

-“কত বড় হয়ে গেছে মেয়েটা। সেই কবে দেখেছিলাম তোকে।”

কথাটা বলেই আবার পৃথাকে ছেড়ে দাঁড়ালেন তাহমিনা বেগম। মেয়েটার এক গালে হাত রেখে অনুতাপের সুরে বললেন,

-“এতদিন ধরে প্রতিটা দিন আমি গুমরে ম’রে’ছি। ভেবেছি আমার ভুলের জন্য তোর জীবনট হয়তো নষ্ট করে দিয়েছি হয়তো। তোর সাথে অন্যায় করেছি আমি।

থামলেন তাহমিনা বেগম। একটু স্বস্থি নিয়ে বললেন,

-“যাক দেরীতে হলেও আমার ছেলেটার সুবুদ্ধি হয়েছে একটু। তোকে আমার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।”

তাহমিনা বেগমের কথা শেষ হতে না হতেই পিছন থেকে শোনা গেল মোজাম্মেল চৌধুরীর কন্ঠস্বর। গমগমে কন্ঠে তিনি বললেন,

-“মেয়েটাকে কি দরজার সম্মুখেই দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি? এমনি কতটা পথ জার্নি করে এসেছে ওরা।”

স্বামীর কথায় টনক নরলো তাহমিনা বেগমের। কপালে হাত দিয়ে বললেন,

-“দেখেছিস তোকে এতদিন পর কাছে পেয়ে আমি সবকিছু ভুলেই বসেছিলাম।”

থামলেন তাহমিনা বেগম। পৃথার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে তাকালে তুর্যের মেঝ কাকার মেয়ে ইরার পানে। আদেশের সুরে বললেন,

-“তোর ভাবীকে তোর রুমে নিয়ে যা তো ইরা। মেয়েটা কতটা পথ জার্নি করে এসেছে। ওর এখন ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।”

মায়ের কথায় ভ্রুদ্বয় কুঁচকে এলো তুর্যের। তার এত বড় একটা রুম থাকতে তার বউ ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিতে ইরার রুমে কেন যাবে? তুর্য চোখ ছোট ছোট করে তাকালো মায়ের পানে। সন্দিহান কন্ঠে প্রশ্ন করলো,

-“আমার রুম থাকতে আমার বউ বিশ্রাম নিতে ইরার রুমে কেন যাবে?”

তাহমিনা বেগম ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালেন ছেলের পানে। স্বাভাবিক কন্ঠেই বললেন,

-“কারন ও তোমার সাথে তোমার রুমে থাকবে না। প্রথমত তুমি বিয়ের আসরে ওকে ত্যাগ করেছিলে এটা তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলিনি। আর দ্বিতীয়ত ওর এখনও ১৮ বছর হয়নি। তাই তোমরা আপাতত আলাদাই থাকবে।”

তুর্য হতবাক হয়ে পড়লো মায়ের কথায়। এসব কি বলছে তার মা? সে পৃথার সাথে থাকতে পারবে না? এত বছর, এত অপেক্ষার পর বউকে কাছে পেয়েও বউয়ের থেকে আলাদা থাকতে হবে? ১৮ বছরের অপেক্ষা করতে হবে? নাহ এরা আর ভালো হতে দিল না তুর্যকে। রাজশাহী থেকে ফেরার পথে ছেলেটা বেশ সময় নিয়ে ভেবেছিল বউ নিয়ে বাড়ি ফিরেই ভালো হয়ে যাবে সে। এতদিন একা থাকলেও এখন বউ নিয়ে ফিরছে একটা ভার ভার্থিকতার ব্যাপার স্যাপারও তো আছে। কিন্তু না, এই পরিবারের মানুষগুলোর জন্য আর ভালো হওয়া হলো না তুর্যের। ছেলেটা উঠে দাঁড়ালো। মায়ের কথার বিরোধীতা করে সে বলল,

-“অসম্ভব, এত যু’দ্ধ করে বউ এনেছি আলাদা থাকার জন্য নাকি? আমি আমার বউ ছাড়া এক মুহুর্তের জন্যও একা থাকতে পারবো না।”

পৃথা ভরকালো, হতবাক নয়নে তাকালো তুর্যের পানে। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন, চাচা, চাচি এতগুলো লোকের সম্মুখে মানুষটা কেমন নির্লজ্জের ন্যায় অকপটে বলল বউ ছাড়া থাকতে পারবে না। তুর্যের লজ্জা না লাগলেও পৃথার লজ্জা লাগলো ভীষণ। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হলো,

-“চুপ করুন নির্লজ্জ পুরুষ মানুষ। বাবা মা চাচা চাচিকে তো একটু তোয়াক্কা করুন।”

কিন্তু আফসোস, পৃথা এমন কিছুই বলতে পারলো না। আজ এত বছর পর প্রথম এ বাড়িতে এসেছে তাও নতুন বউ হিসেবে এখনই এসব কথা বলা মোটেই শোভা পায় না তার। পৃথা নিজের লজ্জা নিয়েই নত মস্তকে বসে রইলো। তাহমিনা বেগমও ছেলের এহেন বেলাজ কথায় আশ্চর্য হলেন ভীষন। তার ছেলে আগে তো এতটা বেলাজ ছিল না। বিদেশ থেকে ফিরে আসার দিন আর আজ এই দুইদিনেই ছেলের নির্লজ্জ ধাঁচের কথায় বিরক্ত তিনি। তাহমিনা বেগম কপাল কুঁচকে তাকালেন ছেলের পানে। বিরক্তি নিয়ে বললেন,

-“এসব কথা বিয়ের আসর ছেড়ে যাওয়ার সময় মনে ছিল না তোমার? এখন এসব নির্লজ্জ ধাঁচের কথা বন্ধ করে নিজের রুমে যাও। ঝামেলা করো না।”

তুর্য তাকালো মায়ের পানে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

-“আমি মোটেই ঝামেলা করছি না মা। ঝামেলা করছো তুমি। এতদিন ধরে অপেক্ষা করে, ঐ রা’জা’কা’র জনগোষ্ঠীর সাথে যু’দ্ধ করে বউকে নিয়ে এসেছি কি আলাদা থাকার জন্য নাকি?”

তাহমিনা বেগম তেতে উঠলেন। ধমকের সুরে বললেন,

-“তুর্য!”

তুর্য ততটা পাত্তা দিল না মায়ের ধমককে। সে তাকালো বাবার পানে। হুমকি দিয়ে বলল,

-“বাবা তোমার বউকে বারন করো। তোমার বউ আর একটা বার যদি আমার বউকে আমার থেকে আলাদা করার চেষ্টা করে তবে আমিও কিন্তু তোমাকে তোমার বউয়ের থেকে আলাদা করে দেব।”

মোজাম্মেল হক কেশে উঠলেন ছেলের কথায়। বাড়ির সবাই ঠোঁট টিপে হাসছে মা ছেলের কান্ডে। যেমন মা তেমন তার ছেলে। দুজনের কেউই কারো থেকে কম যায় না। কিন্তু এর মাঝখানে ফেঁ’সে গেলেন মোজাম্মেল হক। লোকটা হাঁসফাঁস করে উঠলেন। সে ঠিক জানে ছেলে তার এক কথার মানুষ। ছেলে যখন বলেছে পৃথার সাথে তাকে থাকতে না দিলে সেও তাহমিনা বেগমের থেকেও তাকে আলাদা করে দিবে তার মানে করবেই করবে। শেষে কিনা এই বুড়ো বয়সে তাকে বউছাড়া হতে হবে? মোজাম্মেল হক তাকালেন স্ত্রীর পানে। আমতা আমতা করে বললেন,

-“বলছিলাম কি তাহমিনা…”

ব্যস এইটুকু বলেই থামতে হলো তাকে। তাহমিনা বেগম জ্বলে উঠলেন। ঝাঁঝালো কন্ঠে বললেন,

-“একদম ছেলের হয়ে সুপারিশ করবে না আমার কাছে। আমি যখন বলেছি ওরা আলাদা আলাদা থাকবে তার মানে আলাদা থাকবে।”

তুর্যও তেতে গেল। ক্রোধিত কন্ঠে বলল,

-“সাত বছর পর দেশে ফিরেছিলাম। বউয়ের খোঁজ করেছি, তোমাদের কাছে বার বার জিজ্ঞেস করেছি আমার বউয়ের কথা একটা মানুষ আমাকে সাহায্য করোনি। এখন যখন নিজের যোগ্যতায় খুঁজতে খুঁজতে বউকে পেয়েছি তখন উঠে পড়ে লেগেছো আমাকে বউয়ের থেকে আলাদা করতে। তা তো আমি হতে দেব না।”

তাহমিনা বেগম তেতে উঠলেন। তুর্যকে শাসিয়ে বললেন,

-“তুমি কিন্তু এখন বাড়াবাড়ি করছো তুর্য। আর তাছাড়া আমি তো তোমাকে তোমার বউয়ের থেকে সারাজীবনের জন্য আলাদা থাকতে বলিনি। ওর ১৮ বছর হোক তারপর না হয় এক সাথে থাকবে। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন।”

তুর্যের মেজাজ গরম হলো। ১০ বছর বয়সে মেয়েটাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে এখন একটা নাটক শুরু করেছে সবাই মিলে। ১০ বছরের একটা মেয়েকে ২০ বছরের এক যুবকের সাথে বিয়ে দিতে এদের কারো বিবেকে বাঁধেনি। এখন ১৭ বছরের একটা মেয়েকে তার স্বামীর কক্ষে পাঠানোতে বিবেকে বাঁধছে। ১৮ বছর না হলে স্বামীর সাথে থাকা যাবে না অথচ ১০ বছরের মেয়েকে জোর বিয়ে দেওয়া যাবে। কি অমায়িক যুক্তি এদের? আচ্ছা তখন যদি তুর্য বিয়ের আসর ছেড়ে বিদেশে না যেতো। পৃথার সাথে থাকতে চাইতো তখন কি করতো এরা? একজন ১০ বছরের মেয়ের কোনো শারীরিক চাহিদা নাই থাকতে পারে কিন্তু একজন ২০ বছরের যুবকের শারীরিক চাহিদা অবশ্যই ছিল। নিজেকে বিবাহিত জেনে সে যদি তখন নিজের শারীরিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারতো তখন কি হতো। নিশ্চই ভুগতে হতো এই ছোট্ট মেয়েটাকে। তুর্য ক্রোধে দিশেহারা হলো। শক্ত কন্ঠে বলল,

-“আমার বউ আমার সাথে আমার কক্ষেই থাকবে দেখি কে আটকায়।”

___

NOTE : একদিন গল্প না দিয়ে দেখলাম আগের পর্বে 4k+ রিয়েক্ট এসেছে। তাহলে আমার প্রতিদিন গল্প দিয়ে লাভ কি? আপনারা তো সেই অনিয়মিত, দুই একদিন পর পর গল্প দিলেই সেই গল্পেই অধৈর্য্য হয়ে সাড়া বেশি দেন।‌ আর প্রতিদিন গল্প দিলে পাত্তাও দেন না।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here