হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১০

0
882

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১০
.
.
.
.
ভিডিও টা দেখে ফারহা পুরো স্তদ্ধ হয়ে গেলো চুপ করে দারিয়ে আছে…..

এখন বুজতে পেরেছিস কেনো তোর প্রতি আমার পাগলামো টাই মেইন কারন ছিলো না আমাকে ইউ কে পাঠানোর জন্য আমার উপর যাতে কোন বাজে প্রভাব না পরে……..

ফারহা এখনও চুপ করে আছে আগুল ফারহার এই চুপ করাটা সহ্য করতে পারছে না তাই আবার বলে উঠলো আগুন,,বেবি তোকে এতো স্যাড হতে হবে না আঙ্কেলের করা অপরাধের শাস্তি টা আমি তাকেই দিবো যে অন্যায় টা আমার বাবা মায়ের সাথে না করতো তাহলে হয়তো আমাকে এদেশ ছেড়ে বিদেশে পড়ে থাকতে হতো না….

ফারহা এতোক্ষন পর মুখ খুল্লো ,,আগুন আমি কখনো আশা করি নি বাবা তোদের সম্পত্তি হাতানোর জন্য এমন কিছু করবে ভিডিও টাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাবা তার বিজনেস ডিলের পেপারস এর সাথে প্রপার্টির পেপারসে সাইন করিয়ে নিচ্ছে …….

ডোন্ট বি স্যাড বেবি আমি জানি এতে তোর কোন দোষ নেই তুই প্লিজ গিল্টি ফিল করিস না তবে আমি আঙ্কেল কে ছাড়বো না বেবি ওনার এই কাজ টার জন্য আমার মম ড্যাড কে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে সমস্থ প্রপার্টি নিজের নামে করে নিয়ে ড্যাড কে টিসু পেপারের ছুড়ে ফেলে দিয়ে আবার দয়া দেখিয়ে নিজের অফিসে সাধারন স্টাফ হিসেবে জয়েন করতে বলা এই অপমান টা ড্যাড সহ্য করতে না পেরে হার্ড এট্যাক করে …..

ফারহা আগুনের কথা শুনে চোখ বেয়ে নোনা জল অনবরত গড়িয়ে পড়ছে আগুন ফারহার দিকে তাকিয়ে দেখে ফারহা কাদছে আগুন ফারহার চোখের পানি মুছে দিয়ে জরিয়ে ধরে বলে,,,বেবি ডোন্ট ওয়ারি আমি এমন কিছু করবো না যাতে আন্টি বা তোকে কষ্ট পেতে হয় ইউ নো না আমি তোকে কতো ভালোবাসি তবে আঙ্কেল কে তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে বেবি হি এ্যাভ টু পে ফর দিস …

ফারহা নিজেকে আগুনের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে আগুন তুই অনেক বদলে গেছিস তোর বিহেবিয়ার চেন্জ হয়ে গেছে হ্যা তবে হয়তো এটা আমার বাবার জন্য …(ফারহা)

হুম ঠিক বলেছিস তবে এর পিছুনে আর একটা বড় কারন আছে আর তা তুই খুব তারাতারি জানতে পারবি এখন কোন রেস্টুরেন্টে চল আমার খুব খিদে পেয়েছে …(আগুন)

আগুনের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেলে ফারহা তারপর বলে ,,তুই তো দেখছি আগের মতোই সিরিয়াস মোমেন্টে তোর খিদে পেয়ে যায় এই হেবিট এখনো বদলাতে পারলি না তুই …(ফারহা)
!
!
!
মেঘ ফারহার ফোন নাম্বার ট্রাক করে অনেকক্ষণ আগে পৌছে গেছে ফারহা কাছে কিন্তু দুর থেকে আড়ালে দারিয়ে রক্ত চক্ষু দিয়ে ফারহা আর আগুন কে দেখছে ,,,,,,,,,,,

আগুন ফারহা কে নিয়ে বড় ফাইভ স্টার হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে মেঘ ও ওদের পিছু ফলো করতে থাকে কিন্তু মাঝপথে মেঘ ইউ ট্রান নিয়ে অন্য রাস্তা ধরে অফিসে চলে যায়……

আর কতোক্ষন লাগবে মনা ভাই আশার আগে কাজ টা কম্পিলিট করো ড্যাড যদি জানতে পারে তার কথা মতো কোন কাজ ঠিক মতো করতে পারি নি তাহলে না তোমাকে আস্ত রাখবে আর আমাকে কোন পজিসনে রাখবে …….(মিহু)

ম্যাম মেঘ স্যার কে না বলে অফিসের কন্ফিডেন্টশিয়াল ফাইল গুলো এভাবে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে না মানে স্যার জানতে পারলে তো আমাকে চাকরি থেকে স্যাক করে দিবে ….(মনা)

ভয় তো হচ্ছে বাট ড্যাডের কথা অমান্য করার সাহস আমার নেই তবে ভাইয়ের আছে এখন যা করার ভাই করবে ,,,,,,,(মিহু)

মিহুর কথা শেষ হতেই সামনে তাকিয়ে দেখে মেঘ দারিয়ে আছে এটা দেখেই মিহুর কলিজা শুকিয়ে গেলো আর স্টাফ মনার তো রিতিমতো হাত পা কাপঁতে শুরু করে দিয়েছে………
!
!
!
!
কি হলো খাচ্ছিস না কেনো .! সব তো তোর প্রিয় খাবার তাহলে খাচ্ছিস না কেনো…???(আগুন)

আগুন আমাকে বাড়ি যেতে হবে আর সেটা এখুনি ….(ফারহা)

আগুন স্থির দৃষ্টিতে ফারহার দিকে তাকিয়ে বললো ,,,ওকে চল আমি তোকে ড্রপ করে দিচ্ছি…(আগুন)

নাহ আগুন আমি একাই যেতে পারবো তুই প্লিজ না করিস না ..(ফারহা)

ফারহা যেতে নিলে আগুন ফারহা টেনে ধরে ফারহা আগুনের দিকে তাকিয়ে হাত ছাড়ার জন্য ইশারা করে আগুন দষ্টুমি করে ছাড়বে না বলে মাথা নারায় ফারহা কিছু না বলে টেবিলে থাকা পানির গ্লাস টা নিয়ে আগুনের মাথায় ঢেলে দেয় সাথে সাথে আগুন ফারহার হাত ছেড়ে দেয় ফারহা হাসতে হাসতে হোটেল থেকে বের হয়ে আসে আগুন চারিদিক তাকিয়ে দেখে ওকে দেখে বাকি লোক জন ও হাসছে আগুন কোন মতে বিল পে করে গাড়ি নিয়ে হোটেলে ফিরে যায়………
!
!
!
!
!
!
কোথায় গিয়েছিলে তুমি…????(মিস্টার আশিক )

কলেজ থেকে আগুনের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম বাবা..(ফারহা)

ফারহার মুখে আগুনের নাম শোনা মাত্র মিস্টার আশিকের চোখ মুখ পালটে গেলো ফারহা ওর বাবার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে রুমে চলে গেলো এদিকে মিস্টার আশিক রুমে গিয়ে অনবরত পাইচারি করছে আর ঘামছে মিসেস মোহনা বিষয়টা খেয়াল করে জানতে চায় এতো টেনশনের কারন টা ….

মিস্টার আশিক আর সহ্য করতে না পেরে মিসেস মোহনা কে জরিয়ে ধরে হু হু কাদতে থাকে ………..

ফারহার বাবা তুমি আমাকে বলবে কি হয়েছে …???

আগুন ফিরে এসেছে ফারহার মা ….কথাটা বলেই চুপ করে গেলেন আশিক ,,মিসেস মোহনা আশিক কে ছেড়ে দিয়ে দুরে সরে দারায় আশিক করুন দৃষ্টিতে মিসেস মোহনার দিকে তাকিয়ে রইল ….

ফারহার বাবা তুমি যা করেছো তার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে কিন্তু তোমার সাথে সাথে না আমাদের মেয়েটা কে ও শাস্তি পেতে হয় …(মিসেস মোহনা)

আমি এখন কি করবো বলতে পারো ফারহার মা ..?আগুন আমাকে ছাড়বে না ওর সাথে যা করেছি আমি ও তার প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বে , সব শেষ করে দিবে আগুন…

ফারহার বাবা আগুন কিছু করার আগে তুমি আগুনের কাছে যাও ওর কাছে ক্ষমা চাও যদি ও তোমার বিজনেস টা নিতে চায় তো দিয়ে দেও ….

কি বলছো কি ফারহার মা আগুনের হাতে সব টা দিয়ে দিলে আমরা চলবো কি করে আমাদের তো রাস্তায় এসে দারাতে হবে ….(আশিক)

রাস্তায় দারাতে হলে দাড়াবো তোমাকে যা বলছি তা করো নয় তো এর থেকে ও না বেশি দাম দিতে হয় তোমাকে……

ঠিক আছে আমি যাচ্ছি আগুনের সাথে দেখা করতে …..

মিস্টার আশিক তারাহুরা করে বের হয়ে গেলো বাড়ি থেকে এদিকে ফারহা দরজার আড়ালে থেকে মিস্টার আশিকের সব কথা শুনে নিজের রুমে চলে গেলো….
!
!
!
!
!
এখানে কি হচ্ছে মিহু..??(মেঘ)

মিহু একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে মেঘ কে বললো,,,, ভাই আমাকে মটে ও বকা দিবি না তোর যা কথা বলার ড্যাডের সাথে বল আমি শুধু মাত্র ড্যাডের অর্ডার পালন করছি …..(এক নিশ্বাসে গড় গড় করে বলে দিলো মিহু)

মেঘ কপাল কুচকে মিহুর দিকে তাকিয়ে বলে ,,,ড্যাড সব টা জানতে পেরে গেছে তাই তো..??

মিহু মাথা নারিয়ে হ্যা বলতে মেঘের চোখ মুখ শক্ত করে অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা চৌধুরী ম্যানশনে চলে আসে ,,আরহান চৌধুরী বাকা হেসে মেঘ কে বলে ,,, মাই সান এই টাইমে তুমি বাড়ি তে এনি প্রব্লেম ..??

ইউ নো ওয়াট ড্যাড আমার লাইফের বিগ প্রব্লেম হলে তুমি ,,,,,আরহান চৌধুরী হেসে দিয়ে বলে তুমি এখানে কেনো এটা আমি খুব ভালো করে জানি তবে তোমাকে একটা কথা বলে দিচ্ছি মেঘ কোন মিডেলস ক্লাসের মেয়ে এই চৌধুরী পরিবারের বউ হতে পারে না তাই তুমি যতো তারাতারি সম্ভব মেয়ে টা কে ভুলে যাও…..(আরহান চৌধুরী )

আরহান চৌধুরীর কথা শুনে মেঘ পাগলের মতো হাসতে লাগলো এটা দেখে আরহান চৌধুরী বেশ রেগে সাইড টেবিলে থাকা ফ্লাওয়াস বাজ টা নিয়ে ফ্লোরে ছুরে মারে…..

রাগ হচ্ছে খুব রাগ হচ্ছে ড্যাড যাষ্ট ইমাজিন ড্যাড ফারহা বধু বেশে তোমার এই চৌধুরী ম্যানশনের দারিয়ে আর তুমি আর্শিবাদ করে নিজে হাত ধরে ম্যানশনে প্রবেশ করা করাচ্ছো……..

আরহান চৌধুরী মেঘের দিকে তাকিয়ে ডেভিল হাসি দিয়ে বলে,,মাই সান তুমি জানো সবার আগে আমার কাছে আমার মান সন্মান টাই বড় এর জন্য যদি আমাকে নিজের ছেলে মেয়ের সাথে লড়াই করতে হয় তাহলে ও আমি পিছু পা হবো না …..(আরহান চৌধুরী )

ড্যাড তুমি আমার জেত সম্পর্কে জানো আমি যেটা বলি সেটাই করি আর রইল তোমার সন্মান হা তোমার সন্মান রক্ষা করা মানে চিপ গার্ল জারা কে বিয়ে করা তাহলে বললো মিস্টার আরহান চৌধুরী আপনি ভুলের পৃথিবীতে বাস করছেন ……

মেঘের মুখে নিজের নাম শুনে আরহান চৌধুরী রেগে লাল হয়ে বলে হাউ ডেয়ার ইউ মেঘ তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি তোমার বাবা……

মেঘ তাচ্ছিলের হাসি দিয়ে আরহান চৌধুরীর সামনে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো এদিকে আরহান চৌধুরী রেগে আরহান চৌধুরীর পি এ এমজাত কে কল করে…..

– এমজাত তোমাকে একটা কাজ করতে হবে …

– জ্বি স্যার বলুন আমাকে কি করতে হবে..??

– একটা মেয়ের ছবি সেন্ড করছি মেয়েটাকে আমার চাই …

– ওকে স্যার আপনি ছবি সেন্ড করুন……

কল ডিসকানেক্ট করে আরহান চৌধুরী বাকা হেসে আনমনে বলে উঠলো ,,,মেঘ এই আরহান চৌধুরী কে তুমি চেনো না নিজের ইগো সন্মান বাচাতে কতোদুর যেতে পারি এবার তুমি দেখবে………….
.
.
.
.
#চলবে……………..🍁🍁🍁
জানি অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন আছে তবে পরবর্তী পর্ব থেকে মেঘ ফারহা আগুনের সব টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে সবার কাছে ………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here