হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৮

0
1004

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৮
.
.
.
.
ফারহা গত একঘন্টা ধরে তিন্নি কে লাগাতার কল করে যাচ্ছে কিন্ত তিন্নি কল রিসিব করা তো দুরে থাক দেখেছে কিনা তাও বলতে পারে না ফারহা টেনশনে হার্ডফেল করার মতো অবস্তা আহাদের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে ফারিহা কে কি বলবে ও এটা ভেবেই মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ….

কে এই লোক কেনো আমার পিছুনে পরে আছে ..??
ফারহা পুরো কনফিউজ তার সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুজতে পারছে না …….
!
!
!
!
তো মিস্টার চৌধুরি ডিল টা করতে আপনি রাজি তো ..??(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে মেঘ বাকা হেসে তিন্নির সাথে হাত মেলায় …

সিওর মিস তিন্নি তবে একটা কথা ভূলে ও আমাকে চিট করার কথা স্বপ্নে এনো না তাহলে ওই আহাদ কে দেখছো তো…আহাদের দিকে ইশারা করে ..তিন্নি ভয়ে এক ঢোক গিলে মেঘের দিকে তাকিয়ে জোড় পূর্বক মুখে হাসি এনে বললো,,, আমি আপনাকে কখন চিট করবো না মিস্টার চৌধুরি কিন্তু তার বিনিময় আপনাকে কি করতে হবে এটা নিশ্চয় আপনি খুব ভালো করেই জানেন….(তিন্নি এবার সাহস নিয়ে কথা গুলো বলতে লাগলো)

অফকোর্স মিস তিন্নি এই মেঘ চৌধুরি কখনো কথার বরখেলাপ করে না তাহলে কাল দেখা হচ্ছে ….

জ্বি ,,আচ্ছা মিস্টার চৌধুরি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি যদি আপনার অনুমতি থাকে…(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে মেঘ কপাল কুচকে তিন্নির দিকে তাকিয়ে রইল তিন্নি কিছু বলতে গিয়ে ও বললো না ঠিক তখনি মিহু এসে মেঘের পাশে দারালো মিহু কে দেখে তিন্নির চোখ কপালে ওঠার উপক্রম ….

তিন্নি এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো আমি মানুষ কোন ভুত না যে এভাবে চোখ দিয়ে আমাকে গিলে খাবে..(মিহু)

না মানে আপু আপনি ,,,

হ্যা আমি ,আমি আমার ভাইয়ের সাথে থাকবো স্বাভাবিক নয় কি ….(মিহু)

মিহু তুই তিন্নি কে আগে থেকে জানতি..??(মেঘ)

ইয়াহ কজ তিন্নি তো আমাদের কলেজে পরে আমার এক ব্যাচ জুনিয়র ….তা ভাইয়া কাজ কম্পিলিট ..??(মিহু)

মিহু এই নিয়ে তোর সাথে পরে কথা হবে তার আগে তিন্নি কে বাড়ি যেতে দে আর এই জানোয়ার টাকে হসপিটালাইস্ট করে দে নয় তো তোর ভাবি তিল কে তাল করবে…..(মেঘ)

তিন্নি মেঘের কথা শুনে সব মাথার উপর থেকে যাচ্ছে তার থেকে ও বড় কথা একদিনের আলাপে কেউ কাউকে এতো টাও ভালোবাসতে পারে না যে তারজন্য অন্য একজন কে এভাবে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করতে ও দ্বিতীয় বার ভাবে না নিশ্চয় মিস্টার মেঘ চৌধুরি ফারহা কে আগে থেকে চিনে আর নয় তো এর পিছুনে অন্য কোন রহস্য আছে ….

তিন্নি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফারহার ১২০ টা মিসকল তিন্নি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে ফারহা মেসেজ করে দেয় যে সব ঠিক আছে আর আহাদ কে হসপিটালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ….মেসেজ টা সেন্ড করে দিয়ে মেঘের দিকে তাকাতেই দেখে সামনে মিহু বসে আছে মেঘ কে কোথাও দেখতে পেলো না তিন্নি …..

কি খুজছো তিন্নি ভাই কে ..??(মিহু)

না মানে মিস্টার চৌধুরি ,বাকি টা বলতে না দিয়ে মিহু বলে উঠলো ….লিসেন তিন্নি তুমি আম খাও আম কোন গাছের তা তোমাকে না জানলে ও চলবে এখন এখানে বসে না থেকে বাড়ি চলে যাও ….

মিহু কট কট করে কথা গুলো বলে চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে গেলো এদিকে আহাদ কে এম্বুলেসে হসপিটালে পাঠিয়ে দিয়ে তিন্নি বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো ………
!
!
!
!
!
বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহার বাবা মা ছুটে আসে ফারহার রুমে ফারহা অবাক হয়ে যায় এভাবে ওদের ছুটে আসতে দেখে ….

বাবা মা তোমরা এভাবে ছুটে আসলে কেনো কি হয়েছে ..???

ফারহা কিছু টা আন্দাজ করতে পারছে কিন্তু তারপর ও চুপ করে আছে খবর টা ওদের মুখ থেকে শোনার জন্য…

ফারহা একটু আগে আহাদের বাবা ফোন করে জানালেন আহাদ হসপিটালে ভর্তি কে যেনো আহাদ কে হসপিটাল থেকে তুলে নিয়ে যায়…(মিসেস মোহনা)

উফফ কি উলটা পালটা বলছো বাবা হসপিটাল থেকে তুলে নিয়ে গেছে আর এখন হসপিটালে ভর্তি মানেটা কি ..?? (ফারহা)

ফারহা বেড থেকে উঠতে যাবে তখনি ফারিহা দৌড়ে এসে ফারহা কে জরিয়ে ধরে কাদঁতে থাকে ফারহা বেশ বিরক্ত হয়ে ফারিহা কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নেয় ফারহা ….

কি হচ্ছে টা কি ফারিহা এভাবে মরা কান্না কাদছিস কেনো ..?আর কার জন্য কাদছিস .?? আহাদের জন্য .? ও কি তোর স্বামী নাকি যে এভাবে মরা কান্না কাদছিস.??

ফারহার কথা শুনে ফারিহার কান্না মুহূর্ত উধাও হয়ে গেলো এখন লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ফারহা ফারিহার অবস্তা বুজতে পেরে মিসেস মোহনা কে বললো….মা তুমি বাবা কে আর ফারিহা কে নিয়ে আহাদ কে দেখে আসো আমি বাড়িতে থাকছি..!

মেয়ের কথা শুনে ফারহার বাবা মা রুমে চলে যান রেডি হতে ….

আপু আমি যাবো ..??(ফারিহা)

তুই কি কালা কানে শুনতে পাশ না তোকে ও তো বললাম হসপিটালে যেতে যা এখানে সংয়ের মতো না দারিয়ে থেকে রেডি হয়ে নিন….(ফারহা)

ফারিহা আর ওর বাবা মা বেরিয়ে যায় আহাদ কে দেখার জন্য কিন্তু এদিকে ফারহার মন ছটপট করতে থাকে লোক টি কে তাকে জানার জন্য ….

ফারহা তিন্নি কে ফোন করে লোকটির বিষয় জানার জন্য কারন ওই মেসেজে লোকটির সম্পর্কে কোন কথাই বলেনি তিন্নি..একবার রিং হতেই তিন্নি কলটা রিসিব করে….

-হ্যালো তিন্নি …?

-হুম আমি তোকে এক্ষুনি কল করতে যাচ্ছিলাম আচ্ছা শোন আফসানা ম্যাম কল করেছিলো কাল কলেজের প্রোগ্রামে যাওয়ার জন্য ..!(তিন্নি)

– ওয়াট কাল প্রোগ্রাম ..??

– হ্যা কাল তবে তোকে আর আমাকে যেতে বলেছে বিশেষ করে তোকে কজ কাল ফ্রেশার দের ওয়েলকাম আমাদের জানাতে হবে আর কাল বিশেষ একজন চিফ গেস্ট আসবে কলেজে তাকে তোকে ওয়েলকাম জানাতে হবে ….

— ওয়াট তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো তিন্নি আমার এই পায়ের অবস্তা এটা নিয়ে আমি কি করে যাবো কলেজে..??

– শোন কিচ্ছু হবে না আমি সকালে আসছি তুই আর আমি সেম সেম শাড়ি পড়বো বুজলি..

– ওকে বাট তিন্নি তোকে ওই লোক ….

বাকি টা বলতে না দিয়ে তিন্নি বলে উঠলো ,,দেখ ফারু এখন কোন কথা নয় যা কথা হওয়ার কাল হবে তুই এখন রেস্ট কর আমি সকালে আসবো রাখছি…..

ফারহা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল টা ডিসকানেক্ট করে দিলো তিন্নি…..

যাক বাবা এখনকার মতো ফারু কে মেনেজ করা গেলো কিন্তু কাল ,কাল কি হবে …..ভাবতে থাকে তিন্নি
!
!
!
!
মা প্লিজ শাড়ি টা পড়িয়ে দেও না আমি একা একা পারছি না …(ফারহা)

আপু তুই আর আমি একি কলেজে পড়ি কিন্তু সবাই আমার থেকে তোকে বেশি পছন্দ করে কেনো তুই সব কাজ পারিস তাই ..??(ফারিহা)

দেখ ফারিহা এমনি তে মাথা গরম হয়ে আছে শাড়ি টা ঠিক ভাবে পরতে পাড়ছি না বলে আর তুই আছিস তোর নেকামো নিয়ে হা …(রেগে বললো ফারহা )

এতোমধ্যে তিন্নি ফারহা দের বাড়িতে চলে আছে তিন্নি ফারহা কে হেল্প করে শাড়ি পড়তে আজ তিন্নি ফারহা দু জনে কালো জামদানী শাড়ি পরে ফারহা ওর লম্বা চুল গুলো খোপা করে বেলি ফুলের মালা খোপায় আটকে দিয়ে সাদা কালো স্টোনের বড় ঝুমকো পরে নেয় হাতে রিনিঝিন কালো কাচের চুড়ি চোখে গাঢ় কাজল কপালে ছোট্ট একটা কালো টিপ ঠোটে গাঢ় লাল লিপষ্টিক সাথে হালকা মেকআপ সব মিলিয়ে ফারহা পরীর থেকে ও বেশি সুন্দর লাগছে ফারিহা হুট করে আঙ্গুলে কাজল লাগিয়ে ফারহার কানের লতিতে লাগিয়ে দিলো আংশিক এমন ঘটনায় ফারহা লজ্জা পেয়ে গেলো…..

মাশাআল্লাহ আপু তোকে না আজ হুর পরীর থেকে কোন অংশে কম লাগছে না আজ আমি যদি ছেলে হতাম তাহলে তোকে এখুনি প্রপোজ করতাম ,,,,(চোখ মেরে দিয়ে)

ওহ তোর বোন কেই বুঝি বেশি সুন্দর লাগছে আমাকে একটু ও সুন্দর লাগছে না..(মন খারাপ করে বললো তিন্নি)

কি যে বলো না তিন্নি আপু তোমাদের দুজন কেই খুব সুন্দর লাগছে তবে আমার রিতিমতো ভয় করছে তোমাদের দেখে ….(চিন্তিত হওয়ার ভাব করে )

মানে কেনো ভয় করছে তোর..??(ফারহা)

নাহ মানে রাস্তা দিয়ে যাবি আজ যে তোদের দেখবে সেই হার্ডফেল করবে এটা দেখে ইসস খারাপ হবে বুজতে পারছিস তোরা..???

কিকককক (তিন্নি ফারহা একসাথে চিৎকার করে বললো )

উফফ আপু থামবি তোরা কানের তালা ফাটিয়ে দিলো তোরা কি এখানে দারিয়ে থাকবি নাকি কলেজে যাবি দেখ তোদের কিন্তু লেট হয়ে যাচ্ছে ,,,ফারহা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি অনেক লেট হয়ে গেলো আর দেরি না করে তিন্নি ফারহার হাত বেরিয়ে পরে রিকসা পেয়ে দুজনে উঠে বসে রিকসায় কিন্তু ফারহা কিছু দুর যেতে ফিল করে কেউ যেনো ওকে ফলো করছে চারিদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলো সব কিছুই নরমাল কিন্তু আসে পাশের লোক গুলো যে ভা হা করে ওদের দেখতে মনে হয় সামনে পেলে এখুনি গিলে খাবে …..

ব্যাস ব্যাস সামনে রাখুন এখানে নামবো আমরা….(ফারহা)

ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে কলেজে পা রাখতেই ফারহার কেমন যেনো হার্ডবিট বেরে যেতে থাকে কিছুটা সামনে আগাতে দেখে …………..
|
|
|
|
|
#চলবে………………………🔥🔥🔥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here